শিরোনাম পড়ে আপনি যদি মনে করেন যে আমি এখন আইসক্রিম স্যান্ডউইচ নামক অতিশয় সুস্বাদু খাদ্যদ্রব্যখানার গুনগান নিয়ে আপনার সামনে হাজির হব, তাহলে আপনাকে আইসক্রিম স্যান্ডউইচের বদলে বিশাল একটা ধাক্কা খেতে হবে। এই লেখাখানার বিষয়বস্তু কোন খাদ্যবস্তু নয়, বরং গুগলের অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ভার্সনকে নিয়ে। যারা আমার ব্লগ মোটামুটি নিয়মিত পড়েন তারা ইতিমধ্যেই জানেন যে বহু শখ করে বিস্তর গবেষণা করে এই গরীব সপ্তাহ কয়েক আগে একটা ড্রয়েডের মালিক হয়েছি। নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন যে আমার মত গরীবের ব্লগে আবার লোকজন নিয়মিত পড়ে! আপনাকে দোষ দিইনা, আমি নিজেই হতবাক যে আমার ব্লগে লোকজন নিয়মিতই আসে। যাই হোক কাজের কথায় আসি। আমি যে ড্রয়েডখানা কিনেছিলাম সেটা ছিল এক্সপেরিয়া ঘরাণার। এর অপারেটিং সিস্টেম ছিল অ্যান্ড্রয়েডের ২.৩.৪ যার কোডনেম জিঞ্জারব্রেড। অনেকদিন ধরেই অ্যান্ড্রয়েডের একেবারে নতুন ভার্সন ৪.০ (কোডনেম আইসক্রিম স্যান্ডউইচ বা আইসিএস) এর জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলাম।
দু’ভাবে আইসিএস আমার ড্রয়েডে ব্যবহার করতে পারতাম – নিজে নিজে ইন্সটল করে অথবা সনি অফিসিয়ালি যখন রিলিজ দিবে তখন ইন্সটল করে। ইচ্ছা করলে আইসিএসের কাস্টম রম নামিয়ে নিজে নিজেই ইন্সটল করা যেত। কিন্তু সেটা করিনি বেশ ক’টা কারণে।
- প্রথমতঃ আইসিএস যেসব ড্রয়েডে চলবে সেগুলোর মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট হতে হবে ১ গিগা মেমরি। অথচ আমারটাতে ৫১২ মেগা মেমরি। কাস্টম ইন্সটলে ঠিক মত কাজ করবে কী না সেটাও একটা চিন্তার বিষয়। তাই অফিসিয়াল সনির রিলিজটাই সবচেয়ে বেশি রিলায়েবল।
- দ্বিতীয়তঃ মাত্র নতুন কিনেছি এক্সপেরিয়াটা, এখনই রুট করতে ইচ্ছা করছেনা।
- তৃতীয়তঃ কাস্টম ইন্সটলেশনে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার কথা লিখছিল। করো ওয়াইফাই কাজ করেনা কিংবা করো ক্যামেরা অচল।
তাই সবকিছু মিলিয়ে সনির অফিসিয়াল আপডেটের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। সনি’র ব্লগে প্রায়ই ঢুঁ মারতাম এজন্য। ঐ ব্লগেই একসময় দেখি এপ্রিলের ১৩ তারিখ এক্সপেরিয়ার জন্য আইসিএস রিলিজ পেয়েছে। কিন্তু বিধিবাম! প্রথমে রিলিজ পেয়েছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর জন্য। আমার ড্রয়েডের সিরিয়াল নাম্বার নিয়ে অপেক্ষা করতে করতে অবশেষে গত ২৬ তারিখ আমার ডাক পড়ল। আর কি দেরী করা যায়? সাথে সাথেই আমার ড্রয়েডকে আইসক্রিম স্যান্ডউইচ খাইয়ে দিলাম! নিচে আইস্ক্রিম স্যান্ডউইচ খাবার পর আমার ড্রয়েডের অবস্থার একটা স্ক্রিনশট দিয়ে দিলাম।
