রঙ্গীন দুনিয়া – ১

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে ভয়াবহ ধরনের ব্যস্ত ছিলাম। ভিসা প্রসেসিং, কেনাকাটা, অফিসে রিজাইন দেয়া – বহুত ঝামেলা। গ্রাজুয়েশন করার পর ভালই ছিলাম। হঠাৎ কী মনে হল আরও লেখাপড়ার জন্য মাথা কামড়া-কামড়ি শুরু হল। এম এস করার জন্য ইউরোপকেই পছন্দ করলাম। টেকনিকাল ইউনিভার্সিটি অফ ডেলফ এ এডমিশন পেলাম। ওই দিকে আবার মামা খালা নেদারল্যান্ডস থাকে। সব মিলিয়ে একেবারে খাপে খাপ মিলে যাবার দশা আর কী। যাই হোক সংক্ষেপে এই হল আমার নেদারল্যান্ডস যাবার আদ্যোপান্ত। এই আদ্যপান্তকেই এক মলাটে ঢেকে ফেলার একটা চেষ্টা এই লেখাটা। হয়তবা এটকে একটা সিরিজ হিসেবে লিখতে পারব। দেখা যাক কি হয়… অনেক দিন ধরেই এই লেখাটা লিখেছি, লেখাটা লেখা শুরু করেছিলাম হিথ্রো এয়ারপোর্টে।

ব্রিটিশ এয়ার ওয়েজ

নিজে বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম। প্লেন কিভাবে আকাশে উড়ে এটা নিয়ে মনে কোনদিন সন্দেহ জাগেনি। কিন্তু আজকে সকালে যখন ব্রিটিশ এয়ার ওয়েযের বিএ১৪৪ ফ্লাইটটাকে দেখলাম তখনই মনে প্রথম সন্দেহটা জাগলো। আসলেই কি এই বিশাল জিনিসটা আকাশে উড়তে পারে? রান ওয়েতে বিশাল ধবধবে সাদা প্লেনটা ডানা বিছিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কনকনে ঠান্ডা লাউঞ্জে বসে ছিলাম প্রায় ঘন্টাখানেক। একসময় ডাক পড়ল প্লেনে উঠার। লাইন ধরে উঠলাম একসময়। আব্বা বাসায় বারবার বলে দিয়েছিলো যে চেক ইনের সময় যেন জানালার পাশের সিটের জন্য রিকোয়েস্ট করি। এটাই আমার প্রথম প্লেনে উঠা। তাই উপর থেকে পৃথিবী দেখার সাধ কেন অপূর্ণ থাকবে। কিন্তু সারাক্ষন মনে রেখে ঠিক টিকেট চেক ইনের সময় ভুলে গেলাম রিকোয়েস্ট করতে। কী আর করা! এ যাত্রায় আর জানালার পাশে বসা হোলনা মেনে নিয়েই প্লেনে উঠলাম।

রাখে আল্লাহ মারে কে! প্লেনে উঠে দেখি জানালার পাশের সিটের পাশের সিটটা আমার। যাক বাবা অন্তত পাশের যাত্রীর উপর দিয়ে উঁকি মেরে জানালা দিয়ে কিছু তো দেখা যাবে! হঠাৎ মনে হল পাশের যাত্রী যদি মেয়ে হয় তাহলে তো উঁকি দিলে পুরা মার্ডার কেস! যাই হোক এক সময় প্লেন নড়াচড়া শুরু করল এবং আমার আর জানালার মাঝে আর কেউ নেই! টেক অফের আগেই তাই জানালার পাশের সিট আমার দখলে। যাক শেষ পর্যন্ত একটা আশা পুর্ণ হল তাহলে।

