গতকালকে রিলিজ হল “উবুন্টু ১০.০৪” ওরফে “ল্যুসিড লিংক্স”। উবুন্টুর একেকটা রিলিজের সময় পুরো দুনিয়ার সব বন্টুর মনে যেন ঈদের আনন্দ বয়ে যায় (অবশ্য যারা উবুন্টু ব্যবহার করেননা, তারা কখনোই এই আনন্দের স্বাদটা পাবেননা!)। বছরে দু’বার রিলিজ হবার সুবাদে তাই বলা যায় যে বন্টুরা বছরে দুইটা ঈদের মত মজা করে।বিশ্বজুড়ে সব বন্টু অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে তাকে কখন মুক্তি পাবে নতুন ভার্সন। তাই এপ্রিলের ল্যুসিড লিংক্সের রিলিজের সময় বিশ্বের তাবৎ বন্টু অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছে। তবে এই আগ্রহটা অন্যান্যবারের চেয়ে এবার বেশিই ছিল। কারণ এবারের ল্যুসিডের রিলিজটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল দু’টা কারণে। প্রথমতঃ এটা একটি এলটিএস রিলিজ (যা কিনা উবুন্টু প্রতি দু’বছর পর পর করে), ফলে ডেস্কটপে এর সাপোর্ট পাওয়া যাবে তিন বছর আর সার্ভারে পাওয়া যাবে পাঁচ বছর (যেখানে সাধারণ রিলিজগুলোতে পাওয়া যায় ডেস্কটপের জন্য ১৮ মাস ও সার্ভারের জন্য ৩ বছর)। দ্বিতীয়তঃ প্রথমবার রিলিজ হবার পর প্রায় পাঁচবছর কেটে গেছে উবুন্টুর, এখন সে অনেক পরিণত, তার এই পরিণত বয়সের ছাপ ফুটিয়ে তোলার জন্য এবারের রিলিজে চেহারা-সুরৎ থেকে শুরু করে উবুন্টুর অনেক ব্যাপারেই অনেক কিছু যোগ বিয়োগ করা হয়েছে, ফলে বলা হচ্ছে যে এটা দিয়েই উবুন্টুর পরিণত বয়সের নতুন পথ চলা শুরু হবে। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই রিলিজটা নিয়ে পুরো বিশ্বের সব বন্টুর মধ্যে যে প্রচুর আগ্রহ থাকবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এই রিভিউটা লিখেছি ল্যুসিড লিংক্স নিয়ে প্রথমবারের মত নাড়াচাড়া করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে। ছোটবেলা থেকেই ‘মোক্ষম’ সময়ে উপহার খোলার অভ্যাস, আগেভাগে ঘাঁটাঘাঁটি করলে উপহারের আনন্দ নষ্ট হয়ে যাবে- সেজন্য ‘মোক্ষম’ সময়ের আগে কখনো উপহার নিয়ে নাড়াচাড়া করতামনা (দুয়েকবার অবশ্য ব্যতিক্রম আছে!)। ঠিক একই কারণে ল্যুসিডের আসল মজা পেতে এর আলফা, বেটা, আরসি কোন ভার্সনই চালাইনি! ফলে ল্যুসিডের এই রিভিউটা আমার জন্য এক্কেবারে ফার্স্টহ্যান্ড রিভিউ। তাই আগে থেকেই সাবধানবাণী- স্বল্প সময়ে লেখা এই রিভিউতে হয়তো ল্যুসিডের অনেক ফিচার বাদ পড়ে যেতে পারে।
ল্যুসিড লিংক্সঃ
জন্টি ব্যবহার করছি প্রায় বছরখানেক। আমি বেশ অলস মানুষ, “এক ওএসে বছর পার” তত্ত্বে বিশ্বাসী, তাই ছয় মাস পর পর অপারেটিং সিস্টেম পাল্টানো আমার জন্য বেশ হ্যাপার কাজ। সেজন্য আর কারমিকে যাইনি। (আগে যখন উইন্ডোজ ব্যবহার করতাম তখন মাসে একবার করে উইন্ডোজ ইন্সটল দিতাম, এখন উবুন্টু ব্যবহার করে মনে হচ্ছে আলসে হয়ে পড়ছি!) একেতো একবছর হয়ে যাচ্ছে তারউপর এলটিএস রিলিজ- তাই ভয়াবহ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম ল্যুসিডের জন্য। গত একবছরে আমার ল্যাপিতে জন্টির ডিফল্ট সবকিছু পাল্টে এতটাই নিজের মত করে ফেলেছিলাম যে আপগ্রেড করলে আমার অনেক কিছুই ঠিকমত কাজ করবেনা বলেই প্রবল বিশ্বাস ছিল। তাছাড়া কারমিককে এড়িয়ে জন্টি থেকে ল্যুসিডে আপগ্রেড করতে অনেক হ্যাপাও আছে। তাই সহজ সমাধান হল ফ্রেশ ইন্সটল। ডাউনলোডের জন্য বিশ্বব্যাপী উবুন্টুর সার্ভারগুলোতে চাপ আর না বাড়িয়ে ডাউনলোডের জন্য টরেন্টকেই বেছে নিলাম। অনেক্ষণ ধরেই অপেক্ষা করছিলাম ল্যুসিডের রিলিজের জন্য। শেষমুহূর্তে পাওয়া গ্রাবের একটা বাগের জন্য রিলিজে কিছুটা দেরী হচ্ছিল। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে রিলিজ হয় ল্যুসিড। সাথে সাথে দেরী না করে টরেন্ট দিয়ে নামিয়ে ফেললাম। নামাতে মোটমাট এগারো মিনিটের কিছু বেশি সময় লাগলো। এরপর বুটেবল ইউএসবি ড্রাইভ বানিয়ে, তিন বছরের পুরনো আমার একমাত্র কম্পু-কাম-ল্যাপি ডেল ইন্সপিরন ৬৪০০ এ ইন্সটল করা শুরু করলাম। আগের সব ডাটা ব্যাকাপ করে রেখেছিলাম। কারন হোম ডিরেক্টরি ফর্ম্যাট করা দরকার, আগের জন্টিতে ext3 ফাইল সিস্টেম ছিল, এবার ল্যুসিডে ext4 তেই সেটাপ করব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম।
বুট অপশন ও বুট স্ক্রিনঃ
ল্যুসিডে বুট অপশনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেই সাথে বুট স্ক্রিনও পরিবর্তন করা হয়েছে। বুট এ্যানিমেশনে ইউস্প্ল্যাশের পরিবর্তে আনা হয়েছে আকর্ষণীয় প্লাইমাউথ। আগে লাইভ সিডি ঢোকালে একটা টেক্সটবেজড মেনু আসতো। এবার সেই টেক্সটবেজড মেন্যুর পরিবর্তে একটা আকর্ষণীয় গ্রাফিক্যাল মেন্যু – “ওয়েলকাম স্ক্রিন” আসলো। ভাষা নির্বাচন এবং ব্যবহারকারী কিভাবে লাইভ সিডিটি চালাতে চান তার অপশনগুলো রয়েছে এতে। ফলে পুরো ইন্সটলেশন পদ্ধতিটাই এখন গ্রাফিক্যালি হয়ে গিয়েছে।
ইন্সটলেশান স্লাইডঃ
উবুন্টু ইন্সটলেশানের সময় বেশ কিছু স্লাইড দেখানো হয় যাতে উবুন্টুর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও উবুন্টুর বিভিন্ন সফটওয়ারের কোনটার কি কাজ সেগুলো উল্লেখ করা থাকে। ল্যুসিডে এই স্লাইডগুলোর উপস্থাপনাতে দেখলাম বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
পারফর্ম্যান্সঃ
প্রায় পনের মিনিট লাগলো সম্পূর্ণ ইন্সটল হতে। এবার উবুন্টু থেকে HAL বাদ দিয়ে দেয়ায় বুট টাইম হয়েছে আরো দ্রুত। জন্টির চেয়ে দ্রুত বুট হচ্ছে। ইন্সটলেশানের প্রথমবার লগিন স্ক্রিন আসতে সময় লেগেছে ৯ সেকেন্ডের মত আর লগিন স্ক্রিন থেকে এ্যাক্টিভ ডেস্কটপে যেতে সময় লেগেছে প্রায় পাঁচ সেকেন্ডের মত। আমার তিন বছরের পুরনো ল্যাপিতে মোটমাট ১৪ সেকেন্ডেই পুরো ডেস্কটপ ফুল স্যুয়িংয়ে দাঁড়িয়ে গেল। ইন্সটল করার পরপরই সব হার্ডওয়্যার অটোডিটেক্টেড হয়েছে, কোন সমস্যাই হয়নি।
নতুন রংয়ে নতুন সাজে উবুন্টুঃ
