Blog

শুভ জন্মদিন আইওটু!

আজকে বিখ্যাত ১২ই জানুয়ারি। তারিখটা বিখ্যাত কারণ এরকমই এক ১২ই জানুয়ারির শীতের সকালে, দৌড় শুরু করে আইইউটির আইওটু (বা আইইউটিয়ান্স-জিরো-টু) ব্যাচটি। অন্য ব্যাচগুলো হেঁটে হেঁটে শুরু করেছিল কিনা জানা নেই, কিন্তু আমরা (বিশেষ করে আমি) আক্ষরিক অর্থেই দৌড় দিয়ে শুরু করেছিলাম আমাদের আইইউটি জীবন! সে বছরের জানুয়ারির ১২ তারিখের সকালবেলাটা ছিল পুরো কুয়াশাঢাকা একটা সকাল। এত ঘন কুয়াশা ছিল যে জানালা দিয়ে বাইরে অন্ধকার দেখা যাচ্ছিল, ফলে ঘুমের রেশ কাটিয়ে যখন বুঝতে পারলাম যে সকাল বেশ কিছু আগেই হয়ে গিয়েছে তখনই শুরু হল দৌড়ঝাঁপ। আমার মত আশপাশের রুমগুলোর ছেলেপেলের মাঝেও দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই দৌড়ঝাঁপ দিয়েই আইইউটি জীবন শুরু!

IUT Bangladesh

সেই যে শুরু হল, এরপর কালে কালে কেটে গেল অনেকটা সময়। সেই সময় শুধুই সমৃদ্ধ হবার সময়। পেলাম দিপু-মিফতাহ’র মত অসাধারণ দুই রুমমেট-বন্ধু। পাশেই ছিল শাহান, সাদ, ইমন, সর্প, শাদিদ, সিনা, তাসনিম, বলদা, বিলাই, মীম, ব্যাঙ, লালের মত চমৎকার কিছু প্রতিবেশী। সেই সাথে ছিল জাপানী, ষান্ডা, ঘাসা, বগলা, এঁইরঁকি, লাল-রকি, গুখা, আফসানা, পাঁচু-জামিল, ওয়ালা-জামিল, কোকেন, হাফব্লাড-আশেক, পাখি, কাদু, পাগলা-সবুজ, আঁতেল-সবুজ, কাউয়া, বন্ধু, গাবড়, ম্যাচো, দাদা, চুনু, চিকি, মহেষ, আব্বু, ভাতিজা, সখিনা, গরীব-আজমান, বদু, রাতুল, মোয়াক্ষার, পারু, শাকিল, রায়হান, মালেক, ভাই-তুষার, কপি-জাকি, হাসান-ভাই, ফুয়াদ, মিষ্টি, আলোকিত-সাজেদ, হ্যান্ডসাম-সাদাত – আরো কত জন! সবার নাম-ধাম লিখতে গেলে এই লেখাটাই বিশাল একটা রোলকল খাতা হয়ে যাবে! খুব মিস করি সেই জীবনটাকে, যেই জীবনটাতে সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই কোনমতে জামাকাপড় পাল্টে ক্লাসে গিয়ে চোখ কষ্ট করে খোলা রেখে লেকচার শুনতে হত, ১৫ মিনিটের ক্লাসব্রেকে ক্যান্টিনে গিয়ে সকালের নাস্তা সারা হত, ক্লাসের ফাঁকে রেলিংএ পা ঝুলিয়ে আড্ডা মারা হত, কম্পিউটার ল্যাবে গিয়ে ইমেইল চেক করা হত, লাঞ্চের পর বিছানায় চিৎপটাং ঘুম দেয়া যেত, বিকালে সবাই দলবেঁধে একসাথে হাঁটাহাঁটি করা হত, শাহী মামা’র দোকানে পুরি-সিঙ্গারা খাওয়া হত, রাতের ডিনার সেরে আইইউটিকে (প্রায়) একটা চক্কর দিয়ে হাঁটা হত, তারপর রুমে ফিরে আজাইরা গ্যাঁজানো হত, কখনো কখনো সবাই মিলে ছাদে গিয়ে পানির ট্যাংকের উপর বসে থাকা হত, বোনাস হিসেবে বিলাইয়ের গান শোনা হত – আরো কত কী! সেই জীবনটাতে রঙের ছড়াছড়ি অনেক বেশি ছিল। সেইসব দিনগুলোর সাথে তুলনা করলে এখনকার জীবন অনেক বেশি পানসে লাগে। রঙিন ঐ জীবনটার শুরু হয়েছিল সেই বারই জানুয়ারিতে।

এখনো যখন পেছনে ফিরে দেখি, মিস্তিরি হবার প্রত্যয়ে শুরু করা সেই দিনটা আজও প্রেরণা যোগায়। এ দিনটা ছিল আমাদের শুরুর বিন্দু, আমাদের নতুন জীবনের সূচনা লগ্ন, জিরোটু ব্যাচের জন্মক্ষণ, আমাদের ব্যাচের জন্মদিন, আমাদের জন্মদিন! শুভ জন্মদিন আইইউটিয়ান্স-জিরো-টু ব্যাচ। কেমন আছিসরে সবাই? তোদের অনেকের সাথেই সেভাবে যোগাযোগ নেই, অনেকেই আমার মত দেশের বাইরে, অনেকে একলা থেকে দোকলা হয়ে তেকলা-চাকলাও হয়ে গিয়েছিস, তারপরও যে যেখানেই থাকিস না কেন সবার প্রতি হৃদয়ের গভীর থেকে শুভ কামনা রইল।

শুভ জন্মদিন দোস্তরা!

ল্যাম্প (LAMP) ইন্সটলেশানের সহজ তরিকা

ওয়েব ডেভেলপের সাথে যারা জড়িত, তাদের সবারই লোকালসার্ভার প্রয়োজন হয়। লোকাল সার্ভার হল নিজের কম্পিউটারে তৈরি করা একটা সার্ভার। ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রুপাল বা যেকোন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কাজ করতে হলে লোকাল সার্ভারে আগে ডেভেলপ করে পড়ে সেটা অনলাইনে উন্মুক্ত করা হয়। সহজ কথায়, কোন সাইট ডিজাইন করার সময় বা কোন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার সময়, ইন্টারনেটে বা অনলাইনে চালু করার আগে যতরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, তার প্রায় সবই করা হয় লোকাল সার্ভারে। এই লোকাল সার্ভার একজন ডেভেলপার তার কম্পিউটারে স্থাপন করে। একটা সত্যিকারের সার্ভারে যেসব সফটওয়্যার থাকে (Apache HTTP Server, MySQL, Perl/PHP/Python), প্রয়োজনীয় সেসব সফটওয়্যারগুলো দিয়েই লোকাল সার্ভারটা বানানো হয়ে থাকে। উবুন্টুতে লোকাল সার্ভারের জন্য বহুল প্রচলিত সফটওয়্যার বান্ডেলের নাম হচ্ছে ল্যাম্প (LAMP – Linux, Apache, MySQL, PHP)।এই পোস্টে আমরা প্রথমে দেখব কীভাবে উবুন্টু/কুবুন্টুতে ল্যাম্প ইন্সটল করতে হয়। তারপর ইন্সটলকৃত ল্যাম্পটি ঠিকমত কাজ করছে কীনা সেটাও দেখব। সবশেষে ডেটাবেস ম্যানেজ করার সুবিধার জন্য পিএইচপিমাইঅ্যাডমিন ইন্সটল পদ্ধতিও আলোচনা করা হবে।

