শুভ বন্টুবর্ষ ১২০৪

বছর দুয়েক আগে শেষবারের মত নতুন উবুন্টু আপডেট করেছিলাম। সেসময় রিলিজ হয়েছিল উবুন্টু ১০.০৪ – ল্যুসিড লিংক্স। সেই রিলিজটার বিশেষত্ব ছিল যে ওটা লং টাইম সাপোর্ট রিলিজ (সংক্ষেপে এলটিএস রিলিজ) ছিল। এলটিএস রিলিজগুলো অন্যান্য রিলিজের চেয়ে বেশি সময় ধরে সাপোর্ট পায়, অন্য রিলিজগুলো যেখানে দেড়মাস সাপোর্ট পায় সেখানে এলটিএস রিলিজগুলো তিন বছর সাপোর্ট পায়। প্রতি দু’বছর পর পর এলটিএস রিলিজগুলো বের হয়। অলস মানুষ হিসেবে বিশেষ পরিচিতি থাকায় আমি যে ছ’মাস পর পর অপারেটিং সিস্টেম আপগ্রেড না করে প্রতি দু’বছরে একবার করব – সেটা অবশ্য জানা কথা। তাই ল্যুসিডের দু’বছর পর প্রিসাইজ মুক্তি পেয়ে আমার ল্যাপটপ ও ডেস্কটপে ল্যুসিডের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিল। বিদায় ল্যুসিড – পুরো দুবছর কোনরকম উপদ্রব না করে আমাকে বিশ্বস্তভাবে সঙ্গ দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ!

এবারে আসি প্রিসাইজের কথায়। উবুন্টু ১২.০৪ এর কোডনেম হচ্ছে – প্রিসাইজ প্যাঙ্গলিন। এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম দু’বছর ধরে। ২৬ তারিখ মুক্তি পাওয়ার পর দিনই অফিসে গিয়ে ঝটপট প্রিসাইজ নামিয়ে ফেলি, নামাতে সময় লাগল প্রায় মিনিট বিশেক – তারপর বাসায় এসে ধুপধাপ করে ইন্সটলেশান! এ লেখাটা সেই ইন্সটলের কয়েক ঘন্টার মাঝে লেখা – তাই রিভিউতে অনেক কিছু বাদ থেকে যেতে পারে। তাছাড়া আমি ল্যুসিডের পর সরাসরি প্রিসাইজ ব্যবহার করছি – তাই কিছু কিছু পুরনো জিনিস আমার কাছে নতুন লাগতে পারে, যেগুলো ল্যুসিডের পরের ভার্সনগুলোতে ছিল অথচ আমার জানা নেই।

১২.০৪ – প্রিসাইজ প্যাঙ্গলিন

আমার প্রিসাইজ ডেস্কটপ

আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে উবুন্টু এই রিলিজটা দিয়ে তাদের উপর সেঁটে থাকা “অপরিপক্ক” শব্দটা মুছে দিতে চাইছে। আগের এলটিএস রিলিজগুলোর চেয়েও একে বেশ স্ট্যাবল বলে মনে হল। ইন্সটলেশান প্রসেস আগের চেয়ে অনেক সহজ করা হয়েছে – অন্তত ল্যুসিডের তুলনায় প্রক্রিয়াটাকে মামুলিই বলা যায়। পুরো ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে প্রায় মিনিট পাঁচেক লাগল। তারপর একদম শুন্য থেকে পুরোপুরি শুরু হতে প্রিসাইজ আমার পাঁচবছরের পুরনো ডেল ল্যাপটপে মোটমাট ১০ সেকেন্ডের মত সময় নিল। ব্যবহার করতে গিয়ে মন হল আগের রিলিজগুলোর চেয়ে এটি বেশ দ্রুত। এর রেসপন্সও আগের চেয়ে বেশ দ্রততর লাগছে – অ্যাপ্লিকেশনগুলো লোড হতেও বেশ কম সময় লাগছে। বরাবরের মতই আমার ল্যাপটপের সমস্ত কার্ড উবুন্টু প্রথমবারেই ডিটেক্ট করে ফেলেছে। আর ডেস্কটপের সাথে ক্রিয়েটিভের যে ওয়েবক্যামটা আছে, ইন্সটলের আগেই ইউজার আইডি হিসেবে সেটা দিয়ে ছবি তোলা গেল সহজেই।

