Blog

২০১১ – ঢাকা, বাংলাদেশ।

সপ্তাহ দুয়েকের কিছু বেশি হল নিজের দেশে আসলাম। নিজের দেশে! বাংলাদেশে! নিজের কাছেই বিশ্বাস হচ্ছিলনা। এখনো স্বপ্নের মত মনে হয়। মনে হয় ঘুম ভেঙ্গে গেলেই আবার নিজেকে নেদারল্যান্ডে আবিষ্কার করব। প্লেন থেকে যখন সাদা মেঘের ফাঁক দিয়ে সবুজের মাঝে রূপালি ফিতার মত পেঁচিয়ে থাকা চিকচিকে নদীগুলোকে দেখছিলাম – তখন যে কী খুশি লাগছিল সেটা বলার মত নয়। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সাথে কোলাকুলি করতে ইচ্ছা করছিল। প্লেনের জানালা দিয়ে এভাবে মনে হয় ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে তন্ময় হয়ে তাকিয়েছিলাম। ইট পাথরের জঙ্গল ঢাকাকে অদ্ভুত লাগে উপর থেকে। মোহাবিষ্ট হয়ে পড়েছিলাম। প্লেন ল্যান্ড করার পর সেই মোহ ভাঙ্গল। এর মাঝে প্লেনের ভেতর কি কি হয়েছে কিছু খেয়াল নেই, এমনকি এয়ারহোস্টেস কোনও খাবারদাবার অফার করে গেছে কীনা তাও জানিনা। পায়ের নীচে তখন সবুজ বাংলাদেশ, এ সময় এয়ারহোস্টেস নিয়ে কে মাথা ঘামায়?


Continue reading ২০১১ – ঢাকা, বাংলাদেশ।

লিনাক্সভ্রান্তি-১: লিনাক্স ব্যবহার অতিশয় কঠিন

আমার অভিজ্ঞতা বলে যে লিনাক্স শব্দটার সাথে চার ধরনের মানুষ জড়িত থাকে – যারা কখনো লিনাক্সের নাম শুনেননি, যারা লিনাক্সকে ভয়াবহ ভালবাসেন, যারা লিনাক্স ব্যবহার করতে ভয় পান এবং যারা লিনাক্স নিয়ে উল্টোপাল্টা অমূলক কথা বলে বেড়ান। পয়লা দু’দলকে নিয়ে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু শেষের দু’দল একটির সাথে আরেকটি ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। লিনাক্স নিয়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণার উৎপত্তি সাধারণত শেষের এ দু’দল থেকেই ঘটে থাকে। এসব ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকে লিনাক্স শব্দটি শুনলেই উল্টোদিকে দৌড় দেবার ধান্দায় থাকেন। তাই ভাবলাম এসব ভ্রান্ত ধারণাগুলোকে একহাত দেখে নেবার জন্য ধাপে ধাপে একটা সিরিজ বের করা দরকার। সেই ভাবনারই একটি ছোটখাট ফসল “লিনাক্সভ্রান্তি” সিরিজ। আমি চেষ্টা করব “লিনাক্সভ্রান্তি” সিরিজটিতে লিনাক্স নিয়ে প্রচলিত বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণাগুলোকে দূর করতে, যাতে করে লোকজন উল্টোদিকে না দৌড়ে অন্তত ঠিক দিকে দৌড়তে পারে। আর এ সিরিজটিতে “লিনাক্স” বলতে সামগ্রিকভাবে “উবুন্টু”কেই ধরা হচ্ছে/হবে।


