তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – নিজেই যখন লেখক!

আমার লেখালেখির জগৎটা খুবই ছোট ছিল। নিজের ব্লগে লিখতাম, পাশাপাশি একটি কমিউনিটি ব্লগ ও কিছু ফোরামে অংশগ্রহণ করতাম – এই নিয়েই ছিল আমার লেখালেখির পরিধি। ইন্টারনেট ছাড়া ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা বই দেখব – সে চিন্তা কখনোই করিনি। মাস্টার্সে যে থিসিসটা করেছিলাম, সেটা নিয়ে আমার লেখা একটি বই এখনও অবশ্য অ্যামাজনসহ বিভিন্ন অনলাইন কেনাকাটার সাইটে দেখতে পাওয়া যায়। তবে কী না, বিদেশী প্রকাশক বলে বইটি নিজের হাতে এখনও ছুঁয়ে দেখতে পারিনি (কোন একটা অদ্ভুত কারণে লেখক হিসেবে আমার পাওনা সৌজন্য কপিটিও আমি পাইনি!)। আসলে বই লেখার চিন্তা থেকে বইটি লেখা হয়নি – থিসিস লেখার পর সাইড প্রোডাক্ট হিসেবে বইটি তৈরি হয়। তাই বই লেখার যে আনন্দ, তা ঐ বইটি থেকে পাইনি; বরং বইটির সাথে থিসিস লেখার যন্ত্রণাই জড়িয়ে রয়েছে! তবে বই লিখতে না পারার এই অভাবটা বলতে গেলে “প্রায়” পুরোপুরি মিটে গেছে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির জন্য “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বইটি লিখে। (যারা এখনও জানেননা তাদের জানিয়ে রাখি যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ২০১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বিষয়টিকে সকল বিভাগের জন্য বাধ্যতামূলক করেছে। ফলে বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষাসহ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদেরই বিষয়টি পড়তে হবে। )


বই লেখার আদ্যোপান্ত

“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বিষয়টির প্রতি সবসয়মই অন্য এক ধরণের আকর্ষণ অনুভব করি। তাই গত বছর যখন জানলাম যে “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বিষয়টি প্রথমবারের মত ইন্টারমেডিয়েটে চালু করা হচ্ছে, তখনই এই বিষয়ের উপর নতুন বের হওয়া বই সম্পর্কে খোঁজ নিতে যাই। খোঁজ নিতে গিয়ে তো আক্কেলগুড়ুম! শুনলাম এই বিষয়ের উপর কমসেকম বিশখানা বই বেরিয়ে গেছে! এত বই তো আর পড়া সম্ভব নয়। তাই “বাজার-কাটতি” কয়েকটি বই যোগাড় করে পড়া শুরু করি। যে পরিমাণ উৎসাহ নিয়ে বইগুলো পড়া শুরু করেছিলাম, বই পড়তে গিয়ে তার চেয়েও বেশি পরিমান ভাটা পড়ল সেই উৎসাহে। বইগুলোতে সবকিছু কেমন যেন অস্পষ্টভাবে লেখা। প্রায় সব বইতেই সহজ-সরল বিষয়গুলোকে এত জটিল ও কঠিনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে, অনেক ক্ষেত্রে নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে গেছি! কোন একটি অদ্ভুত কারণে আমাদের দেশের কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য রচিত বইগুলো ঠিক “পাঠ্যপুস্তক” ধরণের হয়না, হয় অনেকটা “সহায়ক বই”য়ের মত। পাশের দেশ ভারতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর এরকম প্রচুর সহায়ক বই পাওয়া যায়। আমার মনে হয় যে, আমাদের দেশের কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলায় লেখা বেশির ভাগ বই ভারতীয় সেসব সহায়ক বই অনুকরণ কিংবা অনুসরণ করেই লেখা হয়। যে কারণে সে অর্থে মানসম্মত বই খুব একটা দেখতে পাওয়া যায়না। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সিলেবাসটি এত মানসম্মত অথচ বেশিরভাগ বই সেই মান ধরে রাখতে পারেনি – ব্যাপারটি বেশ দুঃখজনক। আর দুঃখজনক ব্যাপার বলে নিজের মাঝেও একরকম দুঃখ-দুঃখভাব  তৈরি হল।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বইটির প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছে বুয়েট পড়ুয়া ছোট বোন আমার নুযহাত ফারাহ। পুরো প্রচ্ছদটি ইঙ্কস্কেপে ডিজাইন করা কিন্তু!

