রঙ্গীন দুনিয়া – ৬

কোরবানীর ঈদ

দ্বিতীয়বারের মত দেশের বাইরে ঈদ করলাম। দেশের বাইরে ঈদ করার ঝামেলা একটাই, ঈদ-ঈদ ভাবটা কোনমতেই আসেনা। সাদামাটা একটা দিন, আশেপাশের সবাই যার যার মত কাজে যাচ্ছে মাঝখানে কেবল আমরা কয়েকজন ঈদের নামায পড়ার জন্য বের হয়েছি। সারা জীবন যেইখানে হইহুল্লোড় করে ঈদ করে অভ্যাস সেইখানে এইরকম ম্যাদামারা নির্জীব ঈদ পালন করাই বিরক্তিকর। দেশের ফেলে আসা মুখগুলোর কথা মনে পড়ে, পুরোনো ঈদ্গুলোর কথা মনে পড়ে, মনটা বিরক্তিতে তেতো হয়ে আসে এম্নিতেই।

চুল কাটা

দেশ ছাড়ার পর এই প্রথম চুল কাটাতে গেলাম। যেটাতে চুল কাটাতে গেলাম সেটা আসলে চুল কাটাবার স্কুল, সোজা কথায় নাপিত তৈরির পাঠশালা। এই খানে ভবিষ্যতের নাপিতেরা চুল কাটার তালিম নেয়। এই পাঠশালায় যাওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য এইটা বেশ সস্তা, নয় ইউরোতে চুল কাটানো যায়, যেখানে অন্য সবখানে লাগে মিনিমাম পচিশ ইউরো। নাপিতের দোকানে ছেলে মেয়ে বাচ্চা বুড়ো কোন ভেদাভেদ নাই- সবাই এইখানে কাস্টমার।

নাপিত-নাপিতানী সবাই নিজের নিজের কাজ করে যাচ্ছে। আমার সাথে যে কয়জন লোক ছিলো সবাই কে দেখলাম একজন করে নাপিতানী এসে নিয়ে যাচ্ছে চুল কাটাবার জন্য। আমিও বসে আছি একজন নাপিতানির জন্য। একসময় আমার ডাক পড়ল, তবে ভাগ্যে নাপিতানী পড়লোনা, কার্লোস নামের এক নাপিত পড়লো। সে হাসি মুখে এসে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল যে আজকে সে আমার নাপিত। কার্লোসের একটা ছোটখাট বর্ণনা দেয়া উচিত। হাইটে ছোটখাট এই শ্বেতাংগ ছেলের কান এবং ঠোঁট ফুট করা এবং সেই ফুটো থেকে বেষ কয়েক ধরনের অলংকার বের হয়ে আছে। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে তার চুলের স্টাইল। একই মাথায় সে দুই ধরনের স্টাইল করে বসে আছে। পুরো মাথার চুলকে দুই ভাগে ভাগ করে সে ডান পাশে এক ডিজাইন করেছে আর বাম পাশে আরেক ডিজাইন। ডান পাশ থেকে দেখলে তাকে মনে হয় মাথায় “মুরগীর ঝুঁটি” কাট আর বাম পাশ থেকে দেখলে মনে হয় বাটি ছাঁট! একেবারে টুইন-ওয়ান যাকে বলে। তবে মাথায় চুলের গোছা যেমনই হোক ছেলে চুল কাটে ভালো।

নিউইয়ার

পশ্চিমা দেশগুলোতে নিউইয়ার একটা কালচারাল ইভেন্টের চেয়েও বড় কিছু। থার্টি ফার্স্ট নাইটে এদের নিউইয়ারের আসল উৎসবটা চোখে পড়ে। পুরো ডিসেম্বর জুড়ে চলে ক্রিস্মাস আর নিউ ইয়ারের প্রস্তুতি। চায়না টাউন বিভিন্ন ধরনের আতশবাজীতে ভরে যায়। আতশবাজী কেনার ধুম পড়ে যায় সারা দেশে। অর্থনৈতিক মন্দার এই বাজে সময়েও কেবল মাত্র নেদারল্যান্ডসে থার্টি ফার্স্টে পোড়ানোর জন্য আতশবাজী বিক্রি হয়েছে প্রায় ছেষট্টি মিলিয়ন ইউরোর যেখানে আগে বছর অর্থাৎ ২০০৭ এ বিক্রির পরিমান ছিলো ষাট মিলিয়ন ইউরো!

