লিনাক্সভ্রান্তি-২: লিনাক্সের বদন-সুরৎ অতিশয় খটর-মটর

আমার অভিজ্ঞতা বলে যে লিনাক্স শব্দটার সাথে চার ধরনের মানুষ জড়িত থাকে – যারা কখনো লিনাক্সের নাম শুনেননি, যারা লিনাক্সকে ভয়াবহ ভালবাসেন, যারা লিনাক্স ব্যবহার করতে ভয় পান এবং যারা লিনাক্স নিয়ে উল্টোপাল্টা অমূলক কথা বলে বেড়ান। পয়লা দু’দলকে নিয়ে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু শেষের দু’দল একটির সাথে আরেকটি ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। লিনাক্স নিয়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণার উৎপত্তি সাধারণত শেষের এ দু’দল থেকেই ঘটে থাকে। এসব ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকে লিনাক্স শব্দটি শুনলেই উল্টোদিকে দৌড় দেবার ধান্দায় থাকেন। তাই ভাবলাম এসব ভ্রান্ত ধারণাগুলোকে একহাত দেখে নেবার জন্য ধাপে ধাপে একটা সিরিজ বের করা দরকার। সেই ভাবনারই একটি ছোটখাট ফসল “লিনাক্সভ্রান্তি” সিরিজ। আমি চেষ্টা করব “লিনাক্সভ্রান্তি” সিরিজটিতে লিনাক্স নিয়ে প্রচলিত বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণাগুলোকে দূর করতে, যাতে করে লোকজন উল্টোদিকে না দৌড়ে অন্তত ঠিক দিকে দৌড়তে পারে। আর এ সিরিজটিতে “লিনাক্স” বলতে সামগ্রিকভাবে “উবুন্টু”কেই ধরা হচ্ছে/হবে।


Continue reading লিনাক্সভ্রান্তি-২: লিনাক্সের বদন-সুরৎ অতিশয় খটর-মটর

লিনাক্সভ্রান্তি-১: লিনাক্স ব্যবহার অতিশয় কঠিন

আমার অভিজ্ঞতা বলে যে লিনাক্স শব্দটার সাথে চার ধরনের মানুষ জড়িত থাকে – যারা কখনো লিনাক্সের নাম শুনেননি, যারা লিনাক্সকে ভয়াবহ ভালবাসেন, যারা লিনাক্স ব্যবহার করতে ভয় পান এবং যারা লিনাক্স নিয়ে উল্টোপাল্টা অমূলক কথা বলে বেড়ান। পয়লা দু’দলকে নিয়ে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু শেষের দু’দল একটির সাথে আরেকটি ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। লিনাক্স নিয়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণার উৎপত্তি সাধারণত শেষের এ দু’দল থেকেই ঘটে থাকে। এসব ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকে লিনাক্স শব্দটি শুনলেই উল্টোদিকে দৌড় দেবার ধান্দায় থাকেন। তাই ভাবলাম এসব ভ্রান্ত ধারণাগুলোকে একহাত দেখে নেবার জন্য ধাপে ধাপে একটা সিরিজ বের করা দরকার। সেই ভাবনারই একটি ছোটখাট ফসল “লিনাক্সভ্রান্তি” সিরিজ। আমি চেষ্টা করব “লিনাক্সভ্রান্তি” সিরিজটিতে লিনাক্স নিয়ে প্রচলিত বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণাগুলোকে দূর করতে, যাতে করে লোকজন উল্টোদিকে না দৌড়ে অন্তত ঠিক দিকে দৌড়তে পারে। আর এ সিরিজটিতে “লিনাক্স” বলতে সামগ্রিকভাবে “উবুন্টু”কেই ধরা হচ্ছে/হবে।