নিজের ভেতর থেকে এই দুঃখভাব কাটাতে হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সিলেবাসটি অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিক ক্লাসের জন্য “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বিষয়টির একটি বই লিখে ফেলব। বই লেখা তো আর মুখের কথা নয়। বিদেশি বিভিন্ন টেক্সট বই, রেফারেন্স বই, গবেষণাপত্র, জার্নাল পেপার, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস লেকচার, অনলাইন লেকচার প্রভৃতি বহু কিছু মিলিয়ে অবশেষে বইটি লেখা শেষ হয়। বই লেখার সিদ্ধান্তটি তাই হুট করে নিয়ে নিলেও, বইটি হুট করে লেখা হয়নি। বরঞ্চ প্রচুর সময় ও শ্রম খরচ করেই “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি” বইটি প্রকাশনার উপযোগী হয়েছে।


বইটির উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক

প্রাঞ্জল বাংলাঃ

বইটি রচনা করার সময় যে কয়টি বিষয়ের উপর জোর দেয়া হয়েছে, তার মাঝে অন্যতম হল “সহজ, সরল, সাবলিল” বাংলা ভাষার প্রয়োগ। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি, কোন এক অজানা কারণে বইগুলোতে বেশ শুষ্ক-কাষ্ঠ বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হয়। ফলে বই পড়ে কোন কিছুই সহজভাবে বোঝা সম্ভব হতনা। শুধু আমরাই নই, সেসব বই পড়ে আমাদের শ্রদ্ধেয় টিচারদেরও অনেক সময় বিভ্রান্ত হয়ে যেতে দেখেছি। অথচ শিক্ষার্থীদের জন্য রচিত সেসব বইয়ের ভাষা হওয়া উচিত ছিল সহজবোধ্য। নিজে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় এই সমস্যায় পড়েছি বলে, আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি বইটিকে একদম সাবলিল বাংলা ভাষায় রচনা করার জন্য। তা ছাড়া “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বিষয়টি কেবল মাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তা অন্যান্য সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্যও অবশ্য পাঠ্য। তাই বইটি সকলের জন্যই সহজবোধ্য হওয়াটা খুবই জরুরি।

সকল বিভাগের উপযোগীঃ

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বইটি সকল বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ কারণে এই বইটি লেখার সময় সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই লেখা হয়েছে। সকল শিক্ষার্থীই যাতে সহজে বইটির সকল অধ্যায় বুঝতে পারে সেজন্য প্রচুর চিত্র দিয়ে ও সহজ-সরল ভাবে প্রতিটি বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।

ব্যবহারিক অংশঃ

এই মুহুর্তে বাজারে প্রচলিত “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বিষয়ক বইগুলোতে ব্যবহারিককে সেভাবে গুরুত্ব প্রদান করা হয়নি। অথচ বোর্ডের প্রশ্নপত্রের ধরণে স্পষ্টভাবে ২৫ নম্বর ব্যবহারিকের কথা বলা রয়েছে। তাছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে “কম্পিউটার” অবশ্যই চলে আসে। আর ব্যবহারিক ছাড়া কম্পিউটার ব্যবহার শেখা অসম্ভব। সে কারণে, আমি বইটিতে বেশ কিছু ব্যবহারিক সমস্যা ও সমাধান যোগ করে ব্যবহারিক অংশ যুক্ত করে দিয়েছি। এতে করে শিক্ষার্থীদের আলাদা করে ব্যবহারিক বই যোগাড় করার দরকার হবেনা।

পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসঃ

অনেক বই রয়েছে যাতে পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়াবার জন্য বোর্ড অনুমোদিত সিলেবাসের বাইরের বিষয় সংযুক্ত রয়েছে, আবার কিছু বই রয়েছে যাতে বোর্ডের সিলেবাসের কিছু অংশ বাদ দেয়া হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি বোর্ডের সিলেবাসটিকে হুবহু অনুসরণ করতে।

সহায়ক ওয়েবসাইটঃ

বইটির সহায়ক একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। বইটিতে যেসব উদাহরণ ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো শিক্ষকদের পড়াবার সুবিধার জন্য ও শিক্ষার্থীদের অনুশীলনের সুবিধার জন্য ওয়েবসাইটে ডাউনলোডের জন্য দেয়া রয়েছে। তাছাড়া বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ে ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলোর (সকল সফটওয়্যার মুক্ত ও ওপেনসোর্স) ডাউনলোড লিঙ্কও দেয়া রয়েছে ওয়েব সাইটে। এসব ছাড়া দেশব্যাপী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ ও আলোচনার সুবিধার কথা চিন্তা করে সাইটটিতে “আলোচনা” নামে একটি অংশ রয়েছে, যেখানে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবে।

মুক্ত ও ওপেনসোর্স সফটওয়্যারঃ

বাজারের অন্যান্য বইয়ে এমন সব সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে, যেগুলোর লাইসেন্সকৃত কপির প্রচুর দাম। ফলে দেশের কম্পিউটার সফটওয়্যারের দোকানগুলোতে এসব সফটওয়্যারের পাইরেটেড (অবৈধ/চোরাই) কপি অনেক কম দামে পাওয়া যায়। অথচ শিক্ষাদান পদ্ধতির মাঝে যদি আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চোরাই সফটওয়্যার ব্যবহার করতে উৎসাহ দিই, তবে ব্যাপারটা হবে খুবই অনুতাপের। যে কারণে বইটি রচনার সময় এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে যেগুলো মুক্ত ও ওপেনসোর্স। অবশ্য মুক্ত ও ওপেনসোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের অন্য আরেকটি কারণ হচ্ছে, এই মুহুর্তে সমগ্র বিশ্বে মুক্ত ও ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের জয়জয়কার চলছে, বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্বে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বাকী বিশ্বের সাথে সমান তালে তাল মিলিয়ে চলার একটি সুযোগ করে দেবার জন্য “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বইটিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুক্ত ও ওপেনসোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছি।