অনেকেই বলে থাকেন যে লিনাক্স ব্যবহার খুব কঠিন। কিন্তু যখনই কাউকে জিজ্ঞেস করি যে লিনাক্স ব্যবহার কেন কঠিন – তখন আর কেউ সুস্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারেনা। গাঁইগুঁই করে যে জিনিসটি শেষমেষ বেরিয়ে আসে সেটা হল – “লিনাক্স দেখতে জানি কেমুন কেমুন লাগে”! আরো সহজ করে বললে, লিনাক্স দেখতে কিংবা ব্যবহার পদ্ধতি উইন্ডোজের মত নয়। একটা অপারেটিং সিস্টেম দেখতে বা ব্যবহার পদ্ধতি আরেকটির মত নয় বলে অপারেটিং সিস্টেমটি কঠিন – ব্যপারটা যেন কেমন হয়ে গেল না! চার চাকার টয়োটার চেহারা বা ব্যবহার পদ্ধতি দুই চাকার হোন্ডার চেয়ে আলাদা হবে সেটাই তো স্বাভাবিক (যদিও দুটো দিয়েই যাতায়াত করা সম্ভব)। বরং এখানে যে ফ্যাক্টরটি কাজ করছে সেটা হল “অনভ্যস্ততা”। দু’চাকায় অভ্যস্ত চালককে চার চাকা চালাতে দিলে অনভ্যস্ততার কারণে প্রথম প্রথম তার একটু “কেমুন কেমুন” লাগবে। দিন কয়েক পরে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে সবই ঠিক!

একসময়কার ভয়ালদর্শন লিনাক্স এখন রূপে-লাবন্যে অনেক কমনীয় (রমনীয়ও বলা যেতে পারে)। কিবোর্ড-মাউস দিয়েই লিনাক্সে সব কাজ করা যায়। মাউস ক্লিক করেই কোন প্রোগ্রামকে ক্লোজ-মিনিমাইজ-ম্যাক্সিমাইজ করা হয়, মাউস দিয়ে টিপেই বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন খোলা-পরিচালনা-বন্ধ করা হয়, কাজের সুবিধার জন্য সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনকে ক্যাটাগরি অনুযায়ী সুবিন্যস্ত করা থাকে, রয়েছে আইকন ও মেনুবারের ব্যবহার, ফাইল ম্যানেজ করার জন্য রয়েছে ফাইল ব্রাউজার। তাছাড়া উবুন্টু ইন্সটল করলেই সাধারণ একজন ব্যবহারকারির প্রয়োজনীয় সমস্ত সফটওয়্যার; যেমন – সম্পূর্ণ অফিস স্যুট, বিট টরেন্ট ক্লায়েন্ট, চ্যাট ক্লায়েন্ট, ইমেইল ক্লায়েন্ট, ইন্টারনেট ব্রাউজার (ফায়ারফক্স), সোশ্যাল সাইট (ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি) ম্যানেজার, মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার, সিডি/ডিভিডি বার্নার, ফটোম্যানেজার, আঁকাআঁকি করার সফটওয়্যার, পিডিএফ রিডারসহ আরো অনেক কিছু ইন্সটল হয়ে যায়। অর্থাৎ একজন গড়পরতা সাধারণ ব্যবহারকারীকে কেবল মাত্র উবুন্টু ইন্সটল করলেই হল – সাথে সাথেই সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ তার সামনে পুরো সিস্টেম হাজির, আলাদা আলাদা করে তেমন কিছুই আর ইন্সটল করতে হয়না। হিসেব করলেতো দেখা যায় উবুন্টু বরং ব্যবহার করা সহজ, ব্যবহারকারীর অনেকটুকু ঝামেলা সে শুরুতেই কমিয়ে দিচ্ছে!