অনেকেই বলে থাকেন যে লিনাক্স ব্যবহার খুব কঠিন। কিন্তু যখনই কাউকে জিজ্ঞেস করি যে লিনাক্স ব্যবহার কেন কঠিন – তখন আর কেউ সুস্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারেনা। গাঁইগুঁই করে যে জিনিসটি শেষমেষ বেরিয়ে আসে সেটা হল – “লিনাক্স দেখতে জানি কেমুন কেমুন লাগে”! আরো সহজ করে বললে, লিনাক্স দেখতে কিংবা ব্যবহার পদ্ধতি উইন্ডোজের মত নয়। একটা অপারেটিং সিস্টেম দেখতে বা ব্যবহার পদ্ধতি আরেকটির মত নয় বলে অপারেটিং সিস্টেমটি কঠিন – ব্যপারটা যেন কেমন হয়ে গেল না! চার চাকার টয়োটার চেহারা বা ব্যবহার পদ্ধতি দুই চাকার হোন্ডার চেয়ে আলাদা হবে সেটাই তো স্বাভাবিক (যদিও দুটো দিয়েই যাতায়াত করা সম্ভব)। বরং এখানে যে ফ্যাক্টরটি কাজ করছে সেটা হল “অনভ্যস্ততা”। দু’চাকায় অভ্যস্ত চালককে চার চাকা চালাতে দিলে অনভ্যস্ততার কারণে প্রথম প্রথম তার একটু “কেমুন কেমুন” লাগবে। দিন কয়েক পরে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে সবই ঠিক!

একসময়কার ভয়ালদর্শন লিনাক্স এখন রূপে-লাবন্যে অনেক কমনীয় (রমনীয়ও বলা যেতে পারে)। কিবোর্ড-মাউস দিয়েই লিনাক্সে সব কাজ করা যায়। মাউস ক্লিক করেই কোন প্রোগ্রামকে ক্লোজ-মিনিমাইজ-ম্যাক্সিমাইজ করা হয়, মাউস দিয়ে টিপেই বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন খোলা-পরিচালনা-বন্ধ করা হয়, কাজের সুবিধার জন্য সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনকে ক্যাটাগরি অনুযায়ী সুবিন্যস্ত করা থাকে, রয়েছে আইকন ও মেনুবারের ব্যবহার, ফাইল ম্যানেজ করার জন্য রয়েছে ফাইল ব্রাউজার। তাছাড়া উবুন্টু ইন্সটল করলেই সাধারণ একজন ব্যবহারকারির প্রয়োজনীয় সমস্ত সফটওয়্যার; যেমন – সম্পূর্ণ অফিস স্যুট, বিট টরেন্ট ক্লায়েন্ট, চ্যাট ক্লায়েন্ট, ইমেইল ক্লায়েন্ট, ইন্টারনেট ব্রাউজার (ফায়ারফক্স), সোশ্যাল সাইট (ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি) ম্যানেজার, মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার, সিডি/ডিভিডি বার্নার, ফটোম্যানেজার, আঁকাআঁকি করার সফটওয়্যার, পিডিএফ রিডারসহ আরো অনেক কিছু ইন্সটল হয়ে যায়। অর্থাৎ একজন গড়পরতা সাধারণ ব্যবহারকারীকে কেবল মাত্র উবুন্টু ইন্সটল করলেই হল – সাথে সাথেই সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ তার সামনে পুরো সিস্টেম হাজির, আলাদা আলাদা করে তেমন কিছুই আর ইন্সটল করতে হয়না। হিসেব করলেতো দেখা যায় উবুন্টু বরং ব্যবহার করা সহজ, ব্যবহারকারীর অনেকটুকু ঝামেলা সে শুরুতেই কমিয়ে দিচ্ছে!

আমি ব্যক্তিগতভাবে সকল কাজেই উবুন্টু ব্যবহার করি। ইন্টারনেট ব্রাউজিং থেকে শুরু করে অফিস ডকুমেন্ট তৈরি, কিংবা গান শোনা থেকে শুরু করে ম্যাটল্যাবে সিমুলেশন করা – সবই করি উবুন্টুতে। দীর্ঘদিনের অনভ্যস্ততার কারণে উইন্ডোজের সামনে বসলে আমি উসখুস করতে থাকি, কারণ কাজের জিনিস কোনটাই হাতের কাছে পাইনা। একজন উইন্ডোজ ব্যবহারকারী যখন নতুন উবুন্টু ব্যবহার করতে আসেন তারও এই একই সমস্যাটা দেখা দেয়। এ সমস্যাকে তাই “কঠিন” না বলে বরং “অনভ্যস্ততা” বলাটাই বেশি মানানসই। আর মানুষ যে অভ্যাসের দাস সেটা কে না জানে! উবুন্টুতে অভ্যস্ত হওয়াটাও তাই কারো পক্ষেই অসম্ভব কিছু নয়। উবুন্টুর মোহনীয় রূপ আর সাবলীল ব্যবহারবান্ধবতার কারণে এই অসম্ভবের সম্ভব হবার সময়কালও কিন্তু অনেকটুকু কম হয়।