উবুন্টু মানেই বাদামী রং- এতদিনের এই কথাটা এবার থেকে আর খাটছেনা। উবুন্টু এবার বেগুনী (aubergine)! শুধুই কি রং, লোগোও পর্যন্ত পাল্টে গেছে উবুন্টুর। সেই সাথে নতুন ডিফল্ট থিমে উবুন্টুর আগের সেই কাঠখোট্টা চেহারা এখন পুরোপুরি মোলায়েম হয়ে গিয়েছে। মোলায়েম এই রূপের কারণে শুধুমাত্র লাইভ সিডি চালিয়েই ল্যুসিডের প্রেমে পড়ে যাওয়া সম্ভব! শুধু থিম না বরং সিস্টেম আইকন, প্যানেলে লোগো, ওয়ালপেপার- সবকিছুতেই এসেছে নতুনত্ব। নতুন রূপের সাথে মিল রেখে টার্মিনালের ব্যাকগ্রাউন্ডের রং সাদা থেকে ডিফল্টভাবে বেগুনী করা হয়েছে। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে টার্মিনালের ব্যাকগ্রাউন্ড ডিফল্টভাবেই সেমি-ট্রান্সপারেন্ট করা, (আগে যে কাজ আমাকে ম্যানুয়ালি করতে হত)! ফোল্ডার আইকনগুলোকে করা হয়েছে আরো গাঢ় কমলা। ডেস্কটপসহ বেশকিছু আইকন পাল্টে বেগুনী রংয়ের করে ফেলা হয়েছে। (নীচের ছবির ডক কিন্তু আমার কাস্টমাইজ করা, ডিফল্টভাবে কোন ডক ল্যুসিডের সাথে আসেনি।)
এতদিন টপ প্যানেলের সর্ববামে থাকা উবুন্টুর রঙিন লোগোটাকে ভালো লাগতোনা আমার, মনে হত যেন লোগোটাকে প্যানেলের ঐ অংশে রাখার জন্য রিসাইজ করতে গিয়ে কালার ম্যানিপুলেশনটা ঠিকমত করতে পারেনি, ফলে কেমন যেন বেমানান লাগতো। সেজন্য আমি সবসময় গ্নোমের লোগো ব্যবহার করতাম। কিন্তু এবারের নতুন উবুন্টু লোগোটা হয়েছে পুরোপুরি মানানসই, তাই বিদায় গ্নোমের লোগো এবং স্বাগতম উবুন্টুর নতুন লোগো। যাই হোক কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য আমি ল্যুসিডের সাথে আসা অন্যান্য ওয়ালপেপার থেকে একটা পছন্দ করে বেগুনীটাকে পাল্টে নীচের মত করে ফেললাম।
উইন্ডোর কন্ট্রোল বাটনগুলো (মিনিমাইজ, ম্যাক্সিমাইজ, ক্লোজ) আগের সব ভার্সনে ডান পাশে থাকলেও ল্যুসিডে তাদেরকে বাম পাশে আনা হয়েছে। ধারণা করছি ডান পাশের নোটিফাই ওএসডির ম্যাসেজগুলোর সাথে বাটনগুলো ওভারল্যাপ করতো বলেই এই ব্যবস্থা। তাছাড়া উবুন্টুর সামনের ভার্সনগুলোতে উইন্ডোর ডানপাশে নতুন অপশন যোগ করার ইঙ্গিত দিয়েছিল মার্ক শাটলওয়ার্থ। বাটন বাম পাশে নিয়ে আসাতে প্রথমদিকে ব্যবহারকারীদের কিছুটা অস্বস্তি হতে পারে, কিন্তু অভ্যাস হতে বেশি সময় লাগবেনা। তবে কেবলমাত্র নতুন দেয়া দুটি ডিফল্ট থিম অ্যাম্বিয়েন্স ও র্যাডিয়েন্সেই বাটনগুলো বামপাশে থাকে। এ্যাপেয়ারেন্স থেকে অন্য কোন থিম সিলেক্ট করলে বাটনগুলো আগের মতই ডানপাশে চলে যাবে। অবশ্য বাটন বাম পাশে থাকাটা আমার জন্য কোন সমস্যা না, কারণ উবুন্টুর আগের বাদামী-কমলার হিউম্যান থিম আমার কাছে কখনোই ভালো লাগতোনা ফলে থিম হিসেবে ম্যাক-ফর-লিন ব্যবহার করতাম। ঐ থিম ইন্সটল করলে উইন্ডো বাটনগুলো আপনা আপনি বামপাশে চলে যেত। তাই বাটন বামপাশে থাকাতে আমার বরং একদিক দিয়ে সুবিধাই হয়েছে।
নোটিফিকেশন এরিয়া এবং ইন্ডিকেটর ও আইকনগুলোকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। ইন্ডিকেটরগুলোকে ইন্টারেকটিভ করা হয়েছে, যেমন আপনি ম্যাসেজ ইন্ডিকেটরের রং দেখে বুঝতে পারবেন যে আপনার জন্য নতুন কোন আনরিড ম্যাসেজ আছে কিনা কিংবা সেশন মেন্যুর রং দেখে বুঝতে পারবেন আপনার কম্পিউটার রিস্টার্ট করা দরকার কিনা। তাছাড়া টপপ্যানেলের ডান পাশের বিভিন্ন ইন্ডিকেটরের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে পুরো নতুন এক সেট মনোক্রোম আইকন, যা কিনা চমৎকারভাবে মানিয়ে গিয়েছে পুরো থিমের সাথে।
উবুন্টুর ডিফল্ট ফাইল ম্যানেজার নটিলাসেও বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। বেশ কিছু বাটনের অবস্থান (জুম, আইকন ভিউ) পারিবর্তিত হয়েছে। ভিউ মেন্যুতে আলাদা প্যান যোগ করার অপশন দেয়া হয়েছে। নটিলাসে থাম্বনেইল আইকনগুলোর চারপাশে একটা বর্ডার দেখা যাচ্ছে। আগের ভার্সনগুলোতে এটা ছিলনা। তবে এখনো পর্যন্ত বর্ডারসহ থাম্বনেইল দেখতে বেশ ভালোই লাগছে। আগে নটিলাসের লোকেশান বা এড্রেসবারে দুটো অপশন থাকতো: একটা তে ডিরেক্টরি লোকেশন ট্যাব হিসেবে দেখাতো আরেকটাতে প্লেইন টেক্সটে দেখাতো। এ দু’টোর মধ্যে সুইচ করার জন্য এড্রেসবারেরে পাশেই একটা বাটন থাকতো। ল্যুসিডে নটিলাসে সেই বাটনটা রাখেনি, তাই টগল করতে হলে Ctrl+l চেপে করতে হচ্ছে। আলাদা একটা প্যান যোগ করার পর নটিলাসের চেহারা কিরকম হয় সেটা নীচে দেখানো হল।
আগের রিলিজগুলোতে System => Preferences => Appearance এ Interface নামে যে ট্যাবটা ছিল সেটাকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে।
ফায়ারফক্সের ডিফল্ট হোমপেজে (বা স্টার্টপেজ) গুগলই রয়েছে, তবে উবুন্টুর নতুন চেহারার সাথে মিল রেখে হোম পেজের ডিজাইনটা পাল্টানো হয়েছে। তবে হোমপেজটাতে গুগলের Web, Images, Videos, Maps, News, Shopping, Gmail ইত্যাদির কুইকলিংক থাকলে আরো ভালো হত।
সামাজিক উবুন্টুঃ
শুধু রংয়েই নয় বরং ল্যুসিডের ঢংয়েও আছে নতুনত্ব। এবারের উবুন্টু আগেরগুলোর চেয়ে অনেকটুকুই সামাজিক। সামাজিকতার উপাদান হিসেবে এতে যোগ করা হয়েছে ওপেনসোর্স মাইক্রোব্লগিং ক্লায়েন্ট “গুইবার” আর সাথে রয়েছে “মিমেন্যু” নামের সম্পূর্ন নতুন একটি ইউজার মেন্যু। ফেসবুক, ফ্লিকার, টুইটার, ডিগ সহ মোট দশটি সামাজিক সাইটের একাউন্ট ম্যানেজ করতে পারে গুইবার, ফলে ব্যবহারকারী কেবল গুইবারে একবার লগিন করলেই বাকী সব সাইট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট পেতে থাকবেন। গুইবারকে সহজে ব্যবহারের জন্য একে মিমেন্যুর সাথে ইন্টিগ্রেড করা হয়েছে। উপরের প্যানেলের ডানপাশে মিমেন্যুর অবস্থান। মিমেন্যু থেকেই এসব সামাজিক সাইটে নিজের স্ট্যাটাস আপডেট করা সম্ভব। তাছাড়া ডিফল্ট চ্যাট ক্লায়েন্ট হিসেবে আছে এম্প্যাথি। গুইবারের সাথে মিল রাখার জন্য এম্প্যাথিকে নতুন রূপ দেয়া হয়েছে, পাল্টানো হয়েছে এর থিম। সেই সাথে উবুন্টু ওয়ান একাউন্ট এবং এম্প্যাথিকেও মিমেন্যুর সাথে ইন্টিগ্রেড করা হয়েছে। মোটকথা হল অনলাইনে চ্যাট কিংবা বিভিন্ন সামাজিক সাইটের যোগাযোগের জন্য মিমেন্যুর মত একটা দারুণ জিনিস এবারের উবুন্টুতে যোগ করে ল্যুসিডকে তার পূর্বসূরীদের চেয়ে কয়েক কদম এগিয়ে নেয়া হল। শুধু ল্যুসিডের পূর্বসূরীই নয় বরং উবুন্টু তার অন্য দুই জায়ান্ট প্রতিযোগী উইন্ডোজ ও ম্যাক থেকেও অনেকদূর এগিয়ে গেল বলা যায়!
