উবুন্টু উপাখ্যানঃ মানুষের জন্য লিনাক্স!

  • শুরুর গল্পঃ

শুনতে অনেকটা রূপকথার মত শোনাবে। দুষ্ট সফটওয়ার কম্পানিগুলো যখন পৃথিবীর মানুষদের তাদের হাতের মুঠোয় পুরে ফেলার চেষ্টা করা শুরু করল তখন এক আধপাগলা লোক একাই দাঁড়িয়ে গেলেন সেইসব কম্পানির বিপক্ষে। সফটওয়ার কম্পানিগুলো চাচ্ছিল সফটওয়ার লিখতে যেই কোডগুলো দরকার সেগুলোকে নিজের কাছে রাখবে, পৃথিবীর আর কেউ সেগুলো দেখতে পারবেনা। সেই কোড দিয়ে যে সফটওয়ারগুলো তৈরি হবে মানুষ কেবল সেগুলোই ব্যবহার করতে পারবে। কেউ যদি নিজের ইচ্ছেমত সেসব কোড পাল্টাতে চায় তাও সম্ভব না। কিন্তু ঐ আধপাগলা লোক এটা মেনে নিতে পারলেননা। তিনি বললেন সবকিছু হতে হবে ওপেনসোর্স, অর্থাৎ সবাই সব সোর্স কোড দেখতে পাবে, নাড়াচাড়া করতে পারবে, নিজের সৃষ্টিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু তৈরি করবে। সোর্স কোড হচ্ছে একটা প্রোগ্রামের সেই কোড যার উপর পুরো সফটওয়ারটা দাড়িয়ে আছে। এই কোড যদি কেউ পায় তাহলে ইচ্ছা করলেই সে সেই প্রোগ্রামে পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবে। আধপাগলা সেই লোকটার নাম রিচার্ড স্টলম্যান। দুর্ধর্ষ প্রোগ্রামার হিসেবে পরিচিত স্টলম্যান একাই দাঁড়িয়ে গেলেন দুষ্ট সফটওয়ার কম্পানিগুলোর রাজত্বের বিরুদ্ধে। ধীরে ধীরে তার সাথে আরো অনেকই যোগ দিলেন। তারা গড়ে তোলে নিজেদের মুক্ত রাজত্ব গ্নু (GNU)। কিন্তু গড়ে তুললেই তো আর হবেনা। সেই রাজত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য আর দুষ্ট সফটওয়ার কম্পানিগুলোর বিপক্ষে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য একটা অপারেটিং সিস্টেমের যে দরকার। কারন সেই সময়টায় দুষ্ট কম্পানিগুলোর অপারেটিং সিস্টেমে যে বাজার ভরে গেছে। Continue reading উবুন্টু উপাখ্যানঃ মানুষের জন্য লিনাক্স!

পেঙ্গুইনের পয়লা প্যাঁকপ্যাঁকানী

  • সোনালী চুলের ছেলেটিঃ

১৯৬৯ সালের ডিসেম্বরে যখন ছেলেটার জন্ম হয় তখনই কি সাংবাদিক এবং কবি ওলে টরভাল্ডস বুঝতে পেরেছিলেন যে তার নাতি একদিন বিশ্ব কাঁপাবে? ওলে টরভাল্ডসের ছেলে নিল‍্স বা ছেলের বউ এ্যানাও মনে হয় বুঝেছিল যে তাদের ছেলেকে একদিন পুরো বিশ্ব চিনবে এক নামে। সেজন্যই বোধহয় নোবেল প্রাইজ বিজয়ী আমেরিকান কেমিস্ট “লিনুস পলিং” এর নামানুসারে ছোট্ট ছেলেটির নাম রাখেন লিনুস বেনেডিক্ট টরভাল্ডস। দাদা ছিলেন একাধারে কবি ও সাংবাদিক, বাবা-মা দুজনেই সাংবাদিক, তাই চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায় ছোট্ট লিনুস বড় হলে এই লেখালেখির জগতকেই আপন করে নিবে। লেখালেখির জগৎকে লিনুস আপন করে নিয়েছিল ঠিকই তবে সেটা অন্য ধরনের লেখালেখি আর জগৎটাও হচ্ছে অন্যরকম। ডিজিটাল জগতে কোড লেখালেখিতেই যেন এই ছেলের মূল আনন্দ।
linus
Continue reading পেঙ্গুইনের পয়লা প্যাঁকপ্যাঁকানী