LAMP ইন্সটলেশানঃ

প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে এখানকার ধাপগুলো কাজ করবেনা। এবার টার্মিনাল খুলে তাতে কেবল নীচের কমান্ডটি রান করান, এক ধাক্কাতেই ল্যাম্প ইন্সটল হয়ে যাবে।

sudo apt-get install lamp-server^

লক্ষ্য করুন, উপরের কমান্ডে যে ক্যারেট চিহ্নটি (^) রয়েছে সেটা অবশ্যই দিতে হবে। নাহলে কিন্তু কাজ হবেনা। কমান্ডটি চালালে কি কি সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে টার্মিনালে তার একটা তালিকা আসবে। y টাইপ করে Enter বাটন চেপে সম্মতি দিয়ে দিলে ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এবার MySQL ডেটাবেজের পাসওয়ার্ড দেবার জন্য নীচের ছবির মত একটা নোটিশ আসবে।

দ্বিতীয়বার পাসওয়ার্ড নিশ্চিতকরণের জন্য আবার আপনাকে একই পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ড নিশ্চিতকরণের পর ইন্সটলেশনের বাকী কাজগুলো সম্পুর্ণ হয়ে যাবে। ব্যস! আপনার ল্যাম্প সার্ভার ইন্সটলেশন শেষ! এবার চলুন যাচাই করে দেখা যাক যে সবকিছু ঠিকঠাকমত ইন্সটল হয়েছে কীনা।

Apache যাচাইকরণঃ

অ্যাপাচে ঠিকমত ইন্সটল হয়েছে কীনা তা যাচাই করতে ব্রাউজার খুলে অ্যাড্রেসবারে http://localhost/ অ্যাড্রেসটিতে যান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নীচের ছবির মত “It Works!” লেখা একটি পেজ দেখবেন।

PHP যাচাইকরণঃ

পিএইচপি’র ইন্সটলেশন যাচাই করতে হলে আমাদের প্রথমেই /var/www ডিরেক্টরিতে test.php নামে একটা ফাইল তৈরি করতে হবে। এজন্য উবুন্টু ব্যবহারকরীরা টার্মিনালে নিচের কমান্ডটি চালান।

sudo gedit /var/www/test.php

আর কুবুন্টু ব্যবহারকারীরা উপরের কমান্ডের পরিবর্তে নিচের কমান্ডটি লিখুন।

sudo kate /var/www/test.php

একটা টেক্সট এডিটর ওপেন হবে। ওপেন হওয়া সেই টেক্সট এডিটরে নিচের লাইনটি কপি করে সেভ করুন।

phpinfo(); ?>

এবার নিচের কমান্ডটি চালিয়ে অ্যাপাচে রিস্টার্ট করুন।

sudo /etc/init.d/apache2 restart

এবার ব্রাউজার খুলে তাতে http://localhost/testing.php/ অ্যাড্রেসে যান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নিচের ছবির মত পিএইচপি ইন্সটলেশনের যাবতীয় তথ্যাদি ব্রাউজারে দেখা যাবে।

localhost যাচাইকরণঃ

যেহেতু লোকালভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য ল্যাম্প ইন্সটল করা হয়েছে, সেহেতু মাইসিকিউএলকে লোকাল হোস্টের আইপি অ্যাড্রেসে ‘বাইন্ড’ করে রাখতে হবে। লোকাল হোস্টের অ্যাড্রেস হচ্ছে 127.0.0.1। আপনার লোকাল হোস্টের অ্যাড্রেস 127.0.0.1 আছে কীনা তা যাচাই করতে নিচের কমান্ডটি রান করান।

cat /etc/hosts | grep localhost

এতে করে আইপি অ্যাড্রেস 127.0.0.1 দেখানোর কথা। মাইসিকিউএলের my.cnf ফাইলে একই অ্যাড্রেস আছে কিনা তা যাচাই করতে নিচের কমান্ডটি চালান।

cat /etc/mysql/my.cnf | grep bind-address

এতে করে নিচের লাইনটির মত একটি লাইন দেখতে পাবেন যাতে আপনার লোকালহোস্টের বাইন্ড অ্যাড্রেসটা দেয়া থাকবে।

bind-address = 127.0.0.1

যদি অ্যাড্রেসটি উপরের লাইনের সাথে না মেলে তবে my.cnf ফাইলটি এডিট করে সেখানে অ্যাড্রেসটি বসিয়ে দিতে হবে।

phpMyAdmin ইন্সটলেশানঃ

এটা ইন্সটল করাটা অবশ্যই করণীয় কিছু নয়, তবে যারা মাইসিকিউএলের কমান্ডের সাথে পরিচিত নয় তাদের জন্য পিএইচপিমাইঅ্যাডমিন দিয়ে ডেটাবেজ ম্যানেজ করাটা খুবই সহজ হয়। তাই সহজে ডেটাবেজ রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য পিএইচপিমাইঅ্যাডমিন ইন্সটল করা যেতে পারে। এটি ইন্সটল করতে টার্মিনালে নিচের কমান্ডটি চালানঃ

sudo apt-get install libapache2-mod-auth-mysql phpmyadmin

একটা ইন্সটলেশন উইজার্ড আসবে। ok বাটনে চাপ দিলে আপনাকে অটোমেটিক কনফিগার করার জন্য সার্ভার পছন্দ করতে বলবে। তালিকা থেকে apache2 সিলেক্ট করুন। সিলেক্ট করার জন্য কিবোর্ডের Space কি ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন, যেটি সিলেক্ট হবে তার পাশে অ্যাস্টেরিক (*) সাইনটি আসবে। ব্যাপারটা বুঝতে নিচের ছবিটি দেখুনঃ

পরের ধাপে নিচের ছবির মত ডেটাবেজ কনফিগারেশনের জন্য কিছু তথ্য দেখাবে। Enter কি চাপুন।

এবার আপনি dbconfig-common নামের নতুন ডেটাবেজ কনফিগার করতে চান কী না তা নিচের ছবির মত জানতে চাইবে। যেহেতু এটা প্রথমবার ইন্সটল করছেন সেহেতু কনফিগার করাটা দরকার। এজন্য Tab চেপে Yes সিলেক্ট করে Enter চাপুন।

এখন নিচের ছবির মত স্ক্রিন আসবে যেখানে MySQL এর রুট পাসওয়ার্ড দিতে হবে আপনাকে। আগেরবার তৈরি করা MySQL এর পাসওয়ার্ডটি এখানে দিয়ে দিন। তারপর Tab চেপে Ok সিলেক্ট করে Enter কি চাপুন।

এবার phpMyAdmin এর জন্য MySQL অ্যাপ্লিকেশন পাসওয়ার্ড লাগবে। কাজের সুবিধার জন্য আগের ধাপে দেয়া একই পাসওয়ার্ড এখানে দিয়ে দিন (সাবধানঃ যদি কোন পাসওয়ার্ড না লিখেই Enter চাপেন, তাহলে একটা র‍্যান্ডম পাসওয়ার্ড তৈরি হবে)।

নিচের ছবির মত পাসওয়ার্ড নিশ্চিতকরণ একটা ম্যাসেজ আসবে। সেখানে একই পাসওয়ার্ড লিখে Enter চাপুন।

সবকিছু ঠিকঠাকমত হয়ে থাকলে আপনার phpMyAdmin সুষ্ঠুভাবে ইন্সটলেশান ও কনফিগারেশন হবার কথা। ঠিকঠাকমত হল কীনা তা দেখার জন্য চলুন নিচের প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করি।

phpMyAdmin যাচাইকরণঃ

ব্রাউজার খুলে তা দিয়ে http://localhost/phpmyadmin/ অ্যাড্রেসে যান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নিচের ছবির মত একটা পেজ খোলার কথা।

আপনি এখানে লগিন করার অপশন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার ইউজারনেম হবে root এবং পাসওয়ার্ড হবে আগের ধাপগুলোতে রুটের জন্য যে পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন সেটি। ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করলে আপনি নিচের ছবির মত অ্যাডমিন প্যানেল পাবেন।

এতটুকু পর্যন্ত করে ফেলা মানে হচ্ছে আপনি সুষ্ঠুভাবে আপনার কম্পিউটারে লোকাল সার্ভার স্থাপন করেছেন এবং তাতে phpMyAdmin ও ইন্সটল করেছেন। এবার আপনি যে সাইট নিয়ে কাজ করতে চান তার সমস্ত ফাইলগুলো /var/www/html ডিরেক্টরিতে রাখুন এবং মনের মাধুরী মিশিয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করুন। 🙂

খোঁজ দ্যা সার্চ: খোঁজাখুঁজি’র এক কালোত্তীর্ণ মহাকাব্য!

আমাদের বাংলা সিনেমার ইতিহাসে মহাকাব্যের সংখ্যা সম্ভবত হাতে গোনা – বেদের মেয়ে জোছনা (নাকি জোৎস্না?), রূপভান, নবাব সিরাজুদ্দৌলা ও সোহরাব-রুস্তম ছাড়া স্মৃতি হাতড়ে আর কিছু বের করতে পারলাম না। তবে ডাইহার্ড ফ্যানদের দাবীর মুখে মাহমুদ কলি, ওয়াসিম কিংবা ইলিয়াস কাঞ্চনের একগাদা রাজা-বাদশাহ-জমিদার-প্রজা টাইপ সিনেমাগুলোকে গোনায় ধরলে অবশ্য অন্য কথা, গুনতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলতে হবে। সেই সাথে যদি যুক্ত হয় কিংবদন্তী পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু’র নাম- তাহলে তো কথা নেই! সংখ্যা যে কোথায় গিয়ে ঠেকবে কে জানে! এ সব অবশ্য মহাকাব্যিক সিনেমার কথা। আমাদের ভাগ্য ভালো যে আমাদের এই সব মহাকাব্য গুনতে টুনতে হবেনা। কারণ আমাদের এই আলোচনা এসব মহাকাব্যিক বাংলা সিনেমা নিয়ে নয় বরং কালোত্তীর্ণ এক মহাকাব্য নিয়ে! আর এখনও পর্যন্ত বাংলা সিনেমার ইতিহাসে ‘কালোত্তীর্ণ মহাকাব্য’ কিন্তু একটিই নির্মিত হয়েছে, সেটা হল – “খোঁজ দ্যা সার্চ”!

Khoj the search

প্রথমেই একটা সাফ কথা জানিয়ে দেই – আমি বাংলা সিনেমার একনিষ্ঠ দর্শক নই। তাই আমার রিভিউকে রামায়ন ধরে নেবার কোন কারণই নেই। এই ছবি দেখার পর হাত এতই নিশপিশ করছিলো যে এর একটা রিভিউ না লিখলে বদহজম হয়ে যাবার জোগাড় হচ্ছিল। তাই নিজের হজমকে বদ হওয়া থেকে রক্ষা করতেই এই দাওয়াই। প্রশ্ন আসতেই পারে যে কেন এই ছবিকে “কালোত্তীর্ণ মহাকাব্য” বললাম? এই সিনেমাটির ট্রেইলার দেখে যা ভেবেছিলাম, চাক্ষুষ পুরো সিনেমাটি দেখার পর মনে হচ্ছে যে “কালোত্তীর্ণ মহাকাব্য” বললেও এই ছবি সম্পর্কে সঠিক মূল্যায়ন করা হয়না। কিন্তু আর কোন বিশেষণ মাথায় এলোনা দেখে আপাতত এই বিশেষণেই থাকি। কালোত্তীর্ণ এই সিনেমাটির ‘দুর্ধর্ষ’ ট্রেইলার দেখে যারা এটাকে রস-কষহীন অ্যাকশন সিনেমা হিসেবে ভেবে নিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যেই বঙ্গদেশীয় কবি বলেছেন “চকচক করলেই সোনা হয়না” – ট্রেইলার দেখে সিনেমা বোঝা যায়না; অ্যাকশনের মোড়কে আবৃত এই সিনেমাটি আদতে আগাগোড়াই কমেডি একটা সিনেমা, আরো ভালো করে বললে ‘একটা ট্রেইলার’! জ্বী, ঠিকই শুনেছেন এটা একটা ট্রেইলার, বেশ বড়সর ধরনের ট্রেইলার, এই ধরুন গিয়ে পুরো দুই ঘন্টাব্যাপী বিশাল ট্রেইলার। কেন ট্রেইলার? সেই ব্যাপারে একটু পরে আসি, তারচেয়ে বরং চলুন কালোত্তীর্ণ এই মহাকাব্যের অন্য বিষয়গুলোও একটু দেখি।

সবার আগে আসুন নামকরণের ব্যাপারে। এই মহাকাব্যের নাম দেখে একজন অশিক্ষিত গন্ডমূর্খও বুঝবে যে এটা কত উঁচুমাপের সৃস্টি – ইংলিশ ও বাংলার মত দু’দুটো ভিন্ন ভাষা ব্যবহার করতে হয়েছে এই সৃষ্টির নামকরণে। তাছাড়া নামটাও বেশ চিন্তাউদ্দীপক – “খোঁজ দ্যা সার্চ”। কিছু একটা খুঁজতে বলা হচ্ছে। কিন্তু কি খুঁজবেন? ঘোড়েল প্রশ্ন! তারচেয়েও ঘোড়েল প্রশ্ন হচ্ছে, যা খোঁজার কথা সেটা কি দর্শক হিসেবে আপনি খুঁজবেন নাকি সিনেমার কলাকুশলীরা খুঁজবে? তবে সারা ছবি দেখেও কূলকিনারা করতে পারলাম না যে আসলে কি খোঁজ করার কথা। আরো সহজভাবে বললে কি বা কে হারিয়ে গিয়েছে সেটাই বুঝলামনা! সিনেমার মাঝখানে অবশ্য নায়ক বাবাজীর স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গিয়েছিল, শুধু হারিয়ে গিয়েছিল বললে ভুল হবে, বরঞ্চ ভিলেনপক্ষ সেটা ওভাররাইট করে নিজেদের বানানো তথ্য নায়ক সাহেবের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিল! ভাবছেন সাইফাই মুভি’র মত কোন গুন্ডা-ডাক্তার আজগুবি কোন যন্ত্র দিয়ে এই মহাকর্মটি সাধন করেছে? মোটেইনা। গডফাদার শামসুদ্দীন নওয়াবের আর্মস সাপ্লাইয়ার ‘মাস্টার’ কেবলমাত্র একটি ডান্ডা, কয়েক গামলা পানি ও একটি হাডুড়ি দিয়ে এই কাজটি একা একাই করে ফেলেছেন! কাকতালীয়ভাবে এই মাস্টার অবশ্য ব্যক্তিগত জীবনে ডাক্তার, অন্তত নামের আগে ডাক্তার পদবী লাগায়, তার নাম হচ্ছে ডাঃ এজাজ। যা বলছিলাম … পুরো ছবিতে নায়কের স্মৃতি ছাড়া আর কোনকিছু হারিয়েছে বলে মনে হল না। অবশ্য স্মৃতি হারাবার ফলে সেটা ‘সার্চ’ করার জন্য নায়কের মাঝে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। সে ধীরে সুস্থে তার কমেডি ছবি টেনে নিয়ে গিয়েছেন। ভালো কথা… আগেই বলেছিলাম যে এই ছবিটা কমেডি ছবি। ছবি দেখে দমফাটানো হাসি আসাটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। তাই দেখার সময় খুব সাবধান! ছবি দেখে কেউ হাসতে হাসতে অসুস্থ হয়ে পড়লে এই লেখক কোনভাবে দায়ী থাকবেনা।