থার্টি ফার্স্ট নাইটে আমাদের দাওয়াত ছিলো জুয়ারের বাসায়। দাওয়াত বলে দাওয়াত, একেবারে এলাহী খাওয়া দাওয়া। আম দিয়ে রাঁধা মুরগীর তরকারী থেকে শুরু করে ক্যাংগারুর মাংসের পুরি কোন কিছুই বাদ যায়নাই! খাবার উদ্ভট হলেও খেতে ভালো লাগতো যদি এরা লবন ঠিকমত দিত। এরা আবার লবন খায়না বললেই চলে! টেবিল ভর্তি লোভনীয় সব খাবার কিন্তু সবগুলাতে লবন কম- কেমন লাগে!

আতশবাজী পোড়ানো দেখলাম এবং দেখে শিহরিত হলাম! আতশবাজী যে কেমন হতে পারে সেটা এই প্রথম দেখলাম। কিছু কিছু বাজী আবার তিন চার ধাপে ফুটে। অনেকে আবার ফানুশ বানিয়ে উড়াচ্ছে। চারদিকে পুরোপুরি উৎসব। প্রথমে আতশবাজী পোড়ানো দেখতে স্ক্যাভেনিংখ (হেগ শহরের বীচের নাম) যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু জুয়ারের বিশাল খাবার দাবার আয়োজনের ফলে আর যাওয়া হয়নাই, তবে বাড়ির সামনে যা পোড়ানো হয়েছে সেটাও খুব একটা ছোট না। এক রাতে ছেষট্টি মিলিয়ন ইউরো পোড়ানোর সাক্ষী হয়ে রইলাম।

সেল

ডিসেম্বর মাসের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হল এইটা সেল দেবার মাস। মাঝে ৭৫% পর্যন্ত সেল পাওয়া যায়। জামা, জুতা, পারফিউম সব কিছুতেই সেল। আর এই সময় নারী প্রজাতি আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠে। যখনই কোন দোকানে সেল দেয় তখনই সেখানে হানা দেয় তারা। পৃথিবীর সব মার্কেট আসলেই মেয়েদের জন্য। আরো মজার ব্যাপার হল ছেলেদের জিনিসের চেয়ে মেয়েদের জিনিসে সেল বেশি দেয়। কেন কে জানে?


Stay tune with the updated result of National Election of Bangladesh!

Here are some links from where you can get the live web update result of National Election of Bangladesh 2008.

If anyone knows more links please add those as comment.

37th Victory Day

bd_flags

It is the year 2008. And we gonna celebrate the 37Th anniversary of our victory of the liberation war of 1971.

What changes took places during these years after the freedom? Actually nothing. Our beloved (!?!) political leaders are making our country cripple. No one bother about the patriotism. Patriotism is a word that is found only in books. The Razakars (opposers of the liberation war and the culprits of genocide) were roaming the country fearlessly and without any hesitation. They don’t feel any apology for their misdeeds in 1971. Once who tried to destroy us, now we want to elect them as our leader – is that why our freedom fighters fought? Was that their dream?

37 years have been passed and we are waiting for a true leader who will guide us to the way for which our martyrs sacrificed themselves.

Waiting to see a Razakar free prosperous Bangladesh. This is the only that came to my heart in this victory day.