আমি ব্যক্তিগতভাবে সকল কাজেই উবুন্টু ব্যবহার করি। ইন্টারনেট ব্রাউজিং থেকে শুরু করে অফিস ডকুমেন্ট তৈরি, কিংবা গান শোনা থেকে শুরু করে ম্যাটল্যাবে সিমুলেশন করা – সবই করি উবুন্টুতে। দীর্ঘদিনের অনভ্যস্ততার কারণে উইন্ডোজের সামনে বসলে আমি উসখুস করতে থাকি, কারণ কাজের জিনিস কোনটাই হাতের কাছে পাইনা। একজন উইন্ডোজ ব্যবহারকারী যখন নতুন উবুন্টু ব্যবহার করতে আসেন তারও এই একই সমস্যাটা দেখা দেয়। এ সমস্যাকে তাই “কঠিন” না বলে বরং “অনভ্যস্ততা” বলাটাই বেশি মানানসই। আর মানুষ যে অভ্যাসের দাস সেটা কে না জানে! উবুন্টুতে অভ্যস্ত হওয়াটাও তাই কারো পক্ষেই অসম্ভব কিছু নয়। উবুন্টুর মোহনীয় রূপ আর সাবলীল ব্যবহারবান্ধবতার কারণে এই অসম্ভবের সম্ভব হবার সময়কালও কিন্তু অনেকটুকু কম হয়।

মোদ্দাকথা “ব্যবহার করতে কঠিন” – কথাটা অন্যের কাছ থেকে শুনে মেনে না নিয়ে বরং নিজেই একটু পরখ করে দেখুননা। এই পরখটুকু করতে উবুন্টু ইন্সটলও করা লাগবেনা, কেবল সিডি ইমেজ ডাউনলোড করে সেটা থেকেই লাইভ বুট করতে পারবেন। আপনার কম্পিউটারের কোন ফাইলে এতটুকু আচঁড়ও পড়বেনা! তারপর নিজেই সিদ্ধান্ত নিন, মাউস টেপার জ্ঞান সম্বল করে উবুন্টু (কিংবা লিনাক্স) ব্যবহার কতটুকু কঠিন!


পূর্বে প্রকাশিতঃ

Countdown Banner for Natty & Oneiric

Like the all previous releases, Ubuntu officially published the countdown banner for Natty Narwhal (11.04). For using the official countdown banners for Natty on your website, head to the countdown page to grab the embed code and paste the code into your website. Take a look at the banners below.

 

Well… if you are not satisfied with the official banners, you can also use the ‘unofficial’ banners created by Valentin. Grab the code from Valentin’s website to show the banner on your website. Take a look at the Valentin’s banner.

And if you are way too advance, want to showoff the countdown banner for Oneiric Ocelot (11.10), which has not started to form at all, then you are just in luck! Valentin also designed some banners for Oneiric Ocelet too. Take a look at the banners below and grab the code for your website!

R.I.P Shipit

Finally Shipit, Canonical‘s free CD delivering process has been declared to be discontinued for the individual request. It’s been a long time (since 2005) that Canonical used to put the operating system into the hands of developers and end users. The service stops with Ubuntu 11.04 later this month. Once the code (currently in beta) is finished, end users will no longer be able apply for a free CD via Canonical’s web site.

So why did Canonical take this decision? According to Jono Bacon, the Ubuntu Community Manager:

… a few reasons. Firstly, CD distribution is not really as effective as it used to be, and it is expensive. These days, particularly with the availability of low cost hi-speed Internet growing across the world, more and more people are simply downloading the ISO images and burning them to a CD or installing from a USB stick. Canonical felt like it would make better sense to reduce the investment in snail-mail CD distribution and focus it more on LoCo Teams and use those savings to invest in other areas of the project.

What’ll be the next move to reach the end users? It seems that Canonical is now planning a free online trial for Ubuntu by utilizing the cloud which marketing manager Gerry Carr promised would be a “great first step for Windows users in particular” to wet their toes on the Linux desktop.