ইউনিটি গ্রিটার

প্রিসাইজে লগিনস্ক্রিনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন এ লগিনস্ক্রিনটির নাম “ইউনিটি গ্রিটার”। এতে অ্যানিমেশন যোগ করা হয়েছে দেখলাম। তাছাড়া প্রতিটি আলাদা ব্যবহারকারীর জন্য আলাদা ওয়ালপেপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যবহারকারীর নাম পরিবর্তনের সাথে সাথে পেছনের ওয়ালপেপারও পাল্টাতে থাকবে। বেশ দারুণ লাগছিল ব্যাপারটা।

ইউনিটি

সম্ভবত সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত বিষয় ছিল ইউনিটি – উবুন্টুর নতুন ডিই। ইউনিটি যখন উবুন্টুতে দেয়া শুরু হয় তখন চারদিকে নেতিবাচক সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। তবে আমার নিজের ধারণা ছিল অনেকটা এরকম – ইউনিটি মাত্র যাত্রা শুরু করেছে তখন, একেবারেই শিশু ছিল, এটাকে সময় দিলে আস্তে আস্তে পূর্ণাঙ্গ রূপ মেলে ধরবে। প্রিসাইজে ইউনিটি সেই পূর্ণাঙ্গ রূপটাই মেলে ধরেছে। আমি সবসময়ই ডক ব্যবহার করি। ল্যুসিডে ব্যবহার করতাম গ্নোমডু ডক। ডক ব্যবহার কম্পিউটারে চলতে থাকা অ্যাপগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার কাজটা অনেক সহজ করে দেয়। ইউনিটিতে ডিফল্টভাবে ডক দিয়ে দেয়া থাকে। ফলে আমার কাজটা অনেকটুকু সহজ গেল। আগে আলাদাভাবে ডক ডাউনলোড করতে হত, এখন ইউনিটির সাথেই চলে আসছে ডক (এটাকে অবশ্য লঞ্চার বলা হয়)। ইউনিটি আমার কাছে একদমই নতুন। উইন্ডোজের চিরচেনা পরিবেশ থেকে লিনাক্সে আসার পর উবুন্টুর আনকোরা পরিবেশে বেশ ভাল লাগত। ভালো লাগত কারণ জানা ছিলনা কোথায় কি ঘাপটি মেরে আছে। তাই টেপাটেপি করতাম। টেপাটেপি করতে করতে শিখতাম কোথায় কি আছে – বেশ ভালোই লাগতো ব্যাপারটা। ইউনিটিতেও তাই – আনকোরা চেহারা নিয়ে গুঁতোগুঁতি করতে অন্যরকম আনন্দ পাচ্ছি। ইউনিটির ড্যাশে অবশ্য কোথায় কি আছে তা না জানলেও চলে, উপরের সার্চ বারে অ্যাপ্লিকেশনের নাম লিখলেই অ্যাপ্লিকেশনটা পাওয়া যায়। ইউনিটিকে নিজের মত সাজিয়ে নেবার জন্য বিভিন্ন সেটিংও পরিবর্তন করা যায়। ইউনিটির বহু কিছু এখনো আমার শেখা বাকী। সব মিলিয়ে ইউনিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে – বলা উচিৎ আমি ইউনিটির ফ্যান হয়ে গেছি!

গ্লোবাল মেনু

উবুন্টুতে এখন আর লোকাল মেনু নেই। অর্থাৎ কোন প্রোগ্রামের মেনু সেই প্রোগ্রামের উইন্ডোর উপরের অংশে নেই, বরং পুরো সিস্টেমের (অর্থাৎ গ্লোবালি) টপ প্যানেলে দেখা যাবে। তাছাড়া বাম পাশের উইন্ডো কন্ট্রোল বাটনগুলো এমনিতে অদৃশ্য থাকে, সে জায়গায় অ্যাপ্লিকেশনের নামটা থাকে, কেবল মাত্র কার্সর নিলেই নাটা উঠে গিয়ে কন্ট্রোল বাটন দেখা যায়। আমি অবশ্য গ্লোবাল মেন্যুর ফ্যান। ম্যাক ওএস এ গ্লোবাল মেন্যু দেখে খুব ভাল লাগত, তাছাড়া কাজ করেও আরাম। এখন আমার উবুন্টুতেও ডিফল্টভাবে চলে আসছে এটা – আমার জন্য খুশির খবরই বৈকি!

হুড

এটা একটা দারুণ জিনিস! যেকোন অ্যাপ্লিকেশনের পুরো মেন্যু খোঁজার দরকার নেই, Alt চেপে যেকাজ করতে চাইছেন সেটা টাইপ করলেই অপশনটা চলে আসবে। হয়তো আপনি কোন প্রোগ্রামে New Tab খুলতে চাচ্ছেন, তাহলে শুধু লিখুন “new” বা “new t” বা “new tab” প্রভৃতি। দেখবেন আপনার কাজ হয়ে গেছে।

প্রাইভেসি সেটিংগস

সিস্টেম সেটিংগসে দেখলাম প্রাইভেসি সেটিংগস নামে নতুন অপশন আনা হয়েছে। এখান থেকে ইচ্ছা করলে ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন যে কোন কোন অ্যাপ্লিকেশন কম্পিউটারে কাজের বিবরণী রাখবে বা রাখবেনা।

অ্যাপ্লিকেশন

নতুন কোন ডিফল্ট অ্যাপ্লিকেশন চোখে পড়লোনা। আগের মতই আঁকাআঁকি ও লেখালেখির জন্য রয়েছে লিব্রা অফিস, গান শোনার জন্য রিদমবক্স (মাঝখানে শুনেছিলাম যে বানশি এসেছিল উবুন্টুতে, এই রিলিজে দেখলাম আবার পুরনো রিদম বক্সেই ফেরত গেছে), মুভি দেখার জন্য মুভি প্লেয়ার, ব্রাউজার হিসেবে ফায়ারফক্স, মেইল ক্লায়েন্ট হিসেবে থান্ডারবার্ড, সোশাল নেটওয়ার্কের ক্লায়েন্ট হিসেবে গুইবার সহ আরো অনেক প্রোগ্রাম। মোট কথা সাধারণ ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে এখানে। নেই শুধু গান শোনার বা মুভি দেখার জন্য কোডেক। সেটা ইন্সটল করাও অবশ্য সহজ। এজন্য বামপাশের লঞ্চার থেকে “সফটওয়্যার সেন্টার” এ গিয়ে “ubuntu restricted extra” লিখে খোঁজ করুন, পেয়ে গেলে এক ক্লিকে ইন্সটল করে ফেলুন।

সফটওয়্যার সেন্টার

উবুন্টুর যেকোন অ্যাপ্লিকেশন খোঁজার/ইন্সটলের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জায়গা হচ্ছে এই সফটওয়্যার সেন্টার। বাম পাশের লঞ্চারে Software Center নামে যে আইকনটি আছে সেটা ক্লিক করলেই এই প্রোগ্রামটি ওপেন হবে। এবার দেখলাম বেশকিছু পয়সা দিয়ে কিনতে হবে এমন অ্যাপসও এসেছে। তাছাড়া উবুন্টু ওয়ানের ইউজার আইডি ব্যবহার করে সফটওয়্যার রিস্টোরের একটা অপশনও দেখলাম।
বাংলা পড়া-লেখা

বরাবরের মতই অসাধারণ বাংলার সাপোর্ট নিয়ে এসেছে এই রিলিজটিও। বাংলায় লেখার জন্য এতে রয়েছে দুটি কি বোর্ড লেয়াউট – জাতীয় এবং প্রভাত। অভ্র ফনেটিক এটাতে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি বলে বলতে পারছিনা অভ্রের পারফর্ম্যান্স কেমন। বাংলা পড়াও যায় ঝকঝকে, এজন্য আলাদা কিছুই করতে হয়না।
আমার কাছে ভালো লাগা দিক:

  • বেশ ফাস্ট রেসপন্স করছে সকল অ্যাপস গুলো।
  • ইউনিটি নিয়ে আসায় উবুন্টু অন্যান্য ডেস্কটপ ডিস্ট্রগুলো থেকে প্রায় পুরোপুরি স্বাতন্ত্র্য হয়ে গেছে বলে বলা যায়।
  • ফায়ারফক্স, লিব্রাঅফিস সহ প্রায় সব সফটওয়্যারেরই লেটেস্ট ভার্সনটা ব্যবহার করা হয়েছে।
  • বরাবরের মতই বিনা ক্লেশে বাংলা পড়তে ও লিখতে পারা যাচ্ছে।
  • আমার সনিএরিকসন এক্সেরিয়া আর্ক এস কে একেবারে মডেল নাম্বার সহ ডিটেক্ট করতে পারছে।

আমার কাছে কম ভালো লাগা দিক:

  • ইউনিটির আরেকটু ম্যাচিউরিটি দরকার। আশা করছি সামনের রিলিজগুলোতে এটা আরো ডেভেলপড হবে।
  • লিব্রা অফিস এখনো গ্লোবাল মেনু সাপোর্ট করেনা।
  • “উবুন্টু টুইক” বা এই টাইপের শক্তিশালী একটা সিস্টেম ম্যানেজার ডিফল্টভাবে দেয়া দরকার ছিল।
  • ডিফল্ট আইকন সেট পাল্টানো জরুরি ছিল, কিন্তু সেটা করা হয়নি।