পাখির চোখে বাংলাদেশ

উপর থেকে বাংলাদেশকে যে এত অসাধারন লাগে তা আগে কখনো চিন্তা পর্যন্ত করি নাই। এক কথায় অপূর্ব! মেঘের ফাঁক দিয়ে একে একে চোখে পড়লো হোটেল রেডিসন, গুলশান লেক, হকি স্টেডিয়াম; আরো অনেক কিছু, কিন্তু সব গুলো ঠিক মত বুঝতে পারি নাই। একসময় চোখে পড়ল গ্রাম। গ্রামের টিনের ঘরের চাল গুলো রোদে ঝিকমিক করছিলো। যাই দেখিনা কেন, কেবল সবুজ রংটাই চোখে পড়ে। সবুজের মাঝে এঁকে বেঁকে গেছে চকচকে রূপালি নদী। সবুজের মাঝে রূপালী ফিতার মত নদী; অসম্ভব সুন্দর একটা দৃশ্য। না দেখলে এককথায় বোঝানো অসম্ভব! আমি কবি মানুষ না। তাছাড়া কবিতা খুব একটা পড়িওনা। এক কথায় আমি কখনোই কবিতার সমঝদার ছিলাম না। তাই আমার ভান্ডারে কবিতার সংখ্যা অনেক কম। পাখির চোখে বাংলাদেশকে দেখে আমার মনে হয়েছিলো কোন কবিই এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশকে কোন কবিতায় ফুটিয়ে তুলতে পারেনাই; হোক সেটা রবিন্দ্রনাথ বা দ্বিজেন্দ্রলাল। আমি মোটামুটি নিশ্চিত, যদি তাদেরকে রূপালী-সবুজের অসাধারন এই মিশ্রনটা দেখানো যেত তারা এক বাক্যে তাদের সব সৃষ্টি নতুন করে লিখতেন।

মহাপতঙ্গের পেটে

খাওয়া দাওয়ার দিক থেকে মনে হয় প্লেনের কোন বিকল্প নেই। শুরুতেই সকালের নাস্তা। কিছুক্ষন পর আবার নাস্তা। তারপর আবার এক প্রস্থ। তারপরে লাঞ্চ। মোটামুটি বেশ রমরমা অবস্থা আর কী! আমার পাশের লোক আবার সিলেটি প্লাস লন্ডনি। বেশ মাই ডিয়ার ধরনের। এই লোক বছরে তিন-চারবার দেশে আসে। তার কাছে ঢাকা-লন্ডনের দশ ঘন্টা জার্নি কোন ব্যাপারই না। এরই মধ্যে প্লেনের ছোট এলসিডি টিভিতে একের পর এক মুভি আর কার্টুন চলতে লাগলো। ডিজনী’র “ক্রনিকেলস অফ নারনিয়া”র দ্বিতীয় পর্বটা দেখে ফেললাম। আর কার্টুন নেটওয়ার্কের একটা চ্যানেলে লাগাতার ভাবে “বেন টেন” আর “কে এন ডি” চলছিলো।
শুনেছিলাম এয়ারহোস্টেসরা বেশ অমায়িক হয়। কথাটা মিথ্যা না। তবে একেকজনের যে দামড়া সাইজ, দেখলেই কিছু বলতে ভয় করে। আর ব্রিটিশদের হাসি দেবার ভঙ্গীটা বেশ অদ্ভুত। এরা হাসি দেবার সময় মাথা নাড়ানাড়ি করে চোখ ভুরু কুঁচকে বিটকেলে হাসি দেয়, ব্যাপারটা হাসি না ভেংচি বোঝা বেশ কঠিন! আমার পেছনের সীটে এক বঙ্গদেশীয় ছেলে পাশের সীটের সহযাত্রী হিসেবে পেয়েছে এক ব্রিটিশ রমনীকে। কী তার উচ্ছ্বাস! পুরা জার্নিতে সে ইয়েস-নো-ভেরি-গুড টাইপের ইংলিশ দিয়ে মহিলার সাথে বকর বকর করে গেছে। আমি মাঝে মাঝে ভয়ে ছিলাম যে মহিলা না আবার ক্ষেপে যায়। তবে মহিলা দেখলাম বেশ সরব হয়েই ঐ আদমীর সাথে কথা চালিয়ে গেছে। ব্রিটিশরা সত্যিই বিচিত্র!

মেঘের রাজ্য

আকাশে মেঘ যে তিন স্তরে জানে এইটা জানতামনা। জানলাম যখন প্লেন মেঘের রাজ্যে ঢুকলো। সে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা! মেঘের উপর মেঘ, তারও উপরে আরো মেঘ। কোন মেঘ ধূসর রঙা, কোন কোনটা ধবধবে সাদা, কোনটা দুধ সাদা, কোনটা আবার উজ্জ্বল সাদা, দেখলে মনে হয় ওগুলো থেকে ঠিকরে আলো বের হচ্ছে! মেঘের উপর মেঘ বসে মেঘের স্তম্ভ তৈরি করেছে। পেঁজা তুলার মত স্তম্ভগুলো যেন মেঘের রাজপ্রাসাদ। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো প্লেন থেকে নেমে মেঘের উপর একটু হেঁটে আসি!

