উবুন্টুর লাইভ সিডি চালিয়ে বা উবুন্টু ইন্সটল করে আপনি টের পেলেন আপনিতো ডেস্কটপের কিছুই বুঝছেননা! উইন্ডোজে যেখানে নীচে একটা টাস্কবার থাকে সেখানে উবুন্টুতে একটার জায়গায় দুইটা টাস্কবার। তার উপর কোন টাস্কবারেই কোন স্টার্ট বাটন নেই! কোত্থেকে শুরু করবেন কোন কূল কিনারা পাচ্ছেননা, পুরোটাই অচেনা লাগছে, তাই না! চলুন তাহলে অচেনা ভাবটা কাটিয়ে উবুন্টুর ডেস্কটপের সাথে পরিচিত হয়ে দোস্তি করে ফেলি।
Category: টিউটোরিয়াল
টিউটোরিয়াল ক্যাটাগরির সকল পোস্টের আর্কাইভ
অভ্র ফনেটিক দিয়ে বাংলা লেখা
অনেকেই উবুন্টু কিংবা মিন্টে অভ্র দিয়ে ফনেটিক বাংলা লিখতে গিয়ে অভ্র ইন্সটল করতে বেশ সমস্যায় পড়ছেন। অথচ উবুন্টু বা মিন্টে অভ্র ইন্সটল করা খুব সহজ। সামান্য কয়েকটা সহজ ধাপ অনুসরণ করে সহজেই অভ্র ইন্সটল করা সম্ভব। তাহলে আসুন আমরা অভ্র ইন্সটল করি।
এই টিউটোরিয়ালে আমি উবুন্টু ১০.০৪ (ল্যুসিড লিংক্স) এ অভ্র ইন্সটলেশান নিয়ে আলোচনা করছি। একই পদ্ধতিতে লিনাক্স মিন্ট ৯ (ইসাডোরা) এ ও অভ্র ইন্সটল করা সম্ভব। অভ্র ইন্সটল করতে নীচের ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ
উবুন্টুতে সফটওয়্যার ইন্সটলেশান সমাচার
আপনি নতুন উবুন্টুতে এসে পড়েছেন? কিন্তু সফটওয়ার কিভাবে ইন্সটল করবেন কোন দিশা পাচ্ছেননা? আন্দাজ করতে পারছি আপনি কি করেছেন। আপনি গুগলে সার্চ করে নিশ্চয়ই গিয়েছেন আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়ারের সাইটে। তারপর ডাউনলোড পেজে গিয়ে নিশ্চয়ই .tar.gz ফাইলটা ডাউনলোড করেছেন। এরপর এটা ওপেন করতে গিয়ে টের পেলেন যে এটা আসলে জিপ (.zip) টাইপের একটা ফাইল, কোন .exe ফাইল না। তারপর এর উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে এটাকে এক্সট্রাক্ট করলেন। এক্সট্রাক্ট করা ফোল্ডারে ঢুকে এইবার আপনি দিশেহারা কারন সেখানে কোন setup.exe ফাইল নাই! এইবার কি হবে? দিশেহারা হয়ে লাভ নেই, বরং আসুন দেখি কিভাবে উবুন্টুতে কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হয়।
বুন্টু ব্যাটেলিয়ন!