এবার আসি এই লেখাটার নামকরণ এমন কেন? বাংলাদেশী উবুন্টু ব্যবহারকারীদের আমি বন্টু বলে সম্বোধন করি। আর বন্টু হিসেবে ১২.০৪ রিলিজটা আমাকে নিশ্চিন্ত করে রাখবে অন্তত সামনের আরো দুটি বছর। তাই আমার জন্য সামনের সময়টা কেবলই বন্টু বর্ষ যার শুভদিন শুরু আজ থেকে।

অনেক তো রিভিউ পড়লেন, এবার নিজেই বরং একটু পরখ করে দেখুন – উবুন্টু বস্তুটা কেমন! প্রিসাইজ প্যাঙ্গলিন ডাউনলোড করুন এখান থেকে। তারপর নিজেই না হয় জানিয়ে যান কেমন লাগল আপনার কাছে!

সবাইকে শুভ বন্টুবর্ষ ১২০৪!

42 thoughts on “শুভ বন্টুবর্ষ ১২০৪”

  1. আমি ১১.১০ ব্যবহার করতেছি অনেকদিন ধরে, ১২.০৪ মনে হয় ঐটারই আরেকটু পলিশড ভার্সন (এখনও ইন্সটল করি নাই)। প্রথমে ইউনিটি ভাল লাগে নাই একদমই, খুবই un-intuitive মনে হইছে … এখন আরকি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে উইনিটি’র ডক স্ক্রীণের একটা বড় জায়গা নিয়ে ফেলে, ল্যাপিতে চরম বিরক্ত লাগে। অফিসের বিশাল মনিটরে অবশ্য খারাপ লাগে না। ওভারঅল, ইউনিটি ইন্টারফেসে আমি এখনো ইম্প্রেসড না (১১.১০ পর্যন্ত)।

    গ্লোবাল মেনুটা কাজের জিনিস, প্রথমে বুঝি নাই, পরে দেখলাম সুবিধা আছে ভালই। শিটি ম্যাকের থেকে একটা ভাল জিনিস পাওয়া গেল তাইলে।

    ১১.১০ এ আমার একটা আপত্তি gedit এ … কোড করার সময় সোর্সটাইপ ঠিকই ডিটেক্ট করে কিন্তু syntax alignment কাজ করে না (মানে একটা ব্র্যাকেট সিলেক্ট করলে তার ম্যাচিং এন্ডিং ব্র্যাকেট কোনটা সেইটা দেখানো ইত্যাদি)। ইনফ্যাক্ট ল্যাপিতে কাজ করে, অফিসেরটায় কাজ করে না। জানি না কেন। ১২.০৪ এ হয়ত ঠিক হইছে।  

    1.  ১১.১০ থেকে সম্ভভত বেশ ভালো পলিশস ১২.০৪। ১১.১০ এ প্রথম ইউনিটি আসে, বাগ একেবারে কিলবিল করছিল ঐটাতে। তুমি ১২.০৪ নামিয়ে দেখ, ১১.১০ এর চেয়ে খারাপ লাগবেনা এতটুকু শিউর।

      1. হ্যা, করব … ল্যাপির ছ্যাড়াব্যাড়া অবস্থা, জায়গাও নাই … সাফসুতরা কইরা ইনস্টল মারতে হবে …

    2. ড্যাশটা অটো হাইড করে রাখেন, তাহলে জায়গা বাঁচবে। Appearance এ (ওয়ালপেপার পাল্টায় যেখানে) অন্য ট্যাবে এই অপশন আছে। এছাড়া, এপিয়ারেন্সের নিচে আইকন ছোট করার জন্য একটা স্লাইডডার আছে।

  2. I have installed ubuntu 12.04 but can’t bangla yet. How to write bangla in this version? I found ibus but m17n is missing, cause only Chinese language is shown on ibus preference. thanks for your kind help.

    1. ১। প্রভাত বা জাতীয় কিবোর্ড চালু করতে চাইলে System Settings এ গিয়ে Keyboard Layout এ যান।
      ২। সেখানে বাম পাশে যে লিস্ট দেখবেন তার নিচে একটা যোগ চিহ্ন (+) দেখবেন সেটা ক্লিক করুন।
      ৩। এবার লিস্ট থেকে Bengali অথবা Bengali (Provat) সিলেক্ট করুন।
      ৪। উপরের প্যানেলে একটা কিবোর্ডের আইকন দেখবেন, ওটাতে ক্লিক করে ইংলিশ অথবা বাংলা কিবোর্ড পাল্টে নিতে পারবেন।

      1. Thanks for quick answer. Sorry to say that I can’t type in probhat keyboard. I need unijoy. I chacked Ibus, but there is only Chinese keyboard available.

