পেঙ্গুইনের পয়লা প্যাঁকপ্যাঁকানী

  • সোনালী চুলের ছেলেটিঃ

১৯৬৯ সালের ডিসেম্বরে যখন ছেলেটার জন্ম হয় তখনই কি সাংবাদিক এবং কবি ওলে টরভাল্ডস বুঝতে পেরেছিলেন যে তার নাতি একদিন বিশ্ব কাঁপাবে? ওলে টরভাল্ডসের ছেলে নিল‍্স বা ছেলের বউ এ্যানাও মনে হয় বুঝেছিল যে তাদের ছেলেকে একদিন পুরো বিশ্ব চিনবে এক নামে। সেজন্যই বোধহয় নোবেল প্রাইজ বিজয়ী আমেরিকান কেমিস্ট “লিনুস পলিং” এর নামানুসারে ছোট্ট ছেলেটির নাম রাখেন লিনুস বেনেডিক্ট টরভাল্ডস। দাদা ছিলেন একাধারে কবি ও সাংবাদিক, বাবা-মা দুজনেই সাংবাদিক, তাই চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায় ছোট্ট লিনুস বড় হলে এই লেখালেখির জগতকেই আপন করে নিবে। লেখালেখির জগৎকে লিনুস আপন করে নিয়েছিল ঠিকই তবে সেটা অন্য ধরনের লেখালেখি আর জগৎটাও হচ্ছে অন্যরকম। ডিজিটাল জগতে কোড লেখালেখিতেই যেন এই ছেলের মূল আনন্দ।
linus
Continue reading পেঙ্গুইনের পয়লা প্যাঁকপ্যাঁকানী

টার্মিনাল নিয়ে টানাটানি

মানুষজন লিনাক্সে আসতে চায়না যে কটা কারনে তার মধ্যে মনে হয় সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত কারন হচ্ছে “লিনাক্সে কোড লিখতে হয়“! সাধারন ব্যবহারকারিদের মধ্যে কোড লেখার প্রতি একটা ভীতি সবসময়ই কাজ করে (হাসি দিয়ে লাভ নাই, আমি নিজেও এই জিনিসটাকে ভয় পেতাম)। অনেকে মাউস পয়েন্টারের পরিবর্তে এইসব কোড লেখাকে মহারাজ মান্ধাতার সম্পত্তি মনে করে। ফলে মহারাজের আমলের জিনিসকে বাদ দিয়ে তারা মাউসের উপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল। এটা দোষের কিছু না। যার যেটাতে সুবিধা সে সেটাই ব্যবহার করবে। এই বিষয়টা ধরতে পেরেই উবুন্টু গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসের উপর এত বেশি জোর দিয়েছে যে, কোন নতুন ইউজার একলাইন কোড না জেনেও তার সাধারন কাজগুলো মাউস ক্লিকে করে নিতে পারবেন। এবার নিশ্চয়ই আমার উপর ক্ষেপে উঠেছেন; নিশ্চয়ই মনে মনে বলছেন – তাহলে ভাই কেন টার্মিনাল নিয়ে খামাখা টানাটানি করছেন? বলছি, একটু সবুর করুন!

Continue reading টার্মিনাল নিয়ে টানাটানি

উবুন্টু ইন্সটলের পর অবশ্য করণীয় কাজের লিস্টি !

বেশ কয়েকজনকে উবুন্টু ইন্সটল করে দেবার পর দেখলাম যে ইন্সটলের পর কিছু কিছু কাজ প্রত্যেকবারই করতে হচ্ছে। নিজের সামান্য জ্ঞানে যা বুঝি সেটা হল এইসব কাজ মোটামুটি সবাইকেই করতে হয়। একজন নতুন উবুন্টু ব্যবহারকারিকেও উবুন্টু ব্যবহারের কোন না পর্যায়ে গিয়ে এই কাজ গুলো করতে হয়। একজন নতুন ব্যবহারকারি যাতে একেবারে ফ্রেশ ইন্সটল করেই খুঁটিনাটি প্রয়োজনীয় সব কিছু হাতের কাছে পায় তার জন্যই এই লিস্টি। আমি চেষ্টা করেছি একেবারে অতি প্রয়োজনীয় ধাপগুলো উল্লেখ করতে যেগুলো কোন পিসিতে উবুন্টু ইনস্টল করার পর আমি সবসময় করে থাকি।
Continue reading উবুন্টু ইন্সটলের পর অবশ্য করণীয় কাজের লিস্টি !