ধরে নিচ্ছি আপনি লিনাক্স এবং উবুন্টুর মধ্যে কী সম্পর্ক আছে সেটা জানেন। না জানলেও সমস্যা নেই, এখান থেকে দেখে নিন। যেহেতু আপনি উবুন্টু’র নাম শুনেছেন, সেহেতু ধরে নেয়া যায় যে আপনি কুবুন্টু, জুবুন্টু, লুবুন্টু এইসবের নামও শুনেছেন। এবং সেই সাথে চার-চারটা বুন্টু’র নাম শুনে নিশ্চয়ই মাথায় ব্যাড়াছ্যাড়া লেগে গিয়েছে। নিশ্চয়ই মাথার মধ্যে গাদাগাদি করে বহু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে! “বুন্টু”র আগে “হ্রস্ব-উ” ঠিক আছে, কিন্তু “বুন্টু”র আগে “কু”, “জু”, “লু” – এইসব লাগানোর শানে নুযুল কি? বিশাল এই বুন্টু ব্যাটেলিয়ন কি কাজে আসে? এত্তোগুলো বুন্টুর মধ্যে সম্পর্কই বা কি? আসুন তাহলে শুরু করা যাক।
উবুন্টু, কুবুন্টু, জুবুন্টু, লুবুন্টু- প্রথমেই এ চারটা শব্দের সাথে পরিচিত হয়ে নিন (যদি আগে শুনে না থাকেন)। কুবুন্টু, জুবুন্টু, লুবুন্টু হচ্ছে উবুন্টু’র বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট বা রূপভেদ। এরা সবাই আদতে উবুন্টুই কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন রূপ। এদের সবগুলোকেই ক্যানোনিকাল তৈরি করে। এদের সবগুলোই একই সাথে রিলিজ হয়। এদের মধ্যে পার্থক্য কেবল এদের ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট (Desktop Environment বা DE)। সোজা করে বললে, ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট বা ডিই হচ্ছে ইউজার ইন্টারফেস। অর্থাৎ যে ইন্টারফেস ব্যবহার করে একজন মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করে। অনেক ধরনের ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট আছে; যেমন: গ্নোম, কেডিই, এক্সএফসিই, এলএক্সডিই ইত্যাদি। সহজভাষায় লিনাক্সবেজড অপারেটিং সিস্টেমে কম্পিউটার চালু করলে ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড দেয়ার পর গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসের যে ডেস্কটপ দেখেন সেটাই হচ্ছে ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট বা ডিই। ডিইকে অনেকটা পোশাকের সাথে তুলনা করা যায়। উবুন্টু’র ডিই (বা পোশাক) হচ্ছে গ্নোম, কুবুন্টুর হচ্ছে কেডিই, জুবুন্টুর হচ্ছে এক্সএফসিই, লুবুন্টুর হচ্ছে এলএক্সডিই। একই মানুষ বিভিন্ন পোশাক পড়ে যেমন বিভিন্ন রূপে হাজির হতে পারে, ঠিক সেভাবে উবুন্টুর উপর বিভিন্ন পোশাক চাপিয়ে তার চেহারায়ও পরিবর্তন আনা হয়। এজন্য দেখবেন উবুন্টু, কুবুন্টু, জুবুন্টু, লুবুন্টু’র চেহারায় অনেক তফাৎ।