          1.  হ্যাঁ, এবার কাজ করছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। বাংলায় লিখতে পেরে খুব ভাল লাগছে। তবে ইউনিটির কারণে কি না জানিনা, আমার মেশিনে ১ জিবি র্যাম থাকার পরও তেমন ফাস্ট নয়।

          2. আপনার কম্পিউটারে উবুন্টুতে  মেমরি কত ব্যবহৃত হয়? Applications > System Monitor এ গিয়ে দেখুন তো কত দেখায়? আমার ক্ষেত্রে এই মুহুর্তে দেখাচ্ছে ৬৩২ মেগা।

  3. তার মানে ইউনিটিতে আমি আপনার চাইতে অভিজ্ঞ! 😉
    ইউনিটির অনেক কিছুই আমার ভালো লেগেছে। তবে একটি বিষয় একটু ঘাটাঘাটি করছি জানতে। লাঞ্চার অটো হাইড করা যায় কিনা?
    তবে বাঁশিকে মিস করবো। গত রিলিজগুলোতে বাঁশি ছিল। 

    1.  অটোহাইড করা যায় তো! System Settings > Appearance > Behavior এ যান, অপশন পেয়ে যাবেন। 🙂 

  4. লিব্রা অফিস গ্লোবাল মেনু সাপোর্ট করে। তবে সেটা বাই ডিফল্ট ইন্সটল করা নাই। 

    lo-menubar প্যাকেজটা ইন্সটলান।

    Code : sudo apt-get install lo-menubar

    সুন্দর রিভিউ এর জন্য ধন্যবাদ।

  5. পাক্কা দুই বছর ! আমার এত ধৈর্য নেই যে একটা ওএস নিয়ে পড়ে থাকব (উইন্ডোজের কথা আলাদা), যেখানে দুই-চার মাস পরপর ফেডোরা-ওপেনসুয্যে পাচ্ছি। আমিও ইনস্টল করেছি প্যাঙ্গোলিনকে। ইউনিটি আগের চেয়ে ম্যাচিওর হয়েছে বলা যায়, তবে সে এখনো পূর্ণাঙ্গ যৌবন প্রাপ্ত হয়নি 😉

    আমি ইউনিটির সাথে পছন্দের গ্নোম-শেল লাগিয়ে নিয়েছি। ওটাই আমার কাছে ভাল লাগে। আপনিও একবার দেখুন না, গ্নোম শেল ভাল লাগতেও তো পারে! তখন ইউনিটির “ফ্যান” ক্লাব থেকে নিজের নাম কেটেও দিতেও পারেন।

    1. ওরে বাবা! কয়েকমাস পর পর ওএস পাল্টানো আমাকে দিয়ে হবেনা। আমি উবুন্টুকে প্রাইমারি ওএস হিসেবে ব্যবহার করি। যার ফলে ইন্সটলের পর নিজের মত করে অনেকটা পাল্টে ফেলি। তাই ঘন ঘন ওএস ইন্সটল করাটা আমার কাছে বিশাল হ্যাপা। পারতপক্ষে তাই আপগ্রেড করতে চাইনা। 🙂

      এক সময় গ্নোমশেল ব্যবহার করে দেখব কেমন লাগে।

  6. চমৎকার রিভিউ লিখেছেন। আবারও অনেকদিন পর আপনার ব্লগ পড়ে ভালো লাগলো। 
    আমি এখনো উবুন্টু ১২.০৪ আপগ্রেড করি নাই। তবে আপনার রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে এই রিলিজটা আগের থেকে অনেক ভালো হবে।

  7. উবুন্ট 12.04 LTS ব্যবহার করিছ ভাল লাগেছ। সুন্দর রিভিউর জন্য ধন্যবাদ।

  8. I am happy to see this post not only because you are promoting Ubuntu, but also you are promoting Bengali, sorry I could not write this comment in Bengali because I don’t have a compatible key board but I would like to thank you for both the reasons. Shubho Buntu Borso 🙂