মহাকাব্যের মহানায়কের নাম মেজর মাহমুদ হাসান, সে বাংলাদেশ সিক্রেট সার্ভিস (বিএসএস) এর একজন স্পাই (!)। বাংলাদেশ সিক্রেট সার্ভিসের অফিসটা বেশ ভালোই, সেখানে সবাই ইংলিশে কথা বলে। মেজর কামরুল নামের একজন আছেন, সে যেকোন বিষয়ে একেবারে গলা বাড়িয়ে ইংলিশে বুলি আওড়ানো শুরু করে, কিন্তু এই লোকই যখন নায়কের মাকে নায়কের মৃত্যুর খবর দিতে যায় তখন তার মুখনিঃসৃত বাংলা শুনে মনে হল উল্টা দিকে দৌড় দেই। তো এসব বাংলাদেশী ইংলিশম্যানদের খপ্পড়ে পড়ে বিএসএস’র চিফ সোহেল রানাকেও বাংলাদেশীদের সাথেই ইংলিশে বাক্যবিনিময় করতে হয়। তার এই কাজটা আরো কঠিন হয়ে যায় যখন আমেরিকা ফেরত নায়ক এসে ইংলিশ বুলি আওড়ানো শুরু করে। আহা কী সেই ইংলিশ! শুধু নায়কের ইংলিশের প্রশংসা করলে কম করে বলা হবে, নায়কের বাংলাও মাশাল্লাহ ‘সেইরকম’। শুনলে মনে হবে কেউ যেন কানের ভেতরটা চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে। তবে একদিক দিয়ে চিন্তা করলে দেখা যায় যে সিনেমাটিতে বেশ কিছু গূঢ় তথ্য রয়েছে, যেমন ধরুন, নায়কের মোহনীয় বাংলা ও সুললিত ইংলিশ উচ্চারণ কিন্তু সচেতন মহলে বিবিসি জানালার পাশাপাশি বিটিভি জানালা চালু করার একটা প্রচ্ছন্ন বার্তাও প্রেরণ করে।

সিনেমার নায়কের আগমন দৃশ্য বেশ চৌকস। বিএসএস চিফ যখন জানতে পারেন যে তার তুরুপের তাস মেজর মাহমুদ হাসান আম্রিকায় স্পাইয়িংয়ে ব্যস্ত তখনই দেখা যায় স্ক্রিন ধোঁয়ায় ভরে উঠে। সেকেন্ডের মাঝেই সেই ধোঁয়া কেটে বেরিয়ে আসে নায়কের দুধ-ঘি খাওয়া আদুল দেহ, পরের সেকেন্ডেই নায়ককে দেখা যায় সুইমিং পুলে সাঁতারে ব্যস্ত, পরের সেকেন্ডেই আমরা আবিষ্কার করি নায়ক লাস ভেগাসের আকাশে হেলিকপ্টার নিয়ে চক্কর খাচ্ছে এবং পরের সেকেন্ডেই নায়ককে লাসভেগাসের রাস্তায় কালো আলখাল্লা পরিহিত অবস্থায় অশরীরিভাবে পদচারণা করতে দেখা যায় (হেলিকপ্টারটি কোথায় ক্র্যাশ করেছিলো সেটা দেখায়নি যদিও)। লাসভেগাসে এক হোটেলের সামনে দুই আম্রিকান ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট এসে মাহমুদ সাহেবকে একটা ডিস্ক ভর্তি ইন্টেলিজেন্স দিয়ে গেল। এই ইন্টেলিজেন্স কিন্তু নায়কের মাথায় ভরার জন্য নয়, বরং ‘নিনো’ নামের বিশ্ব তামা-তামা করা এক সন্ত্রাসীর ইন্টেলিজেন্স ইনফরমেশন। পরের দৃশ্যে আমরা দেখি নায়ক সাহেব এক বিদেশিনীকে গাড়ি করে পুরো হলিউড ঘুরিয়ে তার বাসার দোরগোড়ায় নামিয়ে দিয়ে সিনেমায় তার সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ বাক্য উচ্চারণ করেন – “টেল মি ইবাউট নিনু”! তার পরের দৃশ্যে দেখা যায় বিএসএস চিফ তার তুরুপের তাস মেজর মাহমুদকে নিনোর কেস ফেলে দিয়ে বাংলাদেশে ডেকে পাঠান নতুন কেসের তদন্ত করতে। কী তামশা, নতুন কেসও হচ্ছে নিনো নিয়ে!

এরমাঝে ক্যাপ্টেন ববি’র আগমন ঘটে বিএসএস অফিসে। লাস ভেগাস ফেরৎ মেজর মাহমুদকে চিফ পরিচয় করিয়ে দেয় ক্যাপ্টেন ববির সাথে, সঙ্গে এও উল্লেখ করতে ভুলেননা যে মেজর মাহমুদের সাক্সেস রেট ১০০% মানে এখনো কোনকিছুতে ফেল্টুস হননাই নায়ক বাবাজী! চিরাচরিত নিয়মানুসারে ক্যাপ্টেন ববিকেই নায়কের সাথে কাজ করার জন্য জুটিয়ে দেয়া হল, হাজার হোক নায়িকা বলে কথা। এদিকে আমরা আবিষ্কার করি যে নায়কের স্বাস্থ্য মাশাল্লাহ ‘সেরকম’ হলেও নায়ক মনেপ্রাণে কিন্তু বেশ স্বাস্থ্যসচেতন। সেজন্যই সকালবেলা নায়ককে দেখা যায় জিন্স পড়ে গ্রামের রাস্তায় জগিং করতে, বুকডন দিতে, নারিকেল গাছের সাথে ঘুষাঘুষি করতে (সুপারি গাছ বা খেজুর গাছ ও হতে পারে, নিশ্চিত না)! তাছাড়া নায়ক আবার গল্ফপ্রেমী। সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট, সাদা জুতা, সাদা ক্যাপ পড়ে তাকে দেখা যায় গল্ফ মাঠে। একটা শট খেলেইই স্লোমোশনে মোহনীয় ভঙ্গিতে ভুড়ি দুলিয়ে নায়িকার দিকে আসতে আসতেই মন জয় করে ফেলে নায়িকার। আর যায় কই! সাথে সাথে শুরু হয় গান!