আরেকটু সহজ করে বলি। ধরুন আজকে ‘আপনি‘ শার্ট প্যান্ট পড়ে বাইরে গেলেন, আর গতকালকে বের হয়েছিলেন পাজামা পাঞ্জাবি পড়ে। বলুনতো আজকের আর গতকালকের ‘আপনার‘ মধ্যে পার্থক্য কিসে? কেবল মাত্র পোশাকে তাইনা! কিন্তু পোশাকের ভেতরের মানুষ আপনি যেমন ছিলেন তেমনই কিন্তু আছেন, সেখানে কোন পার্থক্য নেই। উবুন্টু আর কুবুন্টুর পার্থক্যও একই রকম, কেবল বাইরেই ভিন্নতা ভিতরে দুটোই এক। ক্যানোনিকাল কম্পানি যেই ওএস বানায় সেটার মূল ডিস্ট্র’র নাম হচ্ছে উবুন্টু। উবুন্টু ব্যবহার করে “গ্নোম” নামের একটি পোশাক আর কুবুন্টু ব্যবহার করে “কেডিই” নামের আরেকটা পোশাক। সহজভাবে বললে উবুন্টুর উপর “গ্নোম” পোশাকটি না দিয়ে তার উপর “কেডিই” পোশাক পড়িয়ে কুবুন্টু নামের ভার্সনটি বের করা হয়। পোশাক পড়ার পর কুবুন্টু’র চেহারা আর “গ্নোম” পড়া উবুন্টুর চেহারা দেখুন এখানে। এই পোশাকটাকে লিনাক্সে বলা হয় “ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট” বা সংক্ষেপে “ডিই”। এরকম আরো দুটি ডিই হল এক্সএফসিই ও এলএক্সডিই। উবুন্টুর যেই ভ্যারিয়েন্টটি এক্সএফসিই পোশাক পড়ে থাকে তাকে বলে জুবুন্টু আর যে ভ্যারিয়েন্টটি এলএক্সডিই’র পোশাক পড়ে তার নাম লুবুন্টু। চারটি ভিন্ন ভিন্ন পোশাক পড়া অবস্থায় (বা ভিন্ন ভিন্ন ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্টের) চারটি ভ্যারিয়েন্টের ডেস্কটপের ছবিগুলো দেখুন নীচে।
উবুন্টুর গ্নোম ডেস্কটপ | কুবুন্টুর কেডিই ডেস্কটপ |
জুবুন্টুর এক্সএফসিই ডেস্কটপ | লুবুন্টুর এলএক্সডিই ডেস্কটপ |
একেবারে সহজ করে বললে উপরের আলোচনাগুলো সারসংক্ষেপে অনেকটা নীচের মত দাঁড়ায়:
কেডিই উবুন্টু (Kde UBUNTU) => কুবুন্টু (KUBUNTU)
এক্সএফসিই উবুন্টু (Xfce UBUNTU) => জুবুন্টু (XUBUNTU)
এলএক্সডিই উবুন্টু (Lxde UBUNTU) => লুবুন্টু (LUBUNTU)
এতটুকু পড়ে মনে হতে পারে ডিই বুঝি উইন্ডোজের স্কিনের বা থিমের মত কোন ব্যাপার। আসলে সেটা না। উইন্ডোজের থিম পাল্টালে কিন্তু কেবল চেহারাটাই পাল্টায়, আর কিছু না। কিন্তু লিনাক্স বেজড অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে ডিই পাল্টালে চেহারার সাথে আরো অনেক কিছুই পাল্টে যায় (যেমন মেমরি কনজাম্পশন, ডিফল্ট এ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি)। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, ধরুন আপনি শার্ট পাল্টে পাঞ্জাবি পড়লেন, এতে কিন্তু আপনার কিছু উপযোগিতা বেড়ে/কমে যায়। যেমন শার্টে বুকের কাছে একটা পকেট থাকতো যেখানে আপনি পাঞ্জাবিতে কোমড়ের কাছে দুই পাশে দুটা পকেট পাচ্ছেন। কিংবা আপনি স্যুট পড়লেন, তাহলে আপনার ব্যবহারবিধিও অনেক পাল্টে যাবে। প্রতিটা ক্ষেত্রে আপনি কেবল পোশাক পাল্টাচ্ছেন কিন্তু সেই সাথে আপনার অনেক কিছুও পাল্টে যাচ্ছে। ডিই’র ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটাই ঘটে। যেমন উবুন্টুর (গ্নোমের) ডিফল্ট ফাইল ম্যানেজারের নাম হচ্ছে নটিলাস কিন্তু কুবুন্টুর (কেডিই’র) ডিফল্ট ফাইল ম্যানেজার হচ্ছে ডলফিন। একইভাবে উবুন্টুর (গ্নোমের) ডিফল্ট মিউজিক প্লেয়ার হচ্ছে রিদমবক্স যেখানে কুবুন্টুর (কেডিই’র) ডিফল্ট হচ্ছে