যারা নতুন লিনাক্সে আসেন তারা প্রথমেই যে সমস্যায় পড়েন সেটা হল লিনাক্সের শত শত ডিস্ট্রো থেকে কোনটা ব্যবহার করবেন? অবশ্যই আপনার প্রয়োজনমত যেটাকে সবচেয়ে কাজের মনে হয় সেটা ব্যবহার করবে। কারন একেকজনের প্রয়োজন একেকরকম, যিনি ভিডিও এডিটিং করেন তার কাজের সাথে যিনি প্রোগ্রামার তার কোন মিল নেই, এই দুজনের জন্য দরকারী সফটওয়্যারও তাই ভিন্ন হবে। তাই বিভিন্ন পেশার মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে লিনাক্স ডিস্ট্রও বিভিন্ন রকম হয়। তবে যারা সাধারন ইউজার তাদের কাজের ধরণ কিন্তু মোটামুটি একই – লেখালেখি, ইন্টারনেট ব্রাউজ, গান শোনা, মুভি দেখা, গেম খেলা ইত্যাদি টুকটাক কাজই সবাই করে। এসব বিচারে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী হচ্ছে উবুন্টু।
কেন উবুন্টু ব্যবহার করবেন- এই প্রশ্নের উত্তর যদি খুঁজতে বের হন তবে হাজার হাজার জবাব পাবেন। ইদানিংকার খুব জনপ্রিয় এই অপারেটিং সিস্টেমটি লিনাক্সের কার্নেলের উপর তৈরি বলে সিকিউরিটি থেকে শুরু করে স্ট্যাবিলিটি পর্যন্ত লিনাক্সের সব ধরনের সুবিধাই এতে পাবেন। তাহলে কোন বৈশিষ্ট্য একে লিনাক্সভিত্তিক অন্যান্য ডিস্ট্রগুলো থেকে আলাদা করেছে? আসুন তাহলে এক ঝলক দেখে নেই।
উবুন্টু অন্যান্য ডিস্ট্রোর মত “কেবলই আরেকটা লিনাক্স”ডিস্ট্রো না। এটা ডেবিয়ানের মত শক্তিশালী ডিস্ট্রোর উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া একটি ডিস্ট্রো যার মূল স্লোগান হল “মানুষের জন্য লিনাক্স”। আক্ষরিক অর্থেই উবুন্টুকে সাধারন মানুষের ব্যবহারের জন্যই বানানো হয়েছে। এক সময় মনে করা হত খোঁচা খোঁচা দাড়ি গোঁফ ওয়ালা জিনিয়াস টাইপের লোকজন কীবোর্ডে খটাখট আওয়াজ করে লিনাক্স ব্যবহার করে। দিন এখন পালটে গেছে, সেই সাধারন ব্যবহারকারীদের জন্য কমান্ডের লিনাক্সের যুগ আর নেই। ডেস্কটপে লিনাক্স এসেছে অনেক বছর। আর সেই ডেস্কটপ লিনাক্সকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে উবুন্টু। উবুন্টু ব্যবহার করতে খুব আহামরি কোন কম্পিউটার জ্ঞানের দরকার নেই, – এতই সোজা এই অপারেটিং সিস্টেমটি। আর এর ইউজার ফ্রেন্ডলিনেসের কথা তো লিনাক্সের এখন সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট। উবুন্টুই একমাত্র লিনাক্স ডিস্ট্র যেটাকে মাইক্রোসফট সমীহ করে চলে, কারন বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, উবুন্টু ইউজার ফ্রেন্ডলিনেসের দিক থেকে উইন্ডোজের চেয়েও উন্নত।
সবচেয়ে সহজ ওএস ইন্সটলেশন পদ্ধতি সম্ভবত উবুন্টুর। খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসে কেবল মাউস দিয়ে টিপে টিপে যে কেউ উবুন্টু ইন্সটল করতে পারবে মাত্র কয়েকটি ধাপে। সফটওয়্যার খোঁজার জন্য গুগল নিয়ে ঘাঁটাঘাটির দরকার নাই। সফটওয়্যারের বিশাল রিপজিটরি আছে এতে, যেখানে হাজার হাজার ফ্রী সফটওয়্যার তালিকাভুক্ত হয়ে আছে। শুধু গিয়ে ইন্সটল দিলেই হল, সাথে সাথে ইন্সটল হয়ে যাবে। যেকোন সফটওয়্যার আপডেটও খুব সহজেই করা যায়। কোন সফটওয়্যারের আপডেট চলে আসলে উবুন্টুই আপনাকে আপডেট নোটিফিকেশন দেখাবে আর আপডেটের অপশন দিবে। গুগল সার্চ করে আপডেট নামানোর কোনই প্রয়োজন নাই।
উবুন্টুর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর বিশাল ইউজার কমিউনিটি। লিনাক্সের সবচেয়ে বিশাল কমিউনিটি হচ্ছে উবুন্টুর। যেকোন সমস্যায় কেবল কমিউনিটির কাছে ধর্না দিলেই হবে, সমাধান করার জন্য লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়বে। কমিউনিটি’র লোকজনও কিন্তু বেশ বন্ধুভাবাপন্ন। যেকোন প্রশ্নকেই অবহেলার চোখে দেখা হয়না এই কমিউনিটিতে। যত বোকাই প্রশ্ন করুন না কেন, আপনি ঠিকই আপনার জবাব পেয়ে যাবেন। বোকা বোকা প্রশ্নের জন্য আপনার উপর কেউ বিরক্ত হবেনা বা আপনাকে খোঁটাও দেবেনা – এমনই চমৎকার কমিউনিটি।
উবুন্টু’র সিডি হচ্ছে লাইভ সিডি অর্থাৎ পিসিতে ইন্সটল না করেই আপনি সিডি থেকে সব প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশনসহ উবুন্টু ব্যবহার করতে পারবেন, এমনকি সেই সিডি থেকে ইন্টারনেটেও কানেক্ট হয়ে ওয়েব ব্রাউজ করতে পারবেন!
লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে হার্ডওয়্যার কম্পিটিব্যালিটি উবুন্টুরই সবচেয়ে বেশি। অর্থ্যাৎ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হার্ডওয়্যার উবুন্টুই চিনতে পারে। ফলে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক এডাপ্টারের মত হার্ডওয়্যার চিনে নিতেও উবুন্টুর কোন সমস্যা হয়না। ডেল, হিউলেটপ্যাকার্ড, লেনোভো সহ নামকরা ব্র্যান্ডগুলো এখন উবুন্টুর কথা মাথায় রেখে হার্ডওয়ারের ড্রাইভার রিলিজ করে। তাই হার্ডওয়ার নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়না।
বলা হয়ে থাকে যে, বর্তমানে লিনাক্সের জয়যাত্রার পতাকা যদি কারো বহন করার ক্ষমতা থাকে তো সেটা উবুন্টুর আছে। গুগলের মত বিশ্বখ্যাত কোম্পানি তাদের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উবুন্টুকে বেছে নিয়েছে। তাহলে আর আপনি বসে থাকবেন কেন? ঘুরে আসুন উবুন্টুর সাইট থেকে, সংগ্রহ করুন আপনার উবুন্টু!
amar kache mine hoyeche open source operating system e boro somossa
hosche net connection paoya. bole rakha valo ami computer e expert noi.
windows e jemon plug n play modem install korar por por e connetion
paoya jay sekhane ubutu te kichu prosner mukhomukhi hote hoy ja amader
moto anarir jonne boro somossa jemon server name ……etc . ei sob
prosner somadhan diye ekti tutorial ki amader jonne post kora jaina ?
উবুন্টুতে বেশিরভাগ মডেমই প্লাগ-অ্যান্ড-প্লে কাজ করে। ঝামেলা কি জানেন? কম্পানিগুলো যেমন উইন্ডোজের জন্য ড্রাইভার বানায়, উবুন্টু তথা লিনাক্সের জন্য সেরকম বানায় না। এখন আপনিই বলুন, উবুন্টুর জন্য কম্পানিগুলো ড্রাইভার বানায়না এটা কি উবুন্টুর সমস্যা নাকি কম্পানিগুলোর? যাই হোক… সমস্যার সমাধান পাবার জন্য বাংলা বিভিন্ন ফোরাম রয়েছে যেখানে এসব নিয়ে আলোচনা হয়, প্রয়োজনে উবুন্টুবিডি মেইলিং লিস্টেও যোগ দিতে পারেন। সেখানেও সাহায্য চাইতে পারেন।
ভাই আমি নতুন উবুন্টু ব্যাবহারকারি; আমি কিভাবে বাংলা লায়ন মডেম কানেকসন করব?
খুবই দুঃখিত যে আমি এ ব্যপারে সাহায্য করতে পারছিনা, কারণ আমি বাংলালায়ন ব্যবহারকারী নই। আপনি বাংলালায়নের সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন যে ওরা উবুন্টুর সাপোর্ট দেয় কীনা (দেয়া উচিত, ওদের কন্ট্রাক্ট পেপারে নিশ্চয়ই লেখা নেই যে ওরা কেবল উইন্ডোজ সাপোর্ট দিবে)!
সবচেয়ে ভালো হয় উবুন্টু বাংলাদেশের মেইলিং লিস্টে একটা মেইল করে দেখুন, ওখানে অনেক উবুন্টু ব্যবহারকারী রয়েছেন, তারা হয়তো আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন। মেইলিং লিস্টের ঠিকানা হচ্ছেঃ https://lists.ubuntu.com/mailman/listinfo/ubuntu-bd
http://forum.projanmo.com/post350699.html
এখানে দেখেন।
কিভাবে উবুন্টুতে সিটিসেল জুম মডেম চালানো যায়
ভাইয়া আমি Ubunto কমান্ড গুলো কোথায় পাব?
নেটে একটু খোঁজাখুঁজি করলেই পেয়ে যাবেন। যেমন, এইখানে দেখুন।
আমার পিসির প্রসেসর ৩২ বিটের। কিন্তু উবুন্টু ৬৪ বিটকে সাপোর্ট করে৷ আমার তাহলে লিনাক্স ভিত্তিক কোন OS ব্যবহার করা উচিত?