মোদ্দাকথা “ব্যবহার করতে কঠিন” – কথাটা অন্যের কাছ থেকে শুনে মেনে না নিয়ে বরং নিজেই একটু পরখ করে দেখুননা। এই পরখটুকু করতে উবুন্টু ইন্সটলও করা লাগবেনা, কেবল সিডি ইমেজ ডাউনলোড করে সেটা থেকেই লাইভ বুট করতে পারবেন। আপনার কম্পিউটারের কোন ফাইলে এতটুকু আচঁড়ও পড়বেনা! তারপর নিজেই সিদ্ধান্ত নিন, মাউস টেপার জ্ঞান সম্বল করে উবুন্টু (কিংবা লিনাক্স) ব্যবহার কতটুকু কঠিন!


পূর্বে প্রকাশিতঃ

ল্যাম্প (LAMP) ইন্সটলেশানের সহজ তরিকা

ওয়েব ডেভেলপের সাথে যারা জড়িত, তাদের সবারই লোকালসার্ভার প্রয়োজন হয়। লোকাল সার্ভার হল নিজের কম্পিউটারে তৈরি করা একটা সার্ভার। ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রুপাল বা যেকোন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কাজ করতে হলে লোকাল সার্ভারে আগে ডেভেলপ করে পড়ে সেটা অনলাইনে উন্মুক্ত করা হয়। সহজ কথায়, কোন সাইট ডিজাইন করার সময় বা কোন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার সময়, ইন্টারনেটে বা অনলাইনে চালু করার আগে যতরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, তার প্রায় সবই করা হয় লোকাল সার্ভারে। এই লোকাল সার্ভার একজন ডেভেলপার তার কম্পিউটারে স্থাপন করে। একটা সত্যিকারের সার্ভারে যেসব সফটওয়্যার থাকে (Apache HTTP Server, MySQL, Perl/PHP/Python), প্রয়োজনীয় সেসব সফটওয়্যারগুলো দিয়েই লোকাল সার্ভারটা বানানো হয়ে থাকে। উবুন্টুতে লোকাল সার্ভারের জন্য বহুল প্রচলিত সফটওয়্যার বান্ডেলের নাম হচ্ছে ল্যাম্প (LAMP – Linux, Apache, MySQL, PHP)।এই পোস্টে আমরা প্রথমে দেখব কীভাবে উবুন্টু/কুবুন্টুতে ল্যাম্প ইন্সটল করতে হয়। তারপর ইন্সটলকৃত ল্যাম্পটি ঠিকমত কাজ করছে কীনা সেটাও দেখব। সবশেষে ডেটাবেস ম্যানেজ করার সুবিধার জন্য পিএইচপিমাইঅ্যাডমিন ইন্সটল পদ্ধতিও আলোচনা করা হবে।

LAMP ইন্সটলেশানঃ

প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে এখানকার ধাপগুলো কাজ করবেনা। এবার টার্মিনাল খুলে তাতে কেবল নীচের কমান্ডটি রান করান, এক ধাক্কাতেই ল্যাম্প ইন্সটল হয়ে যাবে।

sudo apt-get install lamp-server^

লক্ষ্য করুন, উপরের কমান্ডে যে ক্যারেট চিহ্নটি (^) রয়েছে সেটা অবশ্যই দিতে হবে। নাহলে কিন্তু কাজ হবেনা। কমান্ডটি চালালে কি কি সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে টার্মিনালে তার একটা তালিকা আসবে। y টাইপ করে Enter বাটন চেপে সম্মতি দিয়ে দিলে ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এবার MySQL ডেটাবেজের পাসওয়ার্ড দেবার জন্য নীচের ছবির মত একটা নোটিশ আসবে।