বিদায় গিম্প ও স্বাগতম কিছু নতুন মুখঃ
উবুন্টুর গত রিলিজ পর্যন্ত গ্রাফিক্স এডিটিং সফটওয়ার হিসেবে গিম্প থাকলেও, ল্যুসিডে গিম্পকে বাদ দেয়া হয়েছে। আর গিম্পের জায়গায় নতুন কোন গ্রাফিক্স এডিটিং সফটওয়ার যোগ করা হয়নি। তবে ছবিতে ছোটখাট এডিটিংএর জন্য বরাবরের মতই এফস্পট আছে। আর গিম্প ইন্সটল করতে হলে সফটওয়ার সেন্টার তো আছেই!
স্ক্যান করার জন্য এতদিন ধরে থাকা “এক্সেন-ইমেজ-স্ক্যান”কে বাদ দেয়া হয়েছে, এর বদলে এসেছে “সিম্পল-স্ক্যান”। নামের সাথে মিল রেখেই এটাতে এক্সেন-ইমেজ-স্ক্যান এর মত বেশি অপশন নেই, আক্ষরিক অর্থেই একেবারেই সিম্পল এটা! সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এক্সেন-ইমেজ-স্ক্যান এ থাকা অতিরিক্ত অপশন অনেকেই পছন্দ করতেননা। অনেকের এত অপশন নিয়ে সমস্যাও হত। সেদিক দিয়ে সামান্য কয়েকটা কিন্তু কার্যকরী অপশন নিয়ে হাজির হওয়া সিম্পল-স্ক্যান যে কোন সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য তাই খুব ব্যবহার-বান্ধব হবে বলে আশা করা যায়।
পাইটিভি যুক্ত করার মাধ্যমে প্রথমবারের উবুন্টুতে কোন ডিফল্ট ভিডিও এডিটিং সফটওয়ার যোগ করা হল। তবে এটা ওপেনশট বা কেডেনলাইভ এর মত শক্তিশালী কোন এডিটর না। এর ইন্টারফেস খুবই সিম্পল, ফলে এন্ট্রি লেভেলের হোম ইউজারদের জন্য এটার ব্যবহার বেশ সহজসাধ্য হবে।
কারমিকে যুক্ত করা উবুন্টুর অনলাইন ফাইল স্টোরিং সিস্টেম “উবুন্টু-ওয়ান”কে এ্যাপ্লিকেশন মেনু থেকে সরিয়ে সিস্টেম মেনুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাই এ্যাপ্লিকেশন মেনুতে উবুন্টু-ওয়ানকে খুঁজে না পেলে ঘাবড়াবার কিছু নেই।
উবুন্টুওয়ান মিউজিক স্টোরঃ
উবুন্টুতে যারা আইটিউন্সের অভাববোধ করতেন, এবার তাদের মুখে হাসি ফোটার পালা, কারন ক্যাননিকাল তাদের নতুন অনলাইন মিউজিক স্টোর “উবুন্টুওয়ান মিউজিক স্টোর” ল্যুসিডের সাথে চালু করেছে। ফলে পাঁড় সংগীতপ্রেমী উবুন্টু ব্যবহারকারীরা এবার তাদের পিসি থেকেই রিদমবক্স দিয়ে অনলাইন থেকে পছন্দমত গান কিনতে পারবেন। রিদমবক্সের বাম পাশের মেন্যুতে উবুন্টু-ওয়ানের আইকন পাওয়া যাবে। উবুন্টু ওয়ান মিউজিক স্টোরে অবশ্য বেশ কিছু বিনামূল্যের গানও আছে। তবে মিউজিক স্টোরে লগিন করতে অবশ্য উবুন্টুওয়ানের এ্যাকাউন্ট লাগবে। উবুন্টু ওয়ান মিউজিক স্টোরের সুযোগ সুবিধা সবকিছুই প্রায় এ্যাপলের আইটিউন্সের মতই লাগলো, কেবলমাত্র এটা এ্যাপলের প্রোডাক্ট না- এটাই যা পার্থক্য!
নতুন রূপে সফটওয়্যার সেন্টারঃ
সফটওয়ারের গুদামঘর উবুন্টু-সফটওয়ার-সেন্টারেও লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। ফিচার্ড-এ্যাপ্লিকেশন নামে নতুন অপশন যোগ করা হয়েছে যাতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সফটওয়ার যেগুলো উবুন্টুর সাথে ডিফল্টভাবে দেয়া সম্ভব হয়নি সেগুলোকে হাইলাইট করা হয়েছে, ফলে ব্যবহারকারিরা সহজেই সবচেয়ে বেশি কাজের সফটওয়্যারগুলোকে ইন্সটল করে নিতে পারবেন। তাছাড়া এবার সফটওয়ার-সেন্টার থেকেই ফন্ট ইন্সটল করার অপশন রাখা হয়েছে। ফলে সহজেই সিস্টেমে ফন্ট ইন্সটল করা যাবে এখন থেকে। সেই সাথে থিমস-এ্যান্ড-টুইক্স নামে নতুন অপশন রাখা হয়েছে, যেখান থেকে নতুন থিম ডাউনলোড করা যাবে। তাছাড়া যে কোন রিপো যোগ করলে সেটাকে সহজেই সফটওয়্যার সেন্টার থেকে এ্যাক্সেস করা যায়। মাত্র গত রিলিজে যুক্ত করা এই সফটওয়ার-সেন্টারটি ল্যুসিডে এখন অনেক পরিণত। হযতো অচিরেই সিন্যাপ্টিককে সরিয়ে সফটওয়ার-সেন্টারই হবে উবুন্টু’র মূল প্যাকেজ ম্যানেজার।
বাংলায় লেখাপড়াঃ
বরাবরের মত এবারেও উবুন্টুতে বাংলার চমৎকার সাপোর্ট রয়েছে। অনলাইনে বাংলা পড়তে আলাদা কিছুই করতে হয়না। আর বাংলা লেখার জন্য উবুন্টুর সাথেই রয়েছে প্রভাত, ইউনিজয় ও জাতীয় কিবোর্ড। System=>Preferences=>Keyboard=>Layout অথবা System=>Preferences=>IBus Preferences=>Input Methods থেকে সহজেই আপনার কাংক্ষিত কিবোর্ড লেয়াউটটি বেছে নিতে পারবেন। তাছাড়া সফটওয়্যার সেন্টার থেকে সহজেই বেশ কিছু বাংলা ফন্ট ইন্সটল করা যাচ্ছে। অমিক্রনল্যাব ও একুশের ইউনিকোড ফন্টগুলোকে উবুন্টুর এই ফন্ট রিপোতে যোগ করতে পারলে খুব ভালো হয়, তাহলে আর কষ্ট করে আলাদা আলাদা ফন্ট ডাউনলোড করার ঝামেলাটা করা লাগেনা।
অন্যান্য ব্যাপার-স্যাপারঃ
– লিনাক্সের কার্নেল ২.৬.৩২-২১ জেনেরিক ব্যবহার করা হয়েছে।
– ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট হিসেবে গ্নোম ২.৩০.০ ব্যবহার করা হয়েছে।
– কোন কারনে সিস্টেম রিস্টার্টের দরকার হলে উপরের প্যানেলের ডানপাশের সেশন মেন্যুর পাওয়ার বাটনটি লাল সংকেত দেয়।
– ভলিউম মিউট থাকা অবস্থায় যদি কোন এ্যাপ্লিকেশন সাউন্ড ব্যবহার করতে চায় তাহলে উপরের প্যানেলের সাউন্ড এ্যাপ্লেটটাও লাল আলোর সংকেত দেয়।
– সাউন্ড এ্যাপ্লেটের ভলিউম কন্ট্রোলারকে আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছে, যেটা কারমিকে লম্বালম্বিভাবে ছিল।
– নতুন ম্যাসেজ এলে টপপ্যানেলের ম্যাসেজ ইন্ডিকেটর সবুজ আলোর সংকেত দিতে থাকে।
– ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে বরাবরের মত ফায়ারফক্সই আছে। ব্যবহার করা হয়েছে ফায়ারফক্স ৩.৬.৩। ল্যুসিডে এর হোমপেজ ইয়াহুতে পরিবর্তন করার কথা থাকলেও মূল রিলিজে আগের মত গুগলেই আছে।
– অফিস স্যুট হিসেবে ওপেন অফিস ৩.২ ব্যবহার করা হয়েছে।
– টেক্সট এডিটর হিসেবে আছে গেডিট।
– ইমেইল ক্লায়েন্ট ও পার্সোনাল এ্যাপোয়েন্টমেন্ট রাখার জন্য রয়েছে এভুল্যুশান।
– অডিও ও ভিডিও’র জন্য যথাক্রমে রিদমবক্স ও টোটেমকে রাখা হয়েছে।