এবার আসি আইসিএস কেমন লাগছে। এক কথায় বলতে হলে বলতে হয় – অসাধারণ! অ্যান্ড্রয়েডের পুরো চেহারায় নতুনত্ব এসেছে – নতুন আইকন, নতুন কালার স্কিম, নতুন ইউজার ইন্টারফেস – সবই ঝকঝকে। আগে স্ক্রিন লক হয়ে থাকলে কিছু করা যেতনা। কিন্তু এখন স্ক্রিন লক হওয়া অবস্থায়ও ক্যামেরা চালু করা যায়, নোটিফিকেশন বারে যাওয়া যায়, এমনকি মিউজিকপ্লেয়ার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাছাড়া যেকোন ইনকামিং কলের ক্ষেত্রে এখন লক না খুলেই একটা এসএমএস পাঠিয়ে কল কেটে দুঃখ প্রকাশ করার অপশন আনা হয়েছে।
হোমস্ক্রিনের উইজেটগুলিকে এখন রিসাইজ করা যায়, অর্থাৎ উইজেটগুলোকে পছন্দমত যেকোন আকারে নেয়া সম্ভব। তাছাড়া মাল্টিটাস্কিং এখন অনেক সহজ। কি কি অ্যাপ্স চলছে বা একটা অ্যাপ থেকে আরেক অ্যাপে যাবার জন্য হোম বাটনকে বেশি সময় ধরে চেপে রাখলেই, সবগুলো চলন্ত অ্যাপ্সের তালিকা চলে আসবে। সে তালিকা থেকে যেকোন অ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হোমস্ক্রিনকে বেশি সময় ধরে স্পর্শ করে রাখলে উইজেট/অ্যাপ্স/শর্টকাট এর যে তালিকা আগে আসত, সে তালিকা এবার হয়েছে আরো দৃষ্টিনন্দন। আগের ভার্সনগুলোতে তালিকায় শুধু আইকন দেখানো হত, আইসিএসে আইকনের বদলে স্ক্রিনশট দেখায়।
সার্চ অপশনটাও বেশ উন্নত হয়েছে। এখন গুগল সার্চবার দিয়ে পুরো ফোনের যেকোন কিছু খুঁজে বের করা যায়। সেই সাথে উন্নত হয়েছে গুগলের ভয়েস সার্চও। আগে যেখানে একটা শব্দের উচ্চারণ বুঝতে ওর জান বের হয়ে যেত, সেখানে এখন বেশ ঝরঝর করেই বুঝতে পারছে। কন্টাক্ট এ গ্রুপের ব্যবস্থা করা হয়েছে – যদিও আমি এটা ব্যবহার করিনা। তাছাড়া স্মার্ট ডায়ালিং আনা হয়েছে এ ভার্সনে। স্মার্ট ডায়ালিং থাকলে কোন ফোন নাম্বার কিছুটুকু লিখলেই সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্চ দিয়ে সেই নাম্বারের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন কন্টাক্ট খুঁজে বের করে ফেলে। এটা অন্যান্য স্মার্টফোনে আগে থেকে থাকলেও অ্যান্ড্রয়েডে এতদিন ছিলনা।
ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি এডিট করার জন্য আলাদা অপশন দেয়া হয়েছে। ক্রপ-রিসাইজ করার মত মোটেও হালকা-পাতলা এডিটর নয় এটা, বরং ছবিতে সেপিয়া, গ্লো, রেডআই রিমুভ ইত্যাদি ইফেক্ট দেবার মত যথেষ্ট শক্তিশালী অপশন।
এবার বলি এক্সপেরিয়াভিত্তিক কি কি পরিবর্তন হয়েছে।
- আগের ভার্সনে পাওয়ার বাটন কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখলেই ফোনের স্ক্রিনশট নেবার অপশন আসত। আইসিএস এ এই অপশন এখন পাওয়ার বাটন ও ভলিউম বাটন একসাথে চেপে ধরে আনতে হয়।
- জিঞ্জারব্রেডে হোমস্ক্রিনে ফেভারিট কন্টাক্ট দেখাবার একটা উইজেট ছিল, এটা স্পিড ডায়ালের কাজ করত, অর্থাৎ আগে থেকেই নির্বাচিত কিছু কন্টাক্টে দ্রুত কল করা যেত। এই রিলিজে সেটা বাদ দিয়ে দিয়েছে। উইজেটটা আমার খুবই প্রিয় ছিল। তবে চিন্তার কিছু নেই, যেকোন কন্টাক্টকে শর্টকাট হিসেবে হোমস্ক্রিনে আনা যায়।