এভাবেই চলছিল। তারপর কাহিনী জট পাকিয়ে যায় যখন ১০০% সাক্সেস রেটের মেজর সাহেব একটা মিশনে ফেল্টুস মেরে গুন্ডাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। তারপর গুন্ডারাজ ‘মাস্টার’ মেজরকে এমন ধোলাই দেয় যে মেজর আক্ষরিক অর্থেই নিজের নাম ভুলে গেল! এরপর থেকেই ছবিতে নায়কের নতুন নাম হয় ‘অনন্ত’। গোলাপ ফুলের উপর টার্গেট প্র্যাকটিস করে বেড়ে (!) উঠতে থাকে অনন্ত। সেই সাথে স্মৃতি হারিয়ে অনন্ত ক্রমাগত প্রশ্ন করে যায় – “আমি ক্যা?”। স্মৃতি হারানো অবস্থাতেই তার সাথে দেখা হয় ছবির আরেক নায়িকা বর্ষা’র সাথে। বর্ষা হচ্ছে মাস্টারের বস শামসুদ্দিন নওয়াবের একমাত্র বোন। শামসুদ্দিন নওয়াব হচ্ছে বাংলাদেশের গডফাদার যে কিনা স্যুটবুট পড়ে সারক্ষণ মুখে পাউডার আর ঠোঁটে লিপস্টিক মেখে রাখে! যাই হোক, এক বিটকেলে পরিস্থিতিতে বর্ষাকে তার নিজের ভাইয়ের গুন্ডারা তাড়া করলে মহানায়ক একাই পুরো গ্যাংকে শুইয়ে দিয়ে মোটরবাইকে বর্ষাকে নিয়ে কেটে পড়ে। এদিকে নিনো আসে বাংলাদেশে। অনন্ত’র নাই স্মৃতিশক্তি! সেই সাথে ক্যাপ্টেন ববি’র সাথে প্যারালালি যুক্ত হয়েছে বর্ষা! বর্ষা ও নায়ক কক্সবাজারে। ঐ দিকে সিনেমার সেকেন্ড হিরো আবার বর্ষার বয়ফ্রেন্ড। টান টান উত্তেজনা! এমন সময়ই নায়ক বাবাজী সব স্মৃতি ফিরে পায়, মানে মাস্টার মশাই প্রাণের ভয়ে (নাকি বিরক্তিতে কে জানে?) নায়কের কাছে তার পরিচয় ফাঁস করে দেয়। অবশ্য না দিয়েও উপায় নাই, নায়ক কয়েক গন্ডা মানুষ মেরে মাস্টারের সামনে এসে ওভারকোট পড়ে “মা-আ-শ-টা-আ-র” বলে চেঁচিয়ে যেভাবে অস্ত্র ধরেছিল, তাতে এই বিরক্তিকর চরিত্রের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্যই মাস্টার সব হড়বড় করে বলে দেয় বলে আমার ধারণা। অবশ্য তারপরও মাস্টার এই বিরক্তিকর চরিত্রকে মারার জন্য একটা চেষ্টা নিয়েছিলেন। কিন্তু নায়ক আচমকা “মাশটার! আপনার মত পপেশনালের পেসন তেকে গুলি করা মানায়না” – বলে, মাস্টারকে গুলি করে নিজেই সিনেমা থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে দেয়। খুনোখুনি করার পর নায়কও তার নিজের পরিচয় পেয়ে কিংকংয়ের মত দেহখানা নিয়ে ঠিক ঠিক মায়ের কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়!

হলিউডের টার্মিনেটরের পরের সিরিজগুলোর জন্য নায়ক অনন্তকে অফার দেয়া যেতে পারে। কারন তার রোবটিক অঙ্গভঙ্গি, যান্ত্রিক বাচনভঙ্গি কিংবা ভাবলেশহীন অভিব্যক্তি – আর যাই হোক মানবসম্প্রদায়ের কাউকে মনে করিয়ে দেয়না। এর সাথে নায়কের শরীর-স্বাস্থ্য বিবেচনা করলে প্রাণীজগতে বড়জোর টেনেটুনে কিংকং পর্যন্ত যাওয়া যেতে পারে, এর বেশি কিছু নয়! তবে নায়ক মানুষ নাকি রোবট সেটা নিয়ে বিভ্রান্ত নায়িকাও প্রশ্ন করেছিল নায়ককে “আপনি রোবটের মত কেন?”। এমনকি ভিলেনকূলও মহা গবেষণা শুরু করে দিয়েছিল যে এই লোক মানুষ নাকি রোবট – তা নিয়ে। এই নায়কের পোশাক আশাক দেখে মনে হল নায়ক বঙ্গবাজারের বিশেষ ফ্যান। তার ছিড়া-বিড়া জামাকাপড় আর হাতে পায়ে বিভিন্ন পট্টি দেখে তাকে গুলিস্তানের ফ্যান বলেও মনে হতে পারে। তবে পরে জানলাম যে তার নিজেরই একখান গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে! সন্দেহ হচ্ছে এইসব টুটা-ফাটা কাপড়-চোপড় সেই ফ্যাক্টরিরই অবদান।

এতক্ষণ দেখি কেবল নায়কের কথাই বলে গেলাম, ছবির অন্যান্য ব্যাপারে কিছুই বললাম না! অন্য ব্যাপারগুলোও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য ব্যাপারের মাঝে প্রথমেই আসি গানের ব্যাপারে। ইমন সাহা ও হাবিব ওয়াহিদের মত সংগীত পরিচালকরা কাজ করেছেন এই ছবিতে। গানগুলোও বেশ ভালো, তবে শর্ত হচ্ছে চোখ বন্ধ করে শুনতে হবে! যদি আপনি চোখ খোলা রেখে টুটা-ফাটা পোশাক পরিহিত বাংলার কিংকংএর হাত ছোঁড়াছুঁড়ি দেখতে দেখতে (একটা নায়ক যে কেবলমাত্র হাতকে নাড়াচাড়া একটা সিনেমার সব গান গেয়ে ফেলতে পারে সেটা এই সিনেমা না দেখলে বিশ্বাস করা কষ্টকর) গান শুনতে চান তাহলে সেটা নিজ দায়িত্বে করবেন। শুধু মনে রাখবেন যে আমি আপনাকে সাবধান করে দিয়েছিলাম। তবে সেনাবহিনীর সুশৃংখল জীবনে অভ্যস্ত মেজর মাহমুদের এইসব ‘আইকনিক’ ফ্যাশান ও গানের সাথে হাদুমপাদুম নড়াচড়া দেখে আমাদের সেনাবাহিনীর মেজররা কাজেকর্মে উদাস কিংবা হতাশ হয়ে যেতে পারেন! এ ব্যাপারে সরকারে আশু দৃষ্টি দেয়া দরকার।

ছবির নির্মাণশৈলীতে রয়েছে নতুনত্ব। এই ছবিতে সম্ভবত নতুন ফর্মুলা অ্যাপ্লাই করা হয়েছে – অনেকগুলো ছোট ছোট দৃশ্যকে একসাথে জুড়ে দিয়ে পুরো সিনেমাটা বানানো হয়েছে। তবে কিনা ঐসব ছোট ছোট দৃশ্যের নিজেদের ভেতর তেমন একটা মিল নেই! এই ছবির এডিটরকে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি। এক হাতে কাঁচি আরেক হাতে আইকা নিয়ে ফিল্মের রোল খালি কেটেছে আর জোড়া দিয়েছে। কয়েক মিনিটের কাজ! উপরে বলছিলাম না যে এটা একটা ট্রেইলার? ঠিক এ কারণেই বলেছিলাম। একটা ট্রেইলারে যেমন পুরো ছবির বিভিন্ন খাপছাড়া দৃশ্য দিয়ে জনমনে কৌতুহল তৈরি করে, এখানেও ঠিক তাই-ই করা হয়েছে। তাই এটাকে সিনেমা না বলে বিশাল বড় কোন ট্রেইলার বলাটাই বেশি মানানসই। সবচেয়ে দীর্ঘ ট্রেইলারের জন্য গিনেস বুকে একটা ট্রাই মারা যেতে পারে, বলা তো যায় না যদি লাইগ্যা যায়!