– সিডি/ডিভিডি বার্ন করার জন্য আছে ব্রাসেরো।
– ল্যুসিড একেবারে আউট-অফ-বক্স অবস্থাতেই আইপড টাচ ও আইফোন ডিটেক্ট করতে পারছে, যেখানে আগের ভার্সনগুলোতে উবুন্টুতে ডিটেক্ট করানোর জন্য এগুলোর জেলব্রেক করতে হত। আমার খালাতো ভাইয়ের আইপড টাচকে কারমিক বা জন্টি কোনটাই ডিটেক্ট করতে পারতোনা, কিন্তু ল্যুসিড দিব্যি সিন্ক্রোনাইজ করতে পারছে।
আমার চোখে ভালো দিকঃ
– চেহারা অনেক সুন্দর করা হয়েছে।
– অ্যামবিয়েন্স নামের দারুন একটা ডিফল্ট থিম যোগ করা হয়েছে, যা কিনা আগের ডিফল্ট থিম হিউম্যান থেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। অপর ডিফল্ট থিম র্যাডায়ান্সও কম যায় না।
– স্পিড আগের চেয়ে দ্রুততর হয়েছে। যেকোন প্রোগ্রামের রেসপন্স বেশ দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে।
– ডিফল্টভাবে একটি ভিডিও এডিটর যুক্ত করা হয়েছে।
– উবুন্টু ওয়ান মিউজিক স্টোর যোগ করা।
– উবুন্টু সফটওয়ার সেন্টারকে আরো উন্নত ও ব্যবহারবান্ধব করা হয়েছে। ফিচার্ড-এ্যাপ্লিকেশন যোগ করার ফলে ব্যবহারকারীদের কাজের জিনিসগুলো পেতে খুব সুবিধা হবে
– মিমেন্যুর মত দারুণ একটা সোশ্যাল মেন্যু যোগ করা হয়েছে।
– নোটিফিকেশন এরিয়ায় নতুন নতুন অনেক ইন্ডিকেশনের ব্যবহার।
আমার চোখে “কম ভালো” দিকঃ
– ডিফল্ট ইন্সটলেশনে গিম্পকে মিস করছি, যদিও সফটওয়ার সেন্টার থেকে গিম্প ইন্সটল করা কয়েক মিনিটের ব্যাপার মাত্র। তবে বাংলাদেশের মত স্লো ইন্টারনেটের সংযোগের দেশে ব্যাপারটা একটু ঝামেলাকর মনে হতে পারে।
– ডিফল্ট ভিডিও এডিটর হিসেবে পাইটিভি না দিয়ে ওপেনশট দেয়া যেতে পারতো।
– অডাসিটি বা জোকোশেরের মত একটা ডিফল্ট অডিও এডিটর যোগ করা যেত। (এতে অবশ্য এক সিডিতে পুরো ওএস আঁটানো সম্ভব হতনা মনে হয়।)
– উইন্ডোর কন্ট্রোল বাটন ডান থেকে বামে আনা হয়েছে, ফলে ব্যবহারকারীদের প্রথম প্রথম কিছুটা অস্বস্তি হতে পারে।
– নোটিফিকেশন এরিয়ার ভলিউম, ব্লুটুথ আর নেটওয়ার্ক আইকনের মধ্যে অতিরিক্ত ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
– থিম পাল্টানো হলেও উবুন্টুর সিস্টেম সাউন্ড পাল্টানো হয়নি।
শেষের কথাঃ
প্রতিটি রিলিজেই উবুন্টু তার আগের রিলিজগুলোকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ল্যুসিডেও সেটা অব্যহত রয়েছে। একেতো রংয়ে ঢংয়ে চকচকে-ঝকঝকে তার উপর এলটিএস রিলিজ- সবকিছু মিলিয়ে ল্যুসিড একটা মাস্ট ইন্সটল অপারেটিং সিস্টেম। তাই বন্টুগণ, এখনো যদি ইন্সটল না করে থাকেন তবে আর দেরী না করে ঝটপট ইন্সটল করে ফেলুন ল্যুসিড। “ডেস্কটপে লিনাক্স” নিয়ে আপনার মনে এতদিনের যে ধারণা ছিল ল্যুসিড সেটা পরিবর্তন করবেই। আগামী একবছর যে ল্যুসিডেই থাকছি- সেটা নিশ্চিত। তাই আমার জন্য আগামী বন্টুবর্ষ হবে ১০.০৪ময়। সবাইকে শুভ বন্টুবর্ষ ১০০৪!
পরবর্তীতে প্রকাশিতঃ
উবুন্টু বাংলাদেশের অফিসিয়াল সাইটে উবুন্টু ১০.০৪ “ল্যুসিড লিংক্স” রিভিউ শিরোনামে প্রকাশিত।
রিভিউটা আকষর্ণীয় হয়েছে। আপনার লেখার হাত সত্যিই অসাধারণ।
কিন্তু আপনি উবুন্টুর টরেন্ট ফাইল পেলেন কোথায়? আমি তো সারা সাইট সার্চ করে কোথাও পেলাম না। সব খালি ISO ফাইল।
ISO গুলোর সাথেই তো টরেন্টের ফাইলটা আছে! এই পেজে "Begin Download" লেখা বিশাল সবুজ বাটনটার নীচে "Alternative download options, including Ubuntu installer for Windows" যে অপশন আছে সেটাতে ক্লিক করেন তাহলেই টরেন্টের দেখা পাবেন। আর নাহলে এই লিংকে গিয়ে যেসব ফাইলের শেষে .torrent লেখা আছে সেগুলো দেখতে পারেন। এত কষ্ট করতে না চাইলে, আপনর কম্পিউটার যদি ৩২ বিট হয় তাহলে ডেস্কটপের টরেন্ট ডাউনলোড করেন এখান থেকে আর ৬৪ বিটের জন্য ডাউনলোড করেন এখান থেকে।
দারুণ একটা রিভিউ লিখলেন অভ্রদা! ফাটাফাটি!!
ল্যুসিড ব্যবহারের জন্য আর তর সইছে না! কিন্তু দেশের যে স্পিড, ব্যবহার করতে হয়তো আরও কয়েকদিন লেগে যাবে।
এক ঝলকে পড়ে ফেললাম। অসাধারণ রিভিউ হয়েছে।
কিন্তু আমার ডাউনলোড এখনও শেষ হয়নি। গড়ে ৩০ কে.বি তে ডাউনলোড হচ্ছে। আর ঘন্টা দুয়েক লাগবে।
ধন্যবাদ রিভিউয়ের জন্য।
অভ্রদা খুব সুন্দর একটা লেখা। পড়ে খুবই ভালো লাগলো। রিভিউ লেখার খুব ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু বিধিবাম, কোলকাতার হাসপাতালের বেডে থেকে, কোনমতে একঘন্টার জন্য ল্যাপীর ব্যবহারে ছোট্ট একটা আশা পূরণ করলাম। রিভিউটা পড়ে খুব খুব খুব খুশি হয়েছি।
Wonderful.
খুব সুন্দর রিভিউ হয়েছে অভ্রনীল ভাইয়া । কারমিক রিলিজটা ভালো লাগেনি কোন কারনে , জন্টিই ব্যবহার করেছি । কিন্তু লুসিড সেই বেটা রিলিজেই ব্যবহার করে আমি মুগ্ধ ।
তবে শুধু গিম্পের জন্য একটু কষ্ট হচ্ছে 🙁 ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগে ।
আজ চাচার বাসায় গিয়ে টরেন্টে নতুনটা ডাউনলোড দেবো 🙂
এতো সুন্দর রিভিউয়ের জন্য ধন্যবাদ 🙂 ( ৫ তারা )
জটিলসস লেখেছেন তো । দেখি। ভাই কি গল্প উপন্যাস লেখেন নাকি ?
১৫ মিনিট লেগেছে ইন্সটল করতে ???? আরসি তো আমার মাত্র ৩ মিনিট লেগেছিল ইন্সটল করতে।
গিম্প সমস্যা না। ৯ মেবার মত ডালো করতে হয়। কিন্তু ইন্সটল হয় ৫০ মেগার মত জায়গাতে।
আচ্ছা xine কোডেক উবুন্টুতে কেমন কাজ করে ??? সুসে তে জিস্ট্রিমার সমস্যা করত দেখে xine ইন্সটল করেছিলাম। জটিল কাজ করত।
সিম্পল স্ক্যান দেওয়া হয়েছে ভবিষ্যতে আরো উন্নত করা হবে তাই। এমপ্যাথীর মত। শুনলাম তো ওসিআর , ফেস রিকগনাইজেশন ইত্যাদি নাকি থাকবে।
আমি এখনো ডাউনলোড শুরু করতে পারি নি। হার্ডডিস্ক হারপিক ওয়াশ (লো লেভেল ফরম্যাট) করেছি রাতে। এখন সকালে উঠে কেবল কম্পিউটার কে জ্যান্ত করতেছি।
ও আর ওপেনওফিসে কি ওরাকলের লোগো দেখাচ্ছে ?
