আসুন… মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার প্রতিজ্ঞা করি!

আচ্ছা! চুরির সংজ্ঞা কি? কেবল যে চুরি করে শুধু সে-ই চোর? নাকি যারা তাকে চুরি করতে উৎসাহিত করলো তারাও চোর? যারা চুরি করতে ইন্ধন যোগায় বা উৎসাহিত করে তারা কি চোরের চেয়ে কোন অংশে কম? ধরুন আপনার মোবাইল ফোন দরকার, কিন্তু আপনার পঞ্চাশ হাজার টাকার মোবাইল কেনার সামর্থ্য নেই। হঠাৎ একদিন অফার পেলেন যে ঐ মোবাইলটার একটা চোরাই ভার্সন হাজার পাঁচেক টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আপনি কি করবেন? আপনি কি সেই চোরাই জিনিসটা অল্পমূল্যে কিনে ব্যবহার করবেন? নাকি পাঁচ হাজার টাকায় নতুন একটা ফোন কিনবেন যাতে আপনার প্রয়োজনীয় কাজগুলো (কথা বলা, টেক্সট করা ইত্যাদি) করা যায়? একজন চোরের কাছ থেকে একটা চুরির জিনিস কিনে ব্যবহার করতে কি আপনার এতটুকু খারাপ লাগবেনা? কখনো কি মনে হবেনা এই যে আপনি টাকাটা খরচ করলেন চোরাই জিনিসটা কেনার জন্য, এটা করে আপনি আসলে একজন চোরকে আবার চুরি করতে উৎসাহী করলেন?


প্রফেসর হ্যারি বাওম্যান বেশ হাসি খুশি লোক। এই লোকের ক্লাশ করার ভাগ্য হয়েছিল আমার। তো প্রথমদিন এই ডাচ প্রফেসর ক্লাসে কে কোন দেশ থেকে এসেছে জানতে চাইলে যখন বললাম বাংলাদেশের কথা, তখন দেখি তার ঠোঁটের কোনায় হাসি। সেই হাসি মাখা মুখেই বলল যে সে বাংলাদেশকে চেনে। আমারতো ঘাম ছুটে গেল, কারন ভালো কোন দিক থেকে বাংলাদেশকে চেনার কোন কারন নাই, এখন ভরা ক্লাসের সামনে কোন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে কে জানে! ভয়ে ভয়ে অপেক্ষা করছি। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সে বলল যে সে বাংলাদেশকে চেনে জর্জ হ্যারিসনের কল্যানে! আরে যোগ করলেন হল্যান্ডও এককালে বাংলাদেশের মত বন্যাপ্রবন দেশ ছিল, তাঁর আশা হল্যান্ডের মত বাংলাদেশও একসময় এই বাধা কাটিয়ে উঠবে। যাক বাবা, এই যাত্রায় বেচে গেছি ভেবে ক্লাস পুরোটা করলাম। ক্লাস শেষে বেরুতে যাব এমন সময় তিনি আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন বাংলাদেশ কি এখনো দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় কিনা? তারপর আরো কথার মাঝে কথায় কথায় বললেন যে “… তোমাদের তো আসলে সবাই চুরি করে, উপর থেকে শুরু করে নিচে সবাই। এই যেমন তোমরা কখনো আসল সফটওয্যার কিননা, কেবল চুরিই কর…”। নিজেকে এভাবে চোর শুনতে কার ভাল লাগে? কিন্তু এটাই বাস্তব! দেশের বাইরে আমাদের পরিচয় চোর হিসেবে যারা যা পায় তাই চুরি করে। বাইরের দেশগুলোতে আমাদের ভাবমূর্তি খুব একটা ভালনা। সহজভাবে বললে তারা আমাদেরকে নিকৃষ্ট হিসেবে দেখে।


ট্রেড রিলেটেড অ্যাসপেক্টস অব ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টিং রাইটস (ট্রিপস) এর একটা বেশ বিখ্যাত চুক্তি আছে। এ চুক্তি অনুসারে পৃথিবীর সব দেশের মেধাসম্পদের সর্বজনীন সংরক্ষণের কথা বলা আছে। কিন্তু বাণিজ্যে সমতা সৃষ্টির জন্য উন্নত বিশ্ব আর স্বল্পোন্নত বিশ্বকে তো আর একই কাতারে ফেলা যায় না। তাই কপিরাইট বিষয়ে ডব্লিউটিওতে দরিদ্র−ভদ্র ভাষায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো ছাড় পাওয়ার জন্য হইচই করে। শুরুতেই ট্রিপসে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ছাড় দেওয়া হয়। পরে ২০০৫ সালে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সেই ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ট্রিপসে বলা আছে যে, স্বল্পোন্নত দেশগুলো সাড়ে সাত বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত বিদেশি কপিরাইট, পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক ও অন্যান্য মেধাসম্পদের ক্ষেত্রে এবং ১১ বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ওষুধ শিল্প ছাড় পাবে।

