বেগুনী গোলাপ ফুল

খুব ছোট থাকতেই আমার ছবি আঁকার শখ। বাসার দেয়াল থেকে মেঝে সব জায়গাতেই আমার প্রতিভার ঝলক থাকত। আমি ছবি আঁকতাম আমার মত করে। কে কি ভাবলো সেটা নিয়ে কখনো মাথা ঘামাই নাই। এই না মাথা ঘামানো অভ্যাসটা কেজি ওয়ানে আমার জীবনের প্রথম ড্রইং পরীক্ষায় ফেল করতে টনিকের মত কাজ করেছিলো। আমার পুরো স্কুল জীবনে ওই একটা বিষয়েই আমি ফেল করেছিলাম।

স্কুলে যাবার আগে থেকেই আমি ছবি আঁকতাম। স্কুলে ভর্তি হবার পর দেখলাম ড্রইং নামে আলাদা একটা সাবজেক্ট আছে। আমাকে আর পায় কে? মনের মত ছবি আঁকতাম। ক্লাসে সবাই আমার ছবির খুব প্রশংসা করত। কেবল একজন ছাড়া, আমাদের ড্রইং টীচার। সেই মহিলার কাছে আমার সব ছবিই কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং! ক্লাসে যাইই আঁকি না কেন সেই টীচার আমার সব কিছুতেই ভুল ধরেন। হাতি আঁকতে দিলেন, এঁকে দিলাম। কিন্তু টীচারের পছন্দ না। আমার আঁকা হাতির শুঁড় নাকি স্প্রিংয়ের মত প্যাচানো। হাতির এত বড় একটা শুঁড়, ওইটা কি হাতি সোজা ঝুলিয়ে রাখবে? এত সুন্দর একটা লকলকে জিনিস আমার থাকলে আমিও তো প্যাঁচিয়ে রাখতাম। মানুষের হাত কি মানুষ সোজা ঝুলিয়ে রাখে? হাতকে স্প্রিংয়ের মত প্যাচানো যায়না দেখে মানুষ হাত ভাঁজ করে রাখে। এখানেই শেষ না আমার আরো ভুল ছিল। হাতীর রঙ কেন নীল দিলাম! আরে বাবা হাতির গায়ের যে রঙ সেটা কি দেখতে খুব সুন্দর? কেমন ম্যাটম্যাটে রঙ। দেখলেই তো বমি আসে। এর চেয়ে নীল রঙের হাতি দেখলেই তো মন জুড়িয়ে যায়, কেমন একটা স্নিগ্ধ ভাব। টীচার কে কে বোঝায়!