But, don’t be disheartened, Canonical has not abandoned the project completely. The Approved LoCo team will still get the CDs from Canonical. As Jono Bacon mentioned:

… we will continue to provide Approved LoCo teams with CDs that they can use for this advocacy work. As before, we encourage these CDs to be shared and re-used …

I got my first Ubuntu CD with this program and I am a proud Ubuntu user still now for that great project. To be frankly, I ordered the CD (EdgyEft, if I could remember correctly) just out of curiosity, because it was free. But I fell in love with Ubuntu so much that, now I download it via torrent. My personal experiences tell me that, lots of people just take the advantages of the ShipIt project, get the CD and actually do nothing with that CD. A huge loss of money actually. But nevertheless, ShipIt gave lots of bumps to increase the popularity of Ubuntu. I personally think, this project should be available exclusively for the Africa and the South Asia, where the term “broadband” is still a fairy tale for the majority computer users! People there still rely on the ShipIt for collect the latest release of Ubuntu. So abandoning ShipIt could be a sudden blow to them. On the other hand, now it is a great opportunity for the LoCo teams to get more active and earn the respect from Canonical to be eligible to get the CDs for distributing. So we can expect more activities from those LoCo teams particularly.

So… Goodbye ShipIt… Thanks a lot for introducing me a wonderful world of Ubuntu. I am missing you … already!

Can’t we get an easier & handy software installation process in Ubuntu?

After eying the title of this post, you must be astonished –  why on earth I am saying that Ubuntu needs an ‘easier‘ and ‘handy‘ software installation process! Software Installation in Ubuntu is already a breeze. All one have to do is just heading to the Ubuntu Software Center, find/choose what software one needs and then hit the install button. Or one can download the .deb package and double click it to install the program. The installed program is ready for one in no time. Anyone have to admit that it is really pretty easy, even easier than Windows (where you have to click lots of ‘Next’ buttons during the installation process).

This whole procedure is easy if the computer is connected to the internet. What if the computer is in offline? You’re probably wondering who doesn’t have internet now a days! Actually there are a lots of them. Such as in my country Bangladesh, internet is not available to the majority of the computer users. Even though the minority gets the benefit of internet, they don’t have blazing fast speed. An average home user gets 10 kbps to 15 kbps download speed. Which is quite a low speed for downloading. And obviously majority users are using Windows. As there is a scarcity of internet and proper download speed, people download  necessary software installer from some online computers and then use that downloaded installer to several other offline computers to install the program.

Now compare the scenario with an Ubuntu installed offline PC. Probably the easiest way to install a software in an offline Ubuntu computer is using the Keryx. It can keep track of the source ppa and dependencies, which is quite awesome. But still not easy enough to handle for a newbie. How? Well… firstly, using a third party software to install programs is a bit ‘scary‘. Secondly, if any one wants to share the downloaded file with others then it will be a problem. Suppose I have an offline Ubuntu computer and I want to install some program. So I take my flash drive (which have Keryx inside it) and connect it to a computer which has the internet connection. Then I download the desired program with the Keryx, and install it in my offline computer. It is easy. But what if I want to install that same downloaded program to another offline Ubuntu PC? There are sure chances that the dependencies in the second PC will be conflicted. Because it downloads the dependencies according to the first PC, so the second PC will suffer from dependency issues. And that is a nightmare for an average computer user. So as a result, previously mentioned “download with one computer and install in several different computers” theory does not work here smoothly.

To be frankly, the average users don’t give a damn about the dependencies. They don’t want to search the web to find out which libraries (and which versions) are required to install a specific program. They need the system to be ‘just worked’. I’ve seen many users who are very much afraid to use Ubuntu as they don’t have internet connection in there home. And they don’t want to jumble themselves with the dependency hell.

My point is to find out that whether it is possible to implement a more easier and handy software installation process for the offline computers (like MacOSX may be). All the dependencies will be packed in a single package for a certain program. (Please don’t be confused with the projects like portable linux apps. I am talking about a complete software installation.) The user just need to download that file and drag-n-drop that file (like MacOSX) to some places (may be in the Application lens) or double click the file (like the .deb files) for installation. Or may be we can figure out a smarter way to accomplish this. Thus it would be much more handy for the newbie users as well as the offline users.