দ্বিতীয়বার পাসওয়ার্ড নিশ্চিতকরণের জন্য আবার আপনাকে একই পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ড নিশ্চিতকরণের পর ইন্সটলেশনের বাকী কাজগুলো সম্পুর্ণ হয়ে যাবে। ব্যস! আপনার ল্যাম্প সার্ভার ইন্সটলেশন শেষ! এবার চলুন যাচাই করে দেখা যাক যে সবকিছু ঠিকঠাকমত ইন্সটল হয়েছে কীনা।

Apache যাচাইকরণঃ

অ্যাপাচে ঠিকমত ইন্সটল হয়েছে কীনা তা যাচাই করতে ব্রাউজার খুলে অ্যাড্রেসবারে http://localhost/ অ্যাড্রেসটিতে যান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নীচের ছবির মত “It Works!” লেখা একটি পেজ দেখবেন।

PHP যাচাইকরণঃ

পিএইচপি’র ইন্সটলেশন যাচাই করতে হলে আমাদের প্রথমেই /var/www ডিরেক্টরিতে test.php নামে একটা ফাইল তৈরি করতে হবে। এজন্য উবুন্টু ব্যবহারকরীরা টার্মিনালে নিচের কমান্ডটি চালান।

sudo gedit /var/www/test.php

আর কুবুন্টু ব্যবহারকারীরা উপরের কমান্ডের পরিবর্তে নিচের কমান্ডটি লিখুন।

sudo kate /var/www/test.php

একটা টেক্সট এডিটর ওপেন হবে। ওপেন হওয়া সেই টেক্সট এডিটরে নিচের লাইনটি কপি করে সেভ করুন।

phpinfo(); ?>

এবার নিচের কমান্ডটি চালিয়ে অ্যাপাচে রিস্টার্ট করুন।

sudo /etc/init.d/apache2 restart

এবার ব্রাউজার খুলে তাতে http://localhost/testing.php/ অ্যাড্রেসে যান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নিচের ছবির মত পিএইচপি ইন্সটলেশনের যাবতীয় তথ্যাদি ব্রাউজারে দেখা যাবে।

localhost যাচাইকরণঃ

যেহেতু লোকালভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য ল্যাম্প ইন্সটল করা হয়েছে, সেহেতু মাইসিকিউএলকে লোকাল হোস্টের আইপি অ্যাড্রেসে ‘বাইন্ড’ করে রাখতে হবে। লোকাল হোস্টের অ্যাড্রেস হচ্ছে 127.0.0.1। আপনার লোকাল হোস্টের অ্যাড্রেস 127.0.0.1 আছে কীনা তা যাচাই করতে নিচের কমান্ডটি রান করান।

cat /etc/hosts | grep localhost

এতে করে আইপি অ্যাড্রেস 127.0.0.1 দেখানোর কথা। মাইসিকিউএলের my.cnf ফাইলে একই অ্যাড্রেস আছে কিনা তা যাচাই করতে নিচের কমান্ডটি চালান।

cat /etc/mysql/my.cnf | grep bind-address

এতে করে নিচের লাইনটির মত একটি লাইন দেখতে পাবেন যাতে আপনার লোকালহোস্টের বাইন্ড অ্যাড্রেসটা দেয়া থাকবে।

bind-address = 127.0.0.1

যদি অ্যাড্রেসটি উপরের লাইনের সাথে না মেলে তবে my.cnf ফাইলটি এডিট করে সেখানে অ্যাড্রেসটি বসিয়ে দিতে হবে।

phpMyAdmin ইন্সটলেশানঃ

এটা ইন্সটল করাটা অবশ্যই করণীয় কিছু নয়, তবে যারা মাইসিকিউএলের কমান্ডের সাথে পরিচিত নয় তাদের জন্য পিএইচপিমাইঅ্যাডমিন দিয়ে ডেটাবেজ ম্যানেজ করাটা খুবই সহজ হয়। তাই সহজে ডেটাবেজ রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য পিএইচপিমাইঅ্যাডমিন ইন্সটল করা যেতে পারে। এটি ইন্সটল করতে টার্মিনালে নিচের কমান্ডটি চালানঃ

sudo apt-get install libapache2-mod-auth-mysql phpmyadmin

একটা ইন্সটলেশন উইজার্ড আসবে। ok বাটনে চাপ দিলে আপনাকে অটোমেটিক কনফিগার করার জন্য সার্ভার পছন্দ করতে বলবে। তালিকা থেকে apache2 সিলেক্ট করুন। সিলেক্ট করার জন্য কিবোর্ডের Space কি ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন, যেটি সিলেক্ট হবে তার পাশে অ্যাস্টেরিক (*) সাইনটি আসবে। ব্যাপারটা বুঝতে নিচের ছবিটি দেখুনঃ

