তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি : এইবার ফ্রি ডাউনলোড!

জ্বী – ঠিকই পড়েছেন! একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য আমার লেখা “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” ও “ব্যবহারিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বই দুটি এখন থেকে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। ফ্রি তে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এবং এজন্য আপনাকে কানাকড়িও খরচ করতে হবে না।

শুরু থেকেই বইটিকে অনলাইনে প্রকাশ করার কোন ইচ্ছা ছিল না। একটা বইকে কাগজে পড়ার সময় যতটা আপন মনে হয়, কম্পিউটার বা মুঠোফোনের স্ক্রিনে ততটা আপন মনে হয় না। বইয়ের প্রতিটা পৃষ্ঠা উল্টে বইটা পড়ার মাঝে যে আনন্দ সেটা ডিজিটাল স্ক্রিনে আঙ্গুল দিয়ে সোয়াইপ করার মাঝে নেই। তাই আমি চেয়েছিলাম শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ যাতে বইটির পরিপূর্ণ আমেজ পেতে পারে সে জন্য এতদিন কাগজে ছাপানো বইটির ওপরই গুরিত্ব দিয়ে এসেছি।

কিন্তু এরই মধ্যে বইটি অনলাইনে প্রকাশ করার জন্য শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজ ও স্নেহের শিক্ষার্থী মহলের কাছ থেকে আমি প্রচুর অনুরোধ পেয়েছি। গত কয়েক বছরে এত বেশি অনুরোধ পেয়েছি যে, অনুরোধগুলো ফেলে দেয়া আমার পক্ষে আর সম্ভব হয় নি। তাই পুরো অনলাইন প্রকাশনার পুরো ব্যাপারটি নিয়ে আবার নতুন করে ভাবতে শুরু করি। সেই ভাবনা চিন্তার ফসলই হচ্ছে এই ডিজিটাল বইখানা।

বইটি অনলাইনে প্রকাশ করার পেছনের প্রথম ও প্রধান কারণ হচ্ছে – শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজ ও স্নেহের শিক্ষার্থী মহলের কাছ থেকে পাওয়া অজস্র অনুরোধ। এটা ছাড়াও আরও কিছু কারণ রয়েছে এই অনলাইন প্রকাশনার পেছনে। এদের মধ্যে একটি হচ্ছে সহজলভ্যতা। এই বইটি যখন পাঠকে কছে সহজে পৌঁছে যাবে, তখনই বইটির আসল কার্যকারীতা বোঝা যাবে। এই ব্যাপারটিকে বাস্তব রূপ দিতে হলে অনলাইনের বিকল্প নেই। অনলাইনে বইটি প্রকাশিত হলে যে কেউ যে কোন সময় বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারবে। ফলে বইটিও তার পাঠকদের কাছে সহজে পৌঁছে যাবে।

অনালাইনে প্রকাশ করার পেছনের আরেকটি কারণ হচ্ছে – যাতে করে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজ ও স্নেহের শিক্ষার্থী মহল সহজেই বইটি সম্পর্কে তাদের মতামত লেখক হিসেবে আমার কাছে তুলে ধরতে পারেন। যে কোন ভুল-ভ্রান্তি ধরিয়ে দেয়া কিংবা নতুন কোন কিছু সংযোজনের পরামর্শও সহজেই দিতে পারবেন তারা। ফলে সকলের সহযোগীতায় বইটি আরও পরিপূর্ণতা লাভ করবেই বলে আমার বিশ্বাস।

অনলাইনে প্রকাশিত বইটি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। কারণ এই বইটি ছাপাতে বা বাজারজাত করতে কোন খরচ হয়নি বললেই চলে। প্রথাগত ছাপাখানায় প্রকাশিত একটি বইয়ের পেছনে যে অর্থ খরচ হয়, সে তুলনায় এই বইয়ের পেছনে আমার নিজের শ্রম ও সময় ছাড়া তেমন কোন অর্থ খরচ হয় নি। এ কারণে এই বইটি ডাউনলোড করে পড়ার জন্য মূল্য নির্ধারণ করা যুক্তিসংগত নয় বলেই আমি বিশ্বাস করি। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজ ও স্নেহের শিক্ষার্থী মহল এই বইটি থেকে যদি উপকৃত হয় তবেই আমার উদ্দেশ্য সফল হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বইটি যে কেউ-ই ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন কিংবা ব্যবহার করতে পারবেন। বইটি বিনামূল্যে বিতরণে কোন বাধা নেই। তবে দয়া করে এটিকে ব্যবসায়িকভাবে বিতরণ বা বিক্রি করবেন না। বই দুটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার জন্য এই লিংকটি ব্যবহার করুন।

বইটির বেশ কিছু ত্রুটি এই সংস্করণে ঠিক করা হয়েছে। তাছাড়া অল্প পরিমানে হলেও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সিলেবাস অনুযায়ী নতুন কিছু বিষয়ও যুক্ত হয়েছে। বইটির অলংকরণেও বেশ কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়েছে। এটি অনলাইনে প্রথমবারের মত প্রকাশিত হলেও এটি আসলে ছাপানো বইটিরই ধারাবাহিক পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ। বইটির শেষাংশে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজ ও স্নেহের শিক্ষার্থী মহলের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি নমুনা প্রশ্নপত্র সংযোজন করা হয়েছে।

আগামী সংস্করণে বইটি আরও উন্নত ও যুগোপযোগী করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাবো ইনশাআল্লাহ। তবে এই কাজ আমার একার জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে যদি না শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজ ও স্নেহের শিক্ষার্থী মহল আমাকে সহায়তা না করে। তাই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজ ও স্নেহের শিক্ষার্থী মহলের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ রইল যাতে করে এই বইটিকে আরও পূর্ণাঙ্গতা দেবার জন্য যে কোন রকম পরামর্শ অকৃপণভাবে করে যাবেন।

7 thoughts on “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি : এইবার ফ্রি ডাউনলোড!”

    1. ধন্যবাদ। আবার আপলোড করেছি। দেখুন তো এখন ঠিক আছে কী না!

  1. অসংখ্য ধন্যবাদ লেখক আদনান কাইয়ুম কে। এরকম উদ্যোগ ই দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে পারে।

  2. বইদুটি অনেক ভালো, আমি পড়েছি। বিনামূল্যে এরকম উদ্যোগ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদক। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য নতুন সংস্করণ আনলে শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের অনেক উপকার হবে।
    স্যারের জন্য দোয়া ও অফুরন্ত ভালোবাসা রইল, ❤️

    1. ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আপনার পরামর্শ মাথায় রইল। চেষ্টা করব নতুন সংস্করন আনতে।

Leave a Reply