দেখতে দেখতে ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষা চলে আসলো। সবার শেষ পরীক্ষা ছিল ড্রইং। ড্রইং পরীক্ষায় আমাদের আঁকতে দেয়া হল গোলাপ ফুল। মনের মাধুরী মিশিয়ে এঁকে চলেছি। কোন দিকে খেয়াল নাই। এক এক করে সবাই খাতা জমা দিয়ে দিচ্ছে, আমি তখনো রঙ পেন্সিল দিয়ে রঙ করে চলেছি। পাঁপড়ি রঙ করা শেষ, ডাঁট রঙ করে ফেললাম। বাকী আছে পাতা। যে-ই দেখছে সে-ই তারিফ করছে। সবারই একই কথা এমন সুন্দর গোলাপ ফুল কেউ জীবনে দেখেনি । অনেকে আফসোস করা শুরু করলো, যদি আমার মত করে আঁকতে পারতো। অন্যদের হা হুতাশ শুনে বুক গর্বে ভরে গেলো। এবার হায়েস্ট মার্কস ঠেকায় কে? রঙ পেন্সিলের শেষ টান টা দিলাম। খাতাটা নিজের সামনে মেলে ধরে নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নিজের চোখকে বিশ্বাস হয়না , এত সুন্দর এঁকেছি আমি! খাতটা জমা দিতে খারাপ লাগছিলো, এত সুন্দর ছবিটা হাত ছাড়া হয়ে যাবে। কিন্ত খাতা জমা দিতে হবে – এটাই পরীক্ষার নিয়ম। নিয়মের বাইরে তো আর যাওয়া যায়না। কী আর করা, খাতাটা জমা দিয়ে দিলাম। খাতা নেবার সময় টীচার একবার আমার খাতা দেখলেন, তারপর আমার দিকে আড় চোখে তাকালেন। নাহ্‌ এবার টীচার তারিফ না করে যাবে কই! মনে মনে বেশ খুশি হলাম। জায়গায় গিয়ে বসতে যাব এমন সময় টীচার আমাকে ডাকলেন। আবারো খুশি হলাম। যে সুন্দর ছবি এঁকেছি টীচার না ডাক দিয়ে পারেবেনইনা। খুশি খুশি মনে গেলাম।
“সবাইতো গোলাপ ফুল এঁকেছে তুমি এটা কি একেছো?” টীচারের প্রথম প্রশ্ন।
“জ্বী, এটাও গোলাপ ফুল।” আমতা আমতা করে বললাম।
“এটা কে গোলাপ ফুল বলে?” আমি দুর্বলভাবে হ্যা সূচক মাথা নাড়লাম।
“আমি যদি বলি এটা একটা বেগুন!” টীচার বলে কি, জ্বলজ্যান্ত গোলাপ ফুল কেন বেগুন হবে বুঝলাম না।
“গোলাপ ফুল দেখতে কি বেগুনী রঙের?”
“আসলে টীচার গোলাপী রঙের ফুল দেখতে ভালো লাগেনা। গোলাপের রঙ বেগুনী হলে ভালো হত তাই…”
“গাধা! এজন্য তুমি রঙ পালটে দেবে! কোথাও কখনো বেগুনী রঙের গোলাপ ফুল দেখেছো। আর গোলাপের পাঁপড়ি কি এরকম লম্বা লম্বা হয়?”
“গোলাপ ফুল দেখতে যদি সূর্যমূখী ফুলের মত হত…” – আমি বলার চেষ্টা করি।
“তাহলে পৃথিবীর সব ফুলই সূর্যমূখী হত, কেউ গোলাপ বলে কিছু দেখতনা।” গোলাপ না দেখলে সমস্যা কোথায় বুঝলাম না। সূর্যমূখী দেখতে কত সুন্দর, ইয়া বড় সাইজ। দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। কোথায় গোলাপ আর কোথায় সূর্যমূখী! কিন্তু টীচারের থমথমে রাগী চেহারা দেখে কিছু বলার সাহস পেলামনা। চুপচাপ বকা হজম করে যাচ্ছি।
“ফুলের ডাঁট উপরে কেন?” টীচার এবার পুরোপুরি ক্ষিপ্ত।
“আমি আসলে গাছ থেকে একটা ফুল পড়ে যাচ্ছে সেই অবস্থার কথা কল্পনা করে ছবিটা এঁকেছি। এটা পড়ন্ত ফুল তো তাই ডাঁটটা উপরের দিকে। নীচে পড়ে গেলেই আবার ঠিক হয়ে যাবে।” আমি আশ্বাস দিলাম। আসল কথা হল আমি আঁকার সময় খাতাটা উলটা করে ধরেছিলাম। টীচারের যেই রাগী মূর্তি, সত্যি কথা বলার সাহস পেলাম না। যদি আমার ভুল টের পেয়ে মারধর শুরু করেন? সেজন্য মোটামুটি বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা দিলাম। টীচার বড়সড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।

এরপরের ঘটনা খুব ছোট। আমি ওই পরীক্ষায় ফেল করলাম। এরপর সেকেন্ড টার্ম এবং এ্যানুয়াল পরীক্ষা দিলাম। কিভাবে কিভাবে যেন ক্লাস ওয়ানে উঠেও গেলাম। কিন্তু ওই ছোট বয়সেই টের পেয়েছিলাম, গতানুগতিক পথের বাইরে চলতে গেলে কীভাবে আটকে দেয়া হয়। মাঝে মাঝে ভাবি রাইট ভাইদ্বয় কল্পনায় মানুষকে উড়তে দেখেছিল বলেই আজকের দিনে এরোপ্লেনে আমরা উড়োউড়ি করি। যদি তাদের ধমক দিয়ে বলা হত “কত বড় ফাজিল, মানুষের নাই ডানা তাকে আবার আকাশে উড়ায়! এক্ষুনি এসব ফাউল কল্পনা বাদ দাও।” তাহলে আমরা আজকে কোথায় থাকতাম! অবশ্য আমার মত নগন্য মানুষের নীল হাতি বা বেগুনী গোলাপ ফুলের স্বপ্নের সাথে এরোপ্লেনের স্বপ্ন ঠিক মিল খায় না! কোথায় রাইট ভাইরা আর কোথায় আমি! কোথায় চাঁদপুর কোথায় কুয়ালালামপুর! তবে স্বপ্ন তো স্বপ্নই, সেটা যেরকমই হোক।

A Tensed Week!

At last the sheep counting is over after keeping all of us in terrible tension for whole two months. I’ve already stated that my little sis has been appeared in SSC examination this year. It has been announced by the Education Board that the result will be published on June 26, that means yesterday. The whole last week we all are in tensed for what will be her result. To our relief by the grace of Almighty, she got A+ in all her subjects, which means her GPA is 5 out of 5. Thanks to Allah for her success. It was too much pleasure for us because she did what I couldn’t in my SSC exam.

In my time, my result didn’t meet my expectation, not even in a slighter chance. I was too shocked after the result that I left Chittagong and came to Dhaka for admitting in college, cause I couldn’t bear that result. I always wanted from my sis what I couldn’t. And now she made it. Thank you little sis.