স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে এই ছাড় দেওয়ার কারণ হচ্ছে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সব দেশ যাতে সমান সুযোগ পায়। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো অনেক এগিয়ে। এখন তথ্যপ্রযুক্তি তথা মেধানির্ভর বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সক্ষম হতে হবে।

তাহলে কি দাঁড়ালো? বাংলাদেশ ও ঐ ছাড়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। তার মানে কি আমরা নির্বিচারে পাইরেটেড সফটওয়ার ব্যবহার করব? খেয়াল করুন এইখানে “ছাড়” শব্দটা ব্যবহার করা হচ্ছে। ছাড় কখন দেয়া হয়? যখন কোন অপরাধ করা হয় তখন সেটাকে পাশ কাটানোর জন্য বলা হয় যে “তাকে ছাড় দেয়া হল”। কালো টাকা সাদা করার ঘোষনায় “ছাড়” পাওয়া চোরাকারবারিরা যেমন অপরাধী থেকে নিষ্পাপ মানুষে পরিবর্তিত হয়না তেমনি ট্রিপসের ছাড়ের কারনে কিন্তু পাইরেটেড সফটওয়ার ব্যবহার করাটা জায়েজ হয়ে যায়না। সোজা কথায় কপিরাইট ভঙ্গ আসলে “অপরাধ” কিন্তু উন্নত বিশ্ব আমাদের “করুনা” করছে। ট্রিপস চুক্তি অনুসারে সফটওয়ার পাইরেসি করা সত্ত্বেও ওরা আমাদের “সরাসরি” চোর বলতে পারছেনা, কিন্তু ২০১৩ সালের পর কিন্তু আমরা লিখিতভাবে চোর হয়ে যাব!


– “বাংলাদেশে আমরা কম্পিউটার নামক যন্ত্রটার সাথে ফ্রীতে একগাদা সফটওয়ার পেয়ে অভ্যস্ত। নতুন কেনা কম্পিউটার কিনে সুইচ অন করলেই মনিটরের পর্দায় ভেসে উঠে উইন্ডোজের চেহারা। আপনি কি জানেন আপনার পিসির সাথে পুরে দেয়া উইন্ডোজটি যে চুরি করা?”
– “কে কইছে চুরি করসি! দামাদামি কইরা ত্রিশ টাকা খরচ কইরা কিনছি মিয়া। আমারে চোর কন!”
– “মাইক্রোসফট কোম্পানী যে জিনিসের দাম রাখে বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা সেটাই আপনি দোকান থেকে কিনছেন ত্রিশ টাকা দিয়ে। এবার ভাইজান বলেন যে আপনি চোর না!”
– “আবার কয় আমি বলে চুরি করছি। আরে মিয়া দুকান্দার কোত্থেইকা এইটা আনসে সেইটা আমি জানিনা, আমার জানবারও দরকার নাই। দুকানে সিডি ছড়াইয়া বেচতাসে, টাকা দিয়া কিনসি। মাগনা চুরি কইরা আনিনাই। গাটের টাকা খরচ করসি… হুমম।”
– “গাটের পয়সা খরচ করেছেন ভালো কথা, কিন্তু কিসের পিছনে? একটা চোরাই মালের পিছনে! ”
– “এই চুরি তো সেই চুরি না। আমাগো আসলটা কিনবার সামর্থ্য নাই। তাই এইটাই তো কিনতে হবে।”
– “ধরুন আপনার পনর লক্ষ টাকার গাড়ীটা কেউ চুরি করে এক লাখে বিক্রি করে দিল। যে চুরি করলো সেতো চোরই যে জেনেশুনে কিনল তাকে কি বলবেন?”
– “ঐ ব্যাটাও চোর। ওর চৌদ্দগুষ্ঠি চোর। জাইনাশুইনা চুরি করা গাড়ি কিনসে, কোন ভদ্রলোকে এই কাজ করে?”
– “ভাইরে… তাহলে তো আপনিও চোরের কাতারে পড়েন। জেনেশুনে চোরাই সফটওয়ার ব্যবহার করছেন।”
– “আরে ভাই… ঐ লোকের পয়সা দিয়া গাড়ি কিনবার সামর্থ্য নাই তো গাড়ি কিনবে ক্যান? বাস, ট্যাক্সি কি দেশ থেইকা উইঠা গেছে? ঐ ব্যাটার তো অন্য আরো রাস্তা খোলা আছে। কিন্তু আমারটা ভাবেন, উইন্ডোজ ছাড়াতো আর কোন উপায় নাই! রাস্তাতো একটাই!”
– “নারে ভাই! রাস্তা আরো আছে। উইন্ডোজই একমাত্র অপারেটিং সিস্টেম না, আরো কয়েকটা অপারেটিং সিস্টেম আছে। এগুলোর মধ্যে ফ্রি বিএসডি, ওপেন সোলারিস এবং লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমগুলোর (উবুন্টু, ওপেনসুস্যে, মিন্ট, ডেবিয়ান ইত্যাদি) সিংহভাগই একেবারে মাগনা। শুধু তাইনা সাথে আছে অনেক ফ্রি সফটওয়ার। আর ঐগুলা ব্যবহার করলে কারও বাপের গায়ে জ্বর যে আপনাকে চোর বলে। আগের জনকে যেভাবে চোরাই গাড়ির বিকল্প দেখিয়ে দিলেন এখনতো আপনিও চোরাই সফটওয়ারের বিকল্প পেলেন। এখন বলেন কি করবেন!”