পরের ধাপে নিচের ছবির মত ডেটাবেজ কনফিগারেশনের জন্য কিছু তথ্য দেখাবে। Enter কি চাপুন।

এবার আপনি dbconfig-common নামের নতুন ডেটাবেজ কনফিগার করতে চান কী না তা নিচের ছবির মত জানতে চাইবে। যেহেতু এটা প্রথমবার ইন্সটল করছেন সেহেতু কনফিগার করাটা দরকার। এজন্য Tab চেপে Yes সিলেক্ট করে Enter চাপুন।

এখন নিচের ছবির মত স্ক্রিন আসবে যেখানে MySQL এর রুট পাসওয়ার্ড দিতে হবে আপনাকে। আগেরবার তৈরি করা MySQL এর পাসওয়ার্ডটি এখানে দিয়ে দিন। তারপর Tab চেপে Ok সিলেক্ট করে Enter কি চাপুন।

এবার phpMyAdmin এর জন্য MySQL অ্যাপ্লিকেশন পাসওয়ার্ড লাগবে। কাজের সুবিধার জন্য আগের ধাপে দেয়া একই পাসওয়ার্ড এখানে দিয়ে দিন (সাবধানঃ যদি কোন পাসওয়ার্ড না লিখেই Enter চাপেন, তাহলে একটা র‍্যান্ডম পাসওয়ার্ড তৈরি হবে)।

নিচের ছবির মত পাসওয়ার্ড নিশ্চিতকরণ একটা ম্যাসেজ আসবে। সেখানে একই পাসওয়ার্ড লিখে Enter চাপুন।

সবকিছু ঠিকঠাকমত হয়ে থাকলে আপনার phpMyAdmin সুষ্ঠুভাবে ইন্সটলেশান ও কনফিগারেশন হবার কথা। ঠিকঠাকমত হল কীনা তা দেখার জন্য চলুন নিচের প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করি।

phpMyAdmin যাচাইকরণঃ

ব্রাউজার খুলে তা দিয়ে http://localhost/phpmyadmin/ অ্যাড্রেসে যান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নিচের ছবির মত একটা পেজ খোলার কথা।

আপনি এখানে লগিন করার অপশন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার ইউজারনেম হবে root এবং পাসওয়ার্ড হবে আগের ধাপগুলোতে রুটের জন্য যে পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন সেটি। ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করলে আপনি নিচের ছবির মত অ্যাডমিন প্যানেল পাবেন।

এতটুকু পর্যন্ত করে ফেলা মানে হচ্ছে আপনি সুষ্ঠুভাবে আপনার কম্পিউটারে লোকাল সার্ভার স্থাপন করেছেন এবং তাতে phpMyAdmin ও ইন্সটল করেছেন। এবার আপনি যে সাইট নিয়ে কাজ করতে চান তার সমস্ত ফাইলগুলো /var/www/html ডিরেক্টরিতে রাখুন এবং মনের মাধুরী মিশিয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করুন। 🙂

কেন উবুন্টু ব্যবহার করবেন?

যারা নতুন লিনাক্সে আসেন তারা প্রথমেই যে সমস্যায় পড়েন সেটা হল লিনাক্সের শত শত ডিস্ট্রো থেকে কোনটা ব্যবহার করবেন? অবশ্যই আপনার প্রয়োজনমত যেটাকে সবচেয়ে কাজের মনে হয় সেটা ব্যবহার করবে। কারন একেকজনের প্রয়োজন একেকরকম, যিনি ভিডিও এডিটিং করেন তার কাজের সাথে যিনি প্রোগ্রামার তার কোন মিল নেই, এই দুজনের জন্য দরকারী সফটওয়্যারও তাই ভিন্ন হবে। তাই বিভিন্ন পেশার মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে লিনাক্স ডিস্ট্রও বিভিন্ন রকম হয়। তবে যারা সাধারন ইউজার তাদের কাজের ধরণ কিন্তু মোটামুটি একই – লেখালেখি, ইন্টারনেট ব্রাউজ, গান শোনা, মুভি দেখা, গেম খেলা ইত্যাদি টুকটাক কাজই সবাই করে। এসব বিচারে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী হচ্ছে উবুন্টু।