উইন্ডোজের সবচেয়ে বড় শক্তিই যখন তার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা!


এই লেখাটা আমার নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা। আমার প্রাত্যহিক জীবনে কম্পিউটার সম্পর্কীত বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন ধ্যানধারনা কিংবা আমার নিজের দেখা বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে এই লেখাটা লেখা হয়েছে। তাই এই লেখাকে দয়া করে এন্টি উইন্ডোজ ঘরানার কিছু মনে করবেনা।

যখন প্রথম কম্পিউটার জিনিসটা দেখি তখন ক্লাস ফোর কি ফাইভে পড়ি। তখন ছিল ডসের যুগ। টেলিভিশনের মত যন্ত্রের সামনের কালো স্ক্রিনে কি কি লেখা আসে। কম্পিউটার বলতে এটাই বুঝতাম। ক্লাস নাইনে বাসা থেকে নিজের জন্য যখন পিসি পেলাম, তখন ছিল উইন্ডোজ ৯৫ এর যুগের একদম শেষের দিক। আমার পিসিতে ছিল প্রিইন্সটলড উইন্ডোজ ৯৮ (বাংলাদেশে তো পিসি কিনলেই উইন্ডোজ থাকে)। নিজে পিসি পাবার আগে অন্যদের পিসিতে হালকা পাতলা গেম খেলেছিলাম, তাই উইন্ডোজের ইন্টারফেসের সাথে খুব একটা অপরিচিত ছিলামনা। তাই আশেপাশে সাহায্য করার মত তেমন কেউ না থাকলেও নিজে নিজে আয়ত্ত্ব করতে বেশি দিন লাগেনাই। আয়ত্ত্ব বলতে মুভি দেখা, গান শোনা, গেম খেলা, টুকাটাক টাইপ করা আর এমএস পেইন্টে ছবি আঁকার চেষ্টা করা। আর এই পাঁচটা কাজের প্রথম চারটা কাজ আমি বয়সানুযায়ী বেশ দক্ষতার সাথেই করতে পারতাম। কম্পিউটারে যে এর চেয়ে বেশি কিছু করা যায় সেটাই জানতামনা! সেটা জেনেছি আরো পরে যখন সি এর সাথে পরিচয় হয়। নটরডেম কম্পিউটার ক্লাবের ছোট্ট রুমটাতে সপ্তাহে একবার যেতাম প্রোগ্রামিং শেখার জন্য। তখনই আস্তে আস্তে বুঝতে শিখি কম্পিউটারের আসল ক্ষমতা। এর আগ পর্যন্ত কম্পিউটার ছিল আমার কাছে টাইপরাইটার, ভিসিডি প্লেয়ার আর সেগা-নিন্টেন্ডোর গেমস্টেশনের মিলিত একটা যন্ত্র। এরও কয়েক বছর পর জানতে পারি উইন্ডোজই কেবল একমাত্র অপারেটিং সিস্টেম না, আরো আছে, আর লিনাক্স হচ্ছে সেরকমই একটা! Continue reading উইন্ডোজের সবচেয়ে বড় শক্তিই যখন তার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা!

অবশেষে লিনাক্সে অভ্র আসিলো!

কোমলমতি এই নাদানের মরা কান্নায় বোধকরি অবশেষে অভ্র জনকের ধ্যান ভাঙ্গিল। তিনি অভ্রকে লিনাক্সের পরিসরে আনিবার জন্য উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছিলেন। তারই ফলস্বরূপ বারোখান ঘন্টক পূর্বে সকল বাধা অতিক্রম করিয়া লিনাক্সের মহিমান্বিত জগতে অভ্র প্রবেশ করিল। লিনাক্স ব্যবহারকারিগনদের নিকট এই সংবাদ যেন ভাদ্র মাসের সুপরিচিত আউলাটক্কা গরমের মধ্যে ভারিবর্ষনের ন্যায় সুসংবাদের জলধারা স্বরূপ বর্ষিত হইয়াছে। লিনাক্স অনুরাগীগন অদ্য হইতে অভ্রের জাদুকর স্পর্শ লিনাক্সে চাখিয়া দেখিবার সুযোগ পাইবেন।

আপাতত ইহা কেবলমাত্র উবুন্টু ৯.০৪ এবং লিনাক্স মিন্ট ৭ এ পরীক্ষা করা হইলেও অতি শীঘ্রই ইহা অন্যান্য লিনাক্সের জন্য মুক্ত করা হইবে।

পরিশেষে যাহারা ইহা চাখিয়া দেখিতে চান তাহারা দয়া করিয়া এইখানে একটিবার ভ্রমন করিয়া আসুন।

লিনাক্স মিন্টে হড়বড় করিয়া চলিতেছে অভ্র!
লিনাক্স মিন্টে হড়বড় করিয়া চলিতেছে অভ্র!