ছবির কাহিনীর গাঁথুনীও অভিনব। এর শক্তিশালী চিত্রনাট্য দর্শকদের চিন্তাশক্তিকে উস্কে দেয় অনেকগুলো প্রশ্ন ও ধাঁধাঁ দিয়ে। বিশেষ করে নায়িকা বর্ষা যখন সরাসরি মাথায় গুলি খায়, তারপর তাকে সে অবস্থায় ফেলে রেখে নায়ক চলে যায় নিনোকে ধাওয়া করতে, ঐ দিকে কিভাবে কিভাবে যেন নায়িকা গুলি খাওয়া মাথা নিয়ে পৌঁছে যায় হাসপাতালে। প্রশ্ন জাগে যে নায়িকা কিভাবে গেল হাসপাতালে? কারণ ইতিমধ্যেই সেকেন্ড হিরো অক্কা পেয়েছে। তাছাড়া বিএসএস চিফ সোহেল রানা শেষমেষ বেঁচে থাকে না মারা যায় সেটাও একটা অমিমাংসিত ধাঁধা। এদিকে গন্ডা গন্ডা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত নায়ক যখন নিনো’র সাথে শেষ মারপিট করতে যায় তখন কুদরতিভাবে তার সব অস্ত্র হাওয়া হয়ে গিয়ে একটা গ্রেনেড ছাড়া আর কিছুই থাকেনা। তারপরও ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ঝুলে ঝুলে নিনোর প্যান্টের ভেতর কিভাবে কিভাবে যেন ঢুকিয়ে দেয় সেই গ্রেনেড। ফলাফল ট্রেনের ইঞ্জিনের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে থাকা নিনোর জায়গায় মাঝারি আকারের ধোঁয়ার বিস্ফোরণ। অথচ পুরো রেলগাড়ীর ডিজেল ইঞ্জিনে একটা আচঁড়ও নেই! বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন তাহলে কি ধাতু দিয়ে তৈরি? বিস্ফোরণের পরপরই মাথার ঘিলুতে গুলি খাওয়া নায়িকাকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় নায়কের সাথে নাচগান করতে দেখা যায়। ঘিলুতে গুলি লাগলে চিকিৎসা কি? এদিকে অন্য নায়িকার কোন খোঁজ খবর নেই, কি হয় ক্যাপ্টেন ববির? মেজর কিংবা ক্যাপ্টেন হয়ে এত নাচানাচি আর গানের তালিম কোত্থেকে পাওয়া যায় – সেটা জানার বড়ই শখ ছিল। এক দৃশ্যে নায়ক লাফ দিয়ে ঘোড়ার উপর উঠতে গেলে দেখা যায় যে, ঘোড়া শেষ মুহুর্তে অনীহা প্রকাশ করে পিছিয়ে যায়। খুব জানতে ইচ্ছা করে কী চিন্তা করছিল তখন ঘোড়াটা?

সিনেমা শেষে এতসব উন্মুক্ত ধাঁধাঁ থাকার অর্থ কিন্তু একটাই – অদূর ভবিষ্যতে এই মুভির সিক্যুয়াল আসছে (আল্লাহ রহম কর)। কি হবে সেই সিক্যুয়ালের নাম? “পাইছি দ্যা ফাউন্ড”?

Harry Potter and the Deathly Hallows (Part 1)

Just watched the movie Harry Potter and the Deathly Hallows (Part 1) couple of hours ago in the theater! I have been waiting for this movie since I’ve heard that the last book of Harry Potter is going to be split in to two parts for the movie. To be frankly, the fast story rolling of the Goblet of Fire, the Order of Phoenix and the Half Blood Prince slightly disappointed me. Those movies did not portrait the full story of the respective books, merely they were the highlights of the story books. So when I came to know that, they are going to split the last movie to keep the flavor of the story intact, I was really thrilled. I could not wait to watch the movie!

Harry Potter and The Deathly Hallows Part 1

Story:

For not to spoil the viewers experience, I am not going to reveal the actual story, rather I am giving an overall idea of the story. This is the First part of the Seventh book of Harry Potter series. As the continuation of the last movie (Harry Potter and The Half Blood Prince), Dumbledore is dead and Harry Potter is still the Chosen One, upon whom the followers of Dumbledore still keep the faith. He leaves the Privet Drive. He decided to search the remaining Horcruxes and destroyed them. Along with Harry, his two best friends Ron and Hermione have decided not to go back to Hogwarts this year. Instead they involved in a secret mission of destroying the Horcruxes. But that secret mission became the journey of a lifetime, where they found their goal of life, re-discovered themselves as well as their friendship, lost some of their dearest friends, overcome their innermost fears, and unrevealed mysteries of pasts.

The Review:

As I mentioned earlier, to keep the original flavor of the book this movie is split into two parts. And they did not disappoint me. David Yates really did an amazing job. Not only him but also Daniel, Rupert and Emma delivered quite a good acting. The first thing about this is, it’s not a children movie anymore. Harry, Ron and Hermione were no more that kid wizard. They have grown up. They are more matured now. The maturity is clear. Almost the whole movie is about these three bosom friends, other characters do not have that much significant appearance. But that really does not matter, because one can hardly feel the absence of other characters. Moreover, this time, the director tried really hard not to speed up the story, rather he took it slowly and steadily. Which in fact, was a good move. Also there are some minor changes from the main story. The action sequence was really good, especially the ambush scene when Hagrid flew Harry away to the Burrow from the Private Drive. Also the part of depicting the Tale of the Deathly Hallows with a nice animation is really a superb touch.

But still there are some shortages (or flaws perhaps). Such as Hogwarts’ takeover or Harry missing and thinking about Ginny have been totally ignored, though there is a small scene of Hogwarts Express and a glimpse on Neville was there. Also the part of Ollivander and Gregorovitch are hard to understand for someone who hasn’t read the book. There is one intense sensual moment, which I do not think as a necessary elements. And while the Tale of the Deathly Hallows have been told, the fact that Harry owns the invisible cloak was ignored somehow! The whole movie is gloomy and dark, has scene of more blood comparing to the previous parts and little bit horror too. (It is rated PG-13 for some sequences of intense action violence, frightening images and brief sensuality.)