এ্যামারক। আবার মেমরি কনজাম্পশনের দিক থেকে সবচেয়ে কম মেমরিতে চলে লুবুন্টু, লুবুন্টুর চেয়ে বেশি মেমরি নেয় জুবুন্টু, তার চেয়ে বেশি দরকার হয় উবুন্টু চালাতে আর সবচেয়ে বেশি মেমরি দরকার হয় কুবুন্টুর জন্য। এভাবে প্রতিটা ডিই’র সাথে ফাইল ম্যানেজার থেকে শুরু করে এদের ডিফল্ট অনেক এ্যাপ্লিকেশন, এ্যাপ্লেটম, ডিসপ্লে টুল ইত্যাদি অনেক কিছু পাল্টে যায়। তাই ডিই পাল্টালে শুধু চেহারাই না বরং কাজের ধরনও খানিকটা পাল্টে যায়। উইন্ডোজের থিমের ক্ষেত্রে কিন্তু অন্য ঘটনা ঘটে। অনেকটা এইরকম: ধরুন আপনি নীল পাঞ্জাবি পড়লেন, সেটা পাল্টে লাল পাঞ্জাবি পড়লেন, কিংবা সাদা পড়লেন, অথবা শর্ট পাঞ্জাবি পড়লেন। প্রতি ক্ষেত্রেই আপনার কেবল পাঞ্জাবীটাই পাল্টে যাচ্ছ, অন্য কোন নতুন পোশাক কিন্তু আসছেনা, ফলে নতুন কোন অপশনও যোগ হচ্ছেনা বা পুরনো কোন অপশনও বাদ পড়ছেনা। পাঞ্জাবি যেমন ছিল তেমনই আছে শুধু পাঞ্জাবিটা পাল্টাচ্ছে। অর্থাৎ আপনি উইন্ডোজে যে থিমই ব্যবহার করুননা কেন (হোক সেটা এক্সপির রয়্যাল ব্লু থীম বা উইন্ডোজ ক্লাসিক থীম) আপনার ফাইল ম্যানেজার কিন্তু উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারই থাকবে কিংবা ডিফল্ট প্লেয়ার থাকবে উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার। কেবল চেহারাটাই পাল্টাচ্ছে, এখানেই হচ্ছে উইন্ডোজের থিম আর লিনাক্সের ডিই’র মধ্যে পার্থক্য। আর পার্থক্যটা বেশ বিশাল।
আপনি উবুন্টুর যেই ভ্যারিয়েন্টই ব্যবহার করুন না কেন তাতে সব প্রোগ্রামই চালাতে পারবেন। কুবুন্টুর এ্যামারক মিউজিক প্লেয়ার যেমন উবুন্টুতে চালাতে পারবেন ঠিক সেভাবে উবুন্টুর মিউজিক প্লেয়ার রিদমবক্সও কুবুন্টুতে চালাতে পারবেন। এভাবে একটার প্রোগ্রাম আরেকটাতে চালানো সম্ভব- কোন সমস্যা নেই। তাছাড়া হাতেগোনা কয়েকটি কমান্ড ছাড়া উবুন্টুর সব কমান্ডই বাকী সব ভ্যারিয়েন্টে কাজ করবে। লিনাক্সের জগতে এরকম প্রচুর ডিই পাবেন। এসব ডিই’র প্রত্যেকের রয়েছে আবার নিজেদের ফ্যান (ইহা পাংখা নহে, ইহা ভক্ত)। তাই কোনোটাকে এককভাবে প্রাধান্য দেয়া ঠিক হবেনা। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে গ্নোম ও কেডিই। সিমপ্লিসিটি ও ব্যবহারবান্ধবতার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে গ্নোম। আবার প্রচুর অপশন ও রূপলাবণ্যের জন্য কেডিই’র রয়েছে বেশ নাম ডাক।
মোদ্দা কথা হচ্ছে- উবুন্টু, কুবুন্টু, জুবুন্টু, লুবুন্টু- আপনি যা-ই ব্যবহার করেননা কেন আসলে আপনি উবুন্টুই ব্যবহার করছেন। এজন্য যখন নতুন ভার্সনের উবুন্টু রিলিজ হয় তখন একই সাথে একই ভার্সনের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও রিলিজ হয়। অর্থাৎ উবুন্টু ১০.১০ রিলিজ পেলে চোখ বন্ধ করে ধরে নিতে পারেন যে কুবুন্টু ১০.১০, জুবুন্টু ১০.১০ এবং লুবুন্টু ১০.