- সুন্দর নতুন ফন্ট এবং তার চেয়েও সুন্দর নতুন থিম এসেছে।
- আগে বুটস্প্ল্যাশে সনি এরিকসনের নাম দেখাত। এখন শুধু সনি’র নাম দেখায়। (সনি-এরিকসন থেকে এরিকসন আলাদা হয়ে যাওয়ায় এক্সপেরিয়ার সেটগুলো কেবল সনিই এখন থেকে বাজারজাত করবে।)
- এবং আগের মতই দুর্দান্ত বাংলা সাপোর্ট রয়েছে।
সব মিলিয়ে এই হচ্ছে আইসক্রিম স্যান্ডউইচ এর সার সংক্ষেপ। মাত্র কয়েকদিন হল ব্যবহার করছি, তাই গুরুত্বপূর্ণ অনেককিছু হয়ত চোখ এড়িয়ে যেতে পারে। আশা করছি ইনশাল্লাহ আগামী কয়েক বছর এটা দিয়েই নির্ঝঞ্ঝাটে দিন পার করে দিতে পারব। ইদানিং ড্রয়েডটাকে রুট করার জন্য হাত নিশপিশ করছে, তবে আমিও চেষ্টা করছি এসব আজেবাজে স্বভাব বাদ দেবার। তবে কতদিন এভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারব তা নিয়ে অবশ্য যথেষ্ট সন্দেহ আছে!
গত মাসেই রিস্ক নিয়া ফোনের হুহু মাইরা স্যান্ডউইচ করে নিছি 😀
সাব্বাশ! 😀
তোমার ড্রয়েড কোনটা? স্যামসাং নাকি?
হ্যা, গ্যালাক্সি এস … কন্ট্রাক্টের সাথে ফাউ ফাউ পাইছিলাম … এই সেপ্টেম্বরে আবার আপডেট পাব, দেখি ততদিনে নতুন কি আসে নেয়ার মত …
আর ড্রয়েড না বলে এনড্রয়েড বলতে পার, ড্রয়েড বলতে নরমালি মটোরোলা ড্রয়েড বুঝায় ….
তোমরা মিয়া মজায় আছ … কন্ট্রাক্ট নিলেই নয়া ফোন!
আমি তো জানতাম অ্যান্ড্রয়েডের ফোনকে সবাই ড্রয়েড বলে (যেমন আইওএসের ফোনকে আইফোন বলে)। 😛
মাসে মাসে যে টাকা দেই তাতে দেড়-দুই বছরে ২টা ফোনের টাকা তুইলা নেয় ব্যাটারা :-/
সত্যি কথা বলতে কি, ড্রয়েড দেখলেই আইফোনের মোডিফাই ভার্সন মনে হয় ।
কম্পিউটার দুনিয়ার সবই তো অ্যাপলের থেকেই নেওয়া। সবাই যখন ধরেই নিয়েছে যে ব্ল্যাকবেরির মত হিজিবিজি অনেক কিবোর্ডওয়ালা ফোন মানেই স্মার্টফোন, তখন ওরাই আইফোন ডিজাইন করে প্রথম দেখিয়েছে যে স্মার্টফোন কেমন হওয়া উচিৎ, সাথে সাথে সবাই আইফোনকে অনুসরণ করা শুরু করল। তারপর ট্যাবলেট পিসি বানাতে গিয়ে যখন সবাই নেটবুক নামের এক হাইব্রিড জিনিস বানানো শুরু করলে, তখন ওরাই আইপ্যাড বের করে দেখালো যে ট্যাবলেট কম্পিউটার কেমন হওয়া উচিত। তাই ড্রয়েডগুলোকে যে মডিফায়েড আইফোন মনে হবে – সেটাই স্বাভাবিক। 🙂
হাহাহা … মিয়া সবই অ্যাপলের থেকে নেয়া?? 😛
সাদা চোখে তাই মনে হবে, কিন্তু আরেকটু উপরে উঠলে দেখবা প্রায় কোনকিছুই আপেলের নিজস্ব উদ্ভাবন না। আপেলের সো-কল্ড রেভুলুশ্যনারি আইডিয়াগুলা ছড়ানোছিটানোভাবে অনেকেই আগে ইমপ্লিমেন্ট করে ফেলছিল, আপেলের কৃতিত্ব হচ্ছে সেইগুলাকে কিনে নিয়ে/কপি করে সবকিছুকে একখানে জড় করা (এবং নিজেদের উদ্ভাবন হিসাবে দাবী করা!)। আপেলের কৃতিত্ব এতটুকুই যে ওরা এইসব আইডিয়াগুলাকে একত্র করে পাবলিককে খাওয়াইতে পারছে (thanks to the showmanship of Jobs!)।
যাই হোক, apple কে undermine করতেছি না, তবে পাব্লিকের আপেলকে মাথায় তুলে পূজা করার বহর দেখলে গায়ে একটু চিড়বিড় করে – এই আরকী!
নাহ অ্যাপলরে মাথায় তুলছিনা। অ্যাপল অনেকের কাছ থেকে আইডিয়া মেরে দিয়েছে সেটাও জানি। যেমন, মাউসের ব্যাপারটা ওরাই প্রথম কম্পিউটারে আনলেও ওটা তৈরি করেছিল জেরক্সের কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার। জেরক্সের তৎকালীন কর্মকর্তারা সেসময় মাউসের মাহাত্ম্য বুঝতে না পারায় সেটা পড়েছিল অনেকদিন। পরে স্টিভজবস একেবারে বিনাপয়সায় ঐ আইডিয়াটা জেরক্সের কাছ থেকে গিয়ে নিয়ে আসে।
তবে আমার আগের কথা কিন্তু ঠিক। স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট এর আধুনিক আইডিয়া আমজনতার কাছে গেছে অ্যাপলের মাধ্যমে। এই জন্য অ্যাপলকে আমি ক্রেডিট দেই। যদিও (এভিল এম্পায়ার হিসেবে কুখ্যাত) অ্যাপলকে আমি মোটেও সেরকম পছন্দ করিনা, পূজা তো দূরের কথা। মজার কথা বলি, লোকজন ম্যাকওএস ব্যবহার করে বিগলিত হয়ে যায় অথচ আমার কাছে ম্যাকওএস সেরকম ভাল লাগেনাই। সম্ভবত গত বছরের কথা – ম্যাওএস এর নতুন রিলিজে অ্যাপস্টোর নামে নতুন একটা জিনিস দেয়া হয়েছে, যেটা উবুন্টুর সফটওয়্যার সেন্টারের মত একই কাজ করে। সেটা নিয়ে অ্যাপল ফ্যানবয়দের যে ফালাফালি শুরু হয়ে গেল বলার মত না। এটা নাকি “লেটেস্ট ইনোভেশন”, “যুগান্তকারী আইডিয়া”, “একমাত্র অ্যাপলকে দিয়েই এসব সম্ভব”, “এর উপ্রে কথা নাই” ইত্যাদি ইত্যাদি কথায় ফেসবুক ওয়াল আর টুইটারের ফিড জ্যঅম হয়ে যেত! টেক সাইটগুলোতেও একই কথা – অথচ এই পুরা আইডিয়াটা লিনাক্স দুনিয়ায় চলে আসছে বহুদিন ধরে। যা বলছিলাম যে ম্যাকওএস আমার কাছে ভাল লাগেনা, এরচেয়ে বরং ম্যাকবুকের ডিজাইনটা আমার কাছে ভাল লাগত – একদম নিট অ্যান্ড ক্লিন একটা ডিজাইন, ঐ ডিজাইনের ডিভাইসে যেকোন ওএস ব্যহার করেই আরাম পাওয়া যায়।
যাই হোক, তোমাদের ঐখানে তো লোকজন নিশ্চয়ই হাতে আইফোন, ব্যাগে ম্যাকবুক আর বগলে আইপ্যাড নিয়ে ঘোরে। 😛
জেনে ভাল লাগল। আইসক্রিম স্যান্ডউইচ এর সাথে আপনার ভ্রমণ আনন্দের হোক।
উইশের জন্য ধন্যবাদ! 🙂
আপনার এই রিভিউ সনি দেখলে…
… পিটিয়ে হাড়গুঁড়ো করে দেবে!