অবশেষে হিথ্রো

দশ ঘন্টা মাটির সাথে কোন মোলাকাত নাই। তাই পাইলট যখন বলল যে প্লেন ইংল্যান্ডের আকাশ সীমায় পৌঁছে গেছে, নিজের ভেতর একধরনের ফুর্তি ফুর্তি ভাব কাজ করলো। প্রায় দশ ঘন্টা পর মাটির উপর পা রাখব অথচ মনে হচ্ছিল যেন যুগ যুগ পর মাটির দেখা পাচ্ছি! জানালা দিয়ে উঁকি দিলাম নীচে – এই তাহলে লন্ডন শহর! কেবল রাস্তা আর বাড়ি আর কিছু দেখা যায়না! মাঝে মাঝে অবশ্য সবুজ রঙ চোখে পড়ে। টেমস্‌ নদীকে যত বড় ভেবেছিলাম তা আদৌ তত বড় না, অন্তত আমাদের দেশের নদীর কাছে কোন পাত্তা পাবেনা। নদীর পাশে বিখ্যাত লন্ডন আই দেখলাম। রাস্তা দিয়ে ছুটে যাচ্ছে বিভিন্ন রঙের গাড়ি। বাড়িগুলোর গড়নে সেই আদ্যিকালের ছাপ এখনো স্পষ্ট। এক সময় প্লেন হিথ্রোতে নামলো।

আমার টিকেটে লেখা ছিল যে আমার প্লেন নামবে চার নম্বর টার্মিনালে আর আমস্টারডামের পরের প্লেন ছাড়বে টার্মিনাল ৫ থেকে। অনেকে হয়ত পাঁচ নম্বর টার্মিনালের কথা শুনেননি। টার্মিনালটা একদম নতুন। আমি ভেবেছিলাম টার্মিনাল দুইটা হয়তো পাশাপাশি, যেমনটা আছে ঢাকা এয়ারপোর্টে। কিন্তু ওখানে গিয়ে দেখি রীতিমত আমাদের জন্য বড়সড় বাস দাঁড়িয়ে আছে টার্মিনাল পাঁচে নিয়ে যাবার জন্য। বাসে উঠার পর পরই ড্রাইভার বললো যে টার্মিনাল চার থেকে টার্মিনাল পাঁচের এই যাত্রাটা হবে আঠার মিনিটের! প্রায় কাঁটায় কাঁটায় আঠার মিনিট পর টার্মিনাল পাঁচে এসে পৌছালাম। নেমে দেখি আর এক এলাহি ব্যাপার।শত শত লোক বোর্ডিং কার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একটা কথা বলে রাখি- টার্মিনাল চার আর টার্মিনাল পাঁচ কেবল মাত্র ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের নিজেদের ব্যবহার করার জন্য, অন্য কোন কোম্পানী এগুলো ব্যবহার করতে পারেনা। এদিকে বোর্ডিঙের লাইনে এক চীনা শিশু বড়সড় ধরনের হিসু করে দিলো। সাথে সাথে দেখি এয়ারপোর্টের লোকজন যন্ত্রপাতি নিয়ে ছুটে এসে সেই হিসুকে গায়েব করে দিলো। তবে হিথ্রোতে নেমে বুঝতে কষ্ট হয় আমি ইন্ডিয়াতে আছি নাকি ব্রিটেনে আছি, চারদিকে কেবল ইন্ডিয়ান চেহারা, শিখ-নন শিখ সব ধরনের আদমিই আছে।

হিথ্রোর চেকিং আবার ভয়াবহ ব্যাপার। জুতা, বেল্ট, জ্যাকেট সবই খুলে ফেলতে হয় [আল্লাহ বাঁচাইসে যে প্যান্ট খুলতে হয়না]। সেই চেক পোস্ট পাড়ি দিয়ে যখন ভেতরে ঢুকলাম তখন দেখি আরেক জগত। ডিউটি ফ্রি এলাকায় ঢুকে গেছি আমি। কি নাই সেই এলাকায়! পারফিউম, জামা, জুতা, বই, ম্যাগাজিন, খাবার দাবার থেকে শুরু করে মায় আস্ত লাল রঙের ফেরারি পর্যন্ত আছে। ওহ… এই প্রথম আমি জীবনে সামনাসামনি ফেরারি দেখলাম; দেখার মত জিনিস একটা! আমি যখন হিথ্রোতে পৌঁছাই তখন ওইখানকার লোকাল সময় হল বিকেল তিনটা। আমার পরের প্লেন সন্ধ্যা ছয়টায়। কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে অবশেষে ল্যাপটপটা নিয়ে বসলাম। নেট ব্যবহার করব ভেবেছিলাম, ল্যপটপ অন করার পরই দেখি সে বেশ কিছু ওয়াইফাই ডিটেক্ট করতে পেরেছে, কিন্তু কোনটাই ফ্রী না! কী আর করা বসে বসে তখন এই লেখাটার প্রথম অংশটুকু লিখলাম।

আমস্টারডামের ডাক

একসময় আমার প্লেনের ডাক পড়ল। গেলাম নির্ধারিত গেটের কাছে। এসে দেখি বিশাল স্ক্রীনে বিবিসি দেখাচ্ছে। ভয়াবহ ব্যাপার! স্পেনে এক প্লেন টেক অফ করার সময় বিদ্ধস্ত হয়েছে। কী অবস্থা! প্লেনে উঠার সময়ই প্লেন দুর্ঘটনার খবর। ভয়ে ভয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে প্লেনে উঠলাম। ঢাকা থেকে যেটাতে এসেছিলাম সেটা ছিল বোয়িং। আর এবার যেটাতে উঠলাম সেটা হল এয়ারবাস। এগুলোর সাইজ ছোটখাট। প্লেন টেক অফ করার সময় দেখি প্লেন ঝিরঝির করে কাঁপছে! হাতের খবরের কাগজে তখনো প্লেন ক্র্যাশের খবর জ্বলজ্বল করছে। প্রচন্ড ভয়ে ভয়ে ছিলাম সারাক্ষন। এবার প্লেনে শরমা টাইপের বিদ্ঘুটে এক জিনিস নাস্তা হিসেবে দিল। খেতে অবশ্য খারাপ লাগেনাই। ঘন্টা খানেক পর প্লেন আমস্টারডামের শিপল্‌ এয়ারপোর্টের রানওয়ে ছুঁল। আমার ঘড়ি বলছে তখন স্থানীয় সময় রাত আটটা, কিন্তু বাইরে দেখি তখনো সূর্য উঁকি দিচ্ছে। শিপল হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম অত্যাধুনিক এক বিমানবন্দর যেখানে সরাসরি আন্ডারগ্রাঊন্ড রেলওয়ে আছে একেবার বিমানবন্দর থেকেই। ঐ রেলে করে যে কেউ পুরো নেদারল্যান্ডস ঘুরে আসতে পারে। ইমিগ্রেশন পার হওয়ার পর আমার অবাক হবার পালা। সামনে একসাথে চব্বিশটা কনভেয়ার বেল্ট ঘুরতে দেখলাম! কখনো এতগুলো কনভেয়ার বেল্ট একসাথে কখনোই দেখিনাই।

বাংলাদেশ থেকে প্রায় ষোল ঘন্টা জার্নি করে অবশেষে জায়গামত পৌঁছালাম। খারাপ লাগেনাই জার্নিটা। তবে একটা জিনিস একটু খারাপ লাগলো; সবখানেই দেখি বাংলাদেশী পাস্পোর্ট দেখলে একটু নাক কুঁচকায়। যাহোক… জীবনের প্রথম প্লেন জার্নি হিসিবে জার্নিটা ভালোই ছিলো।

Live from The Netherlands

I first visited netherlands when I was 5 years old. After 19 years I am in this country again. As I’ve said in earlier post, I was admitted in TU Delft for MSc. And that’s the reason why I am in Netherlands. Yes, I am already in the Netherlands. I flew by British Airways last thursday (August 21) from Bangladesh and now writing this article from The Netherlands! Well… now I am in Europe.

For the first time I made my journey in air. I’ve travelled by roads, rivers and seas, but never been to sky before. That’s why I was so excited about the journey. Luckily I got the seat beside the window. And got a chance to observe the earth from a bird’s eye view. This world really looks nice from the above. All the cities and buildings are seemed like the architectural models that we see in any exibition.

So far I’ve travelled in Holland, it is a nice country. It has a tremendous natural beauty. I am staying in the Hague. And I’ve never seen any city which is occupied by so much trees. The whole country is green. It has a chilly weather and maximam time I found the weather is cloudy. A little bit drizzle is a common phenomena. Another remarkable thing is the cycle. Everybody is riding cycles. There is even a separate path for cycling. And ofcourse for the first time of my life I am seeing all the european brand cars like Ferrari, Porshe, Audi, BMW, Mini Cooper, Citroen, Mercedes Benz and lots of them.

Just day before my depurture from Bangladesh one of my students just mailed me that he has written something about me in his blog and invited me to read that article. Well… that part was really touching. I never thought I would be someone’s favorite teacher. First of all I was a newbie in teaching profession and second of all I don’t have any favorite teacher in my life. Thanks to Asif (who wrote the post) for choosing me as his favorite teacher.

