ইন্টারনেটে একটা লিংক দেখে চোখ আটকে গেল। সেখানে দাবী করা হচ্ছে জ্বালানীবিহীন বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন দিনাজপুরের শাহিদ হোসেন নামের এক তরুণ। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেল, গ্যাস কিংবা কয়লা ব্যবহার করা হয়। এগুলো ছাড়াও সূর্যের আলো, বাতাসের গতি কিংবা পানির স্রোতের শক্তিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। শাহিদের “জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন” দাবী অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এগুলো কিছুই লাগবেনা। এবং এইখানেই সমস্যা। একজন ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ব্যপারটা মেনে নেয়া আমার জন্য বেশ কষ্টসাধ্য।
জ্বালানী ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন মানে হচ্ছে শক্তির নিত্যতা সূত্রকে অস্বীকার করা। আর ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়েছে এমন যে কেউই জানে যে শক্তির নিত্যতা সূত্রকে অস্বীকার করলে বর্তমানে পদার্থবিজ্ঞানে প্রচলিত সকল সূত্রকে আবার নতুন করে লিখতে হবে! শক্তির নিত্যতা সূত্র অনুযায়ী – “শক্তির বিনাশ বা সৃষ্টি নেই, শক্তি কেবল এক রূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হয় মাত্র। এবং পৃথিবীর মোট শক্তির পরিমান নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়” অর্থাৎ আপনি কোন সিস্টেমে যে পরিমাণ শক্তি দেবেন, তার চেয়ে বেশি পরিমানে শক্তি কোনভাবেই সেখান থেকে পাবেন না। ধরুন, আপনি সাইকেল চালাচ্ছেন। সাইকেলের প্যাডেলে বল প্রয়োগ করলে চাকা ঘুরে সাইকেলটি সামনে যাবে। আপনি জোরে প্যাডেল চালালে সাইকেল দ্রুত যাবে, আাস্তে প্যাডেল চালালে সাইকেল আস্তে আস্তে যাবে। অর্থাৎ যতটুকু বল দিচ্ছেন, সাইকেলের কাছ থেকে সে হারেই কাজ পাচ্ছেন আপনি। কিন্তু আপনি যদি প্যাডেলে বল না দেন তবে কি সাইকেল চলবে? না চলবেনা। আপনি বল দিচ্ছেন না – সাইকেল চলবে কেন! অথচ শাহিদের কথা অনুযায়ী, এখানে মধ্যাকর্ষণ শক্তিক কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। বেশ ভাল কথা। ধরলাম বিদ্যুৎ উৎপাদনে মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোন কিছুকে নিচে নামিয়ে আনা হল। কিন্তু পরবর্তী ধাপে সেটাকে আবার যখন আগের অবস্থানে নেয়া হবে, সেটা নেয়া হবে কিভাবে? এখানেই সমস্যা। কারণ কোন শ্যাফ্টকে মধ্যাকর্ষণ শক্তির সাহায্যে নিচে নামিয়ে অবস্থার পরিবর্তন করার ফলে যতটুকু বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে, তাকে আবার আগের অবস্থানে নিয়ে যেতে সেই উৎপাদিত বিদ্যুতের সমান বা তার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হবে। আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশি। তাহলে কী দাঁড়াল ব্যাপারটা? আপনি সিস্টেমে কোন কিছুই দেবেননা অথচ সিস্টেম আপনাকে ঠিকই বিদ্যুৎ দিয়ে যাবে। কী তাজ্জব কথা! কোন কিছু না দিয়ে বিদ্যুৎ পাওয়া মানে হচ্ছে – শাহিদ এক্ষেত্রে নতুন শক্তি তৈরি করছেন! যদি এভাবে শক্তি তৈরি করা যায়, তবে শক্তির নিত্যতা সূত্র পুরোপুরি ভুল। আর এই সূত্র ভুল মানে হচ্ছে আমরা এতদিন ধরে যে পদার্থ বিজ্ঞান পড়ে এসেছি তাও ভুল! কী তাজ্জব কথা!
অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এই তাজ্জব ব্যাপারটি সেদিন প্রেসক্লাবে বসে থাকা কেউই ধরতে পারল না। সম্মেলনে উপস্থিত একজন সাংবাদিকও স্কুলের বিজ্ঞান বইয়ে পড়ানো এই ব্যাপারটি কেন ধরতে পারলনা – বুঝলামনা। আরও ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে – সেই অনুষ্ঠানে নাকি প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক প্রধান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী। পদার্থ বিজ্ঞানের লোক হয়ে তিনি ব্যাপারটা ধরতে পারলেননা (নাকি ধরেননি?)। আমি ড. এম শমসের আলীকে চিনিনা। তাই ইনাকে চেনার জন্য গুগল করতে হল। গুগল করে আরও তাজ্জব করা জিনিস দেখলাম! কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন নামে একটা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা আমার মতে বিজ্ঞান নিয়ে বিভিন্ন ভাঁওতাবাজী করে। তারা দাবী করে তারা নাকি কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষের মন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় শিখিয়ে দেয় (কোথায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স আর কোথায় মানুষের মন!)। এরকম ধাপ্পাবাজী অবশ্য বিজ্ঞানের দুনিয়ায় এটাই প্রথম না। ইতিহাস ঘাঁটলে দেকা যায়, এসব ধাপ্পাবাজীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞানীরাই সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদী হয়। ড. এম শমসের আলীকে দেখলাম কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের এইসব ধাপ্পাবাজীর পক্ষে সাফাই গাইতে। ব্যাপারটা বেশ গোলমেলে। আবার এই লোককেই দেখলাম জ্বালানী ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রেস কনফারেন্সের প্রধান অতিথি হতে। ড. এম শমসের আলীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করার মত সামর্থ্যবান আমি নই। কিন্তু বৈজ্ঞানিক ধাপ্পাবাজীগুলোর সাথে জড়িত একজনকে নিয়ে যখন সংবাদ সম্মেলন করা হয়, তখন সেই সম্মেলনের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আসে বৈকি!
আর সবচেয়ে ভয়াবহ কথা হল- আমাদের সাংবাদিকরা এই বিষয়ে কেন চুপ করে থাকলেন? এই খবর আবার বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশও হচ্ছে। তাহলে কি এটা উনাদের জ্ঞানের স্বল্পতা? সেটা তো হওয়া উচিত নয়। বৈজ্ঞানিক সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞানমনষ্ক একজন সাংবাদিকেরই তো যাওয়া উচিত। তবে কি বৈজ্ঞানিক বোধসম্পন্ন সাংবাদিকের অভাব রয়েছে? যদি অভাব থেকে থাকে তবে পত্রিকার বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদ ও লেখাগুলো কারা লিখে থাকেন – সেটাও ভাববার বিষয়।
আপডেট:
- এই একই ব্যাপার নিয়ে সচলায়তনে একটি পোস্ট দেখলাম। আগ্রহীরা ঘুরে আসতে পারেন। সেই সাথে পোস্টটির মন্তব্যগুলোও অবশ্যই পড়বেন। ব্যাপারটা খোলসা হবে আশা করি।
এর কারণ হচ্ছে, আমাদের দেশের কেউ বিজ্ঞানের ব-ও জানে না। সবাই ছাত্রাবস্থায় বই মুখস্ত করে। কর্মাবস্থায় এসে সব ভুলে যায়।
মূল সমস্যা সেখানেই। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এর জন্য চরমভাবে দায়ী!
সবম্ভবত ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে.. ।
বাংলা “জ্বালানী” বলতে যা বুঝায় যে বস্তু আগুনে জ্বলে শক্তির রুপান্তর ঘটায়। আর ইংরেজী Fuel বলতে বুঝায়__