কেন উবুন্টু ব্যবহার করবেন- এই প্রশ্নের উত্তর যদি খুঁজতে বের হন তবে হাজার হাজার জবাব পাবেন। ইদানিংকার খুব জনপ্রিয় এই অপারেটিং সিস্টেমটি লিনাক্সের কার্নেলের উপর তৈরি বলে সিকিউরিটি থেকে শুরু করে স্ট্যাবিলিটি পর্যন্ত লিনাক্সের সব ধরনের সুবিধাই এতে পাবেন। তাহলে কোন বৈশিষ্ট্য একে লিনাক্সভিত্তিক অন্যান্য ডিস্ট্রগুলো থেকে আলাদা করেছে? আসুন তাহলে এক ঝলক দেখে নেই।

উবুন্টু অন্যান্য ডিস্ট্রোর মত “কেবলই আরেকটা লিনাক্স”ডিস্ট্রো না। এটা ডেবিয়ানের মত শক্তিশালী ডিস্ট্রোর উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া একটি ডিস্ট্রো যার মূল স্লোগান হল “মানুষের জন্য লিনাক্স”। আক্ষরিক অর্থেই উবুন্টুকে সাধারন মানুষের ব্যবহারের জন্যই বানানো হয়েছে। এক সময় মনে করা হত খোঁচা খোঁচা দাড়ি গোঁফ ওয়ালা জিনিয়াস টাইপের লোকজন কীবোর্ডে খটাখট আওয়াজ করে লিনাক্স ব্যবহার করে। দিন এখন পালটে গেছে, সেই সাধারন ব্যবহারকারীদের জন্য কমান্ডের লিনাক্সের যুগ আর নেই। ডেস্কটপে লিনাক্স এসেছে অনেক বছর। আর সেই ডেস্কটপ লিনাক্সকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে উবুন্টু। উবুন্টু ব্যবহার করতে খুব আহামরি কোন কম্পিউটার জ্ঞানের দরকার নেই, – এতই সোজা এই অপারেটিং সিস্টেমটি। আর এর ইউজার ফ্রেন্ডলিনেসের কথা তো লিনাক্সের এখন সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট। উবুন্টুই একমাত্র লিনাক্স ডিস্ট্র যেটাকে মাইক্রোসফট সমীহ করে চলে, কারন বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, উবুন্টু ইউজার ফ্রেন্ডলিনেসের দিক থেকে উইন্ডোজের চেয়েও উন্নত।

সবচেয়ে সহজ ওএস ইন্সটলেশন পদ্ধতি সম্ভবত উবুন্টুর। খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসে কেবল মাউস দিয়ে টিপে টিপে যে কেউ উবুন্টু ইন্সটল করতে পারবে মাত্র কয়েকটি  ধাপে। সফটওয়্যার খোঁজার জন্য গুগল নিয়ে ঘাঁটাঘাটির দরকার নাই। সফটওয়্যারের বিশাল রিপজিটরি আছে এতে, যেখানে হাজার হাজার ফ্রী সফটওয়্যার তালিকাভুক্ত হয়ে আছে। শুধু গিয়ে ইন্সটল দিলেই হল, সাথে সাথে ইন্সটল হয়ে যাবে। যেকোন সফটওয়্যার আপডেটও খুব সহজেই করা যায়। কোন সফটওয়্যারের আপডেট চলে আসলে উবুন্টুই আপনাকে আপডেট নোটিফিকেশন দেখাবে আর আপডেটের অপশন দিবে। গুগল সার্চ করে আপডেট নামানোর কোনই প্রয়োজন নাই।