১০ ও একই সাথে একই তারিখে রিলিজ পাবে। এদের নাম গুলোও একই থাকে, অর্থাৎ উবুন্টু ১০.১০ এর নাম যেহেতু ম্যাভরিক মির্ক্যাট; সেহেতু কুবুন্টু ১০.১০, জুবুন্টু ১০.১০ ও লুবুন্টু ১০.১০- সবগুলোর নামই হবে ম্যাভরিক মির্ক্যাট। বলার সুবিধার জন্য অনেকে এভাবে বলে থাকেন যে কুবুন্টু ম্যাভরিক মির্ক্যাট, জুবুন্টু ম্যাভরিক মির্ক্যাট ও লুবুন্টু ম্যাভরিক মির্ক্যাট। তাই ব্যবহারের আগে আপনার প্রয়োজন চিন্তা করে ব্যবহার করুন যে, কোনটি আপনার জন্য বেশি যুৎসই হবে। আর যদি নিজের প্রয়োজন না বুঝেন তাহলেও সমস্যা নেই, ১গিগাবাইট বা তার চেয়ে বেশি মেমরি (RAM) হলে উবুন্টু বা কুবুন্টু চালান আর ৫১২ মেগাবাইটের কম হলে জুবুন্টু বা লুবুন্টু চালান। তবে ৫১২ মেগাবাইটেও অনেকে উবুন্টু ও কুবুন্টু চালিয়েছেন। তবে চালাবার আগে দয়া করে এদের সাইট থেকে এদের চালানোর জন্য পিসির মিনিমাম রিকোয়্যারমেন্ট দেখে নেবেন। যাই হোক, বুন্টু ব্যাটেলিয়ন আপনার পিসিতে দৌড়ানোর জন্য অপেক্ষা করছে। তাই বুন্টু ব্যাটেলিয়নের কোন সদস্যকে বেছে নেবেন- সেটা পছন্দ করা আপনার পালা।
পরবর্তীতে প্রকাশিতঃ
উবুন্টুর ফাইল স্ট্রাকচারের অ আ ক খ
উইন্ডোজ ব্যবহারকারী যারা উবুন্টুতে আসার পর যে জায়গায় সবচেয়ে বেশি ঘুরপাক খান সেটা হল উবুন্টু বা লিনাক্সের ফাইল সিস্টেম হায়ার্রকি। উইন্ডোজে কোন ফোল্ডার বা ফাইল কোথায় আছে সেটা তারা সহজে বের করতে পারলেও উবুন্টুতে এসে তারা খাবি খেতে থাকেন। কারণ উবুন্টুতে ফাইল হায়ারার্কি মানে কোন ফাইল কোথায় আছে সেটা উইন্ডোজের চেয়ে সামান্য আলাদা। তাই পরিচিত উইন্ডোজের গন্ডি থেকে বের হয়ে উবুন্টুতে (বা অন্য কোন লিনাক্স ডিস্ট্রতে) আসলে তাদের কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেতেই হয়। তবে কিনা উবুন্টুর ফাইল হায়ারার্কি কিন্তু মোটেও কঠিন কিছুনা, শুধু জানতে হবে কোথায় কি আছে। এই লেখাটাতে উবুন্টুর কথা লেখা হয়লেও প্রায় সব লিনাক্স ডিস্ট্র’র জন্য লেখাটা প্রযোজ্য। ডিস্ট্রভেদে একটা-দুটো ফাইল হয়তো আলাদা থাকতে পারে, বাদবাকী সব একই।
Continue reading উবুন্টুর ফাইল স্ট্রাকচারের অ আ ক খ
লিনাক্স এবং উবুন্টু!
যারা নতুন নতুন লিনাক্সে আসতে চান বা চিরদিন চারদিকে রেডহ্যাট লিনাক্সের নাম শুনে হঠাৎ করেই উবুন্টুর নাম শোনেন, তাদের অনেকেই বুঝতে পারেননা যে লিনাক্স আর উবুন্টুর মধ্যে সম্পর্কটা কি। উবুন্টু কি লিনাক্সের কোনো ভার্সন? যেমন উইন্ডোজের ক্ষেত্রে এক্সপি, ভিসতা বা সেভেন? নাকি উবুন্টুই লিনাক্স? যদি উবুন্টুই লিনাক্স হয় তাহলে রেড হ্যাট লিনাক্স কি জিনিস? ওটাওতো লিনাক্স? ওটা কি লিনাক্সের আলাদা ভার্সন?— এরকম হাজারো প্রশ্নের ভীড়ে তারা খাবি খেতে থাকেন। যারা এভাবে খাবি খেতে খেতে পেট ভর্তি করে ফেলেছেন তারা একটু মনযোগ দিয়ে এই লেখাটা পড়ুন, আশাকরি এরপর থেকে কেবল খাবি খেয়েই আর পেট ভর্তি করতে হবেনা!