Save the Google Page Creator

It is really a shocking news that Google is going to collapse it’s Google Page Creator (GPC). Instead of GPC they are introducing Google Sites (GS). I’ve noticed it recently. I couldn’t resist my surprise at this news. GPC is a simple way to create web pages without knowing HTML. GPC’s rich text editor is now included in many other Google services, but Google decided to focus on the more powerful GS. Google doesn’t allow new users to sign up for GPC. While current users are still able to use the services of GPC, new users are being directed to its sister site, Google Sites. Google is expected to move all Page Creator content to Google Pages later in the year.

Google Sites is almost similar to GPC. I said ‘almost’ because it doesn’t allow users to upload any HTML file. Which means users have to pick the websites’ look from GS’s default template; users don’t have any privilege to set their own HTML pages. It is a bad news for me, because all of my GPC sites are using their own HTML files not GPC’s default one. Though Google said that they will shift all the files, images and web pages stored in GPC  to Google Sites later this year, this may be a concern for some as it will lead to broken links because GS and GPC follows a different URL structure. More over as GS doesn’t support any uploaded HTML pages, the transition may permanently delete all of those unsupported files. To me, GPC is far far better than GS.

I actually have no idea why Google is closing their one of the most popular web services. Google Sites is nothing more than a wiki. Do the people need a website or a wiki for their personal or business homepage? Google is saying that GS is more powerful than GPC as GS uses the contents management. Well… this is the only thing the GPC is lacking of. Wouldn’t it be better if the feature is added in GPC? Wiki is obviously an important feature in today’s internet, but people will not like it as their home page. So, what if both GPC and GS are staying side by side? I don’t any necessity of closing either one for surviving the other.

Users of GPC is already depressed hearing this news. They still believe that GPC will not be closed at all some how. They have also taken an initiative to save the GPC by a petition. The same debate is going on Google Page Creator Discussion Group. I recommend every GPC user to sign the petition. And above all I still believe that the world really still needs Google Page Creator. So a request to Google, “Can’t you please save the Google Page Creator from it’s termination!

Internet Propaganda of a Candidate for the Mayor of Dhaka!


This post is not a Mayoral campaign of Chowdhury Irad Ahmed Siddiky for the Mayor Election of Dhaka 2008. This news is published here because I found it as an interesting news and nothing else.

It looks like Bangladesh is entering cyber world for election campaign! Just in Facebook I’ve seen a Bangladeshi named Chowdhury Irad Ahmed Siddiky is campaigning for the Mayor Election of Dhaka 2008. Well… it amazed me much. I’ve never seen any Bangladeshi candidate running propagnda in cyber world for any kind of election before. And I think we got the first one!

His name is Chowdhury Irad Ahmed Siddiky. He has a Facebook account. He has a regular blog. And he has a campaigning page in Facebook also! It seems that Bangladesh is entering in a new era of election campaigning. Whatever I could remember that once I had read the political blog of Sajib Wajed Joy (son of Sheikh Hasina the former PM of Bangladesh) but for some reason it is now not updating anymore. Apart of this I could not recall any personal site or blog of any of our political persons. In that sense Mr. Siddiky did a great job. Also it is not a bad idea to grab the young generations by wandering in the cyber space. To my concern, nobody had done it before. No doubt that he is a learned person but the question is how perfect is he for the Mayor of Dhaka? Well if you visit is Facebook Campaign page, you’ll find some 200 supporters, and whatever I know rest of the people of Dhaka have hardly heard his name!

I am not going to the argument about his winning chances, but… hey… it is indeed a interesting fact, isn’t it?

Chronicles of My Last Few Days…

Well… it seems, my career chapter as a university faculty is going to be ended very soon. And I am returning to student life again. For the last few days I was really busy with my admission process in TU Delft for MSc studies. It was really a cumbersome job, to process the visa. Apart of that, this semester in AUST, I conducted the course Linear systems; one of the toughest course in entire bachelor degree of electrical and electronic engineering. It was arduous but I enjoyed it! Most probably I’ve spent my busiest month ever!

Back to the student life

I am returning to my student life, once again! After graduating from IUT, I thought my student life was over. But fate build my career as a teacher (the profession I’d never liked). As a result literally I was not a student but actually it was completely opposite. Every teacher is actually a student! I had to prepare myself for each and every classes (and the preparation was painful than my student life). So though I was addressed as a teacher but I was in fact a student. As a teacher I actually lived a life of a student!

Now as I am going to the Netherlands for higher studies, I have to kept away my current profession and going to the TU Delft as a student. According to the Times Higher Education TU Delft placed the 17th position among all the universities of the world in 2007. Not a bad university at all! I’ve to reach there before September 1st. I am already working on it. So keep me in your prayer for my success.