Apart from that, the director portrayed love, friendship, jealousy, loyalty, loneliness wonderfully. The first part of the Finale of Harry Potter is an stunning adventurous story with lots of clues to solve. To be precisely, it is the introduction of the Finale. And it can be easily assumed that a lot of things are coming in the next part. But the main feature of this movie is, one can not be bored while watching the film. At the end, this movie makes the viewers to wait eagerly for the next part, whether he/she knows the story or not.

In Conclusion, the movie Harry Potter and the Deathly Hallows has put away the childish things of the previous movies and become a not-a-kid-movie-anymore. But that does not disappoint me. This movie is for them, who passed their childhood reading the Harry Potter books and grew old with Harry, Ron and Hermione. It’s really wonderful to find out that the kid wizards are no longer kids, they have grown up just like the readers. This movie leaves me excitedly to anticipate the final installment. And to be frankly, this is a great movie for not only Potter fans, but all movie addicts as well. Overall, it is a worth watching movie (of course!).

Munir Hasan, Sayem and The Dustbins

Sayem is my friend. I know him from my IUT life, that’s quite a long time. We studied in the same department and in the same year. Even our rooms in the dorm were in the same floor. He is a Lecturer & Assistant Proctor of Stamford University Bangladesh. He is a soft spoken nice guy. He is so gentle that he tolerates trouble for others and never complains anything unless it is unbearable (I’ve seen that earlier). Now, ‘that’ Sayem, my friend Sayem is facing troubles for almost 6 months and which is now seemed to be tremendously unbearable for him and his family.

In Sayem’s neighborhood, there are some uncovered dustbins which his neighbor-apartment-folks use in a daily basis (to dump their wastes). And those fetidly dustbins can alone ruins anyone’s life, in this case they are ruining Sayem and his family. Moreover those dustbins are put by his neighbor-apartment-folks just beside his bedroom. Just imagine how tough life beside fetidly dustbins can be!

Well … after living beside a hell (almost), Sayem and his wife complained several times to the apartment folks as well as the ‘Secretary’ of that apartment building. When Sayem and his family found out that the secretary of that building is Mr. Munir Hasan, they hoped for the betterments. Why did they hope so? Because Mr. Munir Hasan is a renowned personality of Bangladesh, as he is involved with BDOSN and General Secretary of Math Olympiad in Bangladesh (if I am not wrong he is affiliated with the most popular Bangladeshi daily newspaper Prothom Alo too). That’s why when Sayem and his wife complained to him, they thought their nightmare was going to be ended. It was six months ago. But nothing happened after that. Sayem and his wife kept complaining for the past six months but Mr. Munir Hasan did not take any steps. It seems that, he does not take their complains seriously.

Sayem's House View
Uncovered dustbins just beside Sayem's bedroom

So as an alternative steps Sayem is trying to let other people know about his miserable condition because of Mr. Munir Hasan. He wrote a note (with the picture) and shared it via Facebook. So that other people can also request Mr. Munir Hasan to take Sayem’s complains seriously into his account. I am quoting Sayem’s complete note as it is:

Dear friends,

Assalamualaikum. Hope u all are passing a very good time on the occasion of holy Eid-ul-Azha. But may be I will not. Let me explain the matter that will help you to understand. I need some suggestion from all of you regarding the issue.

The pictures attached with this message is taken from my bedroom. It shows a dustbin and this is just beside my bedroom. And this dustbin belongs to the Sheltech Apartments that is just beside my home. It consists of 66 flats. So, you can imagine how much waste material is produced there every day. Every moment we have to suffer a lot due to this. It is very difficult for us to stay in our bedroom even in our home.

The most astonishing part is that, the Secretary of this big building is Mr. Munir Hasan, General Secretary of Math Olympiad. He is a very renowned person and I think many of you know him. He was a teacher of BUET and also an ex-buetian. We often see him in newspapers for his good activities and contribution to the nation. He is very much close to Dr. Zafar Iqbal Sir. My wife and I knocked him several times from last 6 months for this problem. But, yet he hasn’t solved the issue. After knocking several times, he just managed a polythene temporarily to cover the wastage and promised us to solve the issue permanently. But where is that solution? We gave him an example of Prince Tower (just opposite to Sheltech Tower) about their waste management. We tried several times to contact him but he refused.

Now, my question is how can we get relief from it? Is it a sign of civilization from a renowned person like Mr. Munir Hasan? Holy Eid-ul-Azha is knocking at the door. We are very anxious about the wastage in this occasion. It is tough enough for us to bear the smell every day. Can you imagine what will be during Eid-ul-Azha?

We tried a lot to solve the problem but failed due to lack of cooperation from Mr. Munir Hasan. For that reason we need some help from you. Please suggest us what we can do in a peaceful way.

Thanks to all.
Sayem

It is really sad to find out that the remarkable persons (at least whom we thought as remarkable) are not that much remarkable in their day to day life. I hope that, Mr. Munir Hasan will be sympathetic enough to take care Sayem’s complain and treat his neighbor as a ‘true neighbor’ as well.

If you read this post and if you want to help Sayem, then please share this post with others. And if you have a personal relationship or friendship with Mr. Munir Hasan, then please request him to take care Sayem’s complain seriously. Also you can email Mr. Munir Hasan requesting him to consider Sayem’s complain as soon as possible.

Nerd is the new Cool!

Have you ever heard of Dr. Sheldon Cooper? Or Maurice Moss? If you know them, then probably you’re like one of them. And if you have not, well … then, never mind! What do they have in common? They both are over intellectual. They both have a ‘life’ which is, in fact, a little different from the ‘normal life’. And they both are Nerds!

Big bang theory & IT crowd

Who is Dr. Sheldon Cooper? He is a theoretical physicist, who has also an overtly intellectual personality, he exhibits a strict adherence to routine, a lack of understanding of irony, sarcasm and humor, a habit of constantly expressing admiration for his superior intellect. Who’s humor is very difficult to understand, that’s why he occasionally uses his signature catchphrase ‘Bazinga’ to notify others that he has done a joke! He is purely logical and has an IQ of 187 with an overly extensive general knowledge.

On the other hand, Maurice Moss aka “Moss” is a stereotypical computer nerd. He works in the IT department of the Reynholm Industries in central London. He is famous for his socially ignorant comments and his intricate and detailed knowledge of specialized technical subjects, including chemistry and electronic engineering.

These two nerds are the two fictional characters from the two popular tv series The Big Bang Theory and The IT Crowd respectively. The first one is an American sitcom, where as the later one is British. But both of them have enough laughing stalks to knock anyone out (both nerds and non-nerds). Sheldon and Moss are the two significant characters of those two tv shows. They have their own mannerism, their own styles of living, even they have their own fashion sense! More importantly people like them. People really like them very much! They become the icon.

It has been a long time since I found any character to like after McGyver. I was a huge fan of McGyver (and still I am), and now I am a big fan of Sheldon and Moss. I liked them a lot. The fun fact is that, I actually understand all of their ‘nerdy talks’ and I guess, that makes me a nerd as well. I hope I don’t offend any of my readers, but if you like those TV shows and understand each and every facts of super-science they are talking about, then you were probably a ‘nerdy kid’ like me when I was growing up. Way back then, the word ‘nerd’ was not found in anyone’s dictionary. But by the time I was in my high school, the word ‘cool’ has already entered a teen’s dictionary, and I obviously did not have that word in my dictionary! So may be that’s the reason, why I like Sheldon and Moss (though I was/am not a ‘super nerd’ like them). By the way, they both use UBUNTU! (Like me!)