উবুন্টুর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর বিশাল ইউজার কমিউনিটি। লিনাক্সের সবচেয়ে বিশাল কমিউনিটি হচ্ছে উবুন্টুর। যেকোন সমস্যায় কেবল কমিউনিটির কাছে ধর্না দিলেই হবে, সমাধান করার জন্য লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়বে। কমিউনিটি’র লোকজনও কিন্তু বেশ বন্ধুভাবাপন্ন। যেকোন প্রশ্নকেই অবহেলার চোখে দেখা হয়না এই কমিউনিটিতে। যত বোকাই প্রশ্ন করুন না কেন, আপনি ঠিকই আপনার জবাব পেয়ে যাবেন। বোকা বোকা প্রশ্নের জন্য আপনার উপর কেউ বিরক্ত হবেনা বা আপনাকে খোঁটাও দেবেনা – এমনই চমৎকার কমিউনিটি।

উবুন্টু’র  সিডি হচ্ছে লাইভ সিডি অর্থাৎ পিসিতে ইন্সটল না করেই আপনি সিডি থেকে সব প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশনসহ উবুন্টু ব্যবহার করতে পারবেন, এমনকি সেই সিডি থেকে ইন্টারনেটেও কানেক্ট হয়ে ওয়েব ব্রাউজ করতে পারবেন!

লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে হার্ডওয়্যার কম্পিটিব্যালিটি উবুন্টুরই সবচেয়ে বেশি। অর্থ্যাৎ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হার্ডওয়্যার উবুন্টুই চিনতে পারে। ফলে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক এডাপ্টারের মত হার্ডওয়্যার চিনে নিতেও উবুন্টুর কোন সমস্যা হয়না। ডেল, হিউলেটপ্যাকার্ড, লেনোভো সহ নামকরা ব্র্যান্ডগুলো এখন উবুন্টুর কথা মাথায় রেখে হার্ডওয়ারের ড্রাইভার রিলিজ করে। তাই হার্ডওয়ার নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়না।

বলা হয়ে থাকে যে, বর্তমানে লিনাক্সের জয়যাত্রার পতাকা যদি কারো বহন করার ক্ষমতা থাকে তো সেটা উবুন্টুর আছে। গুগলের মত বিশ্বখ্যাত কোম্পানি তাদের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উবুন্টুকে বেছে নিয়েছে। তাহলে আর আপনি বসে থাকবেন কেন? ঘুরে আসুন উবুন্টুর সাইট থেকে, সংগ্রহ করুন আপনার উবুন্টু!

ধাপে ধাপে উবুন্টু ইন্সটলেশান (তিনটি পার্টিশান করে)

এই টিউটোরিয়ালটা হচ্ছে তাদের জন্য যারা কম্পিউটারে উইন্ডোজকে পুরোপুরি মুছে ফেলে পার্টিশান করে কেবল মাত্র উবুন্টুকে কম্পিউটারে ইন্সটল করতে চান। এই টিউটোরিয়াল অনুযায়ী উবুন্টু ইন্সটল করলে আপনার পিসির হার্ডডিস্ক পুরোপুরি ফর্ম্যাট হয়ে গিয়ে কেবলমাত্র উবুন্টু থাকবে, এবং উইন্ডোজ সম্পূর্নরূপে মুছে যাবে। শুধু তাই-না আপনার কম্পিউটারে থাকা সমস্ত তথ্য এবং ফাইল (ছবি, গান, সিনেমা, ডকুমেন্টস, সফটওয়্যার ইত্যাদি সবকিছুই) পুরোপুরি মুছে যাবে। তাই এই  টিউটোরিয়াল অনুসরণ করার আগে আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় ফাইল অন্য কোন হার্ডডিস্ক বা রিমুভেবল-মিডিয়া বা অন্য কোন কম্পিউটারে অবশ্যই অবশ্যই ব্যাকআপ করে রাখুন।

Continue reading ধাপে ধাপে উবুন্টু ইন্সটলেশান (তিনটি পার্টিশান করে)

ধাপে ধাপে উবুন্টু ইন্সটলেশান (পার্টিশান ছাড়া, ডুয়েল বুট)

