সিডিতে উবুন্টুর আইসো (ISO) ফাইল বার্ন করা

আপনি উবুন্টুর সাইট থেকে যেই ফাইলটি নামিয়েছেন সেটি হচ্ছে একটি .iso বা আইসো ফাইল। উবুন্টুকে ইন্সটল করতে হবে এই আইসো ফাইল থেকেই। উইন্ডোজ ইন্সটল করতে যেমন উইন্ডোজের সিডি দরকার হয় তেমনি উবুন্টু ইন্সটল করতে উবুন্টুর সিডি দরকার হয়। সেজন্য আইসো ফাইলটিকে একটা সিডি/ডিভিডিতে রাইট করে নিতে হবে। একটা খালি ডিভিডি/সিডি আপনার পিসির সিডি/ডিভিডি বার্নারে প্রবেশ করিয়ে কেবল মাত্র কপিপেস্ট করলেই আইসো ফাইলগুলো বার্ন হয়না। এজন্য প্রতিটি সিডি/ডিভিডি রাইটিং টুলসেই ইমেজ বার্ন (Image Burn) করার অপশন থাকে, সেটা ব্যবহার করতে হয়। আপনি যদি আইসো ফাইল বার্ন করার কিংবা সিডি/ডিভিডি বার্ন করার সফটওয়্যার গুলোর সাথে পরিচিত না হোন তবে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে উবুন্টুর সিডি/ডিভিডি বার্ন করতে পারেন।

  • উইন্ডোজে বার্ন করাঃ

উইন্ডোজ ৯৫/৯৮/২০০০/এক্সপি/সার্ভার ২০০৩/ভিস্তা

১। ইন্ফ্রা রেকর্ডার ডাউনলোড করুন।
২। একটি খালি সিডি আপনার সিডি বা ডিভিডি বার্ণারে প্রবেশ করান।
৩। ইন্ফ্রা রেকর্ডার চালু করুন।
৪। মূল উইন্ডো থেকে ‘Write Image’ বাটনটি চাপুন। অথবা ‘Actions’ মেনু থেকে ‘Burn image’ নির্বাচন করুন।
৫। এবার আপনার ডাউনলোড করা উবুন্টু সিডি ইমেজটি নির্বাচন করুন এবং ‘Open’ বাটনটি ক্লিক করুন।
৬। এরপর ‘OK’ ক্লিক করুন।

উইন্ডোজ এক্সপি/সার্ভার ২০০৩/ভিস্তা

১। অপারেটিং সিস্টেমের উপযোগী সংস্করণের আইসো রেকর্ডার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন।
২। খালি সিডি আপনার সিডি/ডিভিডি বার্নারে প্রবেশ করান। তবে উইন্ডোজ ভিস্তা ছাড়া অন্যগুলোতে এটা দিয়ে ডিভিডি রাইট করা যায়না, শুধুমাত্র উইন্ডোজ ভিস্তাতেই এটা ব্যবহার করে ডিভিডি রাইট করা সম্ভব।
৩। আইসো রেকর্ডার চালু করুন।
৪। Image File এর পাশের খালি জায়গায় ক্লিক করুন, ব্রাউজার ওপেন হবে। এবার সেখানে আপনার উবুন্টু ISO ফাইলটি দেখিয়ে দিন। তারপর Next বাটনে ক্লিক করুন।

Windows 7 থেকে বার্ণ করা

১। আলাদা কোন সফটওয়্যার ডাউনলোডের দরকার নেই। ডাউনলোড করা উবুন্টু ISO ইমেজ ফাইলটির উপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করুন এবং Burn disc image অপশনটি নির্বাচন করুন।
২। আপনার সিডি/ডিভিডি বার্নার নির্বাচন করুন এবং Burn বাটনে ক্লিক করুন।

  • উবুন্টুতে বার্ন করাঃ

১। আলাদা কোন সফটওয়্যার ডাউনলোড করার দরকার নেই। কেবল খালি সিডি আপনার সিডি/ডিভিডি বার্নারে প্রবেশ করান।
২। এবার আইসো (ISO) ফাইলটিতে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করলে Write to Disc নামে একটি অপশন দেখা যাবে। সেটি ক্লিক করুন।
৩। Burn এ ক্লিক করুন।

আপনি যদি আরো বিস্তারিতভাবে পদ্ধতিগুলো জানতে চান কিংবা উপরের পদ্ধতিতে কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হয়, তবে উবুন্টুর সাইটে বিস্তারিত দেখতে পারেন। সাইটের দ্বিতীয় অংশ “Burn your CD or create a USB drive” তে বার্ন করার পদ্ধতি নিয়ে ছবিসহ আলোচনা করা হয়েছে। সাইটটিতে আপনি নিচের মত স্ক্রিনশট পাবেন।

উপরের ছবির মত :১: নম্বর ধাপে সিডি/ডিভিডি না ইউএসবি কে বুটেবল করতে চান সেটা পছন্দ করুন। :২: নম্বর ধাপে আপনার অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন করুন। তারপর :৩: নম্বর ধাপের Show me how বাটনে ক্লিক করলে ছবিসহ বিস্তারিত পদ্ধতি আপনার সামনে চলে আসবে।

23 thoughts on “সিডিতে উবুন্টুর আইসো (ISO) ফাইল বার্ন করা”

  1. এ পোষ্টটি লিখতে আপনি মোট কতগুলো অপারেটিং সিষ্টেম এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করেছেন ?