গল্প উপন্যাস হল গিয়ে উচ্চমার্গীয় ব্যাপারস্যাপার… ঐসব আমার মত নাদানের জন্য না! 😀
১৫ মিনিটের হিসেবটা আসলে হচ্ছে, ইউএসবি ড্রাইভে পেনড্রাইবভ ঢুকানোর পর থেকে পুরো ফ্রেশ ইন্সটল করে রিস্টার্ট করা পর্যন্ত মোট সময়। এর মধ্যে ল্যুসিডের রূপ দেখে "পড়েনা চোখের পলক" টাইপের কিছু কাজবিহীন মুহূর্তকেও গোনায় ধরতে হবে! 😉
xine এর দরকার পড়েনাই কখনো, ভিএলসি থাকতে যাইন কেন?
সিম্পলস্ক্যানের ইঞ্জিন আর এক্সেনের ইঞ্জিন নাকি একই, শুধু ফ্রন্ট এন্ড ভিন্ন। তবে উবুন্টু টিম যে সিম্পলস্ক্যানের ব্যবহারের পিছনে পেটে কিছু বুদ্ধি রেখেছে সেটা জনা আছে, কিন্তু কী বুদ্ধি রেখেছে সেটা জানিনা!
আর ওপেন অফিসের স্প্ল্যাশে নীচের ডান কোণায় ওরাকল লোগো আছে।
হমম। কেন কম্পিউটার নিয়া উপন্যাস লিক্খা ফালান একটা। মনে করেন চরিত্র গুলা হচ্ছে র্যাম , সিপিইউ।
র্যাম পাশের পিসির মাদারবোর্ড কে কবে "হায় রে , তুই তো ভালোই আছিস। আমার মালিক গাধা , আমার উপর জানালা চাপায় দিয়ে রাখছে "…………………..
এরকম। 😀 😀
এমপ্লেয়ার বা ভিএলসি দিয়ে শুধু ভিএলসি বা এমপ্লেয়ার এ মিডিয়া ফাইল চালানো যায়। কিন্তু অন্য সফটওয়ার যেমন juk , exaile , totem , rhytmbox এগুলার জন্য gstreamer-plugings ইন্সটল করতে হয়। অথবা libxine-codecs দিয়েও হয়। সেইটাই জানতে চাচ্ছিলাম।
যাই হোক। ঝটিল রিভিয়ের জন্য আবার ধন্যযোগ। এবং পারলে একটা মিনি উপন্যাস লিখে ফালান। 🙂 😛 😀
দারুন রিভিউ। একটানে পড়ে ফেললাম।
ডাউনলোড দিচ্ছি এখনই … … খালি লোডশেডিংটাই ডিস্টার্ব করে।
অসাধারণ রিভিউ।
ডাউনলোড চলছে আজকের মধ্যে ইনস্টল দিব ইনশাল্লাহ।:)
জটিল লিখেছেন তো অভ্রদা। আমি কিছুখন আগে পেনড্রাইভ থেকে চালাইলাম। আমার কাছে বুট স্কিনটা বিশ্রী লাগলো।
"নামাতে মোটমাট এগারো মিনিটের কিছু বেশি সময় লাগলো"——-এই লাইনটার প্রতি খুব হিংসা হচ্ছে। আমার ডাউনলোড হতে ১০ ঘন্টা ১৭ মিনিট লেগেছে। রাত বারো টা ১২:৪ মিনিটে ডাউনলোড দিয়েছি আর শেষ হয়েছে পরদিন ১০:২১ মিনিটে (বাংলালিঙ্ক এর নেট)। রাতে লুসিডকে মনে হয় আমি স্বপ্নে দেখেছিলাম।
আচ্ছা ভাইয়া আমি তো ext3 ফাইল সিস্টেমেই লুসিড ইনস্টল দিলাম। এতে কোন সমস্যা হবে কি? আর ভাইয়া ext4 এ দিলে কি সুবিধা পাওয়া যেত এবং এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?
আর আপনার রিভিউ সম্পর্কে বলতে হয়—–
লুসিড যেমন অসাধারণ রিলিজ, তেমনি লুসিড সম্পর্কে আপনার রিভিউ ও অসাধারণ…!!!!!!
ভাইয়া, আরেকটা জিনিস আমার ভাল লেগেছে—সেটা হল কারমিকে প্রতিবার লগ ইন করার পর ড্রাইভ গুলো কে পাসওয়ার্ড দিয়ে মাউন্ট করা লাগত (যদিও ntfs configuration tool দিয়ে এটা দূর করা যায়) কিন্তু লুসিড এর ক্ষেত্রে এটা করা লাগে নি।
সন্ধ্যায় যখন ল্যুসিড রিলিজ হল তখন আমি বাসায়, যদি ভার্সিটিতে থাকার সময় হত তাহলে আরো কম সময়ে নামাতে পারতাম। ঐখানে স্পিড অনেক বেশি থাকে, প্রায় ১০ মেগাপারসেক।
ext4 এর প্রধান সুবিধা হল- এতে টাইম স্ট্যাম্পিং দ্রুততর, ফাইল সিস্টেম চেকিং দ্রুত হয়, জার্নালিং চেকসাম হয় (এটা আগেরগুলোতে ছিল কিনা নিশ্চিত নই), ফ্র্যাগমেন্টেশান এড়াবার জন্য যে অটোমেটিক জায়গা এলোকেশন করা হয় সেটাকে উন্নততর করা হয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া এটা নতুন ফাইল সিস্টেম, তাই আগের গুলোর (ext3, ext2) চেয়ে ভালো তো হবেই। সেজন্যই ext4 সিলেক্ট করলাম।
আসলে আমি কম্পিউটারে উইন্ডোজ একদমই ব্যবহার করিনা, পুরোটাই উবুন্টু (এমনকি ভার্সিটির পিসিতেও স্যুযে চালাই), তাই এনটিএফএস ড্রাইভ মাউন্ট করার ঝামেলাটা আমার নেই। এনটিএফএস হচ্ছে কেবলমাত্র উইন্ডোজের জন্য, কারণ উইন্ডোজ ফ্যাট আর এনটিএফএস ছাড়া আর কিছু চেনেনা। (দুটোই অত্যন্ত বাজে ফাইল সিস্টেম, যেকারণে ঘন ঘন ডিফ্র্যাগমেন্ট না করলে উইন্ডোজ বেহাল হয়ে পড়ে। লিনাক্সে ফাইল সিস্টেম পদ্ধতি অনেক উন্নত বলে এতে ডিফ্র্যাগমেন্ট জিনিসটাই নেই।)
আমার কাছে যে পরিবর্তনটা সবচেয়ে কাজের মনে হয়েছে তা হলো সফটওয়্যার সেন্টার। ওটা আবার ব্যাকএন্ডে সিনাপ্টিক ব্যবহার করে নাতো (মিন্টের মতো)?