এই টিউটোরিয়ালটা হচ্ছে তাদের জন্য যারা উবির সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণরূপে উবুন্টুকে উইন্ডোজের পাশাপাশি হার্ডডিস্কে ইন্সটল করতে চান, কিন্তু নিজে নিজে পার্টিশন করতে ভয় পান। এই টিউটোরিয়াল অনুযায়ী ইন্সটল করলে আপনার পিসিতে উইন্ডোজ ও উবুন্টু ডুয়েল বুট থাকবে, অর্থাৎ আপনি উইন্ডোজ বা উবুন্টু যেকোনো একটা পছন্দ করে চালাতে পারবেন।

Continue reading ধাপে ধাপে উবুন্টু ইন্সটলেশান (পার্টিশান ছাড়া, ডুয়েল বুট)

ধাপে ধাপে উবুন্টু ইন্সটলেশান (পার্টিশান ছাড়া)

এই টিউটোরিয়ালটা হচ্ছে তাদের জন্য যারা উবির সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণরূপে উবুন্টুকে কম্পিউটারে ইন্সটল করতে চান, কিন্তু নিজে নিজে কোনো রকম পার্টিশন করতে ভয় পান। তবে একটা সাবধানবাণীঃ এই টিউটোরিয়াল অনুযায়ী উবুন্টু ইন্সটল করলে আপনার পিসির হার্ডডিস্ক পুরোপুরি ফর্ম্যাট হয়ে গিয়ে কেবলমাত্র উবুন্টু থাকবে, এবং উইন্ডোজ সম্পূর্নরূপে মুছে যাবে। শুধু তাই-না আপনার কম্পিউটারে থাকা সমস্ত তথ্য এবং ফাইল (ছবি, গান, সিনেমা, ডকুমেন্টস, সফটওয়্যার ইত্যাদি সবকিছুই) পুরোপুরি মুছে যাবে। তাই এই  টিউটোরিয়াল অনুসরণ করার আগে আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় ফাইল অন্য কোন হার্ডডিস্ক বা রিমুভেবল-মিডিয়া বা অন্য কোন কম্পিউটারে অবশ্যই অবশ্যই ব্যাকআপ করে রাখুন।

Continue reading ধাপে ধাপে উবুন্টু ইন্সটলেশান (পার্টিশান ছাড়া)

লাইভ সিডি’র জাদু

উবুন্টু-মিন্টের খুব দারুণ একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে এদেরকে লাইভ সিডি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নিশ্চয়ই ভাবছেন যে “লাইভ সিডি” আবার কি জিনিস? নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এটা হচ্ছে “জীবন্ত সিডি”। সাধারণত যেকোন অপারেটিং সিস্টেম (যেমন উইন্ডোজ) কম্পিউটারে ইন্সটল না করে ব্যবহার করে দেখার কোন উপায় নেই। অর্থাৎ আপনি যদি দেখতে চান যে উইন্ডোজ ভিস্তা বা উইন্ডোজ ৭ দেখতে কেমন, তবে সেটা দেখার একমাত্র উপায় হল সেটাকে কম্পিউটারে ইন্সটল করা। কিন্তু লিনাক্স-নির্ভর অপারেটিং সিস্টেমগুলো এর ব্যতিক্রম। আপনি ইচ্ছা করলে আপনার হার্ডডিস্কে ইন্সটল না করেই সিডি থেকে বা ইউএসবি স্টিক থেকে এদেরকে চালাতে পারেন। অর্থাৎ ইন্সটল না করেই দেখে নিতে পারবেন যে অপারেটিং সিস্টেমটি কেমন। শুধু দেখাই না বরং একটা পরিপূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমের মত একে ব্যবহারও করতে পারবেন। লেখালেখি, ইন্টারনেট ব্রাউজ, অডিও-ভিডিও চালানো ইত্যাদি সব কাজই করতে পারবেন সিডি থেকে। আর যেহেতু লাইভ মোডে ব্যবহার করতে ইন্সটলেশান করার কোনো দরকার পড়েনা তাই আপনার কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের পার্টিশনও অটুট থাকবে, কোনো ধরণের ড্যাটা হারাবার ভয় থাকেনা। অর্থাৎ ইন্সটলেশান ছাড়াই পুরো সিডিটাকে “জীবন্তভাবে” ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্যই এর নাম “লাইভ সিডি”।
Continue reading লাইভ সিডি’র জাদু