I am not sure if I made my point clear. In recent days, Ubuntu emphasis on the looks-n-feels for the users. I think it is also important to simplify the software installation process for the newcomers as well as for all the offline users. To my view it is one of the important bottle neck. May be it is a dumb idea. Some of you may point your finger to the security issues. But I didn’t find any simpler idea than this for helping the offline users. Any thought on this? Any other idea?

থিসিসনামা ৪: প্রেজেন্টেশন টিপ্স

সাধারণত ‌থিসিস প্রেজেন্ট করার সময় যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য রাখতে হয় সেটা হল, শ্রোতাদেরকে অন্তত পক্ষে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ মিনিট প্রেজেন্টেশন দিয়ে আটকে রাখা দরকার। সময় যত বেশি হবে ততই ভাল। এতে করে প্রেজেন্টেশন শেষে শ্রোতারা থিসিসের খুঁত বের করে প্রশ্ন করার প্রানশক্তি অনেকটাই হারিয়ে ফেলে। তাছাড়া সবাই চায় যে তার প্রেজেন্টেশন এমন হোক যাতে সবাই সেটা মনে রাখে। এসব ছাড়াও থিসিস সম্পর্কীত বিভিন্ন টানাপোড়েন-লাভক্ষতি-টেনশন ইত্যাদি নানারকম চিন্তায় দেখা যায় যে সাইডএফেক্ট হিসেবে গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টরা প্রায়ই নাওয়া খাওয়া ভুলে যায়। অন্যসব ঝামেলা মিটিয়ে ফেললেও সবচেয়ে বড় টেনশন থাকে প্রেজেন্টেশন নিয়ে। তাই প্রেজেন্টেশন কিভাবে করবেন সেই চিন্তায় যদি আপনার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়ে থাকে তবে নিচের টিপ্সগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেনঃ

  • প্রেজেন্টেশন শুরুর সময় ডায়াসে দাঁড়িয়ে বলতে হবে – ‘উপস্থিত ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ, দয়া করে উঠে দাঁড়ান, এখন জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে…’। এতে করে কমপক্ষে চার মিনিট বাড়তি পাওয়া যাবে।
  • প্রেজেন্টেশনে আগতদেরকে পরিবেশিত প্রতি কাপ চা-কফির জন্য আগে থেকে ঘোষণা না দিয়ে, একটা মূল্য ধার্য করে প্রেজেন্টেশনের মাঝখানে টাকা তোলা যেতে পারে।
  • প্রেজেন্টেশনের মাঝখানেই নির্দিষ্ট সময় পরপর থিসিসের বিভিন্ন টপিক কিংবা অধ্যায় নিয়ে বাংলা সিনেমার মত সখাসখিসহ নাচ-গান করা যেতে পারে। শ্রোতাদের কেউ আপত্তি তুললে বলতে হবে যে এটা একটা ‘ইন্ট্যার‍্যাক্টিভ প্রেজেন্টেশন’!
  • আপনার প্রজেক্টের উপর একটা ডকুমেন্টারি প্রচার করতে পারেন। ডকুমেন্টারিতে যেসব বিষয় অবশ্যই থাকবে – আপনার সুপারভাইজার-কোসুপারভাইজারের দাঁত কেলানো হাসি মুখের ক্লোজআপ কিছু শট, ল্যাবে আপনার আউলা-ঝাউলা সুরতের কিছু ছবি (আশপাশে স্রডিঞ্জার বা ওপেনহাইমারের কিছু সমীকরণবোঝাই হোয়াইট বোর্ড মাস্ট থাকতে হবে), লাইব্রেরিতে টেবিল ভর্তি বইয়ের ফাঁক দিয়ে আপনার ‘পড়ুয়া’ চেহারার কিছু ছবি ইত্যাদি।
  • প্রেজেন্টেশনের মাঝখানে দর্শক-শ্রোতাদের নিয়ে আচমকা মেক্সিকান ওয়েভ শুরু করে দিতে পারেন। প্রতিটা স্লাইড বদল হবার সময় এই ওয়েভ তৈরি করা যেতে পারে।
  • বাচ্চাদের রূপকথা গল্প পড়ে শোনানোর মত করে টেনে টেনে ধীরে ধীরে বক্তব্য পেশ করা যেতে পারে। এতে করে অধিকাংশ লোকজনই ঘুমিয়ে পড়বে। লোকজনকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারলে জাগ্রত প্রশ্নকারীর সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
  • যদি দেখা যায় যে, দর্শকসারি থেকে প্রশ্নের স্রোতে আপনাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবার তোড়জোর চলছে, তবে অজ্ঞান কিংবা হার্ট অ্যাটাকের ভাণ করে নাক-মুখ চেপে ডায়াসে পড়ে যেতে হবে। হাসপাতালে না নেয়া পর্যন্ত এভাবেই পড়ে থাকতে হবে।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ উপরোক্ত টিপ্সগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে গ্রেডের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা!