উবুন্টুকে দিন ম্যাকের চেহারা!

এবার ম্যাকের দৃষ্টিনন্দন ডেস্কটপ থিমকে এবার আনতে পারেন আপনার উবুন্টু বা মিন্টে। নিচের ছবি দুটো দেখুন। প্রথমটা আমার ল্যাপির (উবুন্টু ৯.০৪), দ্বিতীয়টা আমার পিসির (যেটাতে আছে লিনাক্স মিন্ট ৭)।

Continue reading উবুন্টুকে দিন ম্যাকের চেহারা!

লিনাক্স সমস্যাময়! আসলেই কি তাই?

অনেককেই বলতে শোনা যায় যে “…আর বলেন না ভাই, লিনাক্সে কয়েকদিন ছিলাম, খুবই ভেজালের জিনিস, এত্ত কঠিন যে বহুত সমস্যা হয়। পরে আবার উইন্ডোজে ফেরত আসছি…“। এই “বহুত সমস্যাটা” আসলে কি? এতই যদি সমস্যা হয় তাহলে পৃথিবীর তাবৎ সার্ভারগুলো লিনাক্সে চলতনা। এমনকি খোদ মাইক্রোসফটও তাদের সার্ভার লিনাক্সে চালাতোনা। ভাবছেন ভুল পড়ছেন? নাহ, আপনি ঠিকই পড়েছেন, মাইক্রোসফট নিরাপত্তার জন্য তাদের নিজেদের সার্ভারের বদলে লিনাক্সের সার্ভার ব্যবহার করে! তাহলে চিন্তা করে বলুনতো আসলেই কি লিনাক্স খুবই সমস্যাময়?
Continue reading লিনাক্স সমস্যাময়! আসলেই কি তাই?

বোকাসোকা প্রশ্ন!

মাত্র লিনাক্স ব্যবহার করা শুরু করেছি, তখন বলতে গেলে এক্কেবারে কিছুই জানিনা। অজ্ঞতার কারনে অনেক অপরিপক্ক প্রশ্ন মাথার মধ্যে আসে যেগুলো হয়ত বাঘা বাঘা লিনাক্সবোদ্ধাদের কে জিজ্ঞেস করলে বাঁকা হাসি দিবে! তারপরও তো জানতে হবে, অন্তত নিজের তাগিদেই। তাই মাঝে মধ্যেই আমার এইসব বোকা-সোকা প্রশ্নগুলো নিয়ে ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাটি করতাম, এখনো অবশ্য করি। মাঝমধ্যে পেয়ে যাই, কখনো বা লিঙ্কের সাগরে তলিয়ে যাই, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই এত কাঠখোট্টা-টেকি কথা থাকে যে আমার মত নাদান লিনাক্স-ইউজাররা কঠিনভাবে ভড়কায় যায়। তবে আমি ভড়কায় গেলেও চেষ্টা থামাইনা, কারন আমাকে লিনাক্সের জ্ঞান নিতে হবে, শাস্ত্রে বলা আছে জ্ঞান নিতে সুদূর চীন পর্যন্ত যেতে হবে, কিন্তু চৈনিক সাইটগুলাতে চৈনিক ভাষা ব্যবহার করায় কাজটা আমার জন্য আরো জটিল হয়ে গেছে!

যাই হোক সেই নাদান মনের বোকা বোকা সেসব প্রশ্ন নিয়েই আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে বিভিন্ন পোস্ট দিতাম। ভয়ে ভয়ে থাকতাম আমার এইসব হাবিজাবি প্রশ্ন শুনে না আবার তারা আমাকে কঠিন ঝাড়ি দেয়! কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে ফোরামের লিনাক্সবোদ্ধারা আমাকে এ ব্যাপারে প্রচন্ড সাহায্য করা শুরু করলেন। তাই ভাবলাম সেসব পোস্ট নতুন লিনাক্স ব্যবহারকারিদের সাথে ভাগাভাগি করি, নতুনদের বেশ উপকারে আসবে।

পোস্টগুলো নীচে লিঙ্কাকারে দেয়া হল। এইসব লিঙ্কে ক্লিক করলে আপনি আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে সংশ্লিষ্ট পোস্টে চলে যাবেন।