If you’re reading this article please do me a favour. Just go to her blog and congratulate her for her success. I think she deserve this.

রুমমেট সমাচারঃ দ্বিতীয় প্রজন্ম

পাঠশালায় যখন সেকেন্ড ইয়ারে উঠলাম পুরোন বছরের সাথে সাথে নিজের রুমখানাও বদলে ফেললাম। ৫২২ নম্বর রুম থেকে আমার নতুন ঠাঁই হল ৫২১ এ। রুমটার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটা একেবারে বাথরুমের সাথে লাগোয়া। এতে একটা সুবিধা হয়েছিলো যে বাইরের সবাইকে বলে বেড়াতাম আমাদের রুমের সাথে একেবারে এটাচ্ড বাথরুম আছে! ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে আমাদেরকে প্রতি রুমে চারজন করে থাকতে হোত। সেকেন্ড ইয়ারে উঠার পর এক রুমে তিন জন থাকার পারমিশন পাওয়া গেল। সে হিসেবে ৫২১ এ চার জন ছিলো যাদের দুইজন সেকেন্ড ইয়ারের শুরুতেই অন্যরুমে চলে যায়। তাছাড়া আমারো সমস্যা হচ্ছিল, কারন ৫২২ এ আমার ডিপার্টমেন্টের কেবল মাত্র আমি ছিলাম। ফলে দেখা যেত আমাকে পরীক্ষার আগে প্রায়ই অন্যরুমে পড়া বুঝতে ছুটতে হত। তাই দিপু আর মিফতাহ যখন ওদের ৫২১ নম্বর রুমে আমাকে থাকার কথা বল্লো, একেবারে কোন কিছু চিন্তা না করেই রাজী হয়ে গেলাম। ভাগ্যিস হয়েছিলাম, নাহলে আমি আমার জীবনের খুব কাছের দুজন বন্ধুকে কখনোই পেতাম না।

ফাইনাল ইয়ারে আমরা তিনজন রুম পালটে তিন তলার ৩১৫ নম্বর রুমে চলে আসি। তার আগ পর্যন্ত বাথরুমের পাশের এই রুমটাতেই দুই বছর কাটিয়ে দেই। পাশে বাথরুম থাকাতে কখনোই কোন সমস্যা হয় নাই… কেবল মাত্র একবার ছাড়া, যেবার বাথরুমের টয়লেটগুলো ওভারফ্লো করেছিলো! আরেকটা ব্যাপার, কোন এক অজ্ঞাত কারনে প্রায়ই মাঝরাতের পর চামচিকা ঢুকে পড়ত আমাদের রুমে। এত রুম থাকতে আমাদের রুমেই কেন বারবার ঢুকত কে জানে?

এই রুমে আমার সাথী হল দিপু আর মিফতাহ। আমাদের ব্যাচ যতদিন পাঠশালায় ছিল ততদিন সম্ভবত সবচেয়ে দুই জনপ্রিয় চরিত্র ছিল এই দুইজন। এখনো সবাই একনামে এই দুজনকে চেনে। আমাদের তিনজনের মধ্যে প্রচুর মিল ছিলো। তিনজনই বকবক করতে পছন্দ করতাম। তিনজনেরই বাসা ছিল একই জায়গায়। আমাদের গ্রামের বাড়িও ছিল একই জেলায় – ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায়। আমাদের রুমের নামই হয়ে গিয়েছিলো বিবাড়ীয়া এক্সপ্রেস! বলতে ভুলে গেছি, আমাদের তিনজনই একই ল্যাব গ্রুপে ছিলাম।