Continue reading লিনাক্স এবং উবুন্টু!
রিদমবক্স যখন বাংলা অনলাইন রেডিও
ইদানিং দেশে বাংলা অনলাইন রেডিও উৎপাত বেশ বেড়ে গিয়েছে। বেশিরভাগগুলোতেই গান প্রচার করা হয়। তবে অনলাইন রেডিও শোনার সমস্যা একটাই – রেডিওর সাইটে গিয়ে ওদের প্লেয়ারে গান শুনতে হয়। কেমন হয় যদি সবগুলো রেডিওকে একটা প্লেয়ারের মধ্যে বন্দী করে ফেলা যায়? সাধারন প্লেলিস্টের মত একেকটা রেডিও থাকবে আর খালি মাউসের একটা ক্লিকেই পাল্টে যাবে রেডিও স্টেশন! এই কাজটা খুব সহজেই করা যায় রিদমব্ক্সে। [অন্যান্য প্লেয়ারেও করা যায়, যেহেতু উবুন্টুর সাথে রিদমবক্স ডিফল্ট হিসেবে আসে সেজন্য এখানে এটাকেই ব্যবহার করা হল।]
ওয়েবসাইটের ঠিকানা আর রেডিও স্টেশনের ঠিকানাঃ
একটা অনলাইন রেডিওর ওয়েবসাইটের ইউআরএল আর স্টেশনের (বা ব্রডকাস্ট) ইউআরএল কিন্তু দুটো ভিন্ন জিনিস। রিদমবক্সে রেডিও স্টেশন সেভ করতে হলে স্টেশনের ইউআরএল দরকার। স্টেশনের ইউআরএল সাধারনত যে সাইটে প্লেয়ার দিয়ে গান চলতে থাকে সে সাইটেই পাওয়া যায়। আমি ফায়ারফক্সে অডিও ভিডিও চালানোর জন্য MPlayer প্লাগিন ব্যবহার করি। এই প্লাগিনের আরেকটা সুবিধা হল এই প্লাগিন দিয়ে চালু হওয়া যেকোন ওয়েব প্লেয়ারে মাউস পয়েন্টার রেখে রাইট ক্লিক করলে তার স্টেশনের ইউআরএল পাওয়া সম্ভব। নিচের ছবিটি দেখুনঃ
Continue reading রিদমবক্স যখন বাংলা অনলাইন রেডিও
টার্মিনাল নিয়ে টানাটানি
মানুষজন লিনাক্সে আসতে চায়না যে কটা কারনে তার মধ্যে মনে হয় সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত কারন হচ্ছে “লিনাক্সে কোড লিখতে হয়“! সাধারন ব্যবহারকারিদের মধ্যে কোড লেখার প্রতি একটা ভীতি সবসময়ই কাজ করে (হাসি দিয়ে লাভ নাই, আমি নিজেও এই জিনিসটাকে ভয় পেতাম)। অনেকে মাউস পয়েন্টারের পরিবর্তে এইসব কোড লেখাকে মহারাজ মান্ধাতার সম্পত্তি মনে করে। ফলে মহারাজের আমলের জিনিসকে বাদ দিয়ে তারা মাউসের উপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল। এটা দোষের কিছু না। যার যেটাতে সুবিধা সে সেটাই ব্যবহার করবে। এই বিষয়টা ধরতে পেরেই উবুন্টু গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসের উপর এত বেশি জোর দিয়েছে যে, কোন নতুন ইউজার একলাইন কোড না জেনেও তার সাধারন কাজগুলো মাউস ক্লিকে করে নিতে পারবেন। এবার নিশ্চয়ই আমার উপর ক্ষেপে উঠেছেন; নিশ্চয়ই মনে মনে বলছেন – তাহলে ভাই কেন টার্মিনাল নিয়ে খামাখা টানাটানি করছেন? বলছি, একটু সবুর করুন!