ফিল ইন দ্যা ব্ল্যাঙ্ক কি ঠিকঠাকমত ফিলআপ করলাম?
আচ্ছা আদনান/আশিক ভাই, আমার স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাবটাকে কি জিঞ্জারব্রেড থেকে আইসিএস করা যাবে? এটা অরিজিনালি ছিল ফ্রয়ো আমি এক্সডিএ ফোরামের একজনের পরামর্শ অনুযায়ী জিঞ্জারব্রেড এ ফ্ল্যাশ করেছিলাম।
আপনার স্যামসাং ট্যাবটার কনফিগারেশন না দেখে বলা যাচ্ছেনা। এসব ক্ষেত্রে এক্সডি ফোরামের ডেভেলপারদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন – ওরাই ভাল পরামর্শ দিতে পারবে। আইসিএস এ না যেতে পারলেও হানিকম্ব (অ্যান্ড্রয়েড ৩.০) ট্রাই করে দেখতে পারেন। সনি কিন্তু ওদের ট্যাবগুলোর জন্যও আইসিএস রিলিজ দিয়েছে । 😉
অভিনন্দন নতুন ফোনের জন্য। বাংলাদেশে কি এটা পাওয়া যায়? দাম কিরকম?
ঢাকায় পাওয়া যায়, এর দাম পড়বে প্রায় ৩৬০০০৳।
সবচেয়ে বড় যে সমস্যা টা দেখেছি সেটা হল ম্যাপ্স এ কম্পাস কাজ করে নাহ । বেসিকালি অবশ্য ওটা কারো লাগে না 😛 । আর কিছু এপ এখোণ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ এর জন্য আসে নাই 😛 । রুট করতে এত ভয় পান কেন 😛 । একদম সহজ হয়ে গেছে ICS আসার পর 😛 আর্টিকেল লেখার টাইম পাচ্ছি নাহ । আপনি তো আবার সব কিছুতেই ইন্যাক্টিভ 😛 . কেম্নে লিঙ্কু দিমু 😛
কথা হচ্ছে সনির আইসক্রিমের স্টক রম রুট করার এখনো উপায় বের হয় নাই আমার জানামতে (xda)। এই মুহূর্তে প্রি রুটেড কাস্টম ছাড়া উপায় নেই। আমি লাইভ with ওয়াকম্যান ব্যবহার করি। কাস্টম আইসক্রিম রিলিজে এখনো যাই নি। আর আমার কমদামি ফোনের আইসক্রিম যে কবে সনি ছাড়বে আল্লাহপাক জানে।
একটি প্রশ্নঃ আইসক্রিমে নাকি সবকিছু খুব স্লো?
সনির ভাষ্যমতে ওয়াকম্যানের জন্য আইসিএস রিলিজ দেয়া হবে মে’র শেষে বা জুনের শুরুতে। তাছাড়া কাস্টম রম ব্যবহারের ঝামেলা হচ্ছে, ২০১১’র এক্সপেরিয়া লাইন আপের সবগুলো ফোনের মেমরি ও প্রসেসর আইইসিএস চালানোর পক্ষে খুবই কম। তাই সনি তাদের সেটের উপযোগী করে আইইসিএসকে মডিফাই করে তারপর রিলিজ দিয়েছে। যার ফলে স্বল্প প্রসেসর বা মেমরির একস্পেরিয়ার উপযোগী এইসব আপডেট নির্দিষ্ট ডিভাইসে বেশ ভালমতই চলে কিংবা চলবে।
প্রশ্নের জবাবঃ নাহ, আমার আর্ক এসে মোটেও স্লো মনে হচ্ছেনা! 🙂
সব এনড্রয়েড ! আমরাও , দেখা করেন ! Best Web Design & Development Of Bangladesh.