মিফতাহ’র যে গুনটা সবচেয়ে বিখ্যাত ছিলো সেটা হলো, সে যেকোন ঘটনা এত দারুন করে বলতে পারত যে বোঝা মুশকিল সে ওই সময় ওই জায়গায় ছিলো কিনা কিংবা ওই ঘটনা আদৌ ঘটেছিলো কিনা। ব্যাপারটা কিছুটা চাপা মারার মত কিন্তু ঠিক চাপা না। তবে নিজের বাহাদুরির জন্য কখনো এসব বলত না। ও ছিল কিছুটা আরামপ্রিয়। সকালের ক্লাস গুলোতে ওকে তেমন একটা পাওয়া যেতনা, ঘুমের জন্য। তবে শনিবার ছিলো ব্যতিক্রম, কারন ওই দিন আমাদের পাঠশালার ভোজনখানার সকালের মেনু ছিল গরম গরম তেহেরি। অকাটমূর্খ ছাড়া ওই জিনিস কেউ মিস করেনা। ওর আরেকটা মহা গুণ হলো মাথায় একবার কিছু ঢুকলে অন্তত দুইদিন ওই জিনিস ছাড়া ও আর কিছু ভাবতে পারতোনা। তবে দুই দিন পর সব আবার আগের মত! একবার মাথায় চাপলো কবিতা লিখবে, ব্যস আর যায় কোথায়… খাতা -টাতা খুলে কবিতা লেখা শুরু করলো। তিনদিন পর মনে হল কবিতা লেখা পোষাবেনা, উপন্যাস লিখা দরকার… সাথে সাথে আরেকটা খাতার আগমন , এবার উপন্যাসের পালা! আরেকবার মাথায় চাপলো সকালে উঠে জগিং করবে, যেমন কথা তেমন কাজ, প্রতিদিন ভোরে শখের বিছানা ছেড়ে জগিং এর জন্য উঠত। এভাবে চললো প্রায় দুই দিন। তবে সবচেয়ে বেশিদিন যেটা টিকেছিলো সেটা হল দাবা খেলা। হঠাৎ বলা নাই কওয়া নাই কোথা থেকে এক দাবার বোর্ড জোগাড় করে নিয়ে আসলো। তারপর একে একে সবাইকে দাবার চ্যালেঞ্জ দিত। কেউ না চ্যালেঞ্জ না নিলে প্রায় জোর করে ধরে নিয়ে বসাতো দাবা খালানোর জন্য। মনে আছে, একবার রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমার চোখের সামনে যে দৃশ্য ছিল তা হল ও আর রায়হান গভীর চিন্তা মগ্ন হয়ে দাবা খেলছে। এ দেখতে দেখতেই আমি ঘুমিয়ে পড়ি। প্রায় ছয় ঘন্টা পর ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি একই দৃশ্য! ছয় ঘন্টা ধরে দুজনে দাবা খেলছে, তাও আবার পুরোরাত না ঘুমিয়ে! ফাইনাল ইয়ারে ওর পাঠশালার ভেতর সাইকেল চালানোর খুব শখ হল। সেই শখ মেটাতে ও ঢাকায় এসে সাইকেল কিনলো, সেটা কে ঢাকা টু গাজীপুর বাসের ছাদে তুলে সোজা পাঠশালায় নিয়ে আসলো। তবে ঐ বস্তু চালাতে গিয়ে আমার বেশ বাজে অভিজ্ঞতা চছে। পাঠশালায় আনার পর সেটা চালাতে গিয়ে আমি একেবারে রাস্তার উপর ধপাস্‌ করে ফ্ল্যাট!

এবার আসা যাক দিপুর কথায়। এই ছেলে আবার মিফতাহ’র মত না। মিফতাহকে যত সহজে বর্ণনা করা গেলো, একে আবার তত সহজে করা সম্ভব না। দিপুকে কোন ছাঁচে ফেলা মুশকিল। এই বান্দা’র পড়াশুনায় মাথা যথেষ্ট ভাল (যদিও সে কখনো ওর মাথার পঞ্চাশ পার্সেন্টও ব্যবহারকরে নাই)। ওর পড়াশুনার স্টাইল ছিল কিম্ভুত। মাঝে মধ্যেও বিছানায় এমনভাবে শুয়ে পড়াশুনা করত যে দেখে বোঝার উপায় নাই ও পড়ছে না ঘুমাচ্ছে! ওর পড়াশুনার প্রিয়জায়গা ছিল ওর টেবিল (চেয়ার না কিন্তু) যেটার উপর প্রায়ই সে একেবারে দুপা তুলে আসন করে বসতো। একবার দেখি ও বাথরুমে গিয়ে পড়ছে। জিজ্ঞেস করায় বললো ওর নাকি বাথরুমের নিশব্দতায় খুব ভালো পড়া হয়! প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার জন্য ও ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে ঘুমাতো। সকালে এলার্ম বেজেই চলত, কিন্তু ওর ঘুম থেকে উঠার সামান্যতম লক্ষণ দেখা যেতনা। আমাকে বা মিফতাহকেই সকালে সাধের বিছানা ছেড়ে ওই এলার্ম বন্ধ করতে হত! কোন রুমে একটু আড্ডার গন্ধ পেলেই হত, দিপু নিমিষেই সেখানে হাজির। যেকোন আড্ডায় ও ছিলো মধ্যমণি। ও যে কারো কথা বলার ধরন নিঁখুতভাবে নকল করতে পারতো। আমাদের তিনজনের মধ্যে একমাত্র দিপুই মূভি খুব একটা দেখতোনা (যদিও আমাদের মত খুব কার্টুন দেখত)। তবে ও ভোজন রসিক। বলতে দ্বিধা নাই ওর পাল্লায় পড়ে ফার্মগেটের ওভারব্রিজের তলায় বিসমিল্লা’র হালিম থেকে শুরু করে এলিফ্যান্ট রোডের মালঞ্চ বা ধানমন্ডির স্টারের বোরহানী কোন কিছুই বাদ দেইনাই। বন্ধুদের জন্য দেদারসে টাকা পয়সা খরচ করে ও। ওর মত রসিক মানুষও আমি খুব একটা দেখি নাই। যেকোন পরিস্থিতিতে যে কাউকে হাসানোর ক্ষমতা একমাত্র ওরই আছে। স্বিদ্ধান্ত দিতে ওর কম সময় লাগতো আবার সেটা বদলাতেও বেশি সময় লাগতনা। সেকেন্ড ইয়ারের একটা ঘটনা, মিড সেমিস্টার পরীক্ষা ওর ভাল হয়নি, মন খুব খারাপ। প্রতিদিন পরীক্ষা দিয়ে, ও আমাদের পূরো রুমে বিভিন্ন স্লোগান লিখে পোস্টারিং করে ফেললো। পোস্টারের ভাষাও দেখার মত, একেটাতে একেক ধরনের লেখা। ।কোনটা উৎসাহমূলক -“এইবার পড়তে হবে”, “কোন সাব্জেক্টকে ছাড়ন নাই”, “এই পরীক্ষা তো পরীক্ষা নয় আরো পরীক্ষা আছে, এই পরীক্ষারে নিব আমি সেই পরীক্ষারও কাছে”; আবার কোনটা হয়ত তিরস্কারমূলক -“দিপু, এইবার না পড়লে তোরে খাইসি”, “ফাউল কামে আর কত, এইবার পড়ায় মন দাও”। ভয়ের ব্যাপার, অবস্থা তো বেগতিক। আমরা ভাবলাম ছেলে না আবার পরে পরীক্ষার দুঃখে অন্যকিছু করে বসে। এক সময় পরীক্ষা শেষ হল। খাতা দেয়া যখন শুরু হল তখন দেখা গেল ও যত খারাপ খারাপ করবে ভেবেছিলো আসলে তত খারাপ হয়নাই পরীক্ষা। পরীক্ষা যখন খারাপ হয়নাই তাহলে পোস্টারের দরকার কী! একটা একটা করে সাব্জেক্টের খাতা দেয়া হতে থাকল আর আমাদের রুম থেকেও পোস্টার কমতে থাকলো। একসময় দেখা গেলো সব পোস্টারই হাওয়া হয়ে গেছে!