“চোর” শব্দটা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের দুটো পথ খোলা আছে। প্রথম পথটা বেশ কঠিন, সেটা হল পাইরেটেড সফটওয়ার ব্যবহার না করে সফটওয়ারগুলোর জেনুইন ভার্সনগুলো কিনে ফেলা। আমাদের মত গরীব দেশের কম্পিউটার ইউজারদের জন্য এই পন্থাটা বেশ কঠিন, বলতে গেলে অসম্ভব। কারন উইন্ডোজ, এমএস অফিস আর এন্টি ভাইরাস সফটওয়ার – এই তিনটার কথা চিন্তা করলেই কিন্তু একটা কম্পিউটারের জন্য কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হবে। তাহলে খোলা থাকলো দ্বিতীয় পথটা, ফ্রি ওপেনসোর্স সফটওয়্যারে নিজেদের বদলে ফেলা। এই পন্থায় বলতে গেলে কোন সমস্যাই নাই। ফ্রিবিএসডি, সোলারিস বা লিনাক্স বেজড ডিস্ট্রগুলোতে ভাইরাসের ঝামেলা নাই, তাই এন্টিভাইরাসের কথা ভুলে যাওয়া সম্ভব। আর যদি ব্যবহার বান্ধবতার কথা চিন্তা করেন তবে চোখ বন্ধ করে লিনাক্স ভিত্তিক উবুন্টু বা মিন্ট ব্যবহার করা যায়। উইন্ডোজে যা করতেন তার সবই কিন্তু উবুন্টু বা মিন্টে করা সম্ভব। যে কাজ আপনি চুরি করে কিনে অবৈধভাবে করছেন, সেই কাজগুলোই কিন্তু উবুন্টু বা মিন্টে করতে পারবেন বিনা ঝামেলায়।

তাছাড়া অনেকেই কিন্তু ইতিমধ্যে ফায়ারফক্স, থান্ডারবার্ড, ভিএলসি প্লেয়ার, ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, দ্রুপাল, ফাইলজিলা, পিএইচপি, পাইথন, জাভা ইত্যাদি ওপেনসোর্স সফটওয়ার ব্যবহার করছেন জেনে কিংবা না জেনে। যারা এসব ব্যবহার করছেন তাদের নিশ্চয়ই ওপেনসোর্স সফটওয়ারের ক্ষমতা বা কোয়ালিটি নিয়ে কোন সন্দেহ থাকার কথা না। যেখানে ওপেন সোর্স সফটওয়ার বিনা পয়সায় আমাদের মুক্তি দিতে পারে সেখানে কেন আমরা শুধু শুধু নিজেদের গায়ে “চোর” তকমাটা লাগিয়ে রাখবো?


আপনি নিশ্চয়ই চিন্তা করছেন হঠাৎ করে কেন আমি এইসব জিনিস নিয়ে পড়লাম? আসলে নিজের জাতি সম্পর্কে কটু কথা শুনতে কারই বা ভালো লাগে বলেন? তবে একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু চোর অপবাদটা ঝেড়ে ফেলে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। কিন্তু সেই চেষ্টাটাই আমরা করছিনা। শুধু যে করছিনা তা না, আমরা হাত পা গুটিয়ে বসে আছি যাতে চেষ্টাটা না করতে হয়। কিন্তু এখন থেকেই আমাদের সচেতন হতে হবে না হলে দেখা যাবে যে ২০১৩ সালে সরকারকে মোটা দাগের টাকা অপচয় করে সরকারী কাজে গাদা গাদা লাইসেন্স করা সফটওয়ার কিনতে হচ্ছে। সেই সাথে সাধারন ইউজাররাও পড়বে ঝামেলায়। যেহেতু উইন্ডোজের বাইরে আর কিছু নিয়ে তাদের কোন ধারনা নেই তাই স্বভাবতই তাদেরকেও মোটা দাম দিয়ে উইন্ডোজ কিনতে হবে, সেই সাথে দামী দামী সব সফটওয়ার। তাই এখনই সময় সাধারন পিসি ইউজারদের এই ব্যাপারটা নিয়ে সচেতন হবার এবং করার।


