একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি”র উপর আমার লেখা একটি বই গত বছর বাজারে এসেছিল – সেটা প্রায় সবাই জানে, মোটামুটি পুরানো একটা বিষয়। নতুন বিষয় হল যে, এই বছর বইটির পরিবর্ধিত নতুন সংস্করণ বের হচ্ছে। ছাপার ও বাঁধাইয়ের কাজ শেষ। এখন শুধু বইয়ের দোকানে আসার পালা।
নতুন প্রকাশনী: মিজান পাবলিশার্স
এ বছর আমি প্রকাশনা সংস্থা পাল্টেছি। গত বছর প্রকাশনার দায়িত্বে ছিল সাহিত্যকোষ। কিন্তু কোন কারণে তারা খুব একটা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারছিলনা। অনেকেই আমাকে অভিযোগ জানাতেন যে, বইটি বিভিন্ন বইয়ের দোকানে অপ্রতুল। তাছাড়া অনেকেই বই সংগ্রহের জন্য সাহিত্যকোষের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাহিত্যকোষ কোন সাড়া দেয়নি – এরকম অভিযোগও পেয়েছিলাম। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও অনেকে বইটির ব্যপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন, কিন্তু সাহিত্যকোষের সাড়া না দেবার কারণে তারাও আশাহত হয়েছিলেন। এমনও হয়েছিল যে, অনেক শিক্ষক সাহিত্যকোষের সাড়া না পেয়ে সরাসরি আমার সাথেই যোগাযোগ করেছিলেন বইটির ব্যাপারে। আমি নিজেই বেশ কয়েকজন শিক্ষককে বইটি দিয়েছি। তবে আাশার কথা হচ্ছে যে, সকল সমস্যার মাঝেও, শিক্ষকরা আমার বইটি পেয়ে পড়ে দেখেছেন এবং বইটি নিয়ে তাদের মূল্যবান মতামত আমাকে দিয়েছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের সেই সকল মতামতকে কাজে লাগিয়েই এবারে বইটির পরিবর্ধিত সংস্করণ বের করলাম। সেই সাথে প্রকাশনা সংস্থায় পাল্টে ফেললাম। এবারের সংস্করণটি বের হল মিজান পাবলিশার্স থেকে।
পরিবর্ধিত নতুন সংস্করণ
এবারের সংস্করণে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায় “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি: বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত” – এ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ইন্টারনেট থেকে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিভিন্ন কৃতী বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের কাজের আলোচনা করা হয়েছে। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স ও টেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রাব্বানীর তৈরি করা স্বল্প মূল্যের চিকিৎসার যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে প্রবাসী বাংলাদেশী অধ্যাপক তাহের এ সাইফের নেতৃত্বে এক দল গবেষকের তৈরি করা মেশিনস অব মাইক্রো ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেমস (MMEMS)সহ আরও অনেক আধুনিক ও দুর্দান্ত কাজ ঠাঁই পেয়েছে এই অধ্যায়ে। আশা করি কৃতী বিজ্ঞানীদের এই সফল কাজগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। দ্বিতীয় অধ্যায় “কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং” – এ প্রতিটি বিষয়কে আরো বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেমন, ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে এবার আরও বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। ফলে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের বৈশিষ্ট্য ও সার্ভিস মডেল কথাও চলে এসেছে এই অধ্যায়ে। তৃতীয় অধ্যায় “সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস” – এ কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। যেমন, সত্যক সারণি বা ট্রুথ টেবিল হতে কিভাবে বুলিয়ান সমীকরণ তৈরি করা হয় তা আলোচনা করা হয়েছে। ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এখন এনকোডার ও ডিকোডার এবং অ্যাডার সার্কিটের বুলিয়ান সমীকরণ কিভাবে এসেছে তা খুব সহজেই বুঝতে সমর্থ হবেন বলে আশা করি। একইভাবে বাকী তিনটি অধ্যায়েও সকল বিষয়কে বিশদভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিষয়বস্তুকে বিশদভাবে উপস্থাপনের পাশাপাশি অধ্যায় ভিত্তিক সমস্যার প্রচুর উদাহরণও দেয়া হয়েছে। কেবলমাত্র তৃতীয় অধ্যায়েই সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে প্রায় শতাধিক সমস্যা সমাধানের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। একইভাবে পঞ্চম অধ্যায়ে প্রোগ্রামিং ভাষা ভালো করে রপ্ত করার সুবিধার জন্য প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত প্রায় শ’খানেক উদাহরণ দেয়া হয়েছে। চতুর্থ ও ষষ্ঠ অধ্যায়েও যথাক্রমে ওয়েবসাইট ও ডেটাবেজ সম্পর্কিত নতুন নতুন উদাহরণ সংযোজন করা হয়েছে। এসব ছাড়াও প্রতিটি অধ্যায়ের অনুশীলনীর কলেবরও আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে, আগের সংস্করণের তুলনায় এই সংস্করণ কলেবরে তাই আক্ষরিক অর্থেই বেশ বড়।