থিসিসনামা ৩: খরগোশের থিসিস

এক শেয়াল বেশ খোশমেজাজে বনের মাঝ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হাঁটতে হাঁটতে এক জায়গায় দেখলো যে একটা খোরগোশ তার ল্যাপটপে খুটখাট করে কী যেন করছে। কৌতুহলী শেয়াল খরগোশের কাছে এগিয়ে গেল। উঁকি দিয়ে দেখল যে খরগোশ কী সব যেন লিখে যাচ্ছে। শেয়াল খরগোশকে জিজ্ঞেস করল – ‘কি করছিসরে তুই?’
খরগোশ ল্যাপটপ থেকে চোখ না সরিয়েই বলল – ‘আমার থিসিস লিখছি।’
শেয়াল বলল – ‘কিসের উপর থিসিস লিখছিস? বিষয়বস্তু কি?’
খরগোশ ল্যাপটপে লিখতে লিখতে বলল – ‘আমার থিসিসের মূল বিষয় হচ্ছে খরগোশরা কিভাবে শেয়াল খায়।’
থিসিসের বিষয়বস্তু শুনে শেয়াল হতভম্ব হয়ে গেল। নিজেকে সামলে নিয়ে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল – ‘এ কী ধরণের গাঁজাখুরি থিসিস? কোন উজবুকও বিশ্বাস করবেনা যে খরগোশ শেয়াল খায়!’
এবার খরগোশ শেয়ালের দিকে তাকিয়ে বলল – ‘অবশ্যই খরগোশরা শেয়াল খায়। প্রমাণ চাও?’
মুচকি হাসি দিয়ে শেয়াল বলল – ‘অবশ্যই। ‘
খরগোশ ল্যাপটপ ছেড়ে উঠে বলল – ‘তাহলে আমার সাথে গুহায় চল। সব ড্যাটা ঐখানে আছে।’
শেয়ালও রাজি হয়ে গেল। তারপর শেয়াল ও খরগোশ দু’জনে খরগোশের গুহার ভেতরে গেল। কিছুক্ষণ পর খরগোশটি গুহা থেকে একা বের হয়ে এল এবং আগের মতই তার ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।

কিছুক্ষণ পর ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিল এক নেকড়ে। খরগোশকে ল্যাপটপের ব্যস্তভাবে কাজ করতে দেখে সেও থেমে গিয়ে জিজ্ঞেস করল – ‘কীরে কি করছিস?’।
খরগোশ ব্যস্তসমস্ত হয়ে উত্তর দিল – ‘খরগোশরা কিভাবে নেকড়ে খায় সেটা নিয়ে একটা থিসিস লিখছি।’
শুনে নেকড়ে অট্টহাসিতে পেটে পড়ল। অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বলল – ‘এইসব হাগড়পাগড় থিসিস কোনো সুপারভাইজার অ্যাক্সেপ্ট করবেনা।’
খরগোশ বেশ জোর দিয়ে বলল – ‘মোটেও হাগড়পাগড় কিছু না। তুমি দেখতে চাও? আমার কাছে তথ্য-প্রমাণ সবই আছে, দেখতে চাইলে আমার সাথে আমার গুহায় যেতে হবে।’
নেকড়ে রাজি হল। খরগোশ ও নেকড়ে দু’জনেই গুহার ভেতর গেল। কিছুক্ষণ পর খরগোশ একলা বের হয়ে এসে আবার তার ল্যাপটপে খুটখাট করে তার থিসিস লিখে চলল।