VISA Processing

Not a cumbersome job in real sense; if you’ve all the necessary papers properly. So here is the point – the necessary papers. In my case I didn’t actually know what are the actual papers. Thats why it took me a whole month to process it. Once you figured it out, then the whole process will be smooth. My advice regarding the visa is always make the list of necessary documents clear from the ambessy.

The Preparation

I am quite busy with shopping right now. My friend Fahim makes my preparation easier. He made a list of necessary stuffs that one should packed while travelling. That list makes the preparation simpler. Though he missed some essential commodities, but over all it is mervellous list for anyone who is travelling to other countries from BAngladesh for the first time. I wish to make that list more details in next year inshallah.

Leaving AUST

I wanted to go Netherland on study leave from AUST. But AUST admin didnot accept my leave letter. Rather they insisted me to resign. They said the leave would be against the rule. And in the last few days, AUST acted that I was actually nobody and did nothing for AUST. It was a shock for me! I don’t actually bother about my job in AUST. But right now I am very much dissapointed with this job. I am trying to resign as soon as possible. Hopefully this week I’ll break up with AUST. Apart of this I will miss my best colleague Shorif Bhai. We joined together in AUST and we shared one room in faculty area. His friendly attitude always forces me to forget that he is senior to me by almost 2 years. I’ll really miss him very very much. After returning Bangladesh if I ever visit AUST it would be for him only and nothing else (if he’ll still be there).

অনুজীব, বই ও অন্যান্য

ন্ধুহীন পরিণতবেলা হতে পারে কিন্তু বন্ধুহীন ছেলেবেলা হয়না। একটু ভেবে দেখলে বোঝা যায় কথাটা আসলেই ঠিক। ছেলেবেলা বন্ধুহীন কাটিয়েছে এমন কয়জন পাওয়া যাবে? সংখ্যাটা হাতে গোনা যাবে। তবে বন্ধুত্ব যে সব সময় মানুষের সাথে করতে হবে এমন কোন কথা নিশ্চয়ই নেই। অনেকের ছোটবেলার খেলার সাথী থাকে বাসার পোষা বিড়াল বা কুকুরছানা অথবা টিয়া পাখি কিংবা নিদেনপক্ষে মুরগী। মুরগী বললাম এই কারনে যে শিশুবেলায় আমার নিজেরই মুরগী প্রজাতির সাথে বেশ প্রগাঢ় সম্পর্ক ছিল। সেই কাহিনীতে আসছি একটু পরেই। তবে এক দিক দিয়ে আমি মনে হয় সবাইকে টেক্কা দিয়েছি। কারন ছোটবেলাতে আমার মানুষ আর অন্য প্রাণীকূলের চেয়ে সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিল মনে হয় অনুজীবকূল!

আরেকটু খোলসা করে বলা যাক। ছোটবেলায় রোগবালাই ছিল আমার নিত্য সাথী। অনেকটা টেনিদা’র প্যালারামের মত। অনেক চেষ্টা করেছি ওসব অনুজীবদের সাথে আড়ি নেবার জন্য, কিন্তু ওরা আমাকে ছাড়তোনা। কী করিনাই! হোমিওপ্যাথ, এ্যালোপ্যাথ, কোবরেজী সব ট্রাই মেরেছি। কিন্তু সেই বন্ধুদের ফেরাতে পারিনি। হাতেগোনা কয়েকটা অসুখ বাদে মনে হয় সব অসুখ হয়ে গিয়েছিল। সব ডাক্তারের যখন আমাকে দেখে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, তখন আমার ভার পড়ল দাদীর উপর। আমার দাদী আবার লতাপাতা দিয়ে চিকিৎসা করতে খুব পছন্দ করতেন। আশেপাশের সবার কাছে দাদী ছিল অঘোষিত ডাক্তার। আর আমি ছিলাম সেই অঘোষিত ডাক্তারের ঘোষিত গিনিপিগ। এখনও মনে পড়ে, সকাল বেলা দাদু বাজারে যাবার জন্য বের হলেই দাদী তাকে ভেষজ লতা পাতার একটা লিস্ট ধরিয়ে দিতেন। সেই লিস্ট মেনে দাদু সবসময় জিনিসপ্ত্র এনে দাদীর হাতে তুলে দিতেন। এরপর শুরু হত দাদীর চিকিৎসা। রোগ সারাবার চিকিৎসা হিসেবে কাঁচা শাপলা থেকে থানকুনী পাতা বা দুর্ব্বা ঘাস সবই আমাকে খাওয়াতেন। চিরতার রস ছাড়া আমার সকাল শুরু হবে ভাবাই যেতনা। দুপুর আর রাতে শিং মাছের ঝোল দিয়ে জাউ ভাত ছিল আমার জন্য ধ্রুব সত্য। কিন্তু এত কিছুর পরও পরিচিত মহলে ভীষণ সফল এই চিকিৎসক কেবল আমার কেসেই নীরব হয়ে যেতেন। আমি ছিলাম তার একমাত্র ব্যর্থতা!