আগের সংস্করণের মতই এই সংস্করণেও বাজারের অন্যান্য বইগুলোর মত অযাচিত বড় ফন্ট বা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা অপ্রয়োজনীয় ছবি দিয়ে বইটিকে বোঝাই করা হয়নি। বরং শিক্ষার্থীদের বোঝার সুবিধার্থে সকল ছবি বাংলায় লেবেলিং করা হয়েছে। এবং বরাবরের মতই, বইটিতে বিভিন্ন উদাহরণ উপাস্থাপন করার জন্য ওপেনসোর্স সফটওয়্যারগুলোকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বইটির কাগজের মানও উন্নত করা হয়েছে। বইটির শুরুদিকের কয়েকটি পৃষ্ঠা চাররঙে ছাপা হয়েছে আর পরবর্তী সকল পৃষ্ঠা সাদা কাগজে ছাপা হয়েছে।
বইটির প্রাপ্তিস্থান
আশা করছি, বইটি সংগ্রহের ব্যাপারে এবারে আর আগের মত সমস্যা হবেনা। মিজান পাবলিশার্সের কর্ণধার মিজানুর রহমান ভাই ফোন ধরার ব্যাপারে বেশ করিৎকর্মা। বইটি ডাকযোগে কিংবা সরাসরি সংগ্রহের ব্যাপারে মিজান লাইব্রেরির সাথে যোগাযোগের জন্য দয়া করে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।
মিজান লাইব্রেরি |
সম্মানিত শিক্ষকগণের প্রতি অনুরোধ রইল, যদি কোন কারণে আপনার কাছে সৌজন্য কপি না পৌঁছে থাকে, তবে দয়া করে উপরের ঠিকানায় যোগাযোগ করে আপনার পাওনা সৌজন্য কপিটির জন্য মিজান লাইব্রেরিকে বলে রাখুন। আশা করছি, অতি দ্রুতই আপনার কাছে তা পৌঁছে যাবে।
অনুরোধ!
আবারও সবার প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ রইল বইটির ভুল ভ্রান্তিগুলো ধরিয়ে দেবার জন্য, যাতে করে পরবর্তী সংস্করণে ভুলগুলো সঠিক করা সম্ভব হয়। সকলের সহযোগিতা ছাড়া বইটির মানোন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তাই বইটির মানোন্নয়নে যে কোন ধরণের গঠনমূলক সমালোচনা, পরামর্শ, জিজ্ঞাসা ইত্যাদির জন্য কোন রকম ইতস্ততঃ না করে দয়া করে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। আমি সাগ্রহে আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। এই পোস্টটি আপনার পরিচিত কারও (শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী) উপকারে আসবে বলে মনে হলে, দয়া করে তাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেননা।
Thanks for the news. Last year’s edition of this book was really good. Though there were some typos, but still, it was better than the other books. Hopefully this year’s edition will be great! I’ll definitely contact with the Mijan Library to buy a copy. (BTW, if you don’t mind, can you please let me know the price of this book)
Thanks for the comment. The printed price of the book is same as the previous edition.
pdf file asa naki
এইবার কি কলকাতায় বইটা পাওয়া যাবে ? প্রায় এক বছর ধরে অপেক্ষায় আছি বইটার জন্য । আমার কাছে শুনে আমার অনেক বন্ধুবান্ধবও বইটার ব্যাপারে খুবই উৎসাহ ও আগ্রহ দেখিয়েছে । আমি প্রকাশকের সঙ্গে তাড়াতাড়িই যোগাযোগ করছি । অনুগ্রহ করে আপনিও যেন প্রকাশকে একবার বলে দেবেন যেন ওঁনারা আমাদের একটু সাহায্য সহযোগিতা করেন বইটা কলকাতায় পাঠানোর ব্যাপারে । বইটা পশ্চিমবঙ্গে সুপারহিট হবে অবাধে পাওয়া গেলে – এটা আমার বিশ্বাস । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বইটার পরের পর সংস্করণ হোক এটাই কামনা করি ।
নমস্কার ।
জ্বী, অনেক ধন্যবাদ!
আমি এ ব্যপারে আমার প্রকাশককে এখনই বলে রাখছি|
বইটা কিpdf আকারেdownlad করা যাবেনো
Apnar ager boi te deya site ta kaj korche na
আগের বইটার জন্য যে সাইটটা বানানো হয়েছিল, সেটার আর প্রয়োজন নেই বলে সাইটটা সরিয়ে ফেলেছি।
মোবাইল থেকে টাকা কেটে রেখে পিডিএফ ডাউনলোডের ব্যবস্থা রাখা গেলে ভালোই হত। ভেবে দেখবেন?
বিকাশ পেমেন্ট ব্যবহার করা যায়।
এটা আসলে প্রকাশকের উপর নির্ভর করছে। প্রকাশকরা যেভাবে চান, বইয়ের বাজারজাত আসলে সেভাবেই হয়।