  9. আমি প্রথমে উবুন্টু ১২.০৪ উবি দিয়ে ইনস্টল করেছিলাম। পরে আপনার পরামর্শে প্রভাবান্বিত হয়ে উবুন্টু ১২.০৪ কে উবি -র সাহায্য না নিয়ে উইন্ডোজ এর পাশাপাশি আলাদা পার্টিশন করে ইনস্টল করার চেষ্টা করি। আপনার ব্লগে ১০.০৪ ভার্সান নিয়ে যে লেখা আছে সেইমতো করতেই চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সফল হলাম না। সমস্যার কথাটা বলি। আমার পিসিতে দুটো হার্ড ডিস্ক আছে। প্রথমটা ছোটো, তাতে ‘সি’ ড্রাইভ আছে এবং আর কোন পার্টিশন নেই। আর দ্বিতীয়টার ক্যাপাসিটি বড়, এতে তিনটি ড্রাইভ বা পার্টিশন আছে। যেহেতু আপনি আপনার ব্লগে পরামর্শ দিয়েছেন ‘সি’ ড্রাইভে ইনস্টল না করতে, তাই আমি ‘সি’ ড্রাইভে উবুন্টু ১২.০৪ ইনস্টল না করে, দ্বিতীয় হার্ড ডিস্কে ACRONICS DISK MANAGER ‘এর সাহায্য নিয়ে একটি আলাদা পার্টিশন করি এবং তা ফরম্যাট করি। কিন্তু তাতে উবুন্টু ১২.০৪ ইনস্টল করতে গেলে তা হচ্ছেনা।

    আমার কি কোথাও ভুল হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। আমি আপনার পরামর্শের আশায় রইলাম।

    1. দয়া করে বলবেন কি যে ইন্সটল করার সময় কী ধরণের এরর ম্যাসেজ দিচ্ছে?

      1. Install Ubuntu alongside Windows 7 – এই উইন্ডোতে select drive অংশে প্রথম হার্ড ডিস্ককে দেখাচ্ছে। এর নীচে দেখাচ্ছে Allocate drive space by dragging the divider below. যেহেতু এটি ‘সি’ ড্রাইভের অংশ, তাই এর নীচে যেখানে দেওয়া আছে advance partitioning tool তাতে ক্লিক করি। তারপরে যে উইন্ডোটি খোলে, সেখান থেকে /dev/sdb4 ntfs (এই পার্টিশনটি আমি তৈরী করেছিলাম যা আমি আগেই আপনাকে লিখেছি) ‘কে সিলেক্ট করে Installation ক্লিক করলে No root file system নামে একটি উইন্ডো খুলছে। তাতে দেখাচ্ছে No root file system is defined. Please correct this from the partitioning menu. নীচে Device for boot loader installation এই অংশে আমার দ্বিতীয় হার্ড ডিস্ককে দেখাচ্ছে।

        এবার আমার কি করণীয় তা যদি বলেন তাহলে খুবই উপকৃত হবো।

        1. আপনি রুট পার্টিশন সিলেক্ট করেননি। এই পোস্টটির ৫.২ পয়েন্টটি দেখুন, সেখানে দেয়া আছে কিভাবে রুট পার্টিশন তৈরি করতে হয়।

          1. আমি আপনার পোস্টটির ৫.২ অংশটি পড়েছি। /dev/sdb4 ntfs যে পার্টিশনটি (৮০ জি বি) আমি আগেই তৈরী করেছিলাম তাকে সিলেক্ট করে ১০ জি বি রুট পার্টিশন তৈরী করেছি। তখন তার নাম দেখাচ্ছে /dev/sdb4 , Type দেখাচ্ছে ext4 , Size দেখাচ্ছে ৯৯৯৯ এম বি। পড়ে আছে Unusable নামে ৭০৫২৭ এম বি। এরপর সোয়াপ পার্টিশন তৈরী করার জন্য একে select করার পর আর ADD বাটন ক্লিক করা যাচ্ছেনা। Shadow বা Ghost হয়ে আছে। এমতাবস্থায় আমার কি করণীয় জানালে উপকৃত হবো।

          2. আমি আপনার পোস্টটির ৫.২ অংশটি পড়েছি। /dev/sdb4 ntfs যে পার্টিশনটি (৮০ জি বি) আমি আগেই তৈরী করেছিলাম তাকে সিলেক্ট করে ১০ জি বি রুট পার্টিশন তৈরী করেছি। তখন তার নাম দেখাচ্ছে /dev/sdb4 , Type দেখাচ্ছে ext4 , Size দেখাচ্ছে ৯৯৯৯ এম বি। পড়ে আছে Unusable নামে ৭০৫২৭ এম বি। এরপর সোয়াপ পার্টিশন তৈরী করার জন্য একে select করার পর আর ADD বাটন ক্লিক করা যাচ্ছেনা। Shadow বা Ghost হয়ে আছে। এমতাবস্থায় আমার কি করণীয় জানালে উপকৃত হবো।

          3. আমি আপনার পোস্টটির ৫.২ অংশটি পড়েছি। /dev/sdb4 ntfs যে পার্টিশনটি (৮০ জি বি) আমি আগেই তৈরী করেছিলাম তাকে সিলেক্ট করে ১০ জি বি রুট পার্টিশন তৈরী করেছি। তখন তার নাম দেখাচ্ছে /dev/sdb4 , Type দেখাচ্ছে ext4 , Size দেখাচ্ছে ৯৯৯৯ এম বি। পড়ে আছে Unusable নামে ৭০৫২৭ এম বি। এরপর সোয়াপ পার্টিশন তৈরী করার জন্য একে select করার পর আর ADD বাটন ক্লিক করা যাচ্ছেনা। Shadow বা Ghost হয়ে আছে। এমতাবস্থায় আমার কি করণীয় জানালে উপকৃত হবো।

          4. আমি আপনার পোস্টটির ৫.২ অংশটি পড়েছি। /dev/sdb4 ntfs যে পার্টিশনটি (৮০ জি বি) আমি আগেই তৈরী করেছিলাম তাকে সিলেক্ট করে ১০ জি বি রুট পার্টিশন তৈরী করেছি। তখন তার নাম দেখাচ্ছে /dev/sdb4 , Type দেখাচ্ছে ext4 , Size দেখাচ্ছে ৯৯৯৯ এম বি। পড়ে আছে Unusable নামে ৭০৫২৭ এম বি। এরপর সোয়াপ পার্টিশন তৈরী করার জন্য একে select করার পর আর ADD বাটন ক্লিক করা যাচ্ছেনা। Shadow বা Ghost হয়ে আছে। এমতাবস্থায় আমার কি করণীয় জানালে উপকৃত হবো।

          5. আমি আপনার পোস্টটির ৫.২ অংশটি পড়েছি। /dev/sdb4 ntfs যে পার্টিশনটি (৮০ জি বি) আমি আগেই তৈরী করেছিলাম তাকে সিলেক্ট করে ১০ জি বি রুট পার্টিশন তৈরী করেছি। তখন তার নাম দেখাচ্ছে /dev/sdb4 , Type দেখাচ্ছে ext4 , Size দেখাচ্ছে ৯৯৯৯ এম বি। পড়ে আছে Unusable নামে ৭০৫২৭ এম বি। এরপর সোয়াপ পার্টিশন তৈরী করার জন্য একে select করার পর আর ADD বাটন ক্লিক করা যাচ্ছেনা। Shadow বা Ghost হয়ে আছে। এমতাবস্থায় আমার কি করণীয় জানালে উপকৃত হবো।

          6. সোয়াপের জন্য কতটুকু জায়গা রেখেছেন? আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে পুরো জায়গাটিই সোয়াপের জন্য ব্যবহার করছেন। সোয়াপ আসলে ভার্চুয়াল মেমরীর কাজ করে … মূল মেমরীতে চাপ বেশি পড়লে সোয়াপে কিছু ডেটা পাঠিয়ে দেয়া হয়। এটি ১ গিগা (১০২৪মেগা) রাখলেই চলবে। আশা করি জায়গা নির্দিষ্ট করে দিলে সোয়াপ আর ‘শ্যাডোড’ হয়ে থাকবেনা।

          7. আমি বোধহয় ঠিক বোঝাতে পারিনি। আমি বলতে চেয়েছি যে রুট পার্টিশন তৈরী করার পর সোয়াপ পার্টিশন তৈরী করা যাচ্ছেনা। প্রথমত, রুট পার্টিশনে ১০০০০ এম.বি. এ্যালোকেশন করার পর পড়ে থাকছে ৭০৫২৭ এম.বি., কিন্তু ওটাকে free space বলে দেখাচ্ছেনা। দেখাচ্ছে Unusable। এটা Unusable বলে দেখাচ্ছে কেন? দ্বিতীয়ত, Unusable কে সিলেক্ট করে ADD বাটন ক্লিক করা যাচ্ছেনা যেহেতু সেটা শ্যাডোড হয়ে আছে। তাইপরবর্ত্তী কাজ করা যাচ্ছেনা অর্থাৎ সোয়াপের জন্য জায়গা এ্যালট করা যাচ্ছেনা।

          8. ঠিক বুঝতে পারছিনা ঝামেলাটা কোথায় হচ্ছে! আসলে আমি কখনো এরকম অবস্থায় পড়িনিতো! আপনি কি কোন পার্টিশনই করতে পারছেননা নাকি শুধু সোয়াপেরটা করতে পারছেননা? আপনার র‍্যাম যদি ১ গিগার উপর থাকে তবে সোয়াপ না দিলেও চলে। সেক্ষেত্রে সোয়াপ না দিয়েও অন্য কোন পার্টিশনে চলে যেতে পারেন।

