Blog

বাংলায় লিখুন বাংলা!

মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে যারা টপাটপ বাংলিশ এ লিখে যাচ্ছে,তাদের কাছে জিনিসটা সুখকর হতে পারে, কিন্তু আমার মত প্রচুর মানুষের কাছে ব্যাপারটা কিন্তু খুবই পীড়াদায়ক! আগে বলে নেই- “বাংলিশ” বলতে আমি “বাংলা ভাষাকে ইংলিশ অক্ষর দিয়ে লেখা” বোঝাচ্ছি! এটার আরেকটা নাম হচ্ছে “টাকলা”। বাংলিশ বা টাকলা কেন পীড়াদায়ক তা বুঝতে নিচের স্ক্রিনশটগুলো “কষ্ট করে” পড়ুন।


অ্যাজকে কাটপদি বেল্লুর ট্রেন স্টেশনে আমার পারশেনাল মুবেইল টা হ্যারেয়ে জায়ী ... আয়ী মুহুরততে কারো শাট্টে যগা যগ কুরার মুট্টো ন্যামব্যার নেয়ী ... থেয়ী শুবায়ইর প্রুট্টে অনরড রয়ীলো যার যার মোবেইল ন্যামবুর টা আমার কিউমেন্ট বক্স ও ইনবক্সে ডেলে কুভ কশি হুবো  Continue reading বাংলায় লিখুন বাংলা!

How to install ns-3 on Ubuntu


When I first started ns-3 (Network Simulator 3), I was in an ocean of bafflements. It took me several days to install ns-3 on Ubuntu for the first time, although I am an Ubuntu user. There is nothing wrong with Ubuntu, it is user friendly and cool as always. The main problem is the installation process of ns-3, which is, in true sense is not user friendly (at all). From my experience, I understand that it can be overwhelming for people using either ns-3 or Ubuntu or both for the first time. So this is a newbie guide to install and configure ns-3 on Ubuntu for the first time.

Step 1: Prepare the prerequisites

  • First, I assume that you are running Ubuntu 16.04 operating system the latest LTS version of Ubuntu. But the process should work on other Ubuntu distributions as well.
  • Second, I assume that you are using Ubuntu either Natively or using a Virtual Machine (VM) (a VM is strongly recommended if you don’t know what you are doing).
  • Third, I assume that you have a working Internet connection on Ubuntu at the time of installation.

Continue reading How to install ns-3 on Ubuntu

হাতের মুঠোয় ভেজাল খাবার

১।

ছোট্ট একটা খবর শেয়ার করি। গতবছর দৈনিক ইত্তেফাকে একটা খবর আসে যে, দিনাজপুরে গাছের নীচে থেকে কুড়ানো লিচু খেয়ে ১১ জন শিশু মারা গিয়েছিল। লিচু গাছে থাকা অবস্থায় কীটনাশক বিষ দেয়া হয়েছিল বলেই এই ঘটনাটি ঘটেছিল বলেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, রীতিমত গবেষণা চালিয়ে নিশ্চিত করেছিল তারা। আপনি হয়তো খবরটি শোনেনই নাই। তাহলে আরও একটু যোগ করি। ঠিক একই কারণে দিনাজপুরেই ২০১৩ সালে মারা যায় ১৩ জন শিশু, আর ২০১২ সালে মারা যায় ১৪ জন শিশু। বলেন দেখি, এটা কী মৃত্যু নাকি খুন?

২।

ছোটবেলায় ট্রান্সলেশন করেছিলেন মনে আছে? ঐ যে ছিল – “দুধ একটি আদর্শ খাবার – Milk is an ideal food”। কিন্তু এই দুধও কিন্তু এখন আদর্শ নেই – সেখানেও ঢুকে গেছে ভেজাল।

একটা টিভি রিপোর্টে দেখলাম – প্রথমে শ্যাম্পুর সাথে খানিকটা ছানা পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয় ফেনা। এরপর এতে গুঁড়ো দুধ, সয়াবিন, চিনিসহ আরও কিছু রাসায়নিক যোগ করা হয়। আর এই জিনিসটিই বাজারে বিক্রি করা হয় তরল দুধ হিসেবে। এই দুধ গরম করলে যাতে ফেনা হয় সেজন্য মেশানো হয় আরেক ধরনের কেমিকেল। মেশিনেও ভেজাল ধরা পরে না।

Continue reading হাতের মুঠোয় ভেজাল খাবার

How to add IEEEtran to the LyX setup in Ubuntu

Since you are here, particularly in this page, I believe that you already know what is LyX. And you must also know that when you install LyX, you get a nice template for IEEEtran. Unfortunately, it doesn’t work. Because it does not have the IEEEtrans.cls class. Well … this article is aimed at helping you overcome this major headache. Put your aspirin away now! Things are about to get better. Thanks to this link for getting me out of this pain.
Continue reading How to add IEEEtran to the LyX setup in Ubuntu

ময়লা যুদ্ধ!

