Blog

আমি যে কারণে উবি ব্যবহার করতে অনুৎসাহিত করি…

নতুন উবুন্টু ব্যবহারকারীদের মধ্যে উবুন্টু ইন্সটলের জন্য উবি খুবই জনপ্রিয়। উবি হচ্ছে উবুন্টুর একটি ইন্সটলার, যেটার মূল কাজ হচ্ছে উইন্ডোজের ভেতরে থেকেই উবুন্টু ইন্সটল করে ফেলা। নতুন একটা অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করতে যা যা করতে হয় সেগুলোর কিছুই করতে হয়না অর্থাৎ বায়োসে গিয়ে বুট প্রায়োরিটি সিলেক্ট করার দরকার নেই, হার্ডডিস্ক পার্টিশন করার ও দরকার নেই। কেবল উইন্ডোজের যেকোনো সফটওয়ারের মত করে উবুন্টুকে ইন্সটল করা যায়, ঠিক যেভাবে ভিএলসি বা উইনএ্যাম্প ইন্সটল করা হয়। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে যে এভাবে ইন্সটল করা উবুন্টু অন্যান্য সফটওয়ারের মত উইন্ডোজের এ্যাড/রিমুভ সফটওয়ার থেকে পুরোপুরি আনইন্সটলও করা যায়। নতুন ব্যবহারকারিদের জন্য তাই উবি দিয়ে উবুন্টু ইন্সটল করাটা খুব একটা সহজ ব্যাপার। এতে সময়ও বাঁচে আবার পার্টিশন করার কাজ করতে হয়না। ফলে উবুন্টু ইন্সটলের জন্য অনেকেই এখন উবি ব্যবহার করছে।

Continue reading আমি যে কারণে উবি ব্যবহার করতে অনুৎসাহিত করি…

Lucid Lynx: Mockup

Well… Everybody in the Ubuntu world is pretty much excited about the new design of upcoming Lucid Lynx. Lots of discussion is going on. Some says the new design is pretty Macish, some are in opposition of putting the maximize-minimize-close buttons in the left corner, some says the button chronology should be in a way so that the close button should be in the either corners, and so on. Lots of propositions are taking places. So why shouldn’t I propose something? Who knows, may be Canonical will find something important from my design! (If they dare to choose mine 😀 )

Here goes my (insane!) proposal. Look at the following window of  newly designed Lucid Lynx.

I’ve just put the maximize-minimize-close buttons at the bottom! Well, Mac has their button at the upper left and Windows has in the upper right. So by following on of the architecture implies that Ubuntu doesn’t have anything of its own! Here goes the identity of Ubuntu. Again in case of usability, when we scroll the window, it is always in the direction of top to bottom. So When we reach at the bottom, we move our cursor again to the top to close (or maximize or minimize) the window. Isn’t it be easier to perform those tasks by not moving the cursor to a 180 degree opposite direction? I think so. And it would be a pretty easy method to perform those tasks. Though it needs some practice.

At the upper left corner a logo of the program can be placed, and the title can be placed at the centre of  title bar. May be a click on the logo will show a text menu of maximize-minimize-close-move-etc.

So what do you think? Don’t hesitate to tell me, How insane is this design! 😉

Are you an open source user? Then you are a pirate!

I’ve just read an interesting article in the Guardian, which states that a US lobby group is trying to get the US government to consider open source as the equivalent to piracy. That means, to that well suited “moron” group, the open source free community is actually a large group of pirates!

Countries like Indonesia, Brazil and India is asked to be considered for the “Special 301 watchlist” by International Intellectual Property Alliance (IIPA), because they use open source software. So what on earth is “Special 301“? According to Guardian’s Bobbie Johnson it is:

a report that examines the ‘adequacy and effectiveness of intellectual property rights’ around the planet – effectively the list of countries that the US government considers enemies of capitalism. It often gets wheeled out as a form of trading pressure – often around pharmaceuticals and counterfeited goods – to try and force governments to change their behaviours.

Continue reading Are you an open source user? Then you are a pirate!