আরো কিছুক্ষণ পর আরেকটা খরগোশ যাচ্ছিল সেই একই পথ দিয়ে। ল্যাপটপে বুঁদ হয়ে থাকা খরগোশটিকে দেখে দ্বিতীয় খরগোশটি এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করল – ‘কি লিখছ তুমি?’
প্রথম খরগোশটি বলল – ‘খরগোশরা কিভাবে শেয়াল আর নেকড়ে খায় সেটার উপর থিসিস লিখছি।’
দ্বিতীয় খরগোশটি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর জিজ্ঞেস করল – ‘এটা কি করে সম্ভব?’
প্রথম খরগোশটি বলল – ‘খুব সম্ভব। আমার গুহায় চল, তাহলেই সবকিছু দেখতে পাবে।’
দ্বিতীয় খরগোশটি রাজি হয়ে প্রথম খরগোশটির পেছন পেছন তার গুহায় গেল। গুহায় গিয়ে তো দ্বিতীয় খরগোশের চোখ ছানাবড়া। সে দেখলো গুহার এক কোণায় শেয়ালের হাড়ের স্তুপ, আরেক কোণায় নেকড়ের হাড়ের স্তুপ হয়ে আছে। দুই হাড়ের স্তুপের মাঝে বসে এক সিংহ দাঁত খোঁচাচ্ছে আর ঢেঁকুড় তুলছে!


এই গল্পের নীতিকথাঃ
তুমি কি বিষয়ে থিসিস করছ সেটা মুখ্য নয়, কি উপায়ে তুমি উপাত্ত সংগ্রহ করছ সেটাও মুখ্য নয়। মূল ব্যাপার হচ্ছে থিসিস সুপার ভাইজার হিসেবে তুমি কাকে নিয়েছ?

It’s time for FireFoxFour!

Just installed the long awaited Firefox 4. Right now I am writing this post from FF4. I am a huge fan of FF for the last few years (from FF2 more precisely). With new look-n-feel and cool features, FF4 will sure rock your browsing experience.

FireFoxFour

To download Firefox go here. Ubuntu users can install FF4 via PPA. It has not been added to the Ubuntu official repository (yet), but why keep your Ubuntu awaiting! You can install FF4 in Lucid and Maverick following the process below:

  1. Go to Applications > Ubuntu Software Center from the top panel.
  2. Head to Edit > Software Sources and click the ‘Other Software’ tab.
  3. Press ‘Add’ button and then paste the following line into the relevant field to add the PPA. [code]ppa:mozillateam/firefox-stable[/code]
  4. After adding the PPA you will be prompted to update your sources.
  5. Once the update is done you can head to System > Administration > Update Manager to perform an upgrade.
  6. Thus FF4 will be installed in the system.

You can do the above processes via the Terminal easily and quickly. For this:

  1. From the top panel go to Applications > Terminal.
  2. In the terminal just enter the following command and give your password when asked. This will add the PPA to your Ubuntu repository. [code]sudo add-apt-repository ppa:mozillateam/firefox-stable[/code]
  3. Now run the following command in the terminal
    [code]sudo apt-get update && sudo apt-get upgrade[/code]

So your Ubuntu is all set with FireFoxFour! To see what’s new in Firefox 4, check out the following video:

http://www.youtube.com/watch?v=mv_sq5zpN0M

And there is a Firefox4 Twitter party going on HERE. You can  join there and celebrate the party with other Firefox users! Happy FFFing!!

sudo add-apt-repository ppa:mozillateam/firefox-stable