থিসিসনামা ২: মফিজ ও হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা

শীতকালীন ছুটিতে মফিজ প্রতিদিন ফুটবল খেলোয়াড়ের জার্সি পড়ে একটা হুইসেল আর কিছু পাখির খাবার নিয়ে ভার্সিটির খেলার মাঠে যেত। সেসময় মাঠে কেউ থাকতোনা। মফিজ অনেকটুকু সময় নিয়ে মাঠের উপর খাবারদানা ছড়িয়ে দিত, তারপর হুইসেল বাজিয়ে মাঠ থেকে চলে যেত।

শীতকালীন ছুটি শেষে ভার্সিটি খুলার পর আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল খেলার প্রথমদিন রেফারি মাঠে ঢুকে খেলা শুরু করার জন্য হুইসেল বাজায় এবং খেলাটি কয়েকঘন্টার জন্য স্থগিত করা হয়। মাঠ থেকে শ’খানেক পাখিকে সরিয়ে খেলাটি অবশেষে শুরু করা হয়।

এই ঘটনার উপর মফিজ তার থিসিস লেখা শেষ করল – “… উপরোক্ত উদাহরণ ও আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে যে, আকার-আকৃতি ও কার্য-প্রকরণভেদে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার বাঁশি এবং ফুটবলের রেফারির বাঁশিতে বিশেষ পার্থক্য বিদ্যমান। ইদুঁর কিংবা বাচ্চাদের আকৃষ্ট না করে উপযুক্ত পরিবেশে রেফারির বাঁশি খেলোয়াড়দের পাশাপাশি পাখিদেরও আকৃষ্ট করার সামর্থ রাখে।”

5 thoughts on “থিসিসনামা ২: মফিজ ও হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা”

  1. মফিজের থিসিস বিষয়ক গবেষণা নতুন ধারার জন্ম দিয়েছে। জাতি মফিজ সম্পর্কে জানতে চায়।

Leave a Reply to রিংCancel reply