পাঠশালার শেষ দিনটি পর্যন্ত আমরা একসাথে ছিলাম। হোস্টেলে অনেক রুমে রুম্মেটদের মধ্যে ঝগড়া এমনকি মারামারিও পর্যন্ত দেখেছি। কত রুমে রুম্মেটদের মাঝে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের নাটক দেখেছি। কিন্তু আমাদের তিনজনের মধ্যে কখনো এক মুহূর্তের জন্যও কোন ঘাপলা হয়নি। তিন বছরের মধ্যে বরং আমাদের বন্ধুত্ব আরো মজবুত হয়েছে, যেটা এখনো হয়ে চলেছে। আমার রুম্মেট ভাগ্য আসলেই ঈর্ষা করার মত।

Kung Fu Panda with Firefox3

Well it’s not like that Kung Fu Panda was released with Firefox3! It’s my weekend that came with Kung Fu Panda and Firefox3. So the heading should be “My Weekend: Kung Fu Panda with Firefox3”. But… well… I couldn’t resist myself to do that joke! 😀

At last I’ve watched it! Yeap… I am talking about the animation movie Kung Fu Panda. I’ve been waiting for it. And this waiting was over in this weekend. Actually I always waiting for a good quality DVD print. But my little sis could not bear the awaiting any more and she bought it (and of course with my money) though the screen quality of the DVD was poor. The film is surely worth watching. The film is about panda named Po, who dreams to be a kung fu warrior. Only problem is his bulky body which creates the barrier to become a warrior. But things changed when he was accidentally picked up as the Dragon Warrior by the Tortoise Master Oogway (though Oogway continuosly claimed that choosing Po was not any accident). When Po became the Dragon Warrior, it was obvious that he have to face the evil snow leopard warrior Tai Lung, the former student of Master Shifu. Now it’s Pos’ responsibility to defeat him. But one little proble: Po doesn’t khnow the Kung Fu! I was stunned by the opening of this film. It opens with a hand drawn 2D animated sequence which resembles to Samurai Jack. Traditional Dreamworks opening was also changed!

Another surprise for me in this weekend was the Firefox 3. I’ve been a fan of FF for a long time. FF2 was great for using over the IE7. When I was introduced with Opera and Firefox, I barely used IE since then. Though IE7 has some good features which were not included in FF2, I liked FF2 because of it’s ease of use. And now it launches the version 3. First impression after opening the FF3 was just “WOW!”. A cool interface with all buttons in appropriate palces. I’ve not used it so much yet, so can’t discuss all the new features. But one thing amused me, FF3 can zoom the page with text and pictures together.

Well… a pretty good weekend, huh? An worth watching movie and the new upgradation of the best browser in the world.