“Fuels are any materials that store potential energy in forms that can be practicably released and used for work or as heat energy. The concept originally applied solely to those materials storing energy in the form of chemical energy that could be released throughcombustion,[1] but the concept has since been also applied to other sources of heat energy such as nuclear energy (via nuclear fission ornuclear fusion).” উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে।
তাই জ্বালানী বলতে আমরা সারণত তেল, গ্যাস, কয়লা ও বর্তমানে নিউক্লিয়ার মেটেরিয়ালকেও বুঝায়। কিন্তু এছাড়া আলোক শক্তি, স্রোত শক্তি, বাতাশের গতি শক্তি এগুলাকে এক একটা ভিন্ন ভিন্ন শক্তির উৎস হিসেবে দেখা হয়, জ্বালানী হিসেবে নয় এবং এদের শক্তির রূপান্তর ঘটিয়ে যে বৈদতিক শক্তি তৈরি হয় তাকে কিন্তু জ্বালানী বা Fuel বিহীন বৈদ্যতিক শক্তি বলা যায় যেমন, সোলার, উইন্ড মিল, টাইডাল , কারেন্ট ইত্যাদি। আর এগুলা কোনোটাই শক্তির নিত্যতার সূত্রকে খন্ডন করে না, কারণ এখানেও শক্তির এক রূপ থেকে অন্য রূপে ট্রান্সফার হচ্ছে কোনো নতুন শক্তি সৃষ্টি হচ্ছে না।
আর উক্ত লিংকে যে ছেলেটির “জ্বালানী বিহীন বিদ্যুতের” উৎপদনের পদ্ধতি দেখানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে “মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে” কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা হচ্ছে। এতে শক্তির নিত্যতার সূত্রের বেত্যয় কোথায় ঘটছে।? যা হচ্ছে তা সব ভুল বুঝাবুঝি । আমরা জ্বালানীকে শক্তির সাথে গুলিয়ে ফেলছি।
খবরটির লিংকে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজক হিসেবে যে প্রতিষ্ঠানের নাম বলা হয়েছে, সেই “আল্ট্রাম্যাক্স পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড” এর ফেসবুক পেজ থেকে যা বোঝা যায় তা হল, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য শক্তিটা আসে “হেভি সার্কুলার অবজেক্টের” ঘূর্ণন থেকে। ভালো কথা – ঐ সার্কুলার অবজেক্টটাকে কে ঘোরাবে? মধ্যাকর্ষণ শক্তি? মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে কোন বস্তু উপর থেকে নিচে পড়ে, বৃষ্টির ফোঁটা উপর থেকে নিচে পড়ে, ঝরণার পানি উপর থেকে নিচে পড়ে। এই পদ্ধতিতেই ঝর্ণা কিংবা নদীতে বাঁধ দিয়ে টার্বাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়। যেহেতু উনারা পানি ব্যবহার করছেন না, তাহলে নিশ্চয় অন্য কোন কিছু উপর থেকে নিচে ফেলবেন। কি সেটা? সেটা বলা নেই। নদীতে বা পানিতে বাঁধ দেয়ায় অবিচ্ছিন্নভাবে অফুরন্ত পানি এসে টার্বাইনকে ঘোরায়। ধরলাম, উনারা ফুটবল ফেলবেন। ফুটবলের ভর বেশি হতে হবে, না হলে টার্বাইনের গায়ে পড়ে টার্বাইন না ঘুরে ফুটবলই দূরে ছিটকে পড়বে। ধরা হল মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে মুক্তভাবে পড়ন্ত একটা ফুটবল থেকে যে বল যে পাওয়া যাচ্ছে, তা দিয়ে টার্বাইন ঘোরানো হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে, একটা ফুটবল একবার ফেললেই তো আর টার্বাইন সারা জীবন ঘুরবেনা। এজন্য নদীর স্রোতের মত অবিচ্ছিন্নভাবে অফুরন্ত ফুটবলের যোগান দিতে হবে। সেটা কিভাবে সম্ভব? তাছাড়া উপর থেকে নির্দিষ্ট হারে ও গতিতে ফুটবল ফেলার জন্যও তো কাজ করতে হবে। সেই কাজ করার শক্তি কোথা থেকে আসবে? ঘুর্ণন ব্যাপারটা চলে আসছে তাহলে আমরা বলতে পারি যে ফুটবলটাকে ঘুর্ণনের মধ্যে ফেলা হচ্ছে। সমস্যা হচ্চে ফুটবল তো আর আপনা আপনি তৈরি হয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে চলে আসবেনা ঘুর্ণনের জন্য। যদি এখানে কোন প্রকার কাজ বা শক্তি না থাকে