বয়সকালে এসে রোগবালাই চলে গেলো। একেবারেই যে চলে গেলো তা না। এখনো তারা মাঝে মাঝে আসে, তবে কিনা অনেকদিন পর পর। এই অনুজীব গোত্রের পাশাপাশি আমার আরেক ধরনের বন্ধু ছিলো। তবে আগের গোত্রের মত তারা আমাকে ছেড়ে চলে যায়নি, এখনো আছে আমার সাথে। এই নতুন গোত্র হল বই (পাঠ্য বই না কিন্তু)। ছোটবেলায় আমার নিত্য সঙ্গী ছিলো ফেলুদা, শঙ্কু, শার্লক হোমস, ক্যাপ্টেন নিমো বা টেনিদা। স্কুলের বইয়ের ভিতর রেখে পড়তাম চাচা চৌধুরী, বিল্লু, পিঙ্কী, চান্নি চাচী, রমন; এমনকি হী ম্যান, থান্ডারক্যাটস্‌, স্পাইডারম্যান, সুপারম্যান কোন কিছুই বাদ যায়নি। সমস্যা হত নন্টে ফন্টে, বাটুল বা হাদা ভোদা নিয়ে। এদের সাইজ বড় ছিলো বলে স্কুলের বইয়ের ভিতর আটতনা। টিনটিন বা এস্টেরিক্স নষ্ট হয়ে যাবে বলে কখনো স্কুলেই নিতামনা। ক্লাস সিক্সে উঠার পর জাফর ইকবালের বইয়ের সাথে পরিচয়। প্রথম পড়ি “দুষ্টু ছেলের দল”। ছোটদের নিয়ে ছোটদের মত করে যে উপন্যাস থাকতে পারে সেটা আমি প্রথম টের পেলাম ঐ বই দিয়ে। পাশাপাশি চলত সেবা প্রকাশনীর বিভিন্ন অনুবাদ আর বিখ্যাত তিন গোয়েন্দা সিরিজ। সেসময় “গোয়েন্দা রাজু” নামে আরো একটা সিরিজ ছিলো যেটা পরে বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থ্রিলারের জগতে আমার প্রবেশ। রবার্ট লুডলাম, টম ক্ল্যান্সি বা সিডনী শেল্ডন আমার ব্যাগে এখনো আমার সাথে ঘুরোঘুরি করে। এত বড় হয়ে গেছি তারপরো আমি এখনো হ্যারি পটার কিংবা নন্টেফন্টে বা টিনটিন পড়ি। এগুলো কতবার যে পড়েছি কোন তার কোন ইয়েত্তা নাই, তারপরও পড়ি, প্রতিবারই আমার কাছে তা নতুন লাগে। যখন এইসব বাচ্চাদের বই পড়ি তখন একবারের জন্যও মনে হয়না যে কাহিনী গুলো গাঁজাখুরি। এই লেখা যখন লিখছি, তখন আমার টেবিলে টিনটিনের “The Castafiore Emarald” বইটা পড়ে আছে।

লেখার শুরুতে এক মুরগীর কথা লিখেছিলাম। আমার প্রিয় সেই মুরগীর নাম ছিল “কাজলী”। চিক্‌চিকে কালো ছিলো দেখতে। সেই মুরগীর পর আরেকটা মুরগীর আমদানী হয় বাসায়। দেখতে লাল দেখে ঐটার নাম ছিল “লালী”। বিশাল লম্বা রশি দিয়ে সবসময় এদের পা বেঁধে রাখতাম, বাঁধা না থাকলে যদি পালিয়ে যায়! নানুর বাসায় প্রতি রাতে কোথা থেকে এক কুকুর আসতো। বেশ বড়সড় সাদা রঙের কুকুর। রাতের বেলা বাসার এঁটো খাবার খেতো আর সারা রাত বাসার সামনে বসে পাহারা দিত। কুকুরটাকে দিনের অন্য বেলায় খুব একটা দেখা যেতনা। নানু আদর করে ওকে বাবলু নামে ডাকতো। একদিন দেখি কারা যেনো বাবলুর পেছনের এক পা ভেঙ্গে দিয়েছে। দেখে এত কষ্ট লাগলো যে বলার মত না! এর পর যতদিন বাবলুকে দেখেছি ততোদিন ওকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখেছি। একদিন হঠাৎ করেই বাবলু নিরুদ্দেশ হয়ে গেল। আর কোন দিন দেখি নাই ওকে। এখনো রাস্তাঘাটে সাদা কুকুর দেখলে বাবলুর কথা মনে পড়ে।

5 Things: Its’ a Tag!

I’ve never been into a TAG or Tagged any one. But … well… now I am starting one 🙂 . There is only one rule:  All the readers who’re  reading or commenting this post, all have been tagged! 😀 . Don’t forget to answer the questions in your own blog.