Aabjaab: My New (Bangla) Blog

I’ve just created another blog. It’s another personal blog of mine. I’ve already have one, why the hell I created another one? Actually it is more likely a memory storage than a blog. I’ve a very simple life (who knows me will agree in this point). But when I saw them back they seem to be the golden days of my tiny life. So why don’t I share them with others? Memories are sweet. They are sweeter when they are reminisced. Bur they are even sweetest when they are shared with others. And this thought allured me to create this blog.

This time I’ve chosen Blogspot for publishing it. Why Blogspot? First – unlike WordPress it allows any templates for using in blog. Secondly (the most important) – I need a URL containing my favorite nick “maqtanim”. This blog is written in Bangla. Because I find it more comfortable to write my past memories in Bangla. No language favors me so much like Bangla to express my exact feelings.

I always prefer WordPress for blogging as it is easy to use and it has some really breathtaking premium themes. Personally I liked Brian Gardner‘s template. But as WordPress doesn’t allow editing CSS layout (in free of cost) in their DOT COM version, I had no chance to use Brian’s marvelous themes in my WordPress blog. Recently I got the XML code of the Revolution Theme (one of the Brian’s Finest creation for wordpress) for Blogger and it took me thinking why I am not using this theme in Blogspot? I’ve polished the CSS layout as my requirements. And… well … I did what I’ve thought. And now the site is up!

I was puzzled to give it a proper name. Then I named it as “Aabjaab”. I saw this word in a book written by Ahsan Habib. Ahsan Habib is a leading cartoonist and the editor of Unmad, the only satire magazine of Bangladesh. What does Aabjaab means? It means totally scrap or trash! I don’t think my life is that much interesting that I can write it in a literary way like the famous writers (actually I am not a writer, not in a slightest chance 😀 ). Which means all my stuffs are just no more than junk!

Enough talking. Now just go to my new blog and give me your feed back. I am eagerly waiting for the first comment in my new blog.

A Hard Week and A Penguine!

I am writing this post after almost 10 days. A long gap indeed. I was terribly busy with something or you can say nothing! What are those something-nothing stuffs? I’ve just created personal blogs for myself and for my little sister. Another personal blogs? This time the new blog is my Bangla blog, written all through in Bangla. Just take a look at my new blog. I’ve also created another blog for my little sister (she is new in blogosphere). Well, that task was not that much simple. As Blogger gives the opportunity to edit the CSS layout, I took that chance for both of the blogs (though I don’t know CSS that much). I’ve searched the net for appropriate templates. When I finally got them, I found that those templates were not working perfectly and they need some modifications. So be it! I took the templates and modified them according to my own choice. And they have been finished!

An unbearable incident happened within this time too. I got a terrible shock when I found out one of my close person as an impostor. What will be happened to you if you found that your faithful friend was just playing with your faith? The feelings can’t be portrayed. Not only me, he conned other persons of my close circle too! No one have ever been cheated me in such a way in my entire life as he did. Just a shock, a terribly blow for me. To make it worst the incident spread out to almost everyone I know by the grace of internet! Imagine the situation, everyone is contacting me to know whether he is fraud or not. Horrible situation! This incident also causing my delay in writing post to my blog. I pray to Almighty that no one would ever go through this type of situation.

This week I watched a new movie for which I’ve been waiting for months. As in Bangladesh, we have no scope to watch Hollywood’s movies in theater, we used to buy DVDs. But all DVDs don’t have the good quality. So for collecting a better quality of DVD, we sometimes wait for several months after the theatrical release of a movie. I bought the DVD this week. The movie is Dr. Seuss’s Horton Hears a Who! Two of my favorite actors are in the leading roles- Jim Carrey and Steve Carell. The movie is worth enjoying. If you are an animation movie lover and did not seen it yet, then I’ve one word for you – “Poor chap”! And I am waiting for other five movies: fourth installment of Indiana Jones, Ironman, Kungfu Panda, Speed Racer and Get Smart.

And here comes the penguin. Actually it has no relation with the above incidents. I got a flash game link from Ishmeet’s blog. And from that I am playing this game whenever I am connected to net. This game is about penguins. I’ve scored 320.3 and this is my best score till now. Here is a screen shot of the score at the end of this post. It becomes an addiction for me. I am trying to get rid of it (I’ve not played it from yesterday to till now).

রুমমেট সমাচারঃ প্রথম প্রজন্ম

আইইউটিতে যখন প্রথম গেলাম তেমন কাউকেই তখন চিনিনা। নটরডেমের কয়েকজন পরিচিত বন্ধু ছিল… এইযা। এদিকে বাসায় আম্মু চিন্তায় অস্থির! ছেলে প্রথমবারের মত হোস্টেলে থাকতে যাচ্ছে, রুমমেট হিসেবে কারা পড়ে, ওদের পাল্লায় পড়ে ছেলে আবার উচ্ছন্নে যায় কিনা – এইরকম হাজারো চিন্তা! অন্যদিকে আবার বিভিন্ন পরিচিত মানুষজন হোস্টেলে থাকলে ছেলেপেলে কিরকম খারাপ হয় তার একেরপর এক উদাহরন দিয়ে যাচ্ছে রাতদিন।