যা দিয়ে লেখা হল এই বই

যারা জানেননা তাদের জানিয়ে রাখি, আমাদের দেশের প্রকাশনা জগৎটা পুরোপুরি বিজয়ের বাংলা আসকি ফন্ট, এমএস ওয়ার্ড ও এডোব ইলাস্ট্রেটর নির্ভর। আমার জানামতে বাংলাদেশে তাই বাংলায় প্রকাশিত সকল বই-ই এ তিনটি জিনিসের উপর নির্ভর করে প্রকাশিত হয়। এবং বলাই বাহুল্য এ কাজে ব্যবহৃত সকল সফটওয়্যারই পাইরেটেড। তাই অনেকেই হয়তো ভ্রু কুঁচকে বলতে পারেন – “এত বছর ওপেনসোর্স-উবুন্টু-মুক্তসফটওয়্যার করে করে যে মাথাটা খেয়ে নিলেন, এই বই লিখতে তো সেই উইন্ডোজ আর এমএসওয়ার্ডই ব্যবহার করেছেন”! নাহ, ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। বললে বিশ্বাস করবেন কীনা জানিনা – এ বইটি পুরোপুরি উবুন্টু অপারেটিং সিস্টেমে লিব্রাঅফিস ব্যবহার করে ইউনিকোড বাংলায় লেখা হয়েছে। বেশিরভাগ লোকেরই ধারণা ছিল যে, ছাপাখানার কাজে ইউনিকোড বাংলা ব্যবহার করা যায় না। সেই ধারণা ভুল প্রমান করে, এই বইটি লিখতে বাংলা কিবোর্ড হিসেবে ইউনিকোড ভিত্তিক “প্রভাত লেয়াউট” ব্যবহার করেছি। বইটির বিভিন্ন ছবি আঁকা ও সম্পাদনার জন্য লিব্রাঅফিস ড্র, ইঙ্কস্কেপগিম্প – তিনটি সফটওয়্যারই ব্যবহার করা হয়েছে। এ তিনটি সফটওয়্যারই মুক্ত ও ওপেনসোর্স। বইটির প্রচ্ছদ পুরোপুরি ইঙ্কস্কেপ ব্যবহার করে ডিজাইন করা হয়েছে। বইটির সকল ফর্মাও ইঙ্কস্কেপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তবে মূল সমস্যা ছিল প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে, কারণ প্রিন্টের দোকানের লোকজন ইঙ্কস্কেপ চেনেনা। তারা এডোব ইলাস্ট্রেটর ছাড়া অন্য কোন সফটওয়্যারে কাজ করতেও রাজি হয়না। তবে আমি ছাপাবার জন্য সকল ফাইল ইঙ্কস্কেপ দিয়ে এনক্যাপ্সুলেটেড পোস্ট স্ক্রিপ্ট বা ইপিএস (Encapsulated Post Script বা .eps) ফরম্যাটে করে দোকানের লোকদের দিয়ে দেয়ায়, দোকানের পিসিতে ইলাস্ট্রেটরে কাজ করার সময় তারা বিশেষ কোন পার্থক্য বুঝতে পারেনি। বলতে গর্ব লাগছে যে, উবুন্টু ও লিব্রাঅফিসের সাথে আরও কয়েকটি ওপেনসোর্স ও ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার করে মানসম্মত ঝকঝকে বই বের করা যে সম্ভব – তার প্রমাণ আমার এই “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বইটি।


নমুনা পৃষ্ঠা

অতি উৎসাহী পাঠকরা বইটির কিছু নমুনা পৃষ্ঠা এখান থেকে ডাউনলোড করে পড়ে দেখতে পারেন। নমুনা পৃষ্ঠাগুলোতে অবশ্য বড় বড় করে জলছাপ দেয়া রয়েছে। তারপরও নমুনা পৃষ্ঠাগুলো পড়তে খুব একটা সমস্যা হবার কথা নয়। নমুনা কপিটির বাংলা ফন্টগুলো ব্রাউজারে ওপেন হওয়া পিডিএফটিতে সঠিকভাবে নাও দেখাতে পারে। সঠিকভাবে ফন্টগুলো দেখার জন্য নমুনা কপিটি সম্পুর্ণ ডাউনলোড করে, যেকোন পিডিএফ রিডার দিয়ে পড়ার অনুরোধ করছি।


বইটির প্রাপ্তিস্থান

সারা দেশব্যাপী বইটি পরিবেশনার জটিল দায়িত্বটি নিয়েছে “সাহিত্যকোষ”। প্রায় অর্ধশত বছর বয়সী বাংলাবাজারের এই প্রকাশনা সংস্থাটির সত্ত্বাধিকারী সাগর ভাইয়ের কাছে যখন প্রথম বইটির কথা বলি, খসড়া পান্ডুলিপিটি এক ঝলক দেখে তিনি তখনই অতি উৎসাহ নিয়ে বইটির পরিবেশনার সকল ভার নিয়ে ফেলেন। তাঁর কথা কেবল একটাই – “জলদি বইটা শেষে করেন, পরেরটা আমি দেখব!” ভয়ানক উৎসাহ নিয়ে আমার বইটির সব ভার নেবার জন্য তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। অতি উৎসাহী সাগর ভাই অবশ্য ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী বইটি ছড়িয়ে দেবার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তবে কেউ যদি সরাসরি “সাহিত্যকোষ” থেকে বইটি পেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে দয়া করে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।