২০০৯ প্রায় শেষ। ২০১০ সাল শুরু হবে আর কদিন পরই। নববর্ষকে দেখা হয় পুরনো সব গ্লানি মুছে নতুন আশার প্রতিক হিসেবে। এই নববর্ষে আমরা কি ছোট্ট একটা প্রতিজ্ঞা করতে পারিনা যে আমরা আমাদের ‘চোর’ তকমাটাকে বিদায় জানাবো। নতুন করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো বিশ্ব দরবারে। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোটা কঠিন না কিন্তু মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার স্বিদ্ধান্ত নেয়াটাই কঠিন। একবার স্বিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে মাথা উঁচু করাটা কোন ব্যাপারই না। এই লেখাটা দিয়ে একজনকেও যদি মাথা উঁচু করে দাঁড়া করাতে পারি তাহলেই আমার লেখাটা সার্থক হয়েছে বলে মনে করব।


এ লেখাটি এছাড়াও আরো যেখানে প্রকাশিত হয়েছেঃ

25 thoughts on “আসুন… মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার প্রতিজ্ঞা করি!”

  1. আমি লিনাক্স ব্যবহার করতে চাই। কিন্তু কিছু কিছু সমস্যার কারনে ব্যবহার করা হয় না। যেমন একটা বড় কারন হচ্ছে আমার আইটিউনস সফটওয়্যার। আইপড টাচের জন্য সফটওয়্যার/গেম ডাউনলোড করতে গেলে আমাকে আইটিউনস ব্যবহার করতে হয়। কারন বাংলাদেশে ওয়াই-ফাই নাই। তাই সরাসরি আইপড টাচে নেট ইউজ সম্ভব হয় না।
    এছারাও ফটোসপ, প্রিমিয়ার , গেমস …. এসব কারনে এখনো উইন্ডোজ ব্যবহার করা হয়।

    1. আপনি যদি জেনুইন উইন্ডোজ ব্যবহার করেন তাহলে সেটা নিয়ে তো কোন সমস্যাই নেই। সমস্যা হচ্ছে পাইরেটেড উইন্ডোজ নিয়ে! এই লেখাটা পাইরেটড উইন্ডোজ তথা পাইরেটড সব সফটওয়ারের ব্যবহার সম্পর্কে লোকজনকে সচেতন করতেই লেখা।

      আইপডের অন্যান্য মডেলগুলোকে উবুন্টু সহজেই ডিটেক্ট করতে পারলেও, আইপড টাচকে পারেনা। তবে জেলব্রেক করে উবুন্টুতে ব্যবহার করা যায় বলেই শুনেছি। ফটোশপ বা প্রিমিয়ার এর বিকল্প সফটওয়ার উবুন্টুতে আছে। য়েমন গিম্প আর সিনেরেলা। আর ওয়াইন ও ক্রসওভার দিয়ে মোটামুটি প্রচুর উইন্ডোজের গেম ও সফটওয়ার লিনাক্সে চালানো যায়।

  2. পোস্টটা যে অসাধারণ তার কোন অবকাশ নেই! যখন পোস্টটি আপ্রতে দিয়েছিলেন তখন মনে হয় আপ্র চিনিনি…এজন্য ধন্যবাদ..অসাধারণ কিছু বলতে পারি নি… তাই এখনই বলে দিলাম..
    যাই হোক…আমার ব্লগে এবং রংমহল ফোরামে লেখাটা আপনার নাম দিয়ে প্রকাশ করতে চাই! (যত বেশী জায়গায় প্রকাশিত হবে মানুষ তত বেশী জানবে!) অনুমতি প্রার্থনা করছি!

    1. যাই হোক…আমার ব্লগে এবং রংমহল ফোরামে লেখাটা আপনার নাম দিয়ে প্রকাশ করতে চাই! (যত বেশী জায়গায় প্রকাশিত হবে মানুষ তত বেশী জানবে!) অনুমতি প্রার্থনা করছি!

      অবশ্যই অনুমতি দেয়া হল। 😀 তবে এই লেখার লিংকটা সবজায়গায় মনে করে দিয়ে দিও…

  3. আমি আজ শপথ করলাম আমি নিজের মাথা উচু করব সাথে অন্য বন্ধুদেরকে আমার সাথে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করব। সত্যিই খুবই দুরদর্শি চিন্তাশীল ভাবনা ।

    1. শুনে খুব ভালো লাগছে… দেশের মাথা থেকে চুরির বোঝা নামানোটাও কিন্তু দেশপ্রেম… সবার মাঝে যদি দেশপ্রেমের এই উপলব্ধিটা থাকতো!