যাই হোক সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আমার ঠাঁই হলো সাউথ হলের ৫২২ নম্বর রুমে। এই লেখার শুরুতে “প্রথম প্রজন্ম” কথাটা লিখলাম এই কারনে যে আইইউটি জীবনে আমি রুম বদলেছি মোট তিনবার আর রুমমেট পেয়েছি টোটাল দুই সেট। আইইউটিতে প্রথম বছরে আমার প্রথম রুম আর প্রথম রুমমেটদের নিয়ে এই লেখাটা। দ্বিতীয় প্রজন্মের রুমমেটদের কাহিনী আসছে পরের লেখায়।

প্রথম যার কথায় আসছি সে মানুষ হিসেবে ছিলো একদম সাদাসিধা আর মেধাবী। কলেজ লাইফ থেকেই ওকে চিনতাম। ভদ্র শান্তশিষ্ট মানুষ। সহজে কারও উপরে রাগ করেনা। সারাক্ষন ওর পড়া নিয়ে থাকে। একদম সাধারন একটা মানুষ বলতে যা বুঝায়। ও ছিলো সিআইটিতে। প্রায়ই দেখা যেত পরীক্ষার আগের রাতে ওর কাছে ছেলেপেলের ভীড় লেগে যেত। ভাল স্টুডেন্টদের লাইফ যেমন হয় আরকি! নিজের পড়ার খবর নাই, অন্যদের পড়িয়েই রাত কাবার। অবশ্য এখনো ও অন্যদের পড়ায় মানে পাঠশালায় (আইইউটি) টিচারগিরি করে। আরেকজন যে ছিলো সেও নটরডেমে আমার সাথে একই গ্রুপে ছিলো। তবে ওর আসল নাম জেনেছি আইইউটিতে আসার পর। নটরডেমে সবাই ওকে ডেঙ্গু নামে চিনতো। এই নামেরও এক ইতিহাস আছে। কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে থাকতেই ওর ডেঙ্গু হয় আর ডেঙ্গু জ্বর তখন সবেমাত্র বাংলাদেশে আমদানী হয়েছে। তো বেচারা First Come First Serve অবস্থায় পড়ে গেলো। সম্ভবত ওই ছিলো নটরডেমে প্রথম ডেঙ্গু ধরা পাবলিক। সেই থেকে ওর নাম ছিল “ডেঙ্গু”। তো এই ডেঙ্গু প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে মশারির ভিতর কিসব বিদঘুঁটে সব শব্দ করে ঘুমাতে যেত। মোটামুটি যখন ওই শব্দের সাথে মানিয়ে নিয়েছি তখন একদিন শুনি ও বুয়েটে চলে যাচ্ছে। ও আমাদের সাথে ছিলো প্রায় দুই সপ্তাহ। ৫২২ নম্বর রুম থেকে ডেঙ্গু বিদায় নেবার পর ওর জায়গায় আসলো এক দার্শনিক। এই দার্শনিকের কথায় একটু পরে আসছি। তার আগে আরেক রুমমেটের সাথে পরিচয় করানো দরকার।