তাহলে তো বলতেই হচ্ছে, যে যাদুকরিভাবে ফুটবল সবসময় টারবাইনকে ঘোরানোর জন্য তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া কোন প্রকার শক্তির রূপান্তর না করে তাকে একই পথে সব সময় ঘুরতে হবে। কিন্তু ঘুরতে গেলেই তো ঘর্ষণ হবে, আর ঘর্ষণ হলেই বাইরের শক্তি প্রয়োগ ছাড়া একসময় ফুটবলটি থেমে যাবে। যদি বাইরের শক্তি দিতেই হয় তবে সেটি দেয়া হচ্ছে কি হিসেবে? আর যদি শক্তি দিতে নাই-ই হয়, তবে বলতেই হয় যে প্রক্রিয়াটি শক্তির নিত্যতা সূত্র মানছেনা।
মজার ব্যাপার হল, ইউটিউবের একটি ভিডিওতে এই প্রজেক্টের কিছু ছবি দেখান হয়েছে। সেখানে ছোট্ট একটা রুমের মধ্যে কিছু ম্যাকানিকাল গিয়ার আর শ্যাফ্ট রয়েছে, একটা ব্যাটারিও রয়েছে, সেই সাথে কয়েকটা বাল্ব জ্বলছে – এই! আর কিছু নেই। এখানে “হেভি সার্কুলার মুভিং অবজেক্ট” টা কোথায়? আর যদি এত ছোট পরিসরে পুরো কাজ হয়ে থাকে তবে মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রয়োগ কোথায় হল? মধ্যাকর্ষণ শক্তি নিয়ে কাজ করতে হলে অ্যাত্ত ছোট্ট পরিসরে করা কখনেই সম্ভব নয়।
আশা করি আমি আমার খটকাগুলো তুলে ধরতে পেরেছি।
জ্বালানি ছাড়া বিদ্যুত- ব্যাপারটা শুনে আমি জ্বালানি বাদে নবায়নযোগ্য শক্তি বা রিনিউএবল এনার্জি ব্যবহার করে বিদ্যুত তৈরি করার কথা ভেবেছিলাম। পরে আমার ভুল ভাংগে। ব্যাপারটা আসলে আমি যা ভাবছি তা নয়। এখানে কম শক্তি প্রয়োগ করে বেশি শক্তি পাবার ধারনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে ১০০% কর্মদক্ষতা সম্পন্ন কোন যন্ত্র আবিষ্কৃত হয় নি। বাংলাদেশে কেউ যদি এই ধরনের দাবী করে যে তার যন্ত্র ১০০%+ কর্মদক্ষতা সম্পন্ন, এটা হয়ে যায় বিশাল সাহসিকতার কাজ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রজেক্টটার মূলনীতি সম্বন্ধে তেমন কিছু জানা যায় না। তবে মূলনীতিটা জানা যায় সাক্ষাৎকার থেকে। ওনারা বল গড়িয়ে সেটার ভরকে কাজে লাগিয়ে শক্তি তৈরি করার কথা জানিয়েছেন। এখানে শক্তি, কাজ, ভর এই এককগুলোর ধারনা আমার কাছে স্পষ্ট নয়।এই জিনিসটা কতখানি ইফেক্টিভ তা আমি জানি না। তবে জ্বালানি ছাড়া কোন জিনিসটা ব্যবহার করে বলগুলোকে গড়ানো হবে সেই ব্যাপারটা পরিষ্কার করে বলা হয় নাই। একবার বলা হয়েছে শুরুতে কিছুক্ষনের জন্য পাওয়ার দিতে হবে। তারপর এটা আপনাআপনি চলবে- কিন্তু কেমন করে?? আমি একটা বল গড়িয়ে তার অবস্থানের পরিবর্তন করলাম। কিন্তু তাকে আগের সেই অবস্থানে কেমন করে নিয়ে যাবো কোন কাজ ছাড়া?? আর কাজ করতে গেলেই শক্তি লাগবে, সেই শক্তি আসবে কোথা থেকে?? এই প্রশ্ন গুলো বিশাল ধাঁধাঁর মত চক্রাকারে ঘুরতে থাকে।
আমি প্রকৌশল জগতের বাসিন্দা নই। তাই খুব কঠিন কথাবার্তার উত্তর আমি জানতেও চাই না। আশা করি গবেষকরা কি করতে যাচ্ছেন তারা ভালো করেই জানেন। তাই আশা করি, প্রকাশ্যে অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা না বলে ওনারা সত্যি সত্যি কি করতে যাচ্ছেন সেটা বোধগম্য ভাষায় খোলাসা করে বলবেন। আর যদি সেটা না হয় তাহলে, অতি শীঘ্রই অমরত্বের ওষুধ আবিষ্কার হবে বাংলাদেশ থেকে, যেটা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারে ইউরোপ আমেরিকা কিনতে চেষ্টা করবে কিন্তু আবিষ্কারক শুধুমাত্র দেশবাসীর কথা চিন্তা করে সেটা সরকারের কাছেই বিক্রি করবে।
বুঝাই যাচ্ছে ড. এম শমসের আলী বিজ্ঞানী হতে পারলেও এখনও বিজ্ঞানমনস্ক হতে পারেননি।
এজন্য কিছু অলৌকিক জিনিসকে লৌকিক করার জন্য তিনি সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন। চিন্তা করলেও বড় কষ্ট লাগে……