সাহিত্যকোষ
৩৮, বাংলাবাজার, ঢাকা – ১১০০।
মোবাইল ফোন: (+৮৮) ০১৭১ ১৪০ ৮৬৭৫, (+৮৮) ০১৬৭ ৫৫৭ ৩৬৬৭
ল্যান্ড ফোন: (০২) ৭১১ ৪৫৭৫, (০২) ৯৫৬ ৫৫২০।


এবং একটি অনুরোধ

প্রথমবার প্রকাশে কিছু ভুল ভ্রান্তি থাকা স্বাভাবিক। সবার প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ রইল বইটির ভুল ভ্রান্তিগুলো ধরিয়ে দেবার জন্য, যাতে করে পরবর্তী সংস্করণে ভুলগুলো সঠিক করা সম্ভব হয়। সকলের সহযোগিতা ছাড়া বইটির মানোন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তাই বইটির মানোন্নয়নে যে কোন ধরণের গঠনমূলক সমালোচনা, পরামর্শ, জিজ্ঞাসা ইত্যাদির জন্য কোন রকম ইতস্ততঃ না করে দয়া করে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। আমি সাগ্রহে আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।


26 thoughts on “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – নিজেই যখন লেখক!”

  1. আদনান ভাই, আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন! আপনি একটি পাঠ্যপুস্তকের রচয়িতা হয়ে কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে নিজেকে যুক্ত করে ফেললেন। আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায়।

      1. I know you can be a good teacher in class, so I believe you can be good teacher through your book(s) as well inshaAllah!

  2. ইনশা-আল্লাহ। আমি বইটি কালকের মধ্যেই সংগ্রহ করে ফেলবো।

    1. শুধু সংগ্রহ করলেই হবেনা, সেই সাথে বইটি পড়ে ভুল ভ্রান্তিগুলোও ধরিয়ে দিতে হবে।

      1. আমি বুঝতেছিনা।কালকে থেকে আমি ঐ নংএ ফোন করেই যাচ্ছি, কিন্তু ফোন কলটি কেউ ধরছেনা।
        আমি আজকে বইটি কিনতে চেয়েছিলাম।

        1. এইরকম তো হবার কথা নয়। সম্ভবত ব্যস্ত ছিল, কিংবা ফোন দূরে কোথাও ছিল। যাই হোক, আরও কয়েকটা ফোন নাম্বার দিয়ে পোস্টটি আপডেট করলাম। এগুলোতে ফোন দিয়ে একটু চেষ্টা করে দেখবেন কি?

  3. নমুনা পড়ে দেখলাম, দারুণ কাজ হয়েছে ভাই। অনেক অনেক শুভ কামনা। নীলক্ষেতের দিকে গেলে কিনবার আশা রাখলাম।

  4. অনেক অনেক অভিনন্দন! স্যার 🙂

    মুক্ত ও ওপেনসোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করার ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে, এটা আমাদের নন-পাইরেটেড/অরিজিনাল সফটওয়ার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবে।

  5. আমি কলকাতায় থাকি। আপনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বইটি আমি কিনতে ও পড়তে আগ্রহী। কিভাবে সংগ্রহ করতে পারবো বা নিদেনপক্ষে যদি প্রকাশকের ইমেইল ঠিকানাটা জানান তাহলে সুবিধা হয়।ধন্যবদান্তে,

    1. আপনি কলকাতা থেকে আমার বইটি নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছেন – এ তো আমার জন্য পরম পাওয়া!
      আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এজন্য। বাংলাদেশের বাইরে থেকে কেউ আমার বইটি নিয়ে
      আগ্রহ দেখাতে পারে – এই ব্যাপারটি কখনোই চিন্তা করিনি।

      আমার যে প্রকাশক/পরিবেশক, উনারা ইমেইল সেভাবে ব্যবহার করে না। উনাদের ইমেইল হল shahitta_kosh@yahoo.com। তবে এই পোস্টেরই শেষের অংশে উনাদের মোবাইল নাম্বার পাবেন। চাইলে আপনি উনাদেরকে এসএমএস (SMS) এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।

Leave a Reply