এখনও ইন্সটল দেইনি। মিন্টের জন্য অপেক্ষা করবো কিনা ভাবছি। লুসিডের ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে ইসাডোরাও ফাটাবে। দেখ যাক।
সিনাপ্টিক নিজেই ফ্রন্টএন্ড হিসেবে কাজ করে, এর ব্যাকএন্ডে আছে apt। ঠিক একই ভাবে সফটওয়্যার সেন্টারেরে ব্যাকএন্ডেও রয়েছে apt। তাই আদতে দুটা প্রায় একই কাজ করে। তবে সফটওয়্যার সেন্টার দেখতে সিনাপ্টিকের চেয়ে অনেক সুন্দর এটা স্বীকার করতেই হবে। সেজন্যই বলছিলাম যে ভবিষ্যতে হয়তো আর সিনাপ্টিক থাকবেনা, কেবল সফটওয়ার সেন্টারটিই হবে উবুন্টুতে সফটওয়ার ম্যানেজমেন্টের মূল প্রোগ্রাম।
মিন্টের কথা বলতে পারছিনা। ইসাডোরা'র থিম বা আইকন- কোন কিছুতেই মনে হয় কোন পরিবর্তন আসবেনা। মিন্টের প্রতিষ্ঠাতা ক্লিমেন্ট লেফেভ্রে বলেছেন যে তারা গ্লোরিয়া বা হেলেনার মত একই থিম ও আইকন ব্যবহার করবেন ইসাডোরাতেও। এমনকি তারা উইন্ডোর বাটন পর্যন্ত ডানে রেখে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পাওয়া যাবে লিনাক্স মিন্টের অফিসিয়াল ব্লগে।
হমম, সুন্দর তো বটেই, সিনাপটিকের চেয়ে অনেক বেশি কাজেরও। লুসিডের সফটওয়্যার ম্যানেজারটা মিন্টে না দিলে মিন্ট ইউজারদের বঞ্চিত করা হবে।
ইসাডোরায় উইন্ডোর বাটন ডানে থাকলেও ডেস্কটপ ম্যানেজারে বাটন সরানোর অপশন যোগ করা হয়েছে। চাইলেই ম্যাক অথবা লুসিডের মতো করে ফেলা যাবে। এটা পছন্দ হয়েছে, আগের মতো ঝামেলা করতে হবে না।
আমার মনে হয় মিন্টের থিমটা বদলানো দরকার। এক থিমে আর কয়দিন? আমার নতুন ওয়ালপেপারগুলোও পছন্দ হয়নি। তবে লুসিডের গুলো সত্যিই সুন্দর।
নাহ, সিনাপ্টিকের চেয়ে এখনো বেশি কাজের না। সিনাপ্টিকে এক ক্লিকে LAMP সার্ভার, Samba সার্ভার ইত্যাদি ইন্সটল করা যায়, যেটা এখনো সফটওয়ার সেন্টারে আসেনি। তবে অচিরেই নিয়ে আসবে এটা নিশ্চিত।
মিন্টের থিম আসলেই পাল্টানো দরকার, বহুদিন তো হয়ে গেল। আর ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ালপেপার আমারও পছন্দ হয়নি… 🙁
ভাইয়া, লুসিড x64 ডাউনলোড কইরা তো পুরা ধরা খাইছি………। আমার ১০ ঘন্টা ১৭ মিনিটের ডাউনলোড পুরোটাই জলে গেছে যখন দেখলাম যে অভ্রের ৬৪-বিট নাই…!!!!! তারপর আবার ডাউনলোড দিলাম ৩২ বিটের লুসিড। ১২ ঘন্টা ১৬ মিনিট ধরে ডাউনলোড হওয়ার পর এখন আপনার কাছে বাংলায় লিখছি।
ভাইয়া, লুসিডে একসাথে অনেকগুলো ফন্ট ইনস্টল করার উপায় কি? কারমিকে তো home ফোল্ডারের অন্তর্গত .font ফোল্ডার কপি পেস্ট করে দিছিলাম। কিন্তু লুসিডে .font ফোল্ডার পাইতেছিনা।
আমিই সম্ভবত আপনাকে ৬৪বিট ডাউনলোডের কথা বলেছিলাম। আমি আসলে জানতামনা যে আপনি অভ্র ব্যবহার করেন। এজন্য আমি খুবই দুঃখিত। আসলে আমি এখন অভ্র ব্যবহার করিনা, যদিও আমার বাংলা লেখার হাতেখড়ি অভ্র দিয়ে। উইন্ডোজ থেকে উবুন্টুতে আসার পর অভ্র না পেয়ে প্রভাতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ি, প্রভাত প্রায় অভ্র'র মত হওয়ায় প্রভাত রপ্ত করতে বেশি সমস্যা হয়নি। তাছাড়া উবুন্টুতে বাই ডিফল্ট প্রভাত পাওযা যায়, তাই এখন পুরোদমেই প্রভাতে লিখি।
.font দেখতে কিন্তু Ctrl+h চাপতে হয়, এটা হিডেন করা থাকে। যদি তারপরও খুঁজে না পান তাহলে এখান থেকে সোলায়মানলিপি ফন্টটা ডাউনলোড করে নিন। তারপর ফন্টটাকে ডাবল ক্লিক করে ওপেন করে ইন্সটল করার অপশন পাবেন, সেটা ক্লিক করে ইন্সটল করুন। একবার ইন্সটল হয়ে গেলে তারপর আবার হোম ফোল্ডারে Ctrl+h চেপে দেখুন তো .font ফাইলটা পান কিনা।
হায় হায়। করছেন কি? অভ্রের টারবল থেকে ৬৪ বিটে ইন্সটল করা যেত।
@অভ্রনীল
ওটা .fonts আর এখন আর ওখানে রাখতে হয় না। ফন্ট ফাইলে ডাবল ক্লিক করে ইন্সটল বাটনে ক্লিক করলেই হয়।
আর সিনাপ্টিক হচ্ছে বস। সফটওয়ার সেন্টার নতুন ব্যবহারকারিদের জন্য ভালো কিন্তু সিস্টেমের বিষয় ভালভাবে দেখতে সাইনাপ্টিক ই ভরসা।
মারকিং সেভ ও রিস্টোর। প্যাকেজ ডাউলোড স্ক্রিপ্ট জেরারেট। এইগুলা সফট সেন্টারে আছে ?
আমি লুসিড ইন্সটল করে রেখে দিছি। বেশীক্ষন চালানো হয় নি। ওপেনসুসেই চালাইতেছি।
@ সারিম
উনি উবুন্টুতে একদমই নতুন… ওনার জন্য কমান্ডলাইনে কাজকরাটা একটু সমস্যাজনক হতে পারে। যাই হোক উনি যখন নতুন করে ইন্সটল করেই ফেলেছেন তখন তো আর কিছু বলার নেই।
তাছাড়া উনি কিন্তু একবারে একাধিক ফন্ট ইন্সটল করার কথা বলেছেন, আর তুমি যেটা বলছ সেটা হল একটা একটা করে ইন্সটল করার পদ্ধতি।
@ তানভীর
আপনি হোম ফোল্ডারে গিয়ে নতুন একটা ফোল্ডার তৈরি করে তাকে .fonts নামে রিনেম করুন। তারপর তাতে সব ফন্ট কপি-পেস্ট করুন। কাজ হবার কথা।
আরে ভাই আমি কমান্ড লাইনের কথা কই বললাম। ঔ সব ই তো সিনাপটিকে করা যায়।
আর .fonts/ ফোল্ডারে ফন্ট গুলা রাখার পর fc-cache কমান্ড না চালালে তো ফন্ট কাজ করবে না।
সিনাপ্টিকের ব্যাপারটা বুঝলামনা…
.fonts এ কপি করার পর কোন কমান্ড চালাতে হয়না। শুধু কোন এ্যাপ্লিকেশন খোলা থাকলে সেটা রিস্টার্ট করতে হয়। fc-cache এর কাজ হচ্ছে একটা ডিরেক্টরিতে সমস্ত ফন্ট ইন্ডেক্সিং করা। তাই .fonts ডিরেক্টরিতেই যদি সব ফন্ট কপি-পেস্ট করা হয় তাহলে আর আলাদা করে fc-cache না চালালেও চলে।
না রে ভাই। fc-cache না চালালে আমার তো কখনই ফন্ট আসতো না। ম্যান থেকে তুলে দিলাম।
fc-cache scans the font directories on the system and builds font
information cache files for applications using fontconfig for their
font handling.
If directory arguments are not given, fc-cache uses each directory in
the current font configuration. Each directory is scanned for font
files readable by FreeType. A cache is created which contains proper‐
ties of each font and the associated filename. This cache is used to
speed up application startup when using the fontconfig library.
এখানে, fc-cache scans the font directories on the system মানে সিস্টেমের ফন্ট ডাইরেক্টরি গুলা স্ক্যান করে।
যাই হোক fc-cache মারলে তো মনে হয় কোন সমস্যা নাই, লাভ ই আছে।
কমান্ডটা মারলে তো কোন সমস্যাই নাই, কিন্তু নতুনদেরকে আমি যতটুকু সম্ভব কমান্ড লাইন না চালিয়ে কাজ করাতে চাই। কারণ নতুনদের মধ্যে কমান্ড লাইন নিয়ে ভয়াবহ ভীতি কাজ করে। তাই সেটাকে এড়িয়ে চলতে চাই। একবার উবুন্টুতে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে নতুন ইউজাররা যখন বুঝবে যে টার্মিনালে কাজ করার যে কী মজা, তখন নিজে নিজেই টার্মিনালে কাজ করা শুরু করবে।
তাছাড়া আমি নিজে খুব একটা ফন্ট-পিয়াসী না, মানে অন্যদের মত কম্পিউটারে গাদা গাদা ফন্ট সংগ্রহ করার বাতিক নাই, সবসময় একটা ফন্টই নামাই সেটা হল সোলায়মানলিপি। সেটাকে .fonts এ কপি করেই কাজ করি, কমান্ড চালানোর দরকার হয়না, এমনিতেই সব এ্যাপ্লিকেশনে কাজ করে…
ভাইয়া, আমিও কমান্ড লাইনে কাজ করে মজা নিতে চাই। কিন্তু ভাইয়া কোন মজা পাই না। কি করলে টারমিনালে মজা পাওয়া যাবে ভাইয়া ?
মজা নেয়াটা হচ্ছে ব্যক্তিগত ব্যাপার। ওটা আস্তে আস্তে ব্যবহার করতে করতে বুঝতে পারবে, তাড়াহুড়ার কিছু নাই। 🙂
ভাইয়া, আমি অভ্রের সোর্সফাইল ডাউনলোড করছিলাম। ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী কিছুক্ষন গুতোগুতি করলাম, কিন্তু ইনস্টল করতে পারি নাই। উল্লেখ্য, আমি আজ পর্যন্ত সোর্সফাইল কম্পাইল করে কিছু ইনস্টল করতে পারি নাই। ভাইয়া এইটা পারতে হলে কি কি শিখতে হবে তা আমাকে একটু বলেন বা আপনি এইটার উপর বিস্তারিত একটা পোস্ট দেন………এই পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাইয়া আরেকটা জিনিস, উবুন্টুর মুশকিল আসানে মাল্টিমিডিয়া কোডেক গুলার একটা অফলাইন ইনস্টলার পাইছিলাম……ওইটা কি লুসিডে কাজ করবে?