Another popular TV show is Chuck, where Chuck – the main character is a nerd and a spy – at the same time! Pretty cool right! And recently in How I met your mother, the main character, Ted Mosby, an architectural professor, finds is interest in various architectural creation and loves to tell people the history or story behind that creation. Nerdy symptoms? I think so.

What ever it is, it seems that nerds are everywhere. The time is for the nerds. They are the new icons for the recent cult. Being a super nerd is super cool. So if you are not one of them, then at least try to be one. Nerd is the new Cool, man!

35mm: A short movie about 35 movies!

It is a short film, which is made on cinema itself! The creators of the film chose 35 of their favorite movies and represented them with their unique symbols, themes and music in this two minutes film. Which means 35 films within one movie! I have watched almost 25 movies out of those 35 movies, but I could not figure more than 7 movies, even after watching the film for several times!

Check out the film. And try to find out as much movie as you can! It is fun!! Even if you are not interesting to finding out the movies, just watch the film, it is really wonderful and worth watching!

Manna Facts!

Did you know “the Manna”? The one and only Super-actor in Bangladeshi film industry? How well do you know him? I bet you knew nothing about him. Here are some facts about Manna. If you have spare time then buckle up your seatbelt, because those facts will give you a really bumpy ride!

Manna

  • Some magicians can walk on water, Manna could swim through the land.
  • Manna could speak Chinese… in Bangla.
  • Manna could light a fire by rubbing two ice-cubes together.
  • Some people wear Superman’s costume. Superman wears Manna’s lungi.
  • Once the dinosaurs made Manna mad and then they are no where to find.
  • Manna could made orange juice from lemons.
  • Manna never needs a flash light, he just stares into the darkness and it moves out of the way.
  • Manna never paid attention, attention always paid him.
  • Manna knew the last digit of Pi.
  • What does Superman, Batman, and Ironman have in common? When they were kids they all wanted to be Manna.
  • Big Bang was caused for Manna, because everything was trying to get away from Manna. Which also explains why the universe is expanding.
  • Manna proved Newton wrong all the time. Every time he performed an action, he simply eliminated anything and everything that could provide the reaction.
  • Once a cobra bit Manna’ leg. After five days of excruciating pain, the cobra died.
  • Where there is a will, there is a way. Where there is Manna, there is no other way.
  • To be or not to be? That is the question. The answer? Manna.
  • Manna could answer a missed call.
  • Manna used to collect honey for the breakfast from his private moon, which is called ‘Honey Moon’.
  • Time and tide always waited for Manna.
  • Words like awesomeness, brilliance, legendary etc. were added to the dictionary in the year 1964. That was the year Manna was born.
  • Manna killed the Dead Sea with his bare hands.
  • When Manna did the push-ups, he didn’t lift himself up, rather he pushed the earth down.
  • There is no such thing as evolution, it’s just a list of creatures that Manna allowed to live.
  • Manna gave Mona Lisa that smile.
  • Manna could divide by zero.
  • Manna could judge a book by it’s cover.
  • Manna once got into a fight with a VCR player. Now it plays DVDs.
  • Manna could slam a revolving door.
  • Manna once kicked a horse in the chin. Today, its’ descendants are known as Giraffes.
  • Manna once ordered a plate of Kacchi Biriani in KFC, and he was served that.
  • The Bermuda Triangle used to be the Bermuda Square, until Manna kicked one of the corners off.
  • Manna could build a snowman out of rain.
  • Manna could strangle you with a cordless phone.
  • Manna could make onions cry.
  • Manna destroyed the periodic table, because he only recognized the element of surprise.
  • Manna could watch any live 60 minutes show in 20 minutes.
  • Manna has counted to infinity; not once, not twice but thrice!
  • Manna actually build the Rome in a day.
  • Manna once got into a knife-fight. The knife lost.
  • Manna could play the violin with a piano.
  • Manna never wet his bed as a child. The bed wet itself in fear.
  • The only man who ever outsmarted Manna was Stephen Hawking, and he got what he deserved.
  • Manna didn’t breathe at all. Air hides in his lungs for protection.
  • There were no weapons of mass destruction in Iraq. Manna lived in Dhaka.
  • Manna didn’t own a stove, oven, or microwave; because revenge is a dish best served cold.
  • Manna had already been to Mars an Moon, that’s why those places does not have any signs of life there.
  • Manna didn’t move at the speed of light. Light moves at the speed of Manna.
  • Water boiled faster when Manna stared at it.
  • Manna could killed two stones with one bird.
  • Manna gave the Joker those scars.
  • Manna used to leave messages before the beep.
  • Manna once warned a young girl to “be good or else…”. The result? Mother Teresa.
  • Manna went to court and sentenced the judge.
  • Manna could handle the truth.
  • Manna could speak Braille.
  • Manna could dodge Chuck Norris’ roundhouse kicks.
  • Manna taught Rajnikanth those stylish moves.
  • Manna could teach an old dog new tricks.
  • Manna called Lord Voldemort by his name.
  • Who do you think taught Voldemort parseltongue? Manna did.
  • Manna got small pox when he was a kid. As a result small pox is now eradicated.
  • Manna’s calendar used to go straight from March 31st to April 2nd, no one fooled Manna.
  • Manna used to grind his coffee with his teeth and boil the water with his own rage.
  • The last time Manna killed someone, he slapped himself to do it. The other guy just disintegrated. Resonance.
  • Manna once had a heart attack. His heart lost.
  • Manna was so fast, he could run around the world and punch himself in the back of the head.
  • Manna could lick his elbows.
  • Manna once ate an entire bottle of sleeping pills. They made him blink.
  • Manna never got frostbite. He used to bite frost.
  • Manna never wore a watch. He always used to decide what time it was.
  • Manna got his drivers license at the age of 16 seconds.
  • When you say ‘no one is perfect’, Manna used to take that as a personal insult.
  • In an average living room there are 1,242 objects Manna could use to kill you, including the room itself.
  • Manna could give pain to Painkillers and headache to Paracetamol.
  • Manna sneezed only once in his entire life, that’s when the tsunami occurred in the Indian ocean.
  • As a child when Manna had dyslexia, he simply re-scripted the alphabet.
  • Manna could answer a missed call.
  • Manna needed no visa to travel abroad, he just jumped from the tallest building of Dhaka and held himself in the air while the earth rotated.
  • Manna’s brain works faster than Chacha Chaudhury’s.
  • The quickest way to a man’s heart was with Manna’s fist.
  • Manna’s every step created a mini whirlwind. Hurricane Katrina was the result of a morning jog.
  • Manna never bowled strikes, he just knocked down one pin and the other nine fainted out of fear.
  • Archaeologists unearthed an old English dictionary dating back to the year 1236. It defined “victim” as “one who has encountered Manna”.
  • There is no such thing as global warming. Manna was feeling cold, so brought the sun closer to heat the earth up.
  • Manna was a champion in the game “Hide n’ seek”, because no one could hide from Manna.
  • Aliens do indeed exist. They just avoided the earth to avoid Manna.
  • Manna did not style his hair. It laid perfectly in place out of sheer terror.
  • When Manna played Monopoly, it affected the actual world economy.
  • Manna is the only man to ever defeat a brick wall in a game of tennis.

Thanks to Chuck Norris.