এই বান্দা ছিলো আমাদের তুলনায় বিশালদেহী। গলার আওয়াজও ছিলো মাশাল্লাহ… ওই গলার আওয়াজ ছাপিয়ে কথা বলা আর বাংলাদেশ রেলওয়ের চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনের ছাদে বসে ফোনে কথা বলা প্রায় একই জিনিস। সত্যি বলতে কি ও রুমে ছিল বলে আমাদের বেশ সাহস লাগতো। একদিনের ঘটনা। তখন বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলছিলো। স্টুডেন্ট সেন্টারে ভীড়ের ঠেলায় ঢোকাই যেতনা! এদিকে আবার দুইটা টেলিভিশনই স্টুডেন্ট সেন্টারে। আমার ‘দশাসই’ রুমমেট তখন বিশ্বকাপ মহামারিতে চরমভাবে আক্রান্ত। ঝোকের চোটে নিজের বাসা থেকে টেলিভিশন নিয়ে আসলো সে। সেটা রাখা হলো আমাদের রুমে। কেবল মাত্র আমাদের চারজনের ওই টিভিতে খেলা দেখার কথা থাকলেও মোটামুটি আমাদের ইয়ারের সবাই চলে আসতো খেলা দেখতে। সবার সাথে আমার এই রুমমেটের ভাল ভাব থাকলেও কয়েকজনের সাথে খিটমিট ছিলো। তো দেখা গেলো এক সন্ধ্যায় খেলা দেখতে সেসব খিটমিটদের একজনের আমাদের রুমে আগমন। একে দেখেই ‘দশাসই’ এত ক্ষেপে গেল যে ওর গলার আওয়াজ শুনে নীচতলা থেকে সিনিয়র ভাইরা সব ছুটে উপরে এল কী হয়েছে তা দেখতে! এই বান্দা আবার মাঝে মাঝে ঘুমের মাঝে নাকে হাল্কা হিমেশ রেশামিয়া টাইপ সুর তুলতো। ওর সুরে তেমন জোর ছিলোনা (এইটা অবশ্য জেনেছি আসল হিমেশের ‘নাক’ শোনার পর!) অনেকটা মশার পিনপিন শব্দ। এবার আসি দার্শনিকের কথায়। এই দার্শনিক আমাদের রুমে আসলো ‘ডেঙ্গু’ বিদায় নেবার পর। ‘ডেঙ্গু’ বিদায় হবার সময় ওর যাবতীয় সম্বল (লেপ, তোষক, বালিশ, বিছানার চাদর এইসব হাবিজাবি যা ও আমাদের পাঠশালা থেকে নিয়েছিল) ফেরৎ দিয়ে দিলো। ফলে আমাদের রুমটাতে চারটা খাটের মধ্যে একটাকে পুরোপুরি জীর্ণ মনে হচ্ছিলো। সেদিন ক্লাস থেকে ফিরে এসে দেখি সেই জীর্ণ খাটে একটা তোষক আর দুইটা বালিশ পড়ে আছে। হাতমুখ ধুয়ে এসে দেখি তোষকের উপর বিছানার চাদর, লেপ, কম্বল এইসব পড়ে আছে। ব্যাপার কী! ‘ডেঙ্গু’ ফিরে এল নাকি! ব্যাপারটা পরিষ্কার হল যখন আমি বাথরুম থেকে গোসল সেরে রুমে ফিরলাম তখন। এসে দেখি সেই জীর্ণ খাট তার দৈন্য চেহারা থেকে একেবারে সুপুরুষ হয়ে গেছে, আর সেই খাটের উপর পা ঝুলিয়ে বসে আছে আরেক পুরুষ, মানে সেই দার্শনিক পুরুষ আরকি! সেই থেকে দার্শনিকের ৫২২ এ থাকা শুরু। এই দার্শনিক সবসময় ভাবুক মনে কেবল কী যেন চিন্তা করে। প্রায়ই সময় সে খালি গায়ে লুঙ্গি পড়ে ওর বিছানায় পা ছড়িয়ে বসে হাতে কলম নিয়ে খেলা করতো আর জানালা দিয়ে তাকিয়ে কী যেন ভাবতো। তো দেখা যেত যে এই দার্শনিকের কাছে প্রায় সব কিছুরই একটা উত্তর থাকত, সেটা পড়াশুনা নিয়েই হোক অথবা ভবিষ্যৎ জীবন। যেকোন কথা শুনে সে একটা সূক্ষ্ম হাসি দিত। হাসিটা বেশ বিভ্রান্তিকর ছিল, ছোট বাচ্চাদের অর্থহীন কথা শুনলে বড়রা যেমন হাসি দেয় অনেকটা সেরকম। তবে পড়ালেখায় ছেলের মাথা ভালো ছিল। আমার সন্দেহ ছিলো ও বুঝি মাঝে মাঝে কবিতা টবিতা লিখতো (যদিও কখনো প্রমান পাই নাই)। পুরো ২০০৩ সাল আমি ৫২২ নম্বর রুমে এই তিনজনের সাথে ছিলাম। সত্যি বলতে কি বেশ ভাল ছিলাম। ওই তিনজন রুমমেট হিসেবে খুবই দারুন ছিল। ২০০৩ এর শেষ দিকে সেকেন্ড ইয়ারের শুরুতে আমি ৫২২ ছেড়ে ৫২১ এ আসি। রুম বদলাবার কারন অবশ্য অন্য। ৫২২ এ একমাত্র আমিই ছিলাম ইলেক্ট্রিক্যালের ছাত্র। তাই দেখা যেত পরীক্ষার বেশ ঝামেলায় পড়তে হত। তাই এমন একটা রুম চাচ্ছিলাম যেখানে আমি আমার ডিপার্টমেন্টের কাউকে রুমমেট হিসেবে পাব। এ কারনেই আমার ৫২২ ছেড়ে ৫২১ এ আসা।

Joke: Dialogs between a Boy and a Girl

Before the marriage, when the boy proposed the girl to marry him:

Girl: At last you asked me.
Boy: Will you leave me?
Girl: Definitely not. Don’t worry about that.
Boy: Do you love me?
Girl: Definitely, for the rest of my life.
Boy: Will you ever bluff me?
Girl: Never. How could you imagine that?
Boy: Will you hold my hand?
Girl: Obviously I’ll do that as many times I get the chances.
Boy: Will you ever hurt me?
Girl: Are you crazy? I am not that kind.
Boy: Can I believe you?
Girl: Yes.
Boy: My Sweetheart!

If you curious about the dialog after marriage then just read the whole script upward (from down to top)