ধরুন আপনি এমন একজন মানুষ যিনি রাস্তায়-পার্কে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলেন। ময়লা বলতে আমি কলার খোসা, চিপ্সের প্যাকেট, বাদামের ঠোঙ্গা, চকলেটের মোড়ক, সিগারেটের প্যাকেট, পানির বোতল থেকে শুরু করে আপনার ময়লা-ছেঁড়া-ফাটা কাপড় সহ সবকিছুই বোঝাচ্ছি।

আপনি একদিন ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার সময় অভ্যাসবশত কলা খেয়ে খোসাটা ফুটপাথে ফেলে দিলেন।

সেই খোসায় পিছলে অন্য আরেক লোক ফুটপাথ থেকে রাস্তায় গিয়ে পড়লেন।

রাস্তায় বাসওয়ালারা যেহেতু নিজেদের স্পেসশিপের ড্রাইভার মনে করে সেহেতু তারা রাস্তায় পড়ে থাকা লোকটার উপর দিয়ে বাস উড়িয়ে নেবার চেষ্টা করল। ফলাফলে লোকটি পিষ্ট হয়ে মারা গেলেন।

লোকটা মারা যাওয়ায় লোকটার আত্মীয়-বন্ধুরা মিলে সেই বাস কোম্পানির বাসগুলো ভাংচুর করলো, আগুন ধরালো। একপর্যায়ে বাসের ডিজেলের ট্যাংকে আগুন ধরে প্রচন্ড বিস্ফোরণ ঘটলো। Continue reading ময়লা যুদ্ধ!

(প্রায়) জ্বালানী ছাড়া বিদ্যুৎ – ক্যামনে কী!

গত বছর জ্বালানীবিহীন বিদ্যুৎ নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম। এই বছর প্রায় একই কাহিনী নিয়ে আবার লিখতে হচ্ছে! এবারের কাহিনীটি এসেছে দৈনিক কালের কন্ঠদৈনিক জনকন্ঠ নামে বাংলাদেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রে। খবরটিতে বলা হয় – নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জালাল উদ্দিন দীর্ঘ গবেষণায় সফল হয়ে তৈরি করেছেন খরচ সাশ্রয়ী এক বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্র। তাঁর তৈরি অভিনব বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই যন্ত্রটিতে ১০ মিনিট জ্বালানী ব্যবহারের পর যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। জালাল সাহেব সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন – খুবই আনন্দের কথা। কিন্তু উনি পদার্থবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সূত্রকে কাঁচকলা দেখিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন – এটা মোটেও আনন্দের কথা নয়।

নিজের উদ্ভাবিত বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্রের সামনে জালাল উদ্দিন। ছবি : কালের কণ্ঠ

Continue reading (প্রায়) জ্বালানী ছাড়া বিদ্যুৎ – ক্যামনে কী!

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি: পরিবর্ধিত নতুন সংস্করণ

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি”র উপর আমার লেখা একটি বই গত বছর বাজারে এসেছিল – সেটা প্রায় সবাই জানে, মোটামুটি পুরানো একটা বিষয়। নতুন বিষয় হল যে, এই বছর বইটির পরিবর্ধিত নতুন সংস্করণ বের হচ্ছে। ছাপার ও বাঁধাইয়ের কাজ শেষ। এখন শুধু বইয়ের দোকানে আসার পালা।

Continue reading তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি: পরিবর্ধিত নতুন সংস্করণ