রিদমবক্স যখন বাংলা অনলাইন রেডিও

ইদানিং দেশে বাংলা অনলাইন রেডিও উৎপাত বেশ বেড়ে গিয়েছে। বেশিরভাগগুলোতেই গান প্রচার করা হয়। তবে অনলাইন রেডিও শোনার সমস্যা একটাই – রেডিওর সাইটে গিয়ে ওদের প্লেয়ারে গান শুনতে হয়। কেমন হয় যদি সবগুলো রেডিওকে একটা প্লেয়ারের মধ্যে বন্দী করে ফেলা যায়? সাধারন প্লেলিস্টের মত একেকটা রেডিও থাকবে আর খালি মাউসের একটা ক্লিকেই পাল্টে যাবে রেডিও স্টেশন! এই কাজটা খুব সহজেই করা যায় রিদমব্ক্সে। [অন্যান্য প্লেয়ারেও করা যায়, যেহেতু উবুন্টুর সাথে রিদমবক্স ডিফল্ট হিসেবে আসে সেজন্য এখানে এটাকেই ব্যবহার করা হল।]

ওয়েবসাইটের ঠিকানা আর রেডিও স্টেশনের ঠিকানাঃ

একটা অনলাইন রেডিওর ওয়েবসাইটের ইউআরএল আর স্টেশনের (বা ব্রডকাস্ট) ইউআরএল কিন্তু দুটো ভিন্ন জিনিস। রিদমবক্সে রেডিও স্টেশন সেভ করতে হলে স্টেশনের ইউআরএল দরকার। স্টেশনের ইউআরএল সাধারনত যে সাইটে প্লেয়ার দিয়ে গান চলতে থাকে সে সাইটেই পাওয়া যায়। আমি ফায়ারফক্সে অডিও ভিডিও চালানোর জন্য MPlayer প্লাগিন ব্যবহার করি। এই প্লাগিনের আরেকটা সুবিধা হল এই প্লাগিন দিয়ে চালু হওয়া যেকোন ওয়েব প্লেয়ারে মাউস পয়েন্টার রেখে রাইট ক্লিক করলে তার স্টেশনের ইউআরএল পাওয়া সম্ভব। নিচের ছবিটি দেখুনঃ
Continue reading রিদমবক্স যখন বাংলা অনলাইন রেডিও

Block Google Buzz updates from your Gmail inbox

Probably you already heard of Google Buzz. It’s the new twitter, actually it is more than twitter. Moreover it is integrated with Gmail inbox! That means you don’t need a separate signing up or signing in to access Google Buzz. Once you sign in to your Gmail inbox and voilà… it is there! The one irritating problem is that every time any one buzz you, that will be stored in your inbox (just like the facebook or other social site’s notifications). Though there is no direct option to disable the buzzes for avoiding your inbox to be flooded but… don’t worry… you can still block those buzzes from pouring your inbox. Or even you can turn off all the buzzes altogether from Inbox and from Buzz.

Block buzz from the Inbox

1. Open your Gmail and click on the Settings from the upper right corner.

2. Select Filters, then click on Create a new filter.

3. Now you’ll find a field named Has the words. In the text field write is:buzz.

Continue reading Block Google Buzz updates from your Gmail inbox

These are the reasons why I am promoting Ubuntu!

Recently I am trying to inspire people to use Ubuntu; more and more. And the people often amazed why on the earth I am doing this? What is my benefit? Am I paid? Too many questions! But wait… I am here to answer them all, at least I can try!

Firstly: Canonical, the company behind this wonderful operating system, distributes Ubuntu for free, like free beer. I am using that one in my PC for free and Canonical doesn’t expect me to repay any cost. But I should repay, as Canonical gives me an wonderful opportunity to use one of the world’s best operating system for free. So I am promoting Ubuntu to others as a way of repaying.

Secondly: Lots of people in Bangladesh are using pirated software. They even have no idea what does pirated software means. Any software in Bangladesh is available for less than a dollar! And people think this is the only way to buy software. This fact turns Bangladesh into the second most pirated software using country. As a Bangladeshi I think this is my responsibility to aware people about the piracy. Bangladesh is a poor country, people can’t afford to buy the genuine software. So the alternative way for them to use Free Software. Among the Free Operating System, I found Ubuntu as a very user friendly. That’s why I am promoting Ubuntu to my country men.

Thirdly: When I see people around me dealing with Viruses, Crashes, Defragmentations, Windows Re-installations etc, I really pity for them. Everyday they are facing trouble using their PC. To some people in Bangladesh, installing Windows in every week is a routine work! To make their life smooth I suggest them to use Ubuntu, which is more stable, more secure and ofcourse ease-of-use.

Fourthly: Well… I am not completely selfless. I have my own issue in promoting Ubntu. It is difficult to be a different. Everybody around me is using Windows and I am using Ubuntu. So if I need to send any one a document, I’ve to convert that from .odt to .doc, as they are not using OpenOffice. And there are more example like that. If all were using Ubuntu then I don’t have to think about file compatibility or other issues. Also I would find lots of helping hands if I were in any problem with Ubuntu.

Yeap… that’s all.