(ভাইয়া আমাকে "আপনি" করে বলার দরকার নেই। আমি আপনার অ…নে…ক ছোট। সবে মাত্র আন্ডার গ্রাজুয়েটে ভর্তি হইলাম।)
এর জন্য সবার আগে পিসিতে build-essential প্যাকেজটা থাকতে হবে। এজন্য নীচের কমান্ডটা রান করাতে হবে:
[sourcecode language=”"css"”]sudo apt-get install build-essential[/sourcecode]
তারপর একে একে নীচের কমান্ডগুলো চালাতে হবে:
[sourcecode language=”"css"”]
./configure
make
sudo make install
[/sourcecode]
এটা হচ্ছে একদম সাধারণ নিয়ম। এটার সাথে এ্যাপ্লিকেশন ভেদে কিছু কিছু জিনিস যোগ হয়, যেমন অভ্র'র জন্য সম্ভবত "scimdev" বা এইটাইপের কিছু ইন্সটল করতে হতে পারে, যেহেতু এটা স্কিমের উপর নির্মিত। উবুন্টুতে সফটওয়্যার ইন্সটলের বিভিন্ন উপায় নিয়ে লেখার ইচ্ছা রয়েছে, দেখি সময় পাই কিনা!
মাল্টিমিডিয়া কোডেকটা ইন্সটল দিয়েই দেখো কি হয়! আমার হিসেবে কাজ করার কথা, যদিও সব কোডেকের ও সফটওয়্যারের একটু পুরানো ভার্সন পাবেন তবুও কাজ হওয়া দিয়ে কথা।
ওকে… 😀
নীল ভাইয়া, অনেক সুন্দর রিভিউ হয়েছে। আমি কারমিক ব্যবহার করছি, চিন্তা করছি লুসিড করে ফেলবো, আগামী সপ্তাহেই সেটাপ দিবো। সমস্যায় পড়লে কিন্তু হেল্প করতে হবে।
ধন্যবাদ।
জটিল লিখেছেন (y)
আমি আর কি করবো বসে বসে দীর্ঘশ্বাস ফেলি কখন কুবুন্টু ডাউনলোড শেষ হয়।
কুবুন্টুকে অনেকদিন ধরে ক্যানোনিক্যালের সৎ বাচ্চা লাগে। নজর রাখে কিন্তু নিজ সন্তান উবুন্টুর মতো অতিরিক্ত ভালোবাসা নাই।
(জুবুন্টুকে ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা লাগে)।
রিভিউ অসাধারণ হয়েছে খুটিনাটি কিছু বাদ যায়নি দেখে। কুবুন্টু নিয়ে যদি এমন কিছু লিখতে পারতাম তাহলে জটিল হতো 🙂 😛
কুবুন্টু ল্যুসিডের তাহলে একটা রিভিউ পাচ্ছি! 😀 অপেক্ষায় রইলাম…
খুব ভালো লাগলো রিভিউটা . আমি এখনো ৯.০৪ এ ই আছি. রিভিউটা পড়ে এক্ষুনি ১০.০৪ ইনস্টল করতে ইচ্ছে করছে. জলদি সিডি যোগার করতে হবে দেখছি 🙂
Many many thnx but i need to know that, does lucid support Touch Monitor? such as windows 7 ulti.
thnak you
waiting for u reply
Rifat Hussain
আমি নিজে পরীক্ষা করিনি, তবে নীচের ভিডিওটা দেখে তো মনে হচ্ছে যে ল্যুসিড টাচ স্ক্রিন বেশ ভালোভাবেই সাপোর্ট করে!
ভাইয়া, ছোট দুটো সমস্যায় পড়লাম। সমস্যা দুটো হ্ল-
১। রুট ফাইল ব্রাউজারে যখন ফাইল ব্রাউজ করি, তখন কাঙ্খিত ফাইলের নামের প্রথম অক্ষর কী-বোর্ডে চাপলে ঐ ফাইলটা হাইলাইট হয়। কিন্তু সাধারণ অবস্থায় এরকম হয় না যদিও এটা আগে (এর আগে যখন ৬৪ বিট লুসিড ইনস্টল দিয়েছিলাম) হত। এখন ওই সুবিধাটা কিভাবে পুনরায় চালু করব একটু বলুন।
২। empathy দিয়ে ফেইসবুকে চ্যাট করতে পারছি না। লগ ইন হলে ও অনলাইন থাকা ফ্রেইন্ডসদের নাম দেখায় না।
১। এটা আমার সমাধানের বাইরে। কখনো এই পরিস্থিতিতে পড়িনি। পুরো নটিলাস ঘাঁটাঘাঁটি করলাম কিন্তু কোন অপশন চোখে পড়লনা। নটিলাস পুরো রিমুভ করে রিইন্সটল করলে কাজ হবে। কিন্তু এরচেয়ে সহজ সমাধান থাকা উচিৎ। আপ্রতে একটা পোস্ট দিয়ে দেখ।
২। এটাও বুঝলাম না! ফেসবুকে কানেক্ট হচ্ছে সেটা বুঝলে কিভাবে? কানেক্ট হলে তো সব অনলাইন ফ্রেন্ডদের দেখাবার কথা। তোমার এটা পড়ে নিজে বেশ কয়েকবার কানেক্ট-ডিসকানেক্ট করলাম, কিছুইতো হলনা!
আমি ফেসবুকে দিব্যি লগইন করে চ্যাট করতে পারছি। প্রেমে পড়ে গেছি ফিচারটার। 🙂
অভ্রনীল ভাই আপনার মন্তব্যের জবাব দিয়েছি। রেফ নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়লাম। 🙁
শুধু এই ফিচারের প্রেমে পড়লেন? আমিতো পুরো ল্যুসিডের প্রেমে পড়েছি! 😀 এলটিএস মানে আক্ষরিক অর্থেই এলটিএস রিলিজ এইটা!
আমি ইউনিজয় ব্যবহার করিনা তাই সমাধান দিতে পারছিনা… তবে আমাদের প্রযুক্তিতে একটা পোস্ট দিতে পারেন, সেখানে অনেকেই ইউনিজয় ব্যবহার করে।
ভাইয়া, দ্বিতীয়টা ওকে। আসলে তখন লগ ইন-ই হয়েছিল না।
কিন্তু প্রথমটার এখন ও কোন সমাধান হয় নি। নটিলাস সফটয়্যার সেন্টার থেকে রিমুভ করে ওখান থেকে আবার ইনস্টল দিলাম। কিন্তু ইনস্টল হল না। পরে সিনাপ্টিক থেকে ইনস্টল করলাম। কিন্তু যা সমস্যা ছিল তাই আছে। আচ্ছা ভাইয়া, আমি এই পরিস্থিতিতে পড়লাম কেন?
নটিলাসকে সিনাপ্টিক থেকে সম্পূর্ণভাবে রিমুভ করতে হবে। সিনাপ্টিকে nautilus লিখে সার্চ কর, তারপর নটিলাসের নামের উপর ক্লিক করে Mark for Complete Removal সিলেক্ট করে Apply এ ক্লিক কর। পুরো রিমুভ হয়ে গেলে পিসি রিস্টার্ট করে টার্মিনালে গিয়ে লিখ:
[sourcecode language=”"css"”]sudo apt-get install nautilus[/sourcecode]
এবার দেখতো কাজ হয় কিনা?
“নটিলাস সফটয়্যার সেন্টার থেকে রিমুভ করে ওখান থেকে আবার ইনস্টল দিলাম। কিন্তু ইনস্টল হল না। পরে সিনাপ্টিক থেকে ইনস্টল করলাম।”
এই কাজ টা করার পর একবার পিসি রিস্টার্ট দিয়েছিলাম, তারপর যা আসল, তা দেখে আমি তো পুরা থ। লগ ইন স্ক্রীন না এসে কি রকম একটা নীল (আকাশী) রং এর স্ক্রীন আসল। তার পর চারটা আইকন আসল। আমি একটা সিলেক্ট করলাম। তারপর দেখলাম অনেক পরে ডেস্কটপ আসল, কিন্তু উপরের প্যানেল টা নাই। কম্পিজ ইফেক্ট উধাও হয়ে গেল। ফন্ট গুলা বিশ্রী হয়ে গেছে। উইন্ডো বর্ডার ও উধাও হয়ে গিয়েছিল।
এরপর আমি সোজা আগের উবুন্টু মছে দিয়ে নতুন করে উবুন্টু ইনস্টল দিলাম। আগের সফট গুলো আবার নামালাম। এখন ওকে। কিন্তু ওই নটিলাস! আগের মতই আছে।
কিন্তু এত কিছু কেন হইল, আমি কিছুই বুঝলাম না।
ভাইয়া, কিছু কথা-
উইন্ডোজে নতুন সফট ইনস্টল দিতে ভয় পাইতাম। পিসি স্লো হয়ে যাবে বলে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ছাড়া ইনস্টল দিতাম না। উবুন্টুতে কি এরকম ভয় আছে? মানে আমার খুব ইচ্ছা সফটওয়্যার সেন্টারের সবগুলো সফট একবার চেখে দেখা (কজে লাগুক বা না লাগুক)। এতে কি পিসি স্লো হওয়ার আশংকা আছে?
