এই লেখাটা আমার নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা। আমার প্রাত্যহিক জীবনে কম্পিউটার সম্পর্কীত বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন ধ্যানধারনা কিংবা আমার নিজের দেখা বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে এই লেখাটা লেখা হয়েছে। তাই এই লেখাকে দয়া করে এন্টি উইন্ডোজ ঘরানার কিছু মনে করবেনা।
যখন প্রথম কম্পিউটার জিনিসটা দেখি তখন ক্লাস ফোর কি ফাইভে পড়ি। তখন ছিল ডসের যুগ। টেলিভিশনের মত যন্ত্রের সামনের কালো স্ক্রিনে কি কি লেখা আসে। কম্পিউটার বলতে এটাই বুঝতাম। ক্লাস নাইনে বাসা থেকে নিজের জন্য যখন পিসি পেলাম, তখন ছিল উইন্ডোজ ৯৫ এর যুগের একদম শেষের দিক। আমার পিসিতে ছিল প্রিইন্সটলড উইন্ডোজ ৯৮ (বাংলাদেশে তো পিসি কিনলেই উইন্ডোজ থাকে)। নিজে পিসি পাবার আগে অন্যদের পিসিতে হালকা পাতলা গেম খেলেছিলাম, তাই উইন্ডোজের ইন্টারফেসের সাথে খুব একটা অপরিচিত ছিলামনা। তাই আশেপাশে সাহায্য করার মত তেমন কেউ না থাকলেও নিজে নিজে আয়ত্ত্ব করতে বেশি দিন লাগেনাই। আয়ত্ত্ব বলতে মুভি দেখা, গান শোনা, গেম খেলা, টুকাটাক টাইপ করা আর এমএস পেইন্টে ছবি আঁকার চেষ্টা করা। আর এই পাঁচটা কাজের প্রথম চারটা কাজ আমি বয়সানুযায়ী বেশ দক্ষতার সাথেই করতে পারতাম। কম্পিউটারে যে এর চেয়ে বেশি কিছু করা যায় সেটাই জানতামনা! সেটা জেনেছি আরো পরে যখন সি এর সাথে পরিচয় হয়। নটরডেম কম্পিউটার ক্লাবের ছোট্ট রুমটাতে সপ্তাহে একবার যেতাম প্রোগ্রামিং শেখার জন্য। তখনই আস্তে আস্তে বুঝতে শিখি কম্পিউটারের আসল ক্ষমতা। এর আগ পর্যন্ত কম্পিউটার ছিল আমার কাছে টাইপরাইটার, ভিসিডি প্লেয়ার আর সেগা-নিন্টেন্ডোর গেমস্টেশনের মিলিত একটা যন্ত্র। এরও কয়েক বছর পর জানতে পারি উইন্ডোজই কেবল একমাত্র অপারেটিং সিস্টেম না, আরো আছে, আর লিনাক্স হচ্ছে সেরকমই একটা! Continue reading উইন্ডোজের সবচেয়ে বড় শক্তিই যখন তার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা!