উবুন্টু-মিন্টের খুব দারুণ একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে এদেরকে লাইভ সিডি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নিশ্চয়ই ভাবছেন যে “লাইভ সিডি” আবার কি জিনিস? নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এটা হচ্ছে “জীবন্ত সিডি”। সাধারণত যেকোন অপারেটিং সিস্টেম (যেমন উইন্ডোজ) কম্পিউটারে ইন্সটল না করে ব্যবহার করে দেখার কোন উপায় নেই। অর্থাৎ আপনি যদি দেখতে চান যে উইন্ডোজ ভিস্তা বা উইন্ডোজ ৭ দেখতে কেমন, তবে সেটা দেখার একমাত্র উপায় হল সেটাকে কম্পিউটারে ইন্সটল করা। কিন্তু লিনাক্স-নির্ভর অপারেটিং সিস্টেমগুলো এর ব্যতিক্রম। আপনি ইচ্ছা করলে আপনার হার্ডডিস্কে ইন্সটল না করেই সিডি থেকে বা ইউএসবি স্টিক থেকে এদেরকে চালাতে পারেন। অর্থাৎ ইন্সটল না করেই দেখে নিতে পারবেন যে অপারেটিং সিস্টেমটি কেমন। শুধু দেখাই না বরং একটা পরিপূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমের মত একে ব্যবহারও করতে পারবেন। লেখালেখি, ইন্টারনেট ব্রাউজ, অডিও-ভিডিও চালানো ইত্যাদি সব কাজই করতে পারবেন সিডি থেকে। আর যেহেতু লাইভ মোডে ব্যবহার করতে ইন্সটলেশান করার কোনো দরকার পড়েনা তাই আপনার কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের পার্টিশনও অটুট থাকবে, কোনো ধরণের ড্যাটা হারাবার ভয় থাকেনা। অর্থাৎ ইন্সটলেশান ছাড়াই পুরো সিডিটাকে “জীবন্তভাবে” ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্যই এর নাম “লাইভ সিডি”।
Continue reading লাইভ সিডি’র জাদু
Tag: লিনাক্স মিন্ট
অবশেষে লিনাক্সে অভ্র আসিলো!
কোমলমতি এই নাদানের মরা কান্নায় বোধকরি অবশেষে অভ্র জনকের ধ্যান ভাঙ্গিল। তিনি অভ্রকে লিনাক্সের পরিসরে আনিবার জন্য উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছিলেন। তারই ফলস্বরূপ বারোখান ঘন্টক পূর্বে সকল বাধা অতিক্রম করিয়া লিনাক্সের মহিমান্বিত জগতে অভ্র প্রবেশ করিল। লিনাক্স ব্যবহারকারিগনদের নিকট এই সংবাদ যেন ভাদ্র মাসের সুপরিচিত আউলাটক্কা গরমের মধ্যে ভারিবর্ষনের ন্যায় সুসংবাদের জলধারা স্বরূপ বর্ষিত হইয়াছে। লিনাক্স অনুরাগীগন অদ্য হইতে অভ্রের জাদুকর স্পর্শ লিনাক্সে চাখিয়া দেখিবার সুযোগ পাইবেন।
আপাতত ইহা কেবলমাত্র উবুন্টু ৯.০৪ এবং লিনাক্স মিন্ট ৭ এ পরীক্ষা করা হইলেও অতি শীঘ্রই ইহা অন্যান্য লিনাক্সের জন্য মুক্ত করা হইবে।
পরিশেষে যাহারা ইহা চাখিয়া দেখিতে চান তাহারা দয়া করিয়া এইখানে একটিবার ভ্রমন করিয়া আসুন।