জায়গার কোন সমস্যা নাই।
উইন্ডোজের তো অনেক সেবা শুশ্রষা করতে হইত। যেমন সপ্তাহে একবার ভাইরাস স্ক্যান দিতাম, তারপর সফট ইনস্টলের আগে রেজিষ্ট্রি ক্লিন করতাম, রেজিষ্ট্রি ডিফ্রগমেন্ট করতাম………। লিনাক্সে এ রকম কিছু নাই? অর্থাৎ লিনাক্স ডেস্কটপ এর যত্ন নিতে হয় কিভাবে?
আমি কিছুদিন আগে লুসিডে google desktop ইনস্টল দিয়েছিলাম। বিভিন্ন কারণে আমি ওটার পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট ছিলাম (যদিও কার্মিকে ভাল ছিল)। মনেহয় লুসিডের সাথে পুরোপুরি কম্পেটিটেবল না। যাই হোক ওটা কোন সমস্যা নয়, কেননা উবুন্টুর বিল্ট ইন সার্চ ইঞ্জিন-ই আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। কিন্তু সমস্যা হইল ওটাকে আর রিমুভ করতে পারতেছিলাম না, কেননা সিনাপ্টিকে ও ইনস্টল্ড এপ্লিকেশনে ওটার নাম পাইনি। তখন ওটা কে রিমুভ করার জন্য আমার কি করা উচিৎ ছিল?
যখন পুরো হার্ড ড্রাইভে শুধুমাত্র উবুন্টু ইনস্টল দিব, তখন অন্যান্য পারটিশন গুলার ফরমেট কোন টা দিতে হয়? যেমন উবুন্টুর ফাইল সিস্টেমের জন্য ext4 দেয়া হয়।
শেষ কথা-
প্রথমে যে সমস্যাটার কথা বললাম, সে ধরনের সমস্যা আর কখনো পড়তে চাইনা। অর্থাৎ আগামী অন্তত এক বছরের মধ্য আর ও এস সেট আপ দিতে চাই না। এজন্য আমার কি কোন বিশেষ নিয়ম মেনে চলা উচিৎ ? তাহলে নিয়ম গুলো বলুন।
ওরে বাবা! এত বড় কমেন্ট!!
।১।
সম্ভবত নটিলাস মোছার সময় কিছু এক্স-উইন্ডোর বা গ্রাফিক্সের কোন ডিপেন্ডেসি ফাইলও মুছে গিয়েছিল। তুমি কি home ও root আলাদা পার্টিশনে করেছিলে? তাহলে হোমে থাকা আগের ইউজার ডাটাগুলোই কাজ করছে। যাই হোক, আমি যেহেতু নটিলাসের টাইপ-এহেড-সার্চ বন্ধ হয়ে যাবার এই সিচুয়েশানে কখনো পড়িনি তাই বলতে পারছিনা, আপ্রতে এটা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে দাও।
।২।
যদি একসাথে অনেক সফটওয়্যার চালিয়ে রাখ তাহলে তো স্লো হবেই। তবে অল্প কয়েকটা করে চালালে সেরকম স্লো হবার কথা না।
।৩।
উবুন্টুতে কোন রেজিস্ট্রি নাই তাই পরিস্কার করার প্রশ্নই আসেনা। ফ্যাট ও এনটিএফএস হচ্ছে বাজে ধরনের ফাইল সিস্টেম, এগুলো কোন প্রোগ্রাম ইন্সটল করলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ডাটা স্টোর করে, তাই উইন্ডোজে ডিফ্র্যাগমেন্ট না করলে সিস্টেম বেহাল হয়ে পড়ে। লিনাক্সে ব্যবহৃত ফাইল সিস্টেমগুলো প্রথম থেকেই গুছিয়ে কাজ করে তাই ডাটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়না। এজন্য ডিফ্র্যাগমেন্ট করা লাগেনা। এমনকি ডিফ্র্যাগমেন্টের কোন অপশন পর্যন্ত নাই! 😀
।৪।
গুগলের সার্ভিসগুলো পাবার জন্য গুগলের রিপোজিটরি যোগ করে করলে সুবিধা। তাহলে সফটওয়্যার সেন্টার থেকেই সব কিছু করতে পারবে। বিস্তারিত পাবে এইখানে।
।৫।
পুরো হার্ড ডিস্কে উবুন্টু সেটাপ করলে আমি সাজেস্ট করবো তিনটা পার্টশান করতে: একটাতে ১ গিগার সোয়াপ, একটাতে ১৫ গিগার রুট আর বাকীটাতে হোম। এখন যেহেতু লেটেস্ট ফাইল সিস্টেম ext4 তাই সবগুলোতেই ext4 করে দাও কোন সমস্যা নাই।
।৬।
সিনাপ্টিক থেকে উল্টাপাল্টা বা না জেনে শুনে প্যাকেজ রিমুভ না করলে আশা করি আর কোন সমস্যায় পড়তে হবেনা। 🙂
একটু ডিস্টার্ব করতেছি। বাংলাদেশের ডিজিটাল বিদুৎয়ে ext4 খুবই সাফারিং একটা ফাইলসিস্টেম। অবশ্য আমি সাফার করতে করতেই চালাচ্ছি।
সারিম ভাই, আপনার কথা ঠিক বুঝলাম না। একটু যদি বুঝায়া বলতেন…………………
আপ্রতে আমার একটা টপিক আছে লোডশেডিংয়ে ext4 সমস্যা। পড়ে দেখুন।
আজকে সকালে ১০।৩০ এ কারেন্ট গেছে। ১১।৩০ এ আসছে। ১০ মিনিট থেকে ১১।৪০ এ গেছে। ৩০ মিনিট পরে ১২।১০ এ আসছে। ৭ মিনিট থেকে আবার গেছে। ১ টায় আসছে। তারপর ৪ টা পর্যন্ত থেকে আবার গেছে। ৫ টায় এসেছে। ৭ টায় গেছে, ১১ টায় এসেছে। ১২ টায় গেছে। ১২।৩০ এ এসেছে। তারপর এখন ৩ টা । এখনও আছে।
আজকে কারেন্টের এই জ্বালায় আমার দুইটা লিনাক্স সুসে আর উবুন্টু দুইটারই মাথা গরম হয়েগেছে। সকালে উঠে ext3 তে ফেরত যাবো
সবাই এই পোস্টটা পড়লে খুশি হবো। উবুন্টু লুলি সম্পর্কে আমার প্রাথমিক বিশ্লেষণ। http://wp.me/pgq2S-3P
@ সজিব ভাই, আপনি এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন– http://omi.net.bd/category/uni-joy
অভ্রনীল ভাইয়া, আমি ও……………
দারুণ রিভিউ। পড়ে মুগ্ধ হলাম। আমি কিন্তু আপনাকে আগেই বলেছিলাম যে, আপনার লেখার হাত আছে। ইচ্ছে করলে আপনি সাহিত্য রচনাও শুরু করে দিতে পারেন।
সাহিত্য রচনার পর্যায়ে যাবার মত সামর্থ্য, ক্ষমতা, ইচ্ছা- কোনটাই নেই! স্কুল কলেজে বাংলা পরীক্ষা দিতেই জান বেরিয়ে যেত- সাহিত্য রচনা শুরু করলে বেঁচে থাকার কোন আশা তো দেখিনা! 😀
ইসাডোরারও একটা রিভিউ লিখে ফেলুন সময় করে 😀
“সময় করে” – এই অংশটাতেই যে যত গ্যাঞ্জাম! আসলে আমি মিন্ট ব্যবহার করি সেকেন্ডারি ওএস হিসেবে (প্রাইমারি ওএস উবুন্টু), তাই সেভাবে খুব একটা ব্যবহার করা হয়না। তাছাড়া সময়ও পাচ্ছিনা। এ দুটো ব্যাপার মিলিয়ে লেখা হয়ে উঠছেনা…
ইসাডোরার কোন বাংলা রিভিউ দেখলাম না এখনো। আপনি পেলে আমাকে একটু জানাবেন, আর লিখে ফেললে তো কথাই নেই। 🙂
অ.ট.: থিমটা বদলানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগেরটা আমার ফায়ারফক্সকে ঝামেলায় ফেলে দিত 😉 এই থিমটা অনেক সুন্দর।
আমিও খোঁজে আছি, কিন্তু বাংলায় কেউ লিখেছে বলে মনে হয়না!
নীল ভাইয়া , আপনার লাগলো ১১ মিনিট আর আমি গত ৪ দিন ধরে মিউ টরেন্ট দিয়ে ” অল্প অল্প ” করে নামাচ্ছি । লিখাটা অসাধারন হয়েছে । আর সারিম ভাইয়ের আইডিয়াটা মন্দ নয় । আপনার পুরানো শখ লিখালিখিটা আবার ছালু করবেন নাকি?????