একটি ননটেকি পোস্টঃ আমি কেন উবুন্টু নিয়ে লাফালাফি করি

ইদানিং আমি লিনাক্স; আরো সূক্ষ্ম করে বললে উবুন্টু নিয়ে বেশ মাতামাতি করছি। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করি উবুন্টু প্রচার করতে। এই প্রচার করতে গিয়েই টের পেলাম লোকজনের মধ্যে কিছু জিজ্ঞাসা বারবার ঘুরে ফিরে আসে- কেন আমি উবুন্টুর প্রচার করি? উবুন্টু কি আমাকে এজন্য পয়সা দেয়? যদি পয়সা না দেয় তাহলে এভাবে প্রচার করে আমার কি লাভ? মজার ব্যাপার হচ্ছে এই প্রশ্নগুলো কিন্তু কোন লিনাক্স ব্যবহারকারীর মনে আসেনা। যারা উইন্ডোজ বা মাইক্রসফটের পণ্য ব্যবহার করে তাদের মনেই প্রশ্নটা আসে। এইবার নিশ্চয়ই ধাক্কা খেলেন! “যারা উইন্ডোজ বা মাইক্রোসফটের পণ্য ব্যবহার করে” – এর মানে কি? সবাইতো উইন্ডোজ ব্যবহার করে! নাহ, সবাই উইন্ডোজ ব্যবহার করেনা; এই যেমন আমি! আমি উইন্ডোজ ব্যবহার করিনা, বাসার ডেস্কটপেও না, নিজের ল্যাপটপেও না। আর আমার মত এরকম আরো অনেকেই আছেন। আর এ সংখ্যাটা কিন্তু দিন দিন বেড়েই চলেছে।

যাইহোক এবার উবুন্টু নিয়ে মাতামাতি করার কারনগুলো বলি।

প্রথমতঃ ক্যানোনিকাল হচ্ছে সেই কম্পানি যারা উবুন্টু নামের অপারেটিং সিস্টেমটা তৈরি করে, তারপর বিনামূল্যে সেটা সবাইকে বিতরণও করে। গুণে-মানে উবুন্টু উইন্ডোজ থেকে অনেক উন্নত, এটা শুধু আমার মতামত না যারা কম্পিউটার জিনিসটার কাজের ব্যাপার স্যাপারগুলো বুঝেন তারাও একবাক্যে একথা স্বীকার করেন। এখন একটা কম্পানি আমাকে বিনাপয়সায় একটা উন্নত অপারেটিং সিস্টেম দিচ্ছে, আমি সেটা ব্যবহারও করছি। বিনিময়ে আমারও তো কিছু দেয়া উচিত। এই বিনিময়টাই আমি দেই উবুন্টুর প্রচার আর প্রসার করে। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম- বিনাপয়সায় উবুন্টু দিয়ে ক্যানোনিকাল আমার স্বার্থ দেখছে আর আমি উবুন্টুর প্রচার করে ক্যানোনিকালের স্বার্থ দেখছি। যে আমার স্বার্থ দেখে তার স্বার্থ তো আমাকে দেখতেই হবে নাকি!

দ্বিতীয়তঃ পাইরেসি একটা বিশাল সমস্যা বাংলাদেশে। আমরা যেই চল্লিশ টাকার উইন্ডোজের সিডি কিনি, সেই সিডিটার আসল দাম কত জানেন? প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা। আমরা যে কথায় কথায় ফটোশপ বা ইলস্ট্রেটর নিজেদের পিসিতে ইন্সটল করে ফেলি সেগুলোর দাম হচ্ছে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার মত। মাইক্রোসফট অফিসের দামও কিন্তু প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার মত। তাহলে চিন্তা করুন তো এই যে আমরা চল্লিশ টাকা দিয়ে যেই সিডি/ডিভিডিগুলো কিনছি সেটার আসল মূল্য আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা যেগুলো কিনছি সেগুলো আসলে চোরাই কপি। আমরা চোরাই মোবাইল ফোন কিনিনা, চোরাই গাড়ি কিনিনা কিন্তু চোরাই সফটওয়্যার ঠিকই কিনছি। এমনও অনেকে আছেন যারা পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়েন, আল্লাহভীরু মানুষ, কিন্তু ব্যবহার করার সময় ঠিকই চোরাই সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন। চোরাই জিনিস কিনে কি আমরা একজন চোরের সমান অপরাধ করছিনা? উপরন্তু টাকা দিয়ে কিনে আবার চোরকে উৎসাহ দিচ্ছি আরো সফটওয়্যার চুরি করার জন্য। এতে করে দেশের কম্পিউটার দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে চুরির জিনিস বিক্রি হচ্ছে, আর বেশি খোলামেলা হবার কারনে এটা যে বিশাল একটা অপরাধ সেটাও লোকজন টের পাচ্ছেনা (অথবা বুঝেও না বোঝার ভান করছে)। ফলাফলস্বরূপ বাংলাদেশ সফটওয়্যার পাইরেসিতে দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে, যেখানে পাশের দেশ ভারতের অবস্থান একচল্লিশতম।এটাতো দেশের প্রতি একধরনের অপমান। নিজের দেশের অপমান কার কাছেই বা ভালো লাগে? তাই যত বেশি উবুন্টু (বা লিনাক্স) ব্যবহার করা হবে ততই আমাদের উপর থেকে চোরের খেতাব সরে যেতে থাকবে। একজন বাংলাদেশী হিসেবে দেশের নাম উজ্জ্বল করাকে আমি নিজের অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে দেখি। সেজন্যই লোকজনকে পাইরেসি বাদ দিয়ে ওপেনসোর্স সফটওয়ারের দিকে আসার আহবান জানাই।