  4. আমার কেনা ল্যাপটপের সাথে কোন ফ্রী অ.এস ছিল না। তাই আমি কম্পিউটার কেনার পরই চেয়েছি আমার কম্পিউটারে ইন্সটল করা ঊইন্ডোজ সেভেন (চুরি করা) ফেলে দিয়ে উবুন্তু ইন্সটল করব তা যত সমস্যাই হোক। কিন্তু উইন্ডোজ সেভেন ফেলে দেয়ার পর দেখা গেল ইন্সটলেশনের বাকী কাজটুকু হয়না। এরকম একটা মেসেজ আসে যে আমার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ড্যামেজ ঠেকাতে ইন্সটলেশন বন্ধ করা হয়েছে। বেশ ক্কয়েকবার চেষ্টা করলাম কাজ হল না। এখন কি করা আমার উইন্ডোজও নাই লিনাক্সও নাই। আমি যেখানে থাকি সেখানে কোন সফটওয়্যারের দোকানও নেই। শেষ পর্যন্ত আমাকে ৪০ কি.মি. দূরে সেই চুরি করা অপারেটিং সিস্টেম আনতে ছুটে যেতে হয়েছে। কি করব কম্পিউটার তো ব্যবহার করতে হবে। কম্পিঊটার কিনেই সব টাকা শেষ তাই অরিজিনাল উইন্ডোজও কিনতে পারব না। আমাকে প্লীজ কোন সমাধান দিন। আমি এই চুরির কলঙ্ক নিয়ে কম্পিউটার ইউজ করতে চাইনা।

    1. কিন্তু উইন্ডোজ সেভেন ফেলে দেয়ার পর দেখা গেল ইন্সটলেশনের বাকী কাজটুকু হয়না। এরকম একটা মেসেজ আসে যে আমার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ড্যামেজ ঠেকাতে ইন্সটলেশন বন্ধ করা হয়েছে।

      এই কথাটা বুঝলামনা। আপনি উইন্ডোজ সেভেন ফেলে দেয়া বলতে কি বুঝাচ্ছেন? উবুন্টু ইন্সটলেশানের সাথে উইন্ডোজের থাকা না থাকার কোন সম্পর্কই নেই। উবুন্টুর সিডি ঢুকিয়ে পিসি উবুন্টু থেকে বুট করুন। তারপর মাউস টিপে টিপে ইন্সটল করুন! ইন্সটলেশানের একটা ধাপে জানতে চাওয়া হবে যে আপনি পুরো হার্ডডিস্কেই উবুন্টু ইন্সটল করবেন কিনা। সেখানে ক্লিক করুন, তারপর আর কিছু করা লাগবেনা…

  5. Vaiya!
    Amara kintu chai chorer opobaad ta dur korte. Kintu joto shob software amra use kori windows a shegulo jodi na use korte pari ubuntu te shai voye oneke ubuntu use kori na. Abar ubuntu install ar procedur o jani na oneke. Tashra dhorun gp modem ja diye modem akare o use kora jai abar sms o kora jai. kintu ubuntu te to shudhu modem akare use kora jai kintu kivabe sms er kaaj jorte hoi ta to jani na. E rokom ara problem face korte hoi. Segulor solver upai o jana nai.

    1. উইন্ডোজে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন সেগুলোর সবগুলোরই বিকল্প সফটওয়্যার উবুন্টুতে আছে। যেমন ফটোশপের বিকল্প গিম্প, ইলাস্ট্রেটরের বিকল্প ইংকস্কেপ, এমএসঅফিসের বিকল্প ওপেন অফিস, ফায়ারফক্সের বিকল্প ফায়ারফক্স ইত্যাদি। শুধু দরকার দেশপ্রেম আর নিজের বিবেকবোধ। কারো যদি উবুন্টুতে না পোষায় তবে জেনুইন উইন্ডোজ কিনে ব্যবহার করুক, কোন সমস্যা তো নেই। কিন্তু "গরীব দেশ তাই টাকা নাই বলে চুরি করা জায়েজ" – এটা তো মানা যায়না! তাহলেতো ঘুষ খাওয়ায় জায়েজ, কারণ ঘুষখোরের টাকা নেই তাই সে ঘুষ খায় – তাই কি হয়!

      অভ্যস্ত একটা সিস্টেম থেকে নতুন সিস্টেমে গেলে একটু সমস্যায় তো পড়তেই হয়। ধরুন আপনি তিন বছর ধরে নকিয়া'র ফোন ব্যবহার করছেন, এখন যদি সনি এরিকসনের নতুন সেটে আসেন তবে কি প্রথমদিকে নতুন জিনিসের সাথে খাপ খাওয়াতে কিছুটা সময় লাগবেনা? উবুন্টুতেও সেটুকু সময় লাগেই। গ্রামীনফোনের ব্যাপারটা জানিনা, আমি ব্যবহার করিনি বলে বলতে পারছিনা। আর সমস্যায় পড়লে সমাধান করার মত লোকজনও কিন্তু প্রচুর আছে, শুধু আপনাকে সমস্যা নিয়ে জায়গামত হাজির হতে হবে। যেকোন সমস্যার জন্য আমাদের প্রযুক্তিতে আপনি সবসময় আমন্ত্রিত।

  6. In my opinion, manush 50000 er phone chor er kach theke 5000 tk die kinle, manusher profit hobe, then, desher tk deshei roilo, bideshi company-r hate gelona, ete kore bangladesh er economic obosta valo hobe.