          9. ঠিক বুঝতে পারছিনা ঝামেলাটা কোথায় হচ্ছে! আসলে আমি কখনো এরকম অবস্থায় পড়িনিতো! আপনি কি কোন পার্টিশনই করতে পারছেননা নাকি শুধু সোয়াপেরটা করতে পারছেননা? আপনার র‍্যাম যদি ১ গিগার উপর থাকে তবে সোয়াপ না দিলেও চলে। সেক্ষেত্রে সোয়াপ না দিয়েও অন্য কোন পার্টিশনে চলে যেতে পারেন।

          10. রুট পার্টিশন করতে পেরেছি, কিন্তু সোয়াপ
            পার্টিশন করা যাচ্ছেনা। যাইহোক, আপনার সর্বশেষ
            পরামর্শ মতো সোয়াপ পার্টিশন না করে, ইনস্টল করলাম। সেক্ষেত্রে কিন্তু হোম পার্টিশনও করতে দিলোনা।
            ইনস্টলেশন শেষ হবার পর রিস্টার্ট হলো বটে, কিন্তু বুটিং -এর পর
            উইন্ডোজ শুরু হয়ে গেল। উবুন্টু এলোনা।

             যদিও আমার কোন প্রথাগত শিক্ষা নেই, তবে আমার মনে হচ্ছে পিসিতে দুটো হার্ড ডিস্ক থাকলে,
            যে
            হার্ড ডিস্কে ‘সি’ ড্রাইভ আছে সেই হার্ড ডিস্ক ছাড়া অন্য কোন হার্ড ডিস্কে উবুন্টু ইন্সটল করলে ডুয়াল বুটিং
            হবেনা। যেমনটা আমার ক্ষেত্রে হচ্ছে।

            যাইহোক, আপনি আমার জন্য যথেষ্ট সময় দিয়েছেন। আপনাকে অনেক অনেক
            ধন্যবাদ। আমি আবার উবি ‘তেই ফিরে
            যাচ্ছি। এছাড়া উবুন্টু উপভোগ করার আমার আর অন্য কোন সু্যোগ নেই।

          11. আসলে আমিই আপনাকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারছিনা! জীবনের ব্যস্ততা প্রতিদিন খালি বেড়েই যাচ্ছে, কমছেনা! আপনি কি দয়া করে আপনার সমস্যাটি উবুন্টু বাংলাদেশের মেইলিং লিস্টে পাঠাবেন? আশা করি একগাদা বাংলাদেশী উবুন্টু ইউজার আপনাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসবেন।

          12. আমি বোধহয় ঠিক বোঝাতে পারিনি। আমি বলতে চেয়েছি যে রুট পার্টিশন তৈরী করার পর সোয়াপ পার্টিশন তৈরী করা যাচ্ছেনা। প্রথমত, রুট পার্টিশনে ১০০০০ এম.বি. এ্যালোকেশন করার পর পড়ে থাকছে ৭০৫২৭ এম.বি., কিন্তু ওটাকে free space বলে দেখাচ্ছেনা। দেখাচ্ছে Unusable। এটা Unusable বলে দেখাচ্ছে কেন? দ্বিতীয়ত, Unusable কে সিলেক্ট করে ADD বাটন ক্লিক করা যাচ্ছেনা যেহেতু সেটা শ্যাডোড হয়ে আছে। তাইপরবর্ত্তী কাজ করা যাচ্ছেনা অর্থাৎ সোয়াপের জন্য জায়গা এ্যালট করা যাচ্ছেনা।

          13. আমি বোধহয় ঠিক বোঝাতে পারিনি। আমি বলতে চেয়েছি যে রুট পার্টিশন তৈরী করার পর সোয়াপ পার্টিশন তৈরী করা যাচ্ছেনা। প্রথমত, রুট পার্টিশনে ১০০০০ এম.বি. এ্যালোকেশন করার পর পড়ে থাকছে ৭০৫২৭ এম.বি., কিন্তু ওটাকে free space বলে দেখাচ্ছেনা। দেখাচ্ছে Unusable। এটা Unusable বলে দেখাচ্ছে কেন? দ্বিতীয়ত, Unusable কে সিলেক্ট করে ADD বাটন ক্লিক করা যাচ্ছেনা যেহেতু সেটা শ্যাডোড হয়ে আছে। তাইপরবর্ত্তী কাজ করা যাচ্ছেনা অর্থাৎ সোয়াপের জন্য জায়গা এ্যালট করা যাচ্ছেনা।

Leave a Reply