তৃতীয়তঃ ভাইরাস, সিস্টেম ক্র্যাশ, রিইন্সটলেশন, ডিফ্র্যাগমেন্ট – এইসব কঠিন কঠিন (!) শব্দগুলো উইন্ডোজের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। অথচ উবুন্টুতে এগুলোর কোনটাই নাই। তাই যখন দেখি যে আমার আশপাশে লোকজন এইসব ঝামেলাকে অবলম্বন করেই অসহায়ের মত কম্পিউটার জিনিসটা চালায়, তখন নিজের কাছেই খুব খারাপ লাগে। আমি নিজে কত সুন্দর ঝামেলাহীনভাবে পিসি চালাচ্ছি, অথচ অন্যরা কত কষ্ট করছে! প্রতিনিয়ত তারা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করছে, হরহামেশা সিস্টেম ক্র্যাশ করে নীল রংয়ের স্ক্রিন আসছে, রুটিন করে উইন্ডোজ রিইন্সটল করছে। ফলে নিজে থেকেই তাদের বোঝাই যে এইসব কঠিন কঠিন শব্দগুলো ছাড়াও কম্পিউটার চালানো যায়। আর সেই কম্পিউটারও খুব ভালোভাবেই চলবে। তবে সেজন্য উইন্ডোজ বাদ দিয়ে উবুন্টু ইন্সটল করতে হবে। শুধুমাত্র যেচে এসে পরোপকার করার জন্যই তাদের কাছে আমি উবুন্টুর কথা প্রচার করি। এটা বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যাপার!

চতুর্থতঃ আমার নিজেরও কিছু স্বার্থ আছে। যত বেশি মানুষ উবুন্টু ব্যবহার করবে আমার নিজেরও ততবেশি সুবিধা হবে সবার সাথে সব কিছু শেয়ার করতে। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেইঃ উইন্ডোজে যেমন এমএস অফিস সেরকম উবুন্টুতে আছে ওপেন অফিস। এমএস অফিসের .doc ফরম্যাট যেমন ঠিক সেরকম ওপেন অফিসে .odt ফরম্যাট। কিন্তু কাউকে কিছু লেখা পাঠাতে হলে আমাকে সেই .odt কে ওপেন অফিসেই .doc তে কনভার্ট করে পাঠাতে হয়, কারন সেই লোক উইন্ডোজ ব্যবহার করে। যাকে পাঠাচ্ছি সে যদি উবুন্টু ব্যবহার করত তাহলে আমাকে এই কষ্টটা করতে হতনা! তাছাড়া বেশি বেশি লোক উবুন্টু ব্যবহার করলে যেকোন সমস্যায় সাহায্য পাওয়া সম্ভব হবে। তাই এক্ষেত্রে নিজের কিছু স্বার্থও কাজ করে।

শুরুর প্রশ্নগুলোর উত্তর কি পেয়েছেন? আশার কথা হচ্ছে বাংলাদেশে উবুন্টু আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে সেটা খুবই ধীরে। সেজন্য প্রক্রিয়াটা সেভাবে চোখে পড়ছেনা। আমার প্রচারণায যদি এই প্রক্রিয়াটা আরেকটু তরান্বিত হয় তাহলে তো উপরি লাভ। এটা হয়তো বিশাল সাগরে এক বালতি পানি দেবার মত, স্থূলভাবে বোঝা না গেলেও সূক্ষ্মভাবে বোঝা যায়।