    1. আপনি কি কৌতুক করলেন নাকি সিরিয়াসলি বললেন বুঝলাম না! যদি কৌতুক করেন তাহলে কিছু বলার নেই আর যদি সিরিয়াসলি বলে থাকেন তাহলে বলতেই হবে যে আপনার কথামত "চৌর্যবৃত্তি" হচ্ছে বাংলাদেশের একটা লাভজনক ক্ষেত্র এবং এই পেশার সাথে জড়িত সব "চোর" দেশের উন্নয়নে বেশ জোরালো ভূমিকা রাখছে। তাই দেশের উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য কেউ আপনার ৫০০০০ টাকার মোবাইল ফোন চুরি করলে, রাস্তায় পার্ক করে রাখা লাখ টাকার গাড়িটা চুরি করে নিয়ে গেলে কিংবা বাসার সবকিছু চুরি করে সাফ করে দিলে কিন্তু খবরদার পুলিশের কাছে গিয়ে রিপোর্ট করবেননা বা হাউমাউ করে কান্নাকাটি করবেননা – কারণ এসব চোররা কিন্তু আপনার এই জিনিসই চুরি করে অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দেশের টাকা দেশেই রাখবে। আপনার হিসেবে ঘুষখোরেরা তো তাহলে জাতীয় নায়ক, তারা বিদেশি কম্পানির টাকা উৎকোচ হিসেবে নিয়ে দেশে উল্টো টাকা আমদানী করছে!

  7. I am saying, why new phone, we can report it to the police or buy a second-hand, bt there, apni police er kono choice den nai, amader phone chori hoe gele barebare ki company theke notun phone kinbo? and, karokaro notun phone kinar shaddho thakena, jara mess kore thake tader oneke i time-pass kore Fm shone ba load kora gan shone, jodi chori hoe jaoar por oi category-r phone kinte na pare, then ki korbe? r bd er police ba security force golao shob chor, Gd likho-2000-2500 tk, then o kaj hoyna, then Gd ta nie Rab k dekhao, set er market price onujai ghosh dao, then tara try korbe, nao pete pare, so sohoj upay, second-hand kino, r noile "Jege utho, shob bodle felo, desh thik koro ba goro". R ghosh to amrai dicchi, shobai dicche, "Can u find any1 j ghosh deyna? u thnk abt urself, r erokom kotha amrao bolte pari, faltu jinish, kicho korte hole kore dekhao, magna advice er ovab amr deshe aijibone monehoy hobena. Kicho shoro koren, amrao achi.

    1. I am saying, why new phone, we can report it to the police or buy a second-hand, bt there, apni police er kono choice den nai … r bd er police ba security force golao shob chor, Gd likho-2000-2500 tk, then o kaj hoyna, then Gd ta nie Rab k dekhao,

      অবশ্যই পুলিশে যাবেন, আইনত সেটাই সঠিক পদ্ধতি। পুলিশের কথা বলিনি কারণ আগের মন্তব্যে আপনি চোরের কাছ থেকে ফোন কেনার কথাটাই তুলেছেন, চোরকে চুরি করার জন্য টাকা দিয়ে দেশের টাকা দেশেই রাখার কথা বলেছেন, ফোন চুরি যাবার কথাটা তুলেননি, যার ফোন চুরি গেল তার করণীয় সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেননি। সহজ একটা হিসাব দেই: আপনি যখন আরেকজনের চুরি হওয়া চোরাই ফোন কিনছেন তখন কিন্তু আপনি চোরকে উৎসাহ দিচ্ছেন যাতে সে আরেকটা ফোন চুরি করে সেটা বেচতে পারে। কারণ আপনার কাছে ফোন বেচার ফলে সে জানে যে ফোন চুরি করতে পারলে সেটা কেনার লোকও আছে, ফলে চুরি করাটাই তার পেশা হয়ে যায়। তাই যখন কারো চুরি করা মোবাইল আপনি কিনে ব্যবহার করছেন তখন এটাও মাথায় রাখতে হবে যে চুরির দায়ভার আপনার মাথায় বর্তাবে। এখন হয়তো বলবেন যে আপনি না কিনলেও আরেকজন ঠিকই কিনবে। সেটা কিনুক, কিন্তু আপনি যদি না কেনেন তবে চোরাই ফোন কেনার ক্রেতা অন্তত একজন কমে যেত। ৫০০০০ টাকার মোবাইল চুরি গেলে যদি একই দামের আরেকটা কেনার সামর্থ্য না থাকে এবং যদি সৎ পথে থাকতে চান , তাহলে আপনি অবশ্যই সামর্থ্যের মধ্যেই মোবাইল কিনবেন, দরকারে সেকেন্ডহ্যান্ডই কিনবেন। সৎ পথে থাকবেন না অসৎ পথে থাকবেন – সেই পছন্দ আপনার।

      R ghosh to amrai dicchi, shobai dicche, Can u find any1 j ghosh deyna?