5 things I hate the most

  • Chemistry. When my 1st year in IUT was over I was so happy that along with other friends I burned all our chemistry class notes! That was my last day of studing chemistry in my life!
  • Romantic novels. Well.. I know it is pretty shocking, a boy like me is abominating the romantic novels? I know what you are thinking… I must have been broke up! 🙂 For your kind information I never had a girlfriend in my entire life! 😀
  • Smokers. Can’t tolerate smoking. 😡 Hate it!
  • Razakars. They were the war criminals of 1971 liberation war, who killed one of my Grand Father for supporting Bangladesh.
  • Hot drinks like tea or coffee. Astonished? I’ve nothing to do, but I really don’t like those. 😳

5 things I want the most

  • To buy a Porsche Carrera. This is my child hood dream and I am still confident about it.
  • To built a Bungalow along side a the sea beach.
  • To be the most famous man in the living history of the world. 😉
  • To work in NASA! I know it’s a ridiculous thought, but … hey nothing is impossible! 😉
  • To make Bangladesh wealthy and proud. Can’t guarantee … I myself don’t know whether it is possible!

Continue reading 5 Things: Its’ a Tag!

The Biggest Little Three Words

There are many things that we can do to perk up and strengthen our interpersonal relationships. Yet the most effective involves the saying of just three words. These three words can be of different forms. Those words are small in size but have immense power to brighten up your relationship. So what are those words? Just have glimpse of those words:

I’ll be there!

If you have ever had to call a friend in the middle of the night, to take a sick child to hospital or when your car has broken down some miles from home, you will know how good it feels to hear the phrase “I’ll be there.” Being there for another person is the greatest gift we can give. When we are truly present for other people, important things happen to them and us. We are renewed in love and friendship. We are restored emotionally and spiritually. Being there is at the very core of civility.

I Miss You!

Perhaps more marriages could be saved and strengthened if couples simply and sincerely said to each other “I miss you.” This powerful affirmation tells partners they are wanted, needed, desired and loved. Consider how ecstatic you would feel, if you received an unexpected phone call from your spouse in the middle of your workday, just to say “I miss you.”

I respect you!

Respect is another way of showing love. Respect conveys the feeling that another person is a true equal. If you talk to your children as if they were adults you will strengthen the bonds and become close friends. This applies to all interpersonal relationships.

Maybe you’re right!

This phrase is highly effective in diffusing an argument and restoring frayed emotions. The flip side to “maybe your right” is the humility of admitting, “Maybe I’m wrong”. Let’s face it. When you have a heated argument with someone, all you do is cement the other person’s point of view. They, or you, will not change their stance and you run the risk of seriously damaging the relationship between you. Saying “maybe you’re right” can open the door to further explore the subject, in which you may then have the opportunity to get your view across in a more rational manner.

Please forgive me!

Many broken relationships could be restored and healed if people would admit their mistakes and ask for forgiveness. All of us are vulnerable to faults, foibles and failures. A man should never be ashamed to own up that he has been in the wrong, which is saying, in other words, that he is wiser today than he was yesterday.

I thank you!

Gratitude is an exquisite form of courtesy. People who enjoy the companionship of good, close friends are those who don’t take daily courtesies for granted. They are quick to thank their friends for their many expressions of kindness.  On the other hand, people whose circle of friends is severely constricted often do not have the attitude of gratitude.

Let me help!

The best of friends see a need and try to fill it. When they spot a hurt they do what they can to heal it. Without being asked, they pitch in and help.

I understand you!

People become closer and enjoy each other more if they feel the other person accepts and understands them. Letting your spouse know in so many little ways that you understand them is one of the most powerful tools for healing your relationship. This applies to any relationship.

I love you!

Perhaps the most important three words that you can say. Telling someone that you truly love them, satisfies a person’s deepest emotional needs; the need to belong, to feel appreciated and to be wanted. Your family, your friends and you, all need to hear those three little words “I love you”.