    1. নিজে একটাও ব্যবহার করিনি, কারণ আমার কাছে উইন্ডোজের কোনো ভার্সনই নেই, আমার কম্পিউটার পুরোটাই উবুন্টু। উবুন্টুর অফিসিয়াল সাইটেই সব কিছু দেয়া আছে, সেখান থেকেই ধার করেছি… (লেখার শেষে বিস্তারিত পদ্ধতির জন্য যে স্ক্রিনশটটা দেয়া আছে, সেখানেই সব পাবেন)।

  2. আচ্ছা, উইন্ডোজ-এক্সপিতে কি 'নিরো' সফটঅয়ার দিয়ে বার্ণ করা যাবে না ?

    1. অবশ্যই করা যাবে। নিরো না দেয়ার কারণ হচ্ছে, নিরো কিনতে পয়সা লাগে। কিন্তু এখানে যেসব সফটওয়্যারের নাম দেয়া আছে সেগুলোর জন্য কোন পয়সা লাগেনা। সিডি বার্ন করার জন্য পয়সা দিয়ে সফটওয়্যার কেনার কোন মানে হয়না। তাই নিরো উল্লেখ করিনাই …

  3.  উইন্ডোজ ৭ এ কোন ধরনের সফটওয়্যার লাগবেনা একেবারে শিওর ?? 😀

    1. লেখাটি যখন লিখেছিলাম তখন একজনের কম্পিউটারে উইন্ডোজ সেভেনে ডিস্ক বার্ণ করে, যথার্থতা পরীক্ষা করেই লিখেছিলাম। সেটা ছিল জেনুইন উইন্ডোজ সেভেন (স্টার্টার নয়, কোন একটা হোম এডিশন ছিল), সেখানে আলাদা কোন সফটওয়্যার লাগেনি। তাছাড়া উবুন্টুর সাইটেও আলাদা কোন সফটওয়্যারে কথা লেখা নেই। আমার কাছে উইন্ডোজ থাকলে আমি হয়তো দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে বলতে পারতাম, কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমার কাছে উইন্ডোজ নেই! তাই আপনি নিজে যদি একবার যাচাই করেন তবে আমরা সবাই জানতে পারব।

  4.  আমার পিসিতে উইন্ডোজ ৭ আলটিমেট। আজকে সিডি এনে আপনার নির্দেশ মতো বার্ণ করলাম………:((( সিডিটা নষ্ট হইল। সিডি বুটেবল হয়নাই…..মনে হয় নিরো দিয়ে বার্ণ করতে হবে। অসুবিধা নাই…..আমার নিরো পাইরেটেড না…samsung DVD writer  এর সাথে পাওয়া।

    তাছাড়া সিডি না থাকলেও সমস্যা নাই তো…..পেনড্রাইভ কে বুটেবল করে নিয়েছি,ওটা দিয়ে হবেনা??

    1. হ্যা… বুটেবল পেন্ড্রাইভ দিয়েও হবে যদি আপনার পিসিতে ইউএসবি থেকে বুট করার অপশনটি থাকে।

    2.  কেন ভাই আমিতো আগে win7 দিয়ে বার্ন করলাম কোন সফট লাগে নাই।প্রথম যখন উবুন্ট ব্যবহার করছি।

  5.  আমার I ড্রাইভে ২৬.১ জিবি জায়গা খালি আছে…..উবুন্টু ইনষ্টলের জন্য সর্বোচ্চ কত জিবি জায়গা লাগে?

    1. সাধারণত ৫ গিগাবাইট খালি জায়গা থাকলেই উবুন্টু চালানো যায়। তবে আপনি যদি এরপরে কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করেন বা ডকুমেন্ট স্টোর করেন তবে জায়গা আরো বেশি লাগবে।

  6. বুটেবল পেনড্রাইভে ভাইরাস অ্যাটাক করলে কি করব?