      সিস্টেম করাপ্টেড বলে কী আপনিও করাপ্টেড হবেন? নিজেও অসৎ হয়ে যাবেন? আপনার মাঝে কি সততা জিনিসটা নেই? যদি ঘুষের ব্যাপারে একজনের হিসেব চান তাহলে আমি আছি, জীবনে ঘুষ দেইনি, কেউ চাইলেও দেইনি, ঘুষ ছাড়া নিজের পাসপোর্ট তুলেছি, ঘুষ ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়েছি- সবই ইচ্ছার উপর।

      “Jege utho, shob bodle felo, desh thik koro ba goro”… r erokom kotha amrao bolte pari, faltu jinish,

      সমস্যাটা এখানেই… আপনি ধরেই নিচ্ছেন যে উপদেশবাণী খুব খারাপ জিনিস, আঁতেল-ফাতেল-ফালতু লোকজন ছাড়া এগুলো কেউ দেয়না। নিজে কখনো অনুসরণ করার চেষ্টা করেছেন? আমাদের দেশটা খুব গরীব কিন্তু তাই বলে কি আমি নিজের বিবেক বেচে দেব? সবাই যদি সবার জেগে উঠার জন্য বসে থাকে তাহলে কবে সবাই জেগে উঠবে বলবেন কি? সবাই তো একসাথে জেগে উঠবেনা, একজন-দু’জন করে জেগে উঠবে, যারা জেগে উঠবে তারা আবার আরো কয়েকজনকে জাগিয়ে তুলবে, এভাবেই প্রক্রিয়াটা চলতে থাকবে। জেগে উঠতে অনেক বাধাও আসবে, কিন্তু যারা সত্যিকারের জাগ্রুক তারা সেগুলোতে পরাস্ত হবেনা।

      kicho korte hole kore dekhao, magna advice er ovab amr deshe aijibone monehoy hobena. Kicho shoro koren, amrao achi.

      নিজে কিছু করে তবেই কথাগুলো বলছি, নিজে মিষ্টি খাওয়া বাদ না দিয়ে অন্যকে বাদ দিতে বলিনা। নিজে পাইরেসিকে না বলেছি, পাইরেটেড সফটওয়্যার বর্জন করেছি, জেনুইন কেনা সফটওয়্যার ব্যবহার করছি – তারপরই এসব কথা বলছি। নিজে শুরু করেই অন্যদের আহবান করছি। আপনিও শুরু করেন। দেখবেন আপনাকে দেখে অন্তত একজন হলেও পাল্টাবে, তাকে দেখে অন্তত আরো একজন, এভাবে চেইন রিয়েকশন হতে থাকবে। ভাবছেন আমি বুঝি একা একা এসব করছি? মোটেই না… আমার সাথে আমার মতই আরো অনেকে আছে। আপনি শুরু করেন, এখানে যোগ দিন, দেখবেন আপনি আর একা নন, আপনার পাশে এসে দাঁড়ানোর অনেককেই পাবেন।

  8. আমি আন্তরিক ভাবেই চাচ্ছি আমার এক্সপি (পাইরেটেড) বাদ দিয়ে উবুন্টু (ওপেনসোর্স) ব্যাবহার করব, কিন্তু কোন উপায় বের করতে পারছিনা। কারন, আমার ৮০ জিবি হার্ডডিস্ক প্রায় ভর্তি। এখন, আমার ফাইলগুলোর ব্যাকআপ রাখার সামর্থ ও আমার নেই।
    আপনার এই লেখাটা পড়ার পর অবশ্য পাইরেটেড ব্যাবহার না করার ইচ্ছা আরো প্রবল বলেই মনে হচ্ছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি উবুন্টু থেকেই এই পোষ্টে রিপ্লাই করব।

    1. আপনার হার্ডডিস্ক কিভাবে পার্টিশন করা, কতটুকু খালি জায়গা আছে- ইত্যাদি অনেক কিছু না জেনে ভালোমত বলা যাচ্ছেনা। আপনাকে একটা সাজেশন দেই, আপনি লিনাক্স ফোরামে রেজিস্ট্রেশন করুন। এই ব্লগে আমি একলা আপনাকে কতটুকুই বা সাহয্য করতে পারব বলুন! তাছাড়া ব্যস্ততার কারণে আমি সময়ও দিতে পারছিনা। কিন্তু লিনাক্স ফোরামে আপনি অনেককে পাবেন যারা আপনার প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর দিবে। তাই দয়া করে লিনাক্স ফোরামে আসুন, সবকিছু সবার সাথে ভালোমত আলোচনা করুন।

      1. আপনার উত্তরের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি লিনাক্স ফোরামে সাইন আপ করেছি এবং সাজেদুর (রিং) ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। দেখা যাক কতদুর কি করতে পারি।

