(প্রায়) জ্বালানী ছাড়া বিদ্যুৎ – ক্যামনে কী!

গত বছর জ্বালানীবিহীন বিদ্যুৎ নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম। এই বছর প্রায় একই কাহিনী নিয়ে আবার লিখতে হচ্ছে! এবারের কাহিনীটি এসেছে দৈনিক কালের কন্ঠদৈনিক জনকন্ঠ নামে বাংলাদেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রে। খবরটিতে বলা হয় – নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জালাল উদ্দিন দীর্ঘ গবেষণায় সফল হয়ে তৈরি করেছেন খরচ সাশ্রয়ী এক বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্র। তাঁর তৈরি অভিনব বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই যন্ত্রটিতে ১০ মিনিট জ্বালানী ব্যবহারের পর যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। জালাল সাহেব সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন – খুবই আনন্দের কথা। কিন্তু উনি পদার্থবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সূত্রকে কাঁচকলা দেখিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন – এটা মোটেও আনন্দের কথা নয়।

নিজের উদ্ভাবিত বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্রের সামনে জালাল উদ্দিন। ছবি : কালের কণ্ঠ

Continue reading (প্রায়) জ্বালানী ছাড়া বিদ্যুৎ – ক্যামনে কী!

জ্বালানী ছাড়া বিদ্যুৎ – ক্যামনে কী!

ইন্টারনেটে একটা লিংক দেখে চোখ আটকে গেল। সেখানে দাবী করা হচ্ছে জ্বালানীবিহীন বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন দিনাজপুরের শাহিদ হোসেন নামের এক তরুণ। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেল, গ্যাস কিংবা কয়লা ব্যবহার করা হয়। এগুলো ছাড়াও সূর্যের আলো, বাতাসের গতি কিংবা পানির স্রোতের শক্তিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। শাহিদের “জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন” দাবী অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এগুলো কিছুই লাগবেনা। এবং এইখানেই সমস্যা। একজন ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ব্যপারটা মেনে নেয়া আমার জন্য বেশ কষ্টসাধ্য।
Continue reading জ্বালানী ছাড়া বিদ্যুৎ – ক্যামনে কী!