ইঞ্জিনিয়ার সগির উদ্দিন

১।

তোমরা হয়তো ইঞ্জিনিয়ার সগির উদ্দিনকে চিনবেনা। এই মানুষটাকে না চেনাটা দোষের কিছু না, সত্যি বলতে কী – ওনাকে অনেকেই চিনেনা। আমিও চিনতামনা। আমি যে খুব বেশি মানুষকে চিনি তা অবশ্য না। অনেক সময় নিজের আত্মীয় স্বজনদেরই ঠিকঠাক মত চিনতে পারিনা। তাই কোন বিয়ে বা মুসলমানী টাইপের দাওয়াতে যখন সব আত্মীয়রা এক হয়, তখন আমাকে অপদস্থ করার জন্য তারা এক নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠে। চারপাশে সবাই আমাকে কীভাবে কীভাবে যেন ঘিরে ধরে ফেলে, যেন আমি কেটে পড়তে না পারি। তারপর একজন একজন করে আমার কাছে আসে, আর জিজ্ঞেস করে – “আমাকে চেনো? বলতো আমি কে?”। তখন আমি তাকে প্রাণপণে মনে করার চেষ্টা করতে থাকি, এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই আমি সেই কাজটা ঠিক করে করতে পারিনা। তখনই চারদিকে একটা হাসির রোল উঠে। সবাই মাথা নেড়ে একটাই কথা বলতে থাকে – “বলেছিলাম না পারবেনা!”

যাই হোক, আমার কথা বাদ। আমি বরং ইঞ্জিনিয়ার সগির উদ্দিনকে নিয়ে কথা বলি। সগিরউদ্দিনের সাথে আমার প্রথম দেখা হওয়ার ব্যাপারটা মোটেও সাদামাটা ছিলনা। ভাইয়া-ভাবীকে নিয়ে ঢাকায় থাকার মত একটা বাসা খুঁজছিলাম। ভাইয়া চট্টগ্রামে চাকরি করত। তার ঢাকায় বদলি হয়ে যায়। তাই সবাইকে নিয়ে ঢাকায় থাকার মত বাসা খোঁজার জন্য আমাকেই ঢাকা পাঠিয়ে দেয়া হল। আমি অবশ্য বেকার মানুষ, ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করে আছি। এই সময়ে ঢাকায় বাসা খুঁজতে যাবার আইডিয়াটা মন্দ লাগেনি। ঢাকায় এসে এক বন্ধুর বাসায় উঠলাম। প্রতিদিন সকাল বেলা নাস্তা খেয়ে রুটিন করে বিভিন্ন এলাকায় বাসা খুঁজতে বের হই। বাসা খুঁজতে গিয় টের পেলাম যে, মন মত বাসা পাওয়া বেশ ঝক্কির ব্যাপার। ঢাকার বাসাগুলো সব ছোট ছোট খুপরির মত। কোন বাসাই পছন্দ হয়না। আর যদি বাসা পছন্দ হয়ও, বাসা ভাড়ার দাম পছন্দ হয়না। আবার সব পছন্দ হলে বাড়িওয়ালা পছন্দ হয়না। মহা ঝামেলার ব্যাপার!

মহা ঝামেলার এই ব্যাপার মাথায় নিয়ে, একদিন লালমাটিয়া এলাকায় বাসা খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে বিকাল বেলায় লালমাটিয়ার মাঠে হাত পা ছড়িয়ে বসে ছিলাম। যখন মন উদাস উদাস লাগে তখন এই কাজটা আমি প্রায়ই করি। বসে থাকলে কেন জানি মন উদাস ভাবটা চলে যায়। মাঠে বসে বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলা দেখছি। দেখতে যে খুব ভাল লাগছিল তা না, বরং বেশ ভয় ভয় লাগছিল। মনে হচ্ছিল এই বুঝি বল আমার মাথায় পড়ল। এ জন্য সারাক্ষণ বলের দিকে চোখ রেখে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন হাবিজাবি চিন্তা করছিলাম। এমন সময় হুড়মুড় করে কী যেন একটা আমার উপর পড়ে গেল! শুধু পড়েই ক্ষান্ত হয়নি, আমাকে ভিজিয়েও দিল। হঠাৎ এরকম আচমকা আক্রমনে আমি হতবুদ্ধি হয়ে গেলাম। মনে হল সারা শরীরে আঠাল কিছু একটার স্রোত বয়ে গেছে। বুদ্ধি ফেরত আসতেই চারদিকে তাকিয়ে দেখি বাচ্চা ছেলেপিলেরা আমার দিকে তাকিয়ে আঙ্গুল উঁচিয়ে হাসছে। বাচ্চারা খুব নিষ্ঠুর হয়। আমি আঠালো পদার্থে মাখামাখি হয়ে আছি, আর এরা সেটা নিয়ে হাসাহাসি করছে! কী পাষন্ড! এর মধ্যে আঠালো পদার্থটার কিছু অংশ বেয়ে বেয়ে মুখে গেল। বাহ, বেশ মিষ্টি মিষ্টি লাগছে। আমি একটু চেটে পুটে খাওয়ার চেষ্টা করতে থাকি।
Continue reading ইঞ্জিনিয়ার সগির উদ্দিন