Martyred Intellectuals’ Day

The Pakistan military forces and their local collaborators — Razakar, Al-Badr and Al-Shams — abducted leading intellectuals and professionals of Bangladesh on December 14, 1971 during the Liberation War and killed them to cripple the nation intellectually. Academics, litterateurs, physicians, engineers, journalists and other eminent personalities were dragged blindfolded out of their houses and killed brutally at Rayer Bazar and in other killing fields in the city just before the two days of the victory. For the last 37 years after the independence, in this day the whole Bangladesh pays tribute to those Martyred Intellectuals.

My deepest gratitute to those best sons and daughters of the nation. Bangladesh Post Office had published a series of stamps in their memory. Here are those stamps [courtesy to BANGLAR]:


Let all of us write a Diary… together!

bangladesh-1971

It is December. It is the month of victory of Bangladesh.

This a request. A request to store the history of our country by us… all Bangladeshis… all of us. This a an attempt to capture the glorious moments of the liberation war of 1971 for us as well as for our next generation by us. For this initiative a blog has been opened. It is not quite ready yet but it will be for sure.

All Bangladeshis are kindly requested to reach this information to other Bangladeshis (especially to those who can contribute this site by their memories, stories, experiences… anything). We are waiting to taste the actual history from the history makers themselves.

We are waiting!

আমি তোমাকে ভালোবাসি!

চরিত্রঃ

একটি ছেলে

একটি মেয়ে

একটি ওয়েটার

স্থানঃ

একটি অভিজাত রেস্টুরেন্ট

দৃশ্যঃ

ছেলেটা আর মেয়েটা মুখোমুখি বসে আছে দুজনের খাওয়া শেষ ছেলেটা অনেক্ষণ ধরে উস্‌খুস করছিলো কিছু বলার জন্য অবশেষে ছেলেটার একহাত মেয়েটির হাতকে স্পর্শ করে…

ছেলেঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি

মেয়েঃ কি বলছ! আমি তোমাকে সবসময় বন্ধু মনে করে এসেছি…

ছেলেঃ বন্ধুকে কি ভালোবাসা যায়না?

মেয়েঃ নাহ, সরি… আমি তোমাকে ভালোবাসিনা

ছেলেঃ (অনুনয় করে) আরেকবার ভেবে দেখনা…

মেয়েঃ কতবার বলব যে আমি তোমাকে ভালোবাসিনা… বাসিনা… বাসিনা

ছেলেটা কিছুটা চুপসে যায় এদিক ওদিক তাকায় এককোনায় ওয়েটার কে দেখে হাত নাড়ে ওয়েটারও প্রত্তুত্তোরে মাথাটা একটু নেড়ে ছেলেটার কাছে এসে দাঁড়ায়

ছেলেঃ (ওয়েটারের দিকে তাকিয়ে) আমাদের দুজনের দুটো আলাদা বিল হবে

মেয়েঃ (ছেলেটাকে) য়্যাই… দাঁড়াও দাঁড়াও… আমি তোমাকে ভালোবাসি!


[এই গল্পটা কোথায় পড়েছিলাম বা কার কাছ থেকে শুনেছিলাম মনে নেই, আদৌ শুনেছিলাম নাকি নিজেই তৈরি করে স্মৃতির মাঝে ফেলে রেখেছিলাম তাও জানিনা হঠাৎ কথাপ্রসঙ্গে মনে হল এই রকম একটা গল্প তো আমি জানি! তাই ভুলে যাবার আগেই প্রকাশ করে ফেললাম]

Khandaker Delwar Hossain: Once upon a time…

Khandaker Delwar Hossain is the Secretary General of BNP, one of the leading political party in Bangladesh. This video was recorded while he was giving speech in National Press Club of Bangladesh. First notice that, how he was reacting, it seems that he had itches in his knee or leg that’s why he is scratching his leg. But well… after a while… it was revealed that it was actually not an itch… it seemed… he was loosing his pants (or pajamas)!! 😀

And hard to believe that they are our political leaders!! Enjoy the video 🙂