ভয় পেয়োনা, ভয় পেয়োনা!

ইদানিং টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে। হইচই হবেইনা বা কেন? ভারত রীতিমত ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের গলা চেপে ধরছে – হইচই তো হবেই। ১৯৭৫ এর ফারাক্কা বাঁধ যখন দেয়া হয়, তখন কেবল মাওলানা ভাসানীই এটা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। অন্যরা তেমন একটা উচ্চবাচ্য করেনি, বিশেষ করে সরকার পর্যায়ে ‘কিছুই’ হয়নি! সেই ‘কিছুই না হওয়া’কেই ভারত আমাদের দুর্বলতা ধরে নিয়ে এবার টিপাইমুখে বাঁধ দিচ্ছে। অবাক ব্যাপার হচ্ছে, এবারও সরকারের কাছ থেকে কোন উচ্চ কিংবা নিম্ন – কোন বাচ্যই নেই! নিজেদেরও টনক নড়ছেনা, ফলশ্রুতিতে তারা ভারত সরকারের টনকও নাড়াচ্ছেনা। কিন্তু আমরা সাধারণ জনতাতো আর বসে থাকতে পারিনা। তাই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেছে প্রতিবাদ। অনলাইন-অফলাইন সবখানে চলছে দেখা যাক আমাদের সরকারের টনক কদ্দূর নড়ে। আমাদের সরকারের টনক নড়লে পরে তবেই না ভারত সরকারের টনক নড়ার ব্যাপারটা আসে।

Continue reading ভয় পেয়োনা, ভয় পেয়োনা!

আমরা যারা আশির দশকে জন্মেছিলাম

মনে পড়ে যায়… আশির দশকের সেইসব সোনালী দিনগুলোর কথা।

মনে পড়ে যায়… শুক্রবারের থান্ডারক্যাটস বা জেটসন্স এর কথা। সঙ্গে ছিলো ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট, কেয়ার বেয়ার আর টিনেজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টেলস। আরো ছিল ভল্ট্রন আর গোবট।

মনে পড়ে যায়… রবিবার আর বুধবার রাত থাকতো ইংলিশ সিরিয়ালের জন্য বরাদ্দ। ম্যাকগাইভার, মায়ামি ভাইস, এয়ারউলফ, নাইট রাইডার, স্টারট্রেক, দ্যা ফলগাই, দ্যা এটিম, হাওয়াই ফাইভ ও… কতকিছু।

মনে পড়ে যায়… বহুব্রীহি, সংশপ্তক আর এইসব দিনরাত্রির কথা। তখন কেউ সারাদিন টিভির সামনে বসে থাকতোনা, কারন শুক্রবার ছাড়া বিটিভি প্রতিদিন দুপুর দুইটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত চলতো। ছিলনা অন্য কোন চ্যানেল দেখার সুযোগ।

মনে পড়ে যায়… ঈদ আনন্দমেলা, যদি কিছু মনে না করেন আর ইত্যাদির কথা।

মনে পড়ে যায়… প্রতি বুধবারে রাত নটায় ম্যাকগাইভার দেখার জন্য নৃত্যের তালে তালে অনুষ্ঠানটা জোর করে দেখার কথা।

Continue reading আমরা যারা আশির দশকে জন্মেছিলাম

রঙ্গবাণী

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িচালককে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কী পাস? সে বলল, ‘‘আমি তো স্যার ফাইভ পাস।’’ সেও প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি ভালোভাবে চালায়।

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান

ধর্মমতে মুসলমানদের কোনো অকালমৃত্যু নেই। তারেক (চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ) ও মিশুক (সাংবাদিক মিশুক মুনীর) তাদের জন্য নির্ধারিত সময়েই মারা গেছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির

Continue reading রঙ্গবাণী

মুবারাকময় ঈদ কিংবা ঈদ মুবারাক

গত তিনটা ঈদ (ফিতর আর আদহা আলাদা করে ধরলে অবশ্য সংখ্যাটা দাঁড়ায় ছয়ে) দেশের বাইরে করার সময় মন মেজাজ খুব ত্যাড়া-ব্যাড়া হয়ে থাকত। জন্মের পর থেকেই কাছের মানুষজনদের নিয়ে ঈদ করার অভ্যাস। কাছের মানুষজন না থাকলে ঈদ যে কতটা স্বাদহীন পানসে হতে সেটা দেশের বাইরে না গেলে টের পেতাম না। বিদেশীরা তো আর ঈদ করেনা। তাই ঈদের দিনটার সাথে আর অন্য দশটা দিনের তেমন কোনই পার্থক্য থাকেনা। শুধুমাত্র সকালবেলা ঈদের নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের সামনে আরো কিছু লোকজন দেখা যায় – এই যা, এর বেশি কিছু না, নামাজ আদায় করেই লোকজন ছুটে যায় নিজ নিজ কর্মস্থলে, কারো দিকে কারো তাকাবার সময় পর্যন্ত নেই! একেবারে জঘন্য ঈদ বলতে যা বোঝায় সেটাই হয় বিদেশ-বিভুঁইয়ে। যারা বিদেশ থাকেন তাদের সবার কাছেই ব্যাপারটা এইরকম খারাপ লাগে কী না আমি তা জানিনা, তবে একদম ছোটবেলা থেকে পরিবারঘেঁষা বলেই হয়তো এই বর্ণহীন-দ্যুতিহীন ঈদের দিনটা আমার মন মেজাজকে ঈদের আগের রাত থেকেই চিরেচ্যাপ্টা করে রাখত। আল্লাহর অশেষ রহমত যে আমি এইবার আবার আমার কাছের মানুষদের সাথে নিয়ে ঈদ করতে পারছি! পরপর তিনবার দেশের বাইরে বিস্বাদ ঈদ করার পর কাছের মানুষদের সাথে নিজের দেশে নিজের শহরে নিজের বাসায় ঈদ করাটা যে কতটা আনন্দের হতে পারে সেটা নিজে অনুভব না করলে লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। দোয়া করি সবার ঈদ যেন সত্যিকার অর্থেই মুবারাকময় হয়।

Continue reading মুবারাকময় ঈদ কিংবা ঈদ মুবারাক

আলু তবে আলুই রয়ে গেল …

গুগল ট্রান্সলেট তার ঝুলিতে বাংলা ভাষা যোগ করেছে এটা পুরনো কথা। এটা যে পরীক্ষামূলক অবস্থায় আছে সেটাও পুরনো কথা। আর একমাত্র ‘এক্সাম-পরীক্ষা’ ছাড়া অন্য যে কোন ‘এক্সপেরিমেন্ট-পরীক্ষা’র ক্ষেত্রে যে সব ধরণের দোষ ত্রুটি উপেক্ষা করে সেসব দোষ শোধরাণোতেই সবাই বিশেষ মনোযোগী হয় – সেসবও জানা কথা। তবে এই সব জানা কথাটিই সম্ভবত ‘অজানা’ রয়ে গিয়েছে প্রথম আলো পত্রিকার!

গুগল ট্রান্সলেট বাংলা ভাষা পরীক্ষামূলকভাবে সাপোর্ট করছে – বেশিদিন হয়নি। এটা নিঃসন্দেহে বাংলা ভাষা ভাষীদের জন্য প্রচন্ড আনন্দের খবর। চিন্তা করে দেখুন – বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওয়েবসাইট কিংবা ডকুমেন্ট আমরা আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষায় পড়তে পারব – ব্যাপারটা চিন্তা করেই তো ভালো লাগছে। বাংলাভাষা পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ভাষা হিসেবে যতটাই খ্যাত, ব্যাকরণগত দিক থেকে ততটাই জটিল। এই জটিলতার কারণেই একজন বিদেশী মানুষের পক্ষে আমাদের ভাষা আত্মস্থ করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। মানুষের ক্ষেত্রেই যদি এমন কঠিন মনে হয়, তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পক্ষে যে এই ভাষাটিকে আয়ত্ত্ব করা ‘অতিশয়’ কঠিন হবে – সেটা বলাই বাহুল্য! গুগল ট্রান্সলেটরও একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সে গণিত বোঝে, ভাষা বোঝেনা। তাই এটি নিজের বোঝার সুবিধার জন্য প্রতিটি ভাষাকে গাণিতিকভাবে রূপান্তরের চেষ্টা করে। বাংলাভাষা নিয়ে সেই অর্থে গাণিতিক কাজ একেবারেই হয়নি। তাই গুগল ট্রান্সলেটরের জন্যও ভাষাটা নিয়ে কাজ করাটা বেশ কঠিন। তারপরও অনেক বাংলা ভাষাপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন ঠিকঠাকমত গুগল ট্রান্সলেটরকে দাঁড় করাবার জন্য। একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে বলে এখনো অনেক ভুলভাল দেখাচ্ছে। কিন্তু এসব ভুলভাল ঠিক করার দায়িত্বও কিন্তু আমাদের। সত্যি বলতে কী, এ প্রজেক্টটা এখন ছোট একটা বাচ্চার মত, আপনি যতই এর ভুল শুধরে দেবেন এটি ততই পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। কিভাবে এসব ভুল সংশোধনে অবদান রাখা যায় – তা নিয়ে ব্লগার জামালউদ্দিন খানের একটা দারুণ লেখা রয়েছে।

Continue reading আলু তবে আলুই রয়ে গেল …

মনা ভাইকে আর কত ধনী করবেন?

বলুন দেখি, কতজন লোক ‘ভ্যাট’ শব্দটার সাথে পরিচিত? উত্তরে নিশ্চয়ই বলবেন যে ‘ভ্যাট’ শুনেনি এমন কেউ আছে নাকি? হয়তো কেউ কেউ আছেন। যারা এখনো শুনেননি তারা দয়া করে একটু এখান থেকে ঘুরে আসুন। সহজ করে বললে, প্রতিটি জিনিস কিনলে তার উপর নির্দিষ্ট হারে একটা কর (ট্যাক্স) দিতে হয় সরকারকে। এই কর বা ট্যাক্সকেই ভ্যাট বলা হয়। আপনার দেয়া ট্যাক্সের এই টাকাটা জমা হয় সরকারী কোষাগারে। এই ট্যাক্সের টাকা দিয়েই কিন্তু দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হয়ে থাকে। তাই ভ্যাট দেয়া মানে সরকারকে দেশের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেয়া।

Continue reading মনা ভাইকে আর কত ধনী করবেন?

মুরুগের বুকের মাংস!

নিজের মোবাইল খানা ঘাঁটতে ঘাঁটতে মোবাইলের মধ্যে জমা হয়ে থাকা কিছু ছবি পেলাম। এর মাঝে একটা ছবি তুলেছিলাম নিজের ব্লগে দেবার জন্য, কিন্তু কোন এক আজব কারণে (সম্ভবত ভুলেই গিয়েছিলাম) সেটা আর ব্লগে দিতে মনে ছিলনা। নিচের যে ছবিটা এখানে দিলাম সেটা তুলেছিলাম প্রায় বছর দুয়েক আগে, নেদারল্যান্ডে। বিভিন্ন দোকানে ও রেস্টুরেন্টে যে বাক্স করে হালাল মুরগির মাংসের চালান দেয়া হয়, সে বাক্সে ইংলিশ ও চায়নিজ ভাষার পাশাপাশি বাংলায় ভাষায়ও মুরগির মাংস উল্লেখ থাকে। তবে কী না ঐ বাক্সে মুরগির উল্লেখিত বাংলাটা বড়ই খটমটে! সম্ভবত লন্ডনি-সিলেটিদের হাতেই কোন এককালে এই নামের প্রচলন হয়েছিল এবং কোন সহৃদয় বাংলাদেশী নিজ হাতে নামখানা বাক্সেখোদাই করে দিয়েছিলেন। কালের বিবর্তনে সেই লেখাটাই এখন ইংলিশ ও চায়নিজের পাশাপাশি প্রিন্ট হয়ে বাক্সের গায়ে লেগে কারখানা থেকে বের হচ্ছে এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যাচ্ছে!

Continue reading মুরুগের বুকের মাংস!

আষাঢ়স্য প্রথম দিবস

১লা আষাঢ় আজ! আরো ভালো করে বললে ১৪১৮ সালে আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ। কাগজে কলমে বর্ষা ঋতুর চলে আসার দিন। অলিখিতভাবে আরো কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই বর্ষা কালবৈশাখীকে সঙ্গী করে তার স্বভাবসুলভ তেজের ছটা দেখিয়ে গিয়েছে। অবশ্য বর্ষা নিয়ে আমার খুব একটা উৎসাহ নেই। বর্ষাকাল আমার ভালোও লাগেনা। তবে কীনা আষাঢ়স্য প্রথম দিবসের জন্য বর্ষাকে খুব একটা খারাপ ও লাগেনা!

raindrops
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর ...

 

Continue reading আষাঢ়স্য প্রথম দিবস