    1. পেনড্রাইভকে বুটেবল করার সময় সেটাকে ফরম্যাট করেই নিতে হয় কিংবা সেটা অটোমেটিক ফরমেট হয়ে যায়, অর্থাৎ পেনড্রাইভে থাকা আগের সব ডেটা মুছে যাবে। তাই ভাইরাস থাকলেও সেটা মুছে যাবে। আর বেটেবল করার পর সেই পেনড্রাইভে অন্য ডেটা না নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ, কারণ ইন্সটলেশানের জন্য বুটেবল ড্রাইভটিতে কিছু ফাঁকা জায়গা দরকার হয়। তারপরও যদি ভাইরাস অ্যাটাক করে তবে হয়তো উবি দিয়ে ইন্সটলেশনের সময় সমস্যা হতে পারে (যেহেতু সেটা পুরোপুরি উইন্ডোজ নির্ভর প্রক্রিয়া), কিন্তু স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে ইন্সটলেশানে কোনোই সমস্যা হবেনা (কারণ ভাইরাসগুলো লিনাক্স-কম্পিটেবল কোন ফাইল না)।

  7.  আমি যখন আমার ৪ জিবি পেনড্রাইভ কে বুটেবল করি তখন সেখানে ২.৫৬ জিবির মতো ডাটা ছিল। পেনড্রাইভ স্বয়ংক্রিয় ভাবে ফরম্যাট হয়নাই আর আমিও ফরম্যাট দিই নাই। ডাটা গুলো থাকলে কি সমস্যা হবে?

    1. পেনড্রাইভ যদি বুটেবল হয়ে যায় এবং সেটা দিয়ে যদি বুট করা যায়, তবে তো হয়েই গেল! 🙂 উবুন্টুতে বুটেবল তৈরি করতে গেলে সবকিছু ফর্ম্যাট হয়ে যায়, উইন্ডোজে সম্ভবত হয়না (আসলে মনে নেই)।

  8. উবুন্টু ইনষ্টলশনের সময় রুট,হোম ডিরেক্টরি,সোয়াপ ফাইলের জায়গা কি সবসময় ৬,২,১ গিগা নির্দিষ্ট?

    আমার I: ড্রাইভের মোট পরিমাণ ৩৯GB ,২৬GB খালি আছে।New allocation এর সময়
    ৩৭ জিবি ধরে পার্টিশন হবে না কি ২৬জিবি?কারণ NTFS ফাইলের জন্য ১৬জিবি জায়গা
    নির্দিষ্ট করার পরে ২০ জিবি খালি দেখাচ্ছে….আর যেসব ডাটা ছিল সেগুলো
    দেখাচ্ছে না

    🙁

    1. নাহ, নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। প্রয়োজনমত জায়গা দিতে হয়। যারা আমার মত সাধারণ ব্যবহারকারী তাদের জন্য হোমটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, হোমেই সব ডেটা (ডকুমেন্ট, মিউজিক, ভিডিও ইত্যাদি) থাকে কীনা! আমি আমার ১২০জিবির হার্ডডিস্কে সাধারণত রুটে ১৫জিবি জায়গা রেখে বাকীটা হোমে দিয়ে দিই।

      New Allocation করলে ঐ পার্টিশনের সব ডেটা হারিয়ে যাবে। তাই প্রথম প্রথম ব্যবহার করলে আমি সাজেস্ট করব পার্টিশন না করে “Install side by side” অপশনটা ব্যবহার করতে, এতে করে পার্টিশনজনিত দুর্ঘটনা ঘটেনা।

  9. আমি তো উবুন্টু ইনষ্টল করলাম……:-(((ভাইরে……..কোন কিছুই তো চালাতে পারিনা মানে গানও না। কিছু চালাতে গেলেই বলে Plugin required। কিন্তু প্লাগইন নামাতে হলে তো নেট লাগবে , নেট লাগলে তো কিউবি ইনষ্টল করতে হবে আর সেজন্য http://forum.linuxdesh.org/thread-391.html অনুযায়ী একটা সফট নামালাম উইউন্ডোজ দিয়ে তাও নাকি ERROR! …….উদ্ধার করেন ভাই!!

    1. উবুন্টুতে আইনি ঝামেলার কারণে প্রোপেইটরি মাল্টিমিডিয়া কোডেকগুলো দেয়া থাকেনা, যার ফলে আপনি কোন গান চালাতে পারছেননা। কোডেকগুলো আলাদা ডাউনলোড করতে হয়। আপনি দয়া করে এই পোস্টটি পড়ুন, বিশেষ করে সাত নাম্বার পয়েন্টটি।

      ফোরামের ঐ লিংকটিতেই তো সব কিছু বলা আছে বলেই মনে হচ্ছে। যাই হোক, সেখানে যা করা হয়েছে সেটা আমি নিজে কখনো তা করিনি, তাছাড়া কিউবি ব্যবহারও করিনা, তাই সাহায্য করতে পারছিনা বলে দুঃখিত। 🙁 নিজে যা করিনি তাতে অন্যকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি বলুন? ফোরামটিতে কয়েকবার বলে দেকুন কী হয়!

Leave a Reply to অনির্বাণ দত্ত অংকনCancel reply