  9. ভালই লাগছে। আপনার লেখাটগুলো চমৎকার। তবে লিফো-তে যাবার পর আপনি যেন কেমন হয়ে গেছেন, সেই অভ্রনীলেন মাঝে বর্তমান অভ্রনীল এর কোনো ছাপই নাই বরং বর্তমানের অভ্রনীলের মাঝে অহংবোধ একটু বেশিই দেখা যায়, এমনকি আপনার থেকেও বড় এমন যারা লিনাক্সে এসেছে / যাদের দ্বারা লিনাক্স বাংলাদেশে এসেছে তাদেরকেও অপমান করতে আপনার বাধেনি। আপনার সাথে ভেবেছি একসময় এসব নিয়ে আলাপ করবো, পরে ভাবলাম কি দরকার। কে কি করলো তার ফল সে পাবেই আজ অথবা কাল। আমি যা বলি সবকিছু দেখে শুনে এবং বুঝেই বলেছি।

    আপনার সেই আগের লেখনি এবং আমরা সেই আগের অভ্রনীলকে দেখতে চাই, যদি সম্ভব হয়।

    ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

  10. Banglay likhchi dekhe sorry. Ubuntu install korar por Banglay ekhono lekhar dorkar poreni bole Avro install kora hoyni.

    ‘primerocks’ user er kotha pore kharap laglo. Manush eto shallow hoy keno? Ami amar onek bondhuke bujhate giyechilam. Tader achoron dekhe ami chorom obak hoyechi! Manush hoyto ekhono bepartar gravity bujhte parche na. Antorjatik bhabe chor howa je ki poriman koshter hote pare, ta shommondhe tader kono dharonai nei! amar relative jara bideshe giyechen, tader kache tader experience gulo shunar por ami ekhon puropuri convinced, Windows shoho bibhinno pirated software bebohar thamate na parle je opoman ta ashbe, ta kokhonoi shamanno kichu na. Ei dhakkata khawa theke bachar ektai upay, going opensource!

  11. আমার অভীজ্ঞতাও অনেকটা রাতুল মিনহাজ ভাইয়ের মতো । বন্ধুদের যতই চোরাই উইনডোজ ব্যাবহার না করে বিণা পয়সায় পাওয়া (উবুন্টু) লিনাক্স ব্যাবহার করতে বলি , এমনকি আমার বাড়িতে এসে আমার কম্পিউটারে বসে একটু উবুন্টু অপারেটিং সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখতে বলি তারা প্রায় সবাই এটা নিয়ে কিছুই না জেনে বেঁড়ে তর্ক করতে শুরু করে ! এমনকি এরকমও শুনতে হয়েছে যে – এটা নিশ্চয়ই রাশিয়ান বা চাইনিজ কোনো অপারেটিং সিস্টেম , ব্যাটা “মাকু” রা ব্যাবহার করে (“মাকু”-র অর্থ আশঙ্কা করি জানেন) । আমেরিকান উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেমকে হেয় করার জন্য আমি এরকম বলছি । যাদের কথা বলছি তারা প্রত্যেকেই কিন্তু “শিক্ষিত” এবং সজ্জন । ভাবুন একবার ! চোরের মায়ের বড় গলা – বোধহয় একেই বলে ! তবে আমি হতোদ্যম হই না এবং হবোও না ! আমি আপনার সঙ্গে আছি এবং থাকবোও । যদিও কমপিউটার সম্বন্ধে জ্ঞান আমার খুবই সীমিত । আমি এখনও শিখছি ।

    1. “মাকু” শব্দের মানে তো জানা নেই ভাই! ডিকশনারিতে দেখলাম মাকু মানে – “বি. তাঁত-বোনার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রবিশেষ, তাঁতের কাপড়ের পড়েনের অর্থাৎ আড়ের দিকের সুতো বোনার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রবিশেষ।” আপনি নিশ্চয়ই এটা বোঝাতে চাননি! 😛

      আমি কিন্তু উইন্ডোজকে হেয় করিনা। বরং কেউ যদি বৈধ উপায়ে উইন্ডোজ ব্যবহার করতে চায়, তাকে তাই-ই করতে দেই। আপনাদের কলকাতায় কী অবস্থা জানিনা, কিন্তু আমাদের দেশে লোকজন কিন্তু জানেইনা যে বাজার থেকে ৩০/৪০ টাকায় যে উইন্ডোজের সিডি/ডিভিডিটা কেনা হচ্ছে, সেটা অবৈধ! তাই চেষ্টা করি তাদেরকে বোঝানোর জন্য যে হয় বৈধভাবে সফটওয়্যার কিনে ব্যবহার করুন কিংবা বিনাপয়সার ওপেনসোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করুন, কিন্তু দয়া করে অবৈধভাবে কিছু করবেননা। আমি নিজে কিন্তু উবুন্টু ব্যবহার করি এটার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য। অনেক টাকা থাকলে হয়তো ম্যাক ব্যবহার করতাম, তবে সেটা অ্যাপলের দুর্দান্ত হার্ডওয়্যারের জন্য, ম্যাকওএসএক্সের জন্য না! উবুন্টু ব্যবহারে একধরনের ‘আরাম’ আছে, সেটা ব্যবহার না করলে